Announcement

Collapse
No announcement yet.

এ যুগ আস্তাগফিরুল্লাহ বলে এড়িয়ে যাওয়ার নয়! ইনশাআল্লাহ বলে ছুটে যাওয়ার যুগ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এ যুগ আস্তাগফিরুল্লাহ বলে এড়িয়ে যাওয়ার নয়! ইনশাআল্লাহ বলে ছুটে যাওয়ার যুগ।

    যখন ক্লাস ফাইভে ছিলাম তখন আমার খুবই প্রিয় একজন স্যার ছিলেন। তিনি খুবই দ্বীনদার ছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রায়ই ক্লাসের ফাঁকে দ্বীনি বিষয়ে আলোচনা করতেন। এজন্যই বোধহয় তাকে ভালো লাগতো। আমার মনে যখনই ইসলাম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন আসতো তখনই সেটা স্যারকে জিজ্ঞেস করতাম। তিনিও আমার মন থেকে সংশয় দূর করে দিতেন। তিনি কখনোই আমাকে অবজ্ঞা করতেন না আমার প্রশ্নগুলোর জন্য। সেটা যতই ফালতু হোক না কেন। আর কখনোই আমাকে বকা দিতেন না আমার প্রশ্নগুলোর জন্য, চাই সেটা সবথেকে কঠিনই হোক না কেন। (তাকে সাধারণত সংশয়বাদীদের মত প্রশ্নগুলোই করতাম) যাইহোক এখন ওনার প্রশংসা করে পোস্টের সাইজ বাড়ানোর ইচ্ছা নাই।

    এত্তগুলা কথা বলার কারণ হলো আমি কিছুদিন আগে ফেসবুকে গুতাগুতি করার সময় একজন ভাইয়ের স্ট্যাটাস পেলাম। ওনার সম্পূর্ণ কথাগুলো তো আমার মনে নেই, তবে ওনার কথার সারমর্ম হলো এই যে,

    "আমাদের মনে আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাঃ) এবং তিনি যে বার্তা নিয়ে এসেছেন সে সম্পর্কে কখনো কোনো সংশয় জাগলে আমাদের উচিত শয়তানের কাছ থেকে রবের নিকট পানাহ চাওয়া এবং এমন চিন্তা মাথায় আনার জন্য তওবা করা"

    ওনার এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত হতে পারিনি।

    কারণ আমার মনে হয় যে এই যুগে মনে এমন প্রশ্ন আসলে আমাদের এর উত্তর খোজার প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত। আমাদের এসব প্রশ্নের উত্তর না খুজে বসে থাকা কখনোই উচিত না। বরং একসময় এটি আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

    প্রশ্ন আসতে পারে "কীভাবে?"

    এই প্রশ্নের উত্তর শোনার আগে নিজের মাথা তুলুন এবং চারদিকে একটু চোখ ঘুরিয়ে দেখুন যে আপনি কোন সমাজব্যবস্থায় বাস করছেন?

    আপনার সন্তান/ছোট ভাইয়ের পাঠ্যবইটা একটু খুলে দেখুন। ছোট বেলা থেকেই তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে হিন্দুত্ববাদ এবং সেক্যুলারিজমের বীজ।

    ভুলে যাবেন না ইংরেজরা এমন একটা সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিল যার লোকজন বাহ্যিকভাবে হবে ভারতীয়, কিন্তু তাদের চিন্তাধারা, আচার-আচরণ হবে ব্রিটিশদের মতো।

    তারা নিঃসন্দেহে এতে অনেকক্ষেত্রেই সফলও হয়েছে!

    এখন ভাবুন আপনার মনে একটা সংশয় সৃষ্টি হলো আর আপনি সেটাকে এড়িয়ে গেলেন। কিছুদিন পর আপনার ছোট ভাই/বোন/সন্তান/বন্ধু অথবা অন্য যে কেও আপনাকে সেই একই প্রশ্ন করলো। আপনি উত্তর দিতে ব্যর্থ হলেন!

    প্রশ্নকারীর একের পর এক যুক্তির তীর আপনার ঈমানে আঘাত করছে আর আপনি চুপচাপ সয়ে যাচ্ছেন ঈমানের রক্তক্ষরণ!

