এক আরব কবির স্বীয় স্ত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ চারটি নসীহত!
এক আরব কবি স্বীয় স্ত্রীকে কবিতার চারটি পংক্তির মাধ্যমে অমায়িকভাষায় বাসর রাতে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন।মুসলিম ভাই-বোনদের উপকারার্থে তা উপস্থাপন করা হলো, তিনি বলেনঃ
১. “হে প্রিয়তমা! যদি কখনও আমার ভুল-ত্রুটি প্রকাশ পায়, তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। যাতে করে, তোমার প্রেম-ভালোবাসা সর্বদা আমার হৃদয় কোণে বিদ্যমান থাকে। আর যখন আমি রাগান্বিত হব, আমার সম্মুখে কোনো কথার উত্তর দিবে না, বরং নীরব থাকবে।”
২. “আমাকে সেভাবে বাজাবে না—যেভাবে ঢোল-তবলা বাজানো হয়। কেননা, তুমি জান না যে, তার ফলাফল কি হবে? “অর্থাৎ তুমি যদি আমার ক্রোধের সময় নীরবতা পালন না কর, তাহলে হয়তো আমার মুখ দ্বারা অপ্রত্যাশিত এমন অবাঞ্ছিত কথা প্রকাশ পেতে পারে, যার দ্বারা আজীবন তোমাকে অশান্তি ভোগ করা লাগতে পারে, আর আমাকেও দুঃখের সাগরে ভাসাতে পারে।”
৩. “অভিযোগ-শিকায়াত অধিক পরিমাণে করো না। স্মরণ রাখবে, কথায় কথায় অভিযোগ করা এত খারাপ অভ্যাস যে, তা স্বামী-স্ত্রীর প্রেমময় বন্ধনকে ধ্বংস করে দেয়। তাতে বছর বছর ধরে সঞ্চিত প্রেম-ভালোবাসা নিমিষে নিঃশেষ হয়ে যায়। আল্লাহ না করুন, যদি তুমি এতে জড়িত হয়ে পড়, তাহলে আমার অন্তরে তোমার প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মাতে পারে। কেননা, অন্তরের ভাব পরিবর্তনে বিলম্ব লাগে না।”
৪. “আমি তো এটাই দেখেছি যে, স্বামীর পক্ষ থেকে প্রেম ভালোবাসা আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে নাফরমানী ও অবাধ্যতা অর্থাৎ স্বামীর বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগ উত্থাপন কিংবা স্বামীর ক্রোধের সময় স্ত্রীর রাগান্বিত হওয়া বা স্বামীর সাথে কথায় কথায় বিতর্ক করা, তার মুখের উপর জবাব দেয়া এ দু’টো বিপরীতমুখী বিষয় যখন একত্রিত হয়, তখন স্বামীর অন্তর থেকে সেই স্ত্রীর মুহাব্বত দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যায়।”
© Collected
Comment