Announcement

Collapse
No announcement yet.

জামায়াতে ইসলামীর ভিশন-২০৪৮!!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জামায়াতে ইসলামীর ভিশন-২০৪৮!!!

    কিছুদিন আগে রাজধানীর একটি গোপন মজলিস থেকে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন প্রধানকে এরেস্ট করে তাগুত। তাদেরকে গ্রেফতার করে থাকো রিমান্ডে পাঠায়। পরে তাদের নামে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে। তাগুতের বিবৃতি অনুযায়ী:-
    "২০১৮ থেকে ২০৪৮। ত্রিশশালা পরিকল্পনা জামায়াতে ইসলামীর।
    >>ভিশন-৪৮ সামনে রেখে পাঁচটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি।
    >>পরিকল্পনায় সরকারের ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ২ লাখ কর্মী নিয়োগ করা হবে।
    >>তাদের মূল টার্গেট দেশের, কৃষক শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
    >>টার্গেট করা হয়েছে তরুণ প্রজন্মকেও।
    >>জামায়াত পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কলেবর বৃদ্ধি করা হবে।"

    আল্লাহ আকবার! ৮০ বছর মরীচিকার পিছনে দৌড়ে প্রতারিত হবার পর, কুফরী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আরো ৩০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা! অথচ ২০ বছরের জি-হাদে সর্বোচ্চ সুপারপাওয়ার কেই হারিয়ে দেয়া হয়েছে।

    জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একাত্তরের পর শুরু করে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের মেধা, পরিশ্রম ও রক্তের বিনিময়ে একটা পর্যায়ে তারা আসে। কিন্তু ২০১৩ সালে তাদের উপর আওয়ামী তাগুত ক্র্যাকডাউন শুরু করে। গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা, গুম, টার্গেট কিলিং, যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, নেতাদেরকে ফাঁসি দেওয়া থেকে শুরু করে একটা অলআউট ক্রাকডাউন চলে কয়েক বছর পর্যন্ত। এই ক্র্যাকডাউন জামাতে ইসলামীর মেরুদন্ড এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে যে তাদের আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।

    তাদেরকে সামরিক ও অর্থনৈতিক রাজনৈতিক প্রভাব ছিল সব ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ত্বাগুত। সামরিক বাহিনীতে তাদের যে সদস্য ছিল তাদেরকে বেছে বেছে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক উৎস ইসলামী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক এই নিজেদেরকে আন্ডারে নিয়ে নিয়েছে তাগুত।

    আর মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হত্যা গুম ও ডিমোরালাইজেশন এর মাধ্যমে এই দলটি আজ বিলুপ্তপ্রায়। গ্রামেগঞ্জে আর জামায়াতে ইসলামীর নামগন্ধ নেই।


    আশ্চর্য! মরীচিকা গণতন্ত্রের এত বড় প্রতারণার পরেও এই দলটি আবার ওই কুফরী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে!! আবার ৩০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা করছে কুফুরি বিধানকে অবলম্বন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে!

    এর কারণ কি? কেন তথাকথিত "ইসলামী গণতান্ত্রিক" দলগুলো বারবার কুফরী পথকেই ধরে রাখতে চায়?

    এর কারণ হলো এই পথটা সুগারকোটেড। মিষ্টিময়। এতে ক্ষমতার লোভনীয় মরীচিকা হাতছানি দিতে থাকে। পথের ও তার পরিপার্শ দেখতে খুবই চমৎকার। এই কারণে একবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিলে আবার উঠে দাঁড়াতে চায়। মরীচিকা তার দূরত্ব বজায় রেখে লুকোচুরি খেলতে থাকলেও মরীচিকার পিছনেই দৌড়ে। কিন্তু আল্লাহপাক নিজে যে একটা পথ বাতলে দিয়েছেন এই পথ এড়িয়ে চলে। কারণ এটা কণ্টকময়।


    কিন্তু, ওয়াল্লাহি, এই কুফরী গণতন্ত্রের সুগারকোটেড পথে হাজার হাজার বছর পথ চলেও সফলতার কোনো মুখ দেখতে পাবে না।
    Last edited by ওমায়ের তাসনীম বিনইয়ামীন; 12-25-2021, 05:26 PM.

  • #2
    শাইখ আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া গাদান (আযযাম আল আম্রিকী) এর (রাহিমাহুল্লাহ) একটা পুরাতন ভিডিও বার্তা ছিল, মিশরের সিসি সরকারের ব্রাদারহুডের উপর ক্র্যাকডাউন চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে, হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল ভিডিওটি, সুজুন (আরবী) নাশীদটার সাথে দৃশ্যায়ন শরীরে এখনো কাঁটা দেয়, কতই না নিপীড়ন চালানো হয়েছিল তাদের উপর, কোন কারণে ভিডিওটি দ্রুতই আমার থেকে হারিয়ে যায়! emaad ডট নেট থেকে ডাউনলোড করেছিলাম, যা এখন ডিজেবল।

    কারো কাছে থাকলে আপলোড করে দিলে ভালো হবে (অথবা না দিলেও খুশি থাকব😊)

    মু’মিন এক গর্তে দুইবার দংশিত হয় না। যারা দংশিত হয় তাদের ব্যপারে করণীয় খুব বেশী কিছু নেই। ফালা তাযহাক নাফসুকা ‘আলাইহিম হাসারত।

    Comment


    • #3
      বালুর প্রাসাদ স্থায়ি নয়। সুতরাং বুদ্ধিমান কেবল সেই লোক যে আল্লাহ ও রাসূলের পথে চলে। মানব রচিত নাপাক পদ্ধতিতে কস্মিনকালেও খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়া কায়েম সম্ভব নয়। সুতরাং জীবন বাজি রাখ কেবল আল্লহর জন্য।
      আর পদ্ধতি অনুসরণ কর রাসুল (সা) এর নীতি জিহাদ ফি সাবিলল্লাহ। কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দেখানো পথই হল একমাত্র পথ । বাকি সকল পথ হল ধ্বংসের পথ।

        Comment

        Working...
        X