    হয়তো প্রশ্নকারীকে কঠোর ভাষায় কিছু বলে তাড়িয়ে দিবেন। (এমনটা করলে লাভ তো হবেই না বরং ক্ষতি হবে!) এর থেকে বেশি আর কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আপনি হয়তো তাকে বলবেন যে, "এসব বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করো না"! কিন্তু সে যে আপনার কথা মেনে চুপচাপ বসে থাকবে এমনটা ভাবলে আপনি নিঃসন্দেহে ভুল!। কারণ সে অবশ্যই এটার উত্তর খোজার চেষ্টা করবে।

    হয়তো ওই ছেলেটা/মেয়েটা জাস্ট সাদা মনেই আপনাকে প্রশ্নটা করেছিলো। কিন্তু এমন ব্যবহারে ওর মন ভেঙে যেতে পারে। সে হয়তো যাবে তথাকথিত কালচারাল মুক্তমনাদের কাছে!

    এর পরিণতি কেমন হবে তা বিস্তারিত ব্যখ্যা করার প্রয়োজন নেই আশা করি! তারপর হঠাৎ একদিন আপনার মাথায়ও ওই একই প্রশ্ন আবারও আঘাত হানবে।

    তখন শয়তান আপনাকে সহজে এড়িয়ে যেতে দিবে না।

    আপনি তখন বসে বসে ভাববেন যে, "ছেলেটার কথায় যুক্তি তো আছে!"

    এখান থেকেই আপনার ঈমানে প্রশ্নের ঘুন ধরা শুরু হবে এবং আপনার ঈমানকে ভিতর থেকে কুড়ে কুড়ে খাবে! এক পর্যায়ে হয়তো আপনি ফেরাউনদের কাতারে চলে যাবেন। (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি)

    এভাবেই হলো আপনার জীবনের শেষ। আপনি কী এমন একটা ending চান? আপনি কী এটাই আশা করেন? আল্লাহ সহায় হোক।

    এখন আসুন, আবার শুরু থেকে বিষয়টা নতুন করে সাজাই,,,

    এখন ভাবুন, আপনার মনে একটা সংশয় দানা বাঁধলো।

    আপনি ইনশাআল্লাহ, বিসমিল্লাহ বলে উত্তর খোজার মিশনে নেমে পরলেন এবং আল্লাহর রহমতে উত্তরও পেয়ে গেলেন আলহামদুলিল্লাহ! এবং শুধু ওই সংশয়টার উত্তরই নয়! বরং আরো হাজারো সংশয়ের উত্তর পেয়ে গেলেন যেগুলো মুসলিম মিল্লাতকে ধ্বংস করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

    তারপর কিছুদিন পর আপনার ছোট ভাই/বোন/সন্তান/বন্ধু অথবা অন্য যে কেও আপনাকে প্রশ্ন করলো। আপনি তার প্রশ্নের উত্তর দিলেন। সে আল্লাহর রহমতে আপনার মাধ্যমে হেদায়েত পেল। তার মাধ্যমে হয়তো অন্য কেও হেদায়েত পাবে! আপনার এই উত্তরের ফলে যতজন হেদায়েত পাবে ততজনের নেকীর সমপরিমাণ নেকী আপনিও পেলেন। এছাড়াও মুসলিম মিল্লাতকে রক্ষার কাফেলায় যোগ দেয়ার সৌভাগ্যও পেলেন।

    ওই একটা উত্তরের জন্য আপনি জান্নাতের টিকিটও পেয়ে যেতে পারেন! (ইনশাআল্লাহ)

    সোজা ভাষায় ওই একটা উত্তর আপনার সফলতার চাবিকাঠিতে পরিণত হলো!

    এখন দুটো পরিণতির মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করুন। নিঃসন্দেহে আকাশপাতাল তফাৎ!

    একটার কারণে আপনার এবং অন্য অনেকেরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাচ্ছে এবং অন্যটায় আপনার এবং অন্যদের জন্য জান্নাতের বাগানে খেজুর গাছের বাগান তৈরি হচ্ছে!

    এখন আপনি কোন পথে চলবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে।

    পরিশেষে এটাই বলতে চাচ্ছি যে এটা সালাফদের সোনালী যুগ নয়! এখানে এড়িয়ে যাওয়া মানেই ফিতনা! এখানে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে এড়িয়ে গেলেই ফিতনা দাড়িয়ে আছে আপনাকে গিলে খাওয়ার জন্য! শুধু তারাই এই যুগে সফল হতে পারবে যারা ইনশাআল্লাহ বলে এই ক্যান্সারের ঔষধ বের করার জন্য সচেষ্ট হবে।

    ওয়াল্লাহি! নিঃস্বন্দেহে এই সংশয় তাদের জন্য গযব যারা মূর্খ ও যাদের ঈমান দূর্বল এবং অন্তরে ফিসক ও নিফাক আছে। এবং তাদের জন্য জান্নাতের চাবি যাদের অন্তরে এই মিল্লাতের প্রতি মহব্বত আছে!

    আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার এবং মেনে চলার তৌফিক দিন। আমীন সুম্মা আমীন বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

  • #2
    যার অন্তরে ঈমান আছে তার অন্তরে মাঝেমধ্যে সংশয় সৃষ্টি হতেই পারে। কারণ ধনের পিছনে ডাকাতও থাকে।
    কিন্তু এই সংশয়কে প্রশ্রয় দিতে নেই।

    ছোট বেলায় আমার ভেতর একবার সংশয় তৈরি হয়ে ছিলো এটা নিয়ে যে বায়ুর কারণে উযূ ভেঙে যায় কেনো? কারণ এতে তো আমার শরীর নাপাক হচ্ছে না। দীর্ঘদিন আমি এর জবাব পাইনি। একজন আলেমকেও এই টাইপের প্রশ্ন করে বসেছিলাম। তিনি বলেছিলেন আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা আমাদের জন্য কল্যাণকর।

    পরে যখন ধূমপায়ীদের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম। সাধারণ ধূমপায়ীর মুখের গন্ধে নামাজে আমার শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম, যদি ওযু ভাঙার জন্য বায়ুকে কারণ না বানানো হতো তাহলে লোকেরা নামাজের আশেপাশের বাতাসকে দূষিত করে ফেলতো।

    যাই হোক আল্লাহ যা কিছু আদেশ করেছেন তাতে কল্যাণ আছে হয়তো আমরা বুঝতে পারি না। কারণ তিনিই জানেন কোন জিনিস আমাদের জন্য ভালো আর কোন জিনিষ খারাপ। পরিস্থিতি আসলে এমনিই বুঝে ফেলবো। তবে এগুলো নিয়ে সিরিয়াস থিংকিং মানুষকে নাস্তিক্যবাদের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

    সিদ্দিক তাকেই বলা হয় যিনি যা আদেশ করা হয়েছে তা কালবিলম্ব ও সংশয় না করে মেনে নেন যিনি। এই কারণেই আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে সিদ্দিক বলা হয় কারণ তিনি মেরাজের ঘটনা কোনো প্রকার সংশয় ছাড়াই মেনে নিয়েছিলেন।

    বিশেষ করে জিহাদে যখন একে একে মুসিবত আসতে থাকে এবং শত্রুর তরবারি কণ্ঠনালীর কাছাকাছি চলে আসে তখনই ভিতরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয় রবের ব্যাপারে। অনেকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে যায়। যা হয়েছে শামের ভূমিতে। এরকম অবস্থা খন্দকের যুদ্ধের সময়ও হয়েছিলো।

    إِذْ جَآءُوكُم مِّن فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ ٱلْأَبْصَٰرُ وَبَلَغَتِ ٱلْقُلُوبُ ٱلْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِٱللَّهِ ٱلظُّنُونَا۠

    যখন তারা তোমাদের কাছে এসেছিল তোমাদের উপরের দিক থেকে এবং তোমাদের নিচের দিক থেকে আর যখন চোখগুলো বাঁকা হয়ে পড়েছিল এবং প্রাণ কন্ঠ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা রকম ধারণা পোষণ করছিলে।
    -সূরাহ আহযাব আয়াত ১০

    মোটকথা: রবের আদেশ কোনো দ্বিধা বা সংশয় ছাড়াই মেনে নেয়ার নাম হচ্ছে ঈমান ☝️

    Comment


    • #3
      আল্লাহর অস্তিত্ব বিষয়ক নাস্তিক্যবাদিদের সংশয়ের জবাবে উম্মাহর-বিজ্ঞ শাইখ যাওয়াহিরী'র (আল্লাহ তাঁর মর্যদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করুন) আলোচনা আন-নাসর মিডিয়ার প্রকাশনায় পাওয়া যায়। সার্চ করলে পাওয়া যাবে। এখানে স্মরণ করলাম। জাযাকাল্লাহ।

      হাদিসে এসেছে কারো মনে যদি উদয় হয়ঃ 'সব কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করল'---- এরকম সংশয় জাগলে সে যেন সূরা ইখলাস - ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ পড়ে নেয়।(বাংলায় অর্থ বুঝে নিন।) এতে শয়তান সুবিধা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ!

      Comment


      • #4
        Originally posted by ওমায়ের বিনইয়ামিন View Post
        যার অন্তরে ঈমান আছে তার অন্তরে মাঝেমধ্যে সংশয় সৃষ্টি হতেই পারে। কারণ ধনের পিছনে ডাকাতও থাকে।
        কিন্তু এই সংশয়কে প্রশ্রয় দিতে নেই।

        ছোট বেলায় আমার ভেতর একবার সংশয় তৈরি হয়ে ছিলো এটা নিয়ে যে বায়ুর কারণে উযূ ভেঙে যায় কেনো? কারণ এতে তো আমার শরীর নাপাক হচ্ছে না। দীর্ঘদিন আমি এর জবাব পাইনি। একজন আলেমকেও এই টাইপের প্রশ্ন করে বসেছিলাম। তিনি বলেছিলেন আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা আমাদের জন্য কল্যাণকর।

        পরে যখন ধূমপায়ীদের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম। সাধারণ ধূমপায়ীর মুখের গন্ধে নামাজে আমার শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম, যদি ওযু ভাঙার জন্য বায়ুকে কারণ না বানানো হতো তাহলে লোকেরা নামাজের আশেপাশের বাতাসকে দূষিত করে ফেলতো।

        যাই হোক আল্লাহ যা কিছু আদেশ করেছেন তাতে কল্যাণ আছে হয়তো আমরা বুঝতে পারি না। কারণ তিনিই জানেন কোন জিনিস আমাদের জন্য ভালো আর কোন জিনিষ খারাপ। পরিস্থিতি আসলে এমনিই বুঝে ফেলবো। তবে এগুলো নিয়ে সিরিয়াস থিংকিং মানুষকে নাস্তিক্যবাদের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

        সিদ্দিক তাকেই বলা হয় যিনি যা আদেশ করা হয়েছে তা কালবিলম্ব ও সংশয় না করে মেনে নেন যিনি। এই কারণেই আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে সিদ্দিক বলা হয় কারণ তিনি মেরাজের ঘটনা কোনো প্রকার সংশয় ছাড়াই মেনে নিয়েছিলেন।

        বিশেষ করে জিহাদে যখন একে একে মুসিবত আসতে থাকে এবং শত্রুর তরবারি কণ্ঠনালীর কাছাকাছি চলে আসে তখনই ভিতরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয় রবের ব্যাপারে। অনেকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে যায়। যা হয়েছে শামের ভূমিতে। এরকম অবস্থা খন্দকের যুদ্ধের সময়ও হয়েছিলো।

        إِذْ جَآءُوكُم مِّن فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ ٱلْأَبْصَٰرُ وَبَلَغَتِ ٱلْقُلُوبُ ٱلْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِٱللَّهِ ٱلظُّنُونَا۠

        যখন তারা তোমাদের কাছে এসেছিল তোমাদের উপরের দিক থেকে এবং তোমাদের নিচের দিক থেকে আর যখন চোখগুলো বাঁকা হয়ে পড়েছিল এবং প্রাণ কন্ঠ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা রকম ধারণা পোষণ করছিলে।
        -সূরাহ আহযাব আয়াত ১০

        মোটকথা: রবের আদেশ কোনো দ্বিধা বা সংশয় ছাড়াই মেনে নেয়ার নাম হচ্ছে ঈমান ☝️
        সংশয় জাগলে তার উত্তর খোজার প্রতিও মনোযোগী হওয়া উচিৎ। আপনার যে বিষয়ে সংশয় আছে সে বিষয়ে মুত্তাকীদের মধ্যে যে সেই বিষয়ে এক্সপার্ট (যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী, যুদ্ধের ক্ষেত্রে মুজাহিদ, বিয়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কেউ, জেনারেল লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এই ধারারই কেউ) তার সাথে মাশোয়ারা (আলোচনা) করবেন। আর এমন কাওকে না পেলে আপনি তাওয়াক্কুল করে বলবেন, "ইয়া আল্লাহ, আপনি নিঃসন্দেহে উত্তম পরিকল্পনাকারী। হে হৃদয় পরিবর্তনকারী, যে উদ্দেশ্যে আপনি আমার মনে এই প্রশ্ন সৃষ্টি করলেন তার উত্তর আমাকে জানিয়ে দিন। আর এই প্রশ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয় তবে আমি আমার মালিকের থেকে উত্তম কিছুই আশা করছি। ইয়া রাব্বিল আল'আমীন, হাশরের ময়দানে আপনার সামনে দাড়ানোর পূর্বেই আমার মন থেকে এই সংশয় দূর করে দিন এবং আমার ক্বলবকে তাক্বওয়া দ্বারা পূর্ণ করে দিন। শুধু একটাই ইচ্ছা ইয়া রাব, এই সংশয়কে আমার জন্য গযব বানাবেন না! আমাকে নিজের অনুগত গোলামদের কাতারে শামিল করে নিন। আমি আপনার হুকুমের মুখাপেক্ষী।)

        ইনশাআল্লাহ, উত্তম ফল পাবেন।
        Last edited by আহমাদ আফফান; 12-31-2022, 09:31 PM.

        Comment


        • #5
          Originally posted by আহমাদ আফফান View Post
          ...হে হৃদয় পরিবর্তনকারী, যে উদ্দেশ্যে আপনি আমার মনে এই প্রশ্ন সৃষ্টি করলেন তার উত্তর দিন।
          এসব সংশয় সাধারণত শয়তানের পক্ষ থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন বলা হয় ও হাদিসে এসেছে, মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে এবং ভালো স্বপ্ন ফেরেশতা বহন করে।

          Originally posted by আহমাদ আফফান View Post
          এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি আমাকে হাশরের ময়দানে দেয়ার ইচ্ছা করেন তাহলে তা-ই করুন।..
          সবরের মাধ্যমে চেষ্টা করলে হয়ত আপনি দুনিয়াতেই উত্তর পেতে পারেন। 'হাশর' এটা তো কঠিন মূহুর্ত!! সংশয় নিয়ে আমরা কিভাবে রবের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত করতে পারি?? তাই দুআ করতে হলে সতর্কতা জরুরি। দুআর মধ্যে বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন ও উত্তম দুআকারী বানান। আমিন।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Sa'd Ibn Abi Waqqas View Post
            এসব সংশয় সাধারণত শয়তানের পক্ষ থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন বলা হয় ও হাদিসে এসেছে, মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে এবং ভালো স্বপ্ন ফেরেশতা বহন করে।

            নিঃসন্দেহে! তবে যদি এই প্রশ্নের মধ্যে রব আমার জন্য উত্তম কিছু রেখে থাকেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমি এমন দুয়া করার কথা বলেছি। আমার এই কথা যোগ করে দেয়া উচিত ছিল যে, "এবং এই প্রশ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হলে আমি রবের হুকুমের উপর নির্ভর করছি।" এইটুকু আমি এডিট করে দিয়ে দিচ্ছি। তাহলেই তো আর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না???

            সবরের মাধ্যমে চেষ্টা করলে হয়ত আপনি দুনিয়াতেই উত্তর পেতে পারেন। 'হাশর' এটা তো কঠিন মূহুর্ত!! সংশয় নিয়ে আমরা কিভাবে রবের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত করতে পারি?? তাই দুআ করতে হলে সতর্কতা জরুরি। দুআর মধ্যে বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন ও উত্তম দুআকারী বানান। আমিন।
            ইনশাআল্লাহ। আমি এটাও এডিট করে দিচ্ছি।

            আল্লাহ আমাদেরকে অভিশপ্ত শয়তানের ফিতনা হতে হেফাজত করুন।

            (পরামর্শের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান)

            Comment


            • #7
              ২০২৩ নতুন বর্ষ উপলক্ষে সিলেবাসে আনা হয়েছে ব্যপক পরিবর্তন। এই সিলেবাস দ্বারা প্রধানত দুটি বিষাক্ত বীজ বপন করা উদ্দেশ্য। ১. পৌত্তলিকতা। ২. ইসলাম বিদ্ধেষ। যদি আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশুরকে এই ফিতনার ব্যপারে সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়; তাহলে কিছু কাল পর তাদের মনে সংশয়ের যে দানা বাঁধবে তা বর্ণানা করাও দুঃসাধ্য। তাই আসুন প্রত্যেকে নিজ নিজ স্বজনদের জাগ্রত করি। পারা-প্রতিবেশি সকলকে চোখ খোলতে বাধ্য করি। সংশয় নিরমলে সবচেয়ে কার্যকরি পন্থা এটিই যে, ছোট থেকেই নেক সংশ্রবের ব্যবস্থা করা। ইসলামের রঙে রাঙিয়ে বেড়ে উঠানো।
              صِبْغَةَ اللَّهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ (138)[البقرة: 138]} হে মুমিনগণ বলে দাও) আমাদের উপর তো আল্লাহ নিজ রঙ আরোপ করেছেন। কে আছে যে আল্লাহ অপেক্ষা উৎকৃষ্ট রঙ আরোপ করতে পারে? আর আমরা কেবল তাঁরই ইবাদাত করি। -সূরা বাকারাহ: ১৩৮
              ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন. “ সিবগাতাল্লাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দ্বীনুল্লাহ (আল্লাহর দ্বীন)। -তাফসীরে ইবনে কাসীর: ১/৫৫০
              হে রব্বে কারীম! আমাদের নিষ্পাপ আব্বু-আম্মু-গুলোকে আপনি কুফরের এ ভয়াবহ ফিতনা হতে রক্ষা করুন আমীন।

              Comment

              Working...
              X