যখন ক্লাস ফাইভে ছিলাম তখন আমার খুবই প্রিয় একজন স্যার ছিলেন। তিনি খুবই দ্বীনদার ছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রায়ই ক্লাসের ফাঁকে দ্বীনি বিষয়ে আলোচনা করতেন। এজন্যই বোধহয় তাকে ভালো লাগতো। আমার মনে যখনই ইসলাম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন আসতো তখনই সেটা স্যারকে জিজ্ঞেস করতাম। তিনিও আমার মন থেকে সংশয় দূর করে দিতেন। তিনি কখনোই আমাকে অবজ্ঞা করতেন না আমার প্রশ্নগুলোর জন্য। সেটা যতই ফালতু হোক না কেন। আর কখনোই আমাকে বকা দিতেন না আমার প্রশ্নগুলোর জন্য, চাই সেটা সবথেকে কঠিনই হোক না কেন। (তাকে সাধারণত সংশয়বাদীদের মত প্রশ্নগুলোই করতাম) যাইহোক এখন ওনার প্রশংসা করে পোস্টের সাইজ বাড়ানোর ইচ্ছা নাই।
এত্তগুলা কথা বলার কারণ হলো আমি কিছুদিন আগে ফেসবুকে গুতাগুতি করার সময় একজন ভাইয়ের স্ট্যাটাস পেলাম। ওনার সম্পূর্ণ কথাগুলো তো আমার মনে নেই, তবে ওনার কথার সারমর্ম হলো এই যে,
"আমাদের মনে আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাঃ) এবং তিনি যে বার্তা নিয়ে এসেছেন সে সম্পর্কে কখনো কোনো সংশয় জাগলে আমাদের উচিত শয়তানের কাছ থেকে রবের নিকট পানাহ চাওয়া এবং এমন চিন্তা মাথায় আনার জন্য তওবা করা"
ওনার এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত হতে পারিনি।
কারণ আমার মনে হয় যে এই যুগে মনে এমন প্রশ্ন আসলে আমাদের এর উত্তর খোজার প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত। আমাদের এসব প্রশ্নের উত্তর না খুজে বসে থাকা কখনোই উচিত না। বরং একসময় এটি আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
প্রশ্ন আসতে পারে "কীভাবে?"
এই প্রশ্নের উত্তর শোনার আগে নিজের মাথা তুলুন এবং চারদিকে একটু চোখ ঘুরিয়ে দেখুন যে আপনি কোন সমাজব্যবস্থায় বাস করছেন?
আপনার সন্তান/ছোট ভাইয়ের পাঠ্যবইটা একটু খুলে দেখুন। ছোট বেলা থেকেই তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে হিন্দুত্ববাদ এবং সেক্যুলারিজমের বীজ।
ভুলে যাবেন না ইংরেজরা এমন একটা সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিল যার লোকজন বাহ্যিকভাবে হবে ভারতীয়, কিন্তু তাদের চিন্তাধারা, আচার-আচরণ হবে ব্রিটিশদের মতো।
তারা নিঃসন্দেহে এতে অনেকক্ষেত্রেই সফলও হয়েছে!
এখন ভাবুন আপনার মনে একটা সংশয় সৃষ্টি হলো আর আপনি সেটাকে এড়িয়ে গেলেন। কিছুদিন পর আপনার ছোট ভাই/বোন/সন্তান/বন্ধু অথবা অন্য যে কেও আপনাকে সেই একই প্রশ্ন করলো। আপনি উত্তর দিতে ব্যর্থ হলেন!
প্রশ্নকারীর একের পর এক যুক্তির তীর আপনার ঈমানে আঘাত করছে আর আপনি চুপচাপ সয়ে যাচ্ছেন ঈমানের রক্তক্ষরণ!
