Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিছু অগোছালো মনের ভাব!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিছু অগোছালো মনের ভাব!

    একটি বইয়ের পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মাপ কেমন হয়ে থাকে?
    একটি বইয়ের পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মাপ সাধারণত প্রকাশকের উপর নির্ভর করে থাকে। প্রকাশকের চাওয়া মোতাবেক পৃষ্ঠার আকার-আকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সাধারণত ৫.৫″ x ৮.৫″ থেকে ৬″ x ৯″ এর মধ্যে পাওয়া যায়।


    একটি বইয়ে কয়টি পৃষ্ঠা থাকে?
    সাধারণত একটি আদর্শ বইয়ে ২০০টি পৃষ্ঠা থাকে।


    একটি বইয়ের প্রতিটি পাতায় কয়টি লাইন থাকে?
    সাধারণত একটি আদর্শ বইয়ের প্রতিটি পাতায় ২৫টি লাইন থাকে।


    একটি বইয়ের প্রতিটি লাইনে কয়টি বর্ণ থাকে?
    সাধারণত একটি আদর্শ বইয়ের প্রতিটি লাইনে ৬০টি বর্ণ থাকে। আমরা যে লাইনগুলো পড়ে থাকি, সেখানে গড়ে প্রায় ৬০টি করে বর্ণ থাকে। আপনি যে ঠাস্ করে একটি লাইন পড়ে ফেলেন, সেখানে আপনি আপনার অজান্তেই প্রায় ৬০টি বর্ণ পড়ে ফেলেন! যেমন, "আল্লাহু আকবার" এখানে ১২/১৪টি বর্ণ রয়েছে! অবাক হয়ে গেলেন না তো আবার!


    যদি একটি বইয়ের প্রতিটি লাইনে গড়ে ৬০টি করে বর্ণ থাকে, তবে একটি বইয়ের প্রতিটি পাতায় বিদ্যমান ২৫টি লাইনে গড়ে (৬০ x ২৫) ১৫০০টি বর্ণ থাকবে। আর যদি একটি বইয়ের প্রতিটি পাতায় গড়ে ১৫০০টি করে বর্ণ থাকে, তবে একটি ২০০টি পৃষ্ঠার বইয়ে গড়ে (১৫০০ x ২০০) ৩০০০০০টি তথা ৩ লাখ বর্ণ থাকবে। তার মানে, যদি আমার ১ লাখ কর্মী থাকে, এবং আমার প্রত্যেক কর্মী প্রতিদিন মাত্র ৩টি করে বর্ণ টাইপ করে, তবে প্রতিদিন একটি করে বইয়ের কাজ করা সম্ভব। তাই তো?

    প্রতিদিন ৩টি করে বর্ণ টাইপ করা মানে; বলতে গেলে গড়ে ১টি মাত্র শব্দ টাইপ করা! তাই তো? আচ্ছা... একটি তিন বর্ণের শব্দ টাইপ করতে আমার-আপনার কতক্ষণ সময় লাগতে পারে? আমি যদি আমার কথা বলি, তবে ৩ বর্ণের একটি শব্দ লিখতে আমার ৩ সেকেন্ডও লাগবে না, ইনশাআল্লাহ! আমি-আপনি প্রতিদিনই কি সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমপক্ষে ৩টি বর্ণ লিখি না? একটি শব্দ লিখতে কি অনেক কষ্ট হয়? যদি আমাকে বলা হয় ২০০টি পৃষ্ঠা টাইপ করো, তবে এটা আমার জন্য বেশ মানষিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু যদি একটি শব্দ টাইপ করতে বলা হয়, তবে এটা তো আমি হাসতে হাসতে টাইপ করে দিবো এবং এর মাঝে আমার কোনো মানষিক চাপও আসবে না।