হয়তো প্রশ্নকারীকে কঠোর ভাষায় কিছু বলে তাড়িয়ে দিবেন। (এমনটা করলে লাভ তো হবেই না বরং ক্ষতি হবে!) এর থেকে বেশি আর কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আপনি হয়তো তাকে বলবেন যে, "এসব বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করো না"! কিন্তু সে যে আপনার কথা মেনে চুপচাপ বসে থাকবে এমনটা ভাবলে আপনি নিঃসন্দেহে ভুল!। কারণ সে অবশ্যই এটার উত্তর খোজার চেষ্টা করবে।
হয়তো ওই ছেলেটা/মেয়েটা জাস্ট সাদা মনেই আপনাকে প্রশ্নটা করেছিলো। কিন্তু এমন ব্যবহারে ওর মন ভেঙে যেতে পারে। সে হয়তো যাবে তথাকথিত কালচারাল মুক্তমনাদের কাছে!
এর পরিণতি কেমন হবে তা বিস্তারিত ব্যখ্যা করার প্রয়োজন নেই আশা করি! তারপর হঠাৎ একদিন আপনার মাথায়ও ওই একই প্রশ্ন আবারও আঘাত হানবে।
তখন শয়তান আপনাকে সহজে এড়িয়ে যেতে দিবে না।
আপনি তখন বসে বসে ভাববেন যে, "ছেলেটার কথায় যুক্তি তো আছে!"
এখান থেকেই আপনার ঈমানে প্রশ্নের ঘুন ধরা শুরু হবে এবং আপনার ঈমানকে ভিতর থেকে কুড়ে কুড়ে খাবে! এক পর্যায়ে হয়তো আপনি ফেরাউনদের কাতারে চলে যাবেন। (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি)
এভাবেই হলো আপনার জীবনের শেষ। আপনি কী এমন একটা ending চান? আপনি কী এটাই আশা করেন? আল্লাহ সহায় হোক।
এখন আসুন, আবার শুরু থেকে বিষয়টা নতুন করে সাজাই,,,
এখন ভাবুন, আপনার মনে একটা সংশয় দানা বাঁধলো।
আপনি ইনশাআল্লাহ, বিসমিল্লাহ বলে উত্তর খোজার মিশনে নেমে পরলেন এবং আল্লাহর রহমতে উত্তরও পেয়ে গেলেন আলহামদুলিল্লাহ! এবং শুধু ওই সংশয়টার উত্তরই নয়! বরং আরো হাজারো সংশয়ের উত্তর পেয়ে গেলেন যেগুলো মুসলিম মিল্লাতকে ধ্বংস করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
তারপর কিছুদিন পর আপনার ছোট ভাই/বোন/সন্তান/বন্ধু অথবা অন্য যে কেও আপনাকে প্রশ্ন করলো। আপনি তার প্রশ্নের উত্তর দিলেন। সে আল্লাহর রহমতে আপনার মাধ্যমে হেদায়েত পেল। তার মাধ্যমে হয়তো অন্য কেও হেদায়েত পাবে! আপনার এই উত্তরের ফলে যতজন হেদায়েত পাবে ততজনের নেকীর সমপরিমাণ নেকী আপনিও পেলেন। এছাড়াও মুসলিম মিল্লাতকে রক্ষার কাফেলায় যোগ দেয়ার সৌভাগ্যও পেলেন।
ওই একটা উত্তরের জন্য আপনি জান্নাতের টিকিটও পেয়ে যেতে পারেন! (ইনশাআল্লাহ)
সোজা ভাষায় ওই একটা উত্তর আপনার সফলতার চাবিকাঠিতে পরিণত হলো!
এখন দুটো পরিণতির মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করুন। নিঃসন্দেহে আকাশপাতাল তফাৎ!
একটার কারণে আপনার এবং অন্য অনেকেরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাচ্ছে এবং অন্যটায় আপনার এবং অন্যদের জন্য জান্নাতের বাগানে খেজুর গাছের বাগান তৈরি হচ্ছে!
এখন আপনি কোন পথে চলবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে।
পরিশেষে এটাই বলতে চাচ্ছি যে এটা সালাফদের সোনালী যুগ নয়! এখানে এড়িয়ে যাওয়া মানেই ফিতনা! এখানে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে এড়িয়ে গেলেই ফিতনা দাড়িয়ে আছে আপনাকে গিলে খাওয়ার জন্য! শুধু তারাই এই যুগে সফল হতে পারবে যারা ইনশাআল্লাহ বলে এই ক্যান্সারের ঔষধ বের করার জন্য সচেষ্ট হবে।
ওয়াল্লাহি! নিঃস্বন্দেহে এই সংশয় তাদের জন্য গযব যারা মূর্খ ও যাদের ঈমান দূর্বল এবং অন্তরে ফিসক ও নিফাক আছে। এবং তাদের জন্য জান্নাতের চাবি যাদের অন্তরে এই মিল্লাতের প্রতি মহব্বত আছে!
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার এবং মেনে চলার তৌফিক দিন। আমীন সুম্মা আমীন বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
এত্তগুলা কথা বলার কারণ হলো আমি কিছুদিন আগে ফেসবুকে গুতাগুতি করার সময় একজন ভাইয়ের স্ট্যাটাস পেলাম। ওনার সম্পূর্ণ কথাগুলো তো আমার মনে নেই, তবে ওনার কথার সারমর্ম হলো এই যে,
"আমাদের মনে আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাঃ) এবং তিনি যে বার্তা নিয়ে এসেছেন সে সম্পর্কে কখনো কোনো সংশয় জাগলে আমাদের উচিত শয়তানের কাছ থেকে রবের নিকট পানাহ চাওয়া এবং এমন চিন্তা মাথায় আনার জন্য তওবা করা"
ওনার এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত হতে পারিনি।
কারণ আমার মনে হয় যে এই যুগে মনে এমন প্রশ্ন আসলে আমাদের এর উত্তর খোজার প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত। আমাদের এসব প্রশ্নের উত্তর না খুজে বসে থাকা কখনোই উচিত না। বরং একসময় এটি আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
প্রশ্ন আসতে পারে "কীভাবে?"
এই প্রশ্নের উত্তর শোনার আগে নিজের মাথা তুলুন এবং চারদিকে একটু চোখ ঘুরিয়ে দেখুন যে আপনি কোন সমাজব্যবস্থায় বাস করছেন?
আপনার সন্তান/ছোট ভাইয়ের পাঠ্যবইটা একটু খুলে দেখুন। ছোট বেলা থেকেই তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে হিন্দুত্ববাদ এবং সেক্যুলারিজমের বীজ।
ভুলে যাবেন না ইংরেজরা এমন একটা সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিল যার লোকজন বাহ্যিকভাবে হবে ভারতীয়, কিন্তু তাদের চিন্তাধারা, আচার-আচরণ হবে ব্রিটিশদের মতো।
তারা নিঃসন্দেহে এতে অনেকক্ষেত্রেই সফলও হয়েছে!
এখন ভাবুন আপনার মনে একটা সংশয় সৃষ্টি হলো আর আপনি সেটাকে এড়িয়ে গেলেন। কিছুদিন পর আপনার ছোট ভাই/বোন/সন্তান/বন্ধু অথবা অন্য যে কেও আপনাকে সেই একই প্রশ্ন করলো। আপনি উত্তর দিতে ব্যর্থ হলেন!
প্রশ্নকারীর একের পর এক যুক্তির তীর আপনার ঈমানে আঘাত করছে আর আপনি চুপচাপ সয়ে যাচ্ছেন ঈমানের রক্তক্ষরণ!
হয়তো প্রশ্নকারীকে কঠোর ভাষায় কিছু বলে তাড়িয়ে দিবেন। (এমনটা করলে লাভ তো হবেই না বরং ক্ষতি হবে!) এর থেকে বেশি আর কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আপনি হয়তো তাকে বলবেন যে, "এসব বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করো না"! কিন্তু সে যে আপনার কথা মেনে চুপচাপ বসে থাকবে এমনটা ভাবলে আপনি নিঃসন্দেহে ভুল!। কারণ সে অবশ্যই এটার উত্তর খোজার চেষ্টা করবে।
হয়তো ওই ছেলেটা/মেয়েটা জাস্ট সাদা মনেই আপনাকে প্রশ্নটা করেছিলো। কিন্তু এমন ব্যবহারে ওর মন ভেঙে যেতে পারে। সে হয়তো যাবে তথাকথিত কালচারাল মুক্তমনাদের কাছে!
এর পরিণতি কেমন হবে তা বিস্তারিত ব্যখ্যা করার প্রয়োজন নেই আশা করি! তারপর হঠাৎ একদিন আপনার মাথায়ও ওই একই প্রশ্ন আবারও আঘাত হানবে।
তখন শয়তান আপনাকে সহজে এড়িয়ে যেতে দিবে না।
আপনি তখন বসে বসে ভাববেন যে, "ছেলেটার কথায় যুক্তি তো আছে!"
এখান থেকেই আপনার ঈমানে প্রশ্নের ঘুন ধরা শুরু হবে এবং আপনার ঈমানকে ভিতর থেকে কুড়ে কুড়ে খাবে! এক পর্যায়ে হয়তো আপনি ফেরাউনদের কাতারে চলে যাবেন। (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি)
এভাবেই হলো আপনার জীবনের শেষ। আপনি কী এমন একটা ending চান? আপনি কী এটাই আশা করেন? আল্লাহ সহায় হোক।
এখন আসুন, আবার শুরু থেকে বিষয়টা নতুন করে সাজাই,,,
এখন ভাবুন, আপনার মনে একটা সংশয় দানা বাঁধলো।
আপনি ইনশাআল্লাহ, বিসমিল্লাহ বলে উত্তর খোজার মিশনে নেমে পরলেন এবং আল্লাহর রহমতে উত্তরও পেয়ে গেলেন আলহামদুলিল্লাহ! এবং শুধু ওই সংশয়টার উত্তরই নয়! বরং আরো হাজারো সংশয়ের উত্তর পেয়ে গেলেন যেগুলো মুসলিম মিল্লাতকে ধ্বংস করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
তারপর কিছুদিন পর আপনার ছোট ভাই/বোন/সন্তান/বন্ধু অথবা অন্য যে কেও আপনাকে প্রশ্ন করলো। আপনি তার প্রশ্নের উত্তর দিলেন। সে আল্লাহর রহমতে আপনার মাধ্যমে হেদায়েত পেল। তার মাধ্যমে হয়তো অন্য কেও হেদায়েত পাবে! আপনার এই উত্তরের ফলে যতজন হেদায়েত পাবে ততজনের নেকীর সমপরিমাণ নেকী আপনিও পেলেন। এছাড়াও মুসলিম মিল্লাতকে রক্ষার কাফেলায় যোগ দেয়ার সৌভাগ্যও পেলেন।
ওই একটা উত্তরের জন্য আপনি জান্নাতের টিকিটও পেয়ে যেতে পারেন! (ইনশাআল্লাহ)
সোজা ভাষায় ওই একটা উত্তর আপনার সফলতার চাবিকাঠিতে পরিণত হলো!
এখন দুটো পরিণতির মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করুন। নিঃসন্দেহে আকাশপাতাল তফাৎ!
একটার কারণে আপনার এবং অন্য অনেকেরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাচ্ছে এবং অন্যটায় আপনার এবং অন্যদের জন্য জান্নাতের বাগানে খেজুর গাছের বাগান তৈরি হচ্ছে!
এখন আপনি কোন পথে চলবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে।
পরিশেষে এটাই বলতে চাচ্ছি যে এটা সালাফদের সোনালী যুগ নয়! এখানে এড়িয়ে যাওয়া মানেই ফিতনা! এখানে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে এড়িয়ে গেলেই ফিতনা দাড়িয়ে আছে আপনাকে গিলে খাওয়ার জন্য! শুধু তারাই এই যুগে সফল হতে পারবে যারা ইনশাআল্লাহ বলে এই ক্যান্সারের ঔষধ বের করার জন্য সচেষ্ট হবে।
ওয়াল্লাহি! নিঃস্বন্দেহে এই সংশয় তাদের জন্য গযব যারা মূর্খ ও যাদের ঈমান দূর্বল এবং অন্তরে ফিসক ও নিফাক আছে। এবং তাদের জন্য জান্নাতের চাবি যাদের অন্তরে এই মিল্লাতের প্রতি মহব্বত আছে!
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার এবং মেনে চলার তৌফিক দিন। আমীন সুম্মা আমীন বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
Comment