    এখন ১ লাখ কর্মী দিয়ে ১টি করে শব্দ লিখিয়ে নিয়ে নিয়ে তো আর একটি বই তৈরি করা সম্ভব না, এমন স্বপ্ন যে দেখবে থাকে তো পাগল বলা হবে! তাই না? তবে যদি আমার এই ১ লাখ কর্মীর প্রত্যেকে প্রতিদিন মাত্র ১টি করে পৃষ্ঠা টাইপ করে, তবে প্রতিদিন ১ লাখ পৃষ্ঠার কাজ করা সম্ভব। আর যদি প্রতিটা বই গড়ে ২০০ পৃষ্ঠার হয়, তবে ১ লাখ পৃষ্ঠা দিয়ে প্রতিদিন ৫০০টি বইয়ের কাজ করা সম্ভব! একটি মাত্র পৃষ্ঠা টাইপ করতে কি একটা ৭ হাজার টাকার সাধারণ স্মার্টফোনই যথেষ্ট না?

    অর্থাৎ দিনে ৫০০টি, সপ্তাহে ৩৫০০টি, মাসে ১৫ হাজার ও বছরে ১ লাখ ৮০ হাজারটি বইয়ের কাজ সম্পন্ন হবে! চিন্তা করা যায়!? বছরে ১ লাখ ৮০ হাজারটি বইয়ের কাজ সম্পন্ন! একটি বইয়ের কাজ হওয়া মানে; এর সাথে সাথে ১টি পিডিএফের কাজও হওয়া, ১টি ওয়ার্ডের কাজও হওয়া... এমনই ভাবে বিভিন্ন ফাইলের কাজও হওয়া! তাই না?


    ইশ, যদি বাংলার ১ লাখ মুজাহিদ ভাই কুট কুট করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ পৃষ্ঠা করে টাইপ করতো, তবে বাংলার এই আজকের দিনে হয়ত ভিন্ন কিছুই দেখা যেত।








    আপনি জানেন কি? উপরে মোট কতটি বর্ণ আছে? আপনি জানলে অবাক হবেন যে, উপরে ২৫০০ এরও অধিক বর্ণ রয়েছে! বিশ্বাস না হলে গণনা করে দেখে নিতে পারেন। (মুসকি হাসি)। বিশেষ দ্রষ্টব্য এই যে, দুই শব্দ মাঝখানের ফাঁকা স্থান ও বিভিন্ন যতিচিহ্নকেও বর্ণ হিসেবে ধরেছি!
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

  • #2
    একের উপর যেটা বোঝা,
    দশের উপর সেটা হালকা।
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

    Comment


    • #3
      ইশ, যদি বাংলার ১ লাখ মুজাহিদ ভাই কুট কুট করে মাসে অন্তত ১টি করে হলেও ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতো, তবে বাংলার এই আজকের দিনে হয়ত ভিন্ন কিছুই দেখা যেত।

      ১ লাখ কর্মী মাসে অন্তত ১টি করে ভিডিও তৈরি করলেও বছর শেষে ১২ লাখ ভিডিও তৈরি হত। ১২ লাখ ভিডিওর মাঝে হাজার-হাজার ভিউ তো হবেই ইংশাআল্লাহ। যদি ১২ লাখ ভিডিওর প্রত্যেকটিতে ১জন করে নতুন ভিউয়ার হয়, তবে প্রতি বছর নতুন আরও ১২ লাখ ব্যক্তির কাছে দাওয়াত পৌঁছানো সম্ভব।

      ৩০ দিনে! একটি মাত্র ভিডিও তৈরি করা কি অনেক কষ্টের? মোটামুটি ধরণের একটি ৫ মিনিটের ভিডিও তৈরি করতে ৮ ঘন্টা অনেক যথেষ্ট একটি সময়। পুরা ৩০ দিনে ৮ ঘন্টা সময় বের করা কি অনেক কষ্টের? দিনে ২৪ ঘন্টা হলে ৩০ দিনে হয় ৭২০ ঘন্টা! এর মধ্য থেকে ৮ ঘন্টা সময় বের করা কি অনেক কষ্টের? প্রতিদিন মাত্র ১৬ মিনিট কাজ করলেই মাস শেষে ৮ ঘন্টা হয়ে যায়!

      ভাইয়েরা! কুট কুট করে প্রতিদিন ১৬ মিনিট সময় দেওয়া যায় না?
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment


      • #4
        ইশ, যদি সারা বাংলাদেশে আমার মাত্র ১০০ জন বিশ্বস্ত ভাই হত! ইশ, যদি আমার সামর্থ্য থাকত, এই ১০০ জন বিশ্বস্ত ভাইয়ের প্রত্যেককে একটি করে হলেও মুদির দোকান বা অন্য কোনো দোকানের ব্যবস্থা করে দিতে!

        তবে, মাস শেষে আমার ১০০ জন ভাইকে বেতন দেওয়ার পর ও প্রয়োজনীয় খরচাদি দেওয়ার পর প্রতিটি দোকান থেকে গড়ে ১০ হাজার টাকা আসবে না? কি বলেন আপনারা? যদি প্রতিটি দোকান থেকে মাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা করেও আসে, তবে ১০০ দোকান থেকে মাস শেষে মোট ১০ লাখ টাকা আসবে!

        ১০০ দোকানের ব্যবসা দাঁড় করাতে, আমি যদি প্রতিটি দোকানে গড়ে ৩ লাখ টাকা করে খরচ করি, তবে ১০০ দোকান প্রতিষ্ঠায় মাত্র ৩ কোটি টাকাই যথেষ্ট!

        যদি মাস শেষে প্রতিটি দোকান থেকে ১০ লাখ টাকা করেও আসে, তবুও মাত্র ৩০ মাসেই তথা ৩ বছরের ভিতরেই আমার খরচ এসে যাবে!

        ইশ, আমি যদি প্রতি মাসে অজস্র মাল ইনকাম করতে পারতাম, তবে প্রতি মাসে অজস্র মাল আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে পারতাম।


        মাঝে মাঝে চিন্তা করি, উসামা বিন লাদেন যদি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জিহাদের ময়দানে খরচ না করতেন, তবে আজকের এই দিনে ভিন্ন কিছুই হয়ত দেখা যেত।
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment


        • #5
          প্রথমেই অনুরুধ করবো, আল হিকমাহ মিডিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত "Bengali Translation || ইসলাম পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এক সর্বব্যাপী আন্দোলন || উস্তাদ শাহ্‌ ইদরীস তালুকদার হাফিযাহুল্লাহ" নামক পিডিএফটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়ার। এই পিডিএফটি আমার কাছে খুবই মূল্যবান।


          এই পিডিএফটির আল হিকমাহ মিডিয়ার পোষ্ট লিংক-




          উক্ত পিডিএফ থেকে কয়েকটি পৃষ্ঠা
          কথিত আছে যে, আলোচনাকে স্পষ্ট করার জন্য উদাহরণ পেশ করা এক্সরের মত কাজ করে। এটা আমাদের স্পষ্ট করতে হবে যে, কীভাবে একটি ইসলামী আন্দোলন সামাজিক, আর্থনীতিক এবং রাজনীতিক দিকগুলোর সাথে আকীদা-বিশ্বাস, ইসলাহ, তাযকিয়াহ, সংশোধন, আত্মশুদ্ধি ও মুহাসাবাহকে একই কর্ম পরিকল্পনায় একত্রিত করতে পারে?

          আমরা এই উপমহাদেশের বাংলা প্রদেশে শুরু হওয়া ‘ফরায়েজী আন্দোলন’কে উদাহরণ হিসেবে পেশ করতে পারি, যা তুলনামূলকভাবে আমাদের নিকট অতীতের ঘটনা। এই আন্দোলনটি আমাদের জন্য এমন একটি ইসলামী আন্দোলনের বাস্তব দৃষ্টান্ত যা তাওহীদ, দাওয়াত ও জিহাদের মূলনীতিকে সামনে রেখে মানুষের সামাজিক, রাজনীতিক ও আর্থনীতিক সমস্যাগুলোকেও সফলভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

          ফরায়েজী আন্দোলন
          ইমাম হাজী শরীয়তুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ)-এর হাতে শুরু হওয়া বাংলার ফরায়েজী আন্দোলন ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনকালে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সুসংহত ইসলামী আন্দোলন। এটি এহইয়ায়ে ইসলামের (ইসলামী পুনর্জাগরণের) লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল। হাজী শরীয়তুল্লাহ হিজাজ ভূমিতে বহু বছর শিক্ষা-দীক্ষায় কাটিয়েছেন। তৎকালীন বাংলার ধর্মীয়, সামাজিক, আর্থনীতিক ও রাজনীতিক পরিস্থিতি ফরায়েজী আন্দোলনের জন্ম দেয়।

          এই আন্দোলনের মূল ও প্রধান লক্ষ্য ছিল - ইসলামের মূল চেতনা ও শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করা। কিন্তু এর কার্যক্রমের পরিধি জনগণের সামাজিক, আর্থনীতিক, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ও জায়গিরদারি সমস্যা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। হাজী শরীয়তুল্লাহ ভালভাবে অবগত ছিলেন যে, তারা যাদের সংশোধনের জন্য দাঁড়িয়েছেন তাদের সমস্যাবলী ও দুঃখ-কষ্ট এবং সরকারের দ্বারা তাদের উপর যে আর্থনীতিক শোষণ চলছে সেগুলোর ব্যাপারে চোখ বন্ধ রেখে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি জানতেন যে, মুসলিমদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি না করে (অর্থাৎ তাদের জন্য সর্বজনীন উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি না করে) প্রকৃত পরিবর্তন ও আদর্শ বিপ্লবের আশা করা অনর্থক। হাজী শরীয়তুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ যখন ইসলামের ন্যায়-ইনসাফ এবং বান্দার হকের বিষয়ে কৃষকদের মাঝে দাওয়াত ও তাবলীগ শুরু করেন, তখনই তিনি এই কৃষকদের আর্থনীতিক জটিলতা ও সমস্যাবলীর সাথে জড়িয়ে যান।


          ফরায়েজী আন্দোলনে সরকারের কোনো পৃষ্ঠপোষকতা বা সমর্থন ছিল না। ফরায়েজী আন্দোলনে ধনী মুসলিম সমাজের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল না। শুধুমাত্র কৃষক, শ্রমিক, অন্যান্য পেশাজীবী তথা গরীব শ্রেণির প্রায় সকলের মাধ্যমে এই ফরায়েজী আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু কেন এই গরীব লোকগুলো এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিল? কারণ তারা এই আন্দোলনে পেয়েছিল ইহকাল-পরকাল, সামাজিক, রাজনীতিক, আর্থনীতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রের সমাধান।


          কিন্তু বাংলাদেশের আজকের প্রায় সকল ইসলামি আন্দোলনগুলো জনগণের সামাজিক, রাজনীতিক ও আর্থনীতিক সমস্যার উপযুক্ত সমাধান দিতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। অথচ সামাজিক, রাজনীতিক, আর্থনীতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্র - একই শরীয়তের অধীন ও অনুগত।


          হাজী শরীয়তুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ কৃষকদের মাঝে দাওয়াত ও তাবলীগ করতে গিয়ে দেখতে পান কৃষকদের আর্থনীতিক জটিলতা ও সমস্যাবলী। আর আমি আফ্রিদি ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাই, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে যুবক শ্রেণীর মাঝে হালাল ইনকামের জটিলতা ও সমস্যাবলী, এবং সেই সাথে দেখতে পাই ব্যাপক বেকারত্ব।


          এক দিকে আমার পেটে খাবার নেই, পকেটে অর্থ নেই অন্য দিকে জিহাদী কাজ করা ফরজ হয়ে রয়েছে আমার উপর, আপনিই বলুন এই অবস্থায় আমি বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষপট অনুযায়ী কি করবো? আমার জন্য কোনটার দিকে আগে যাওয়া জরুরী? নিশ্চয় খাবারের খোঁজ করা, প্রয়োজন পরিমাণ অর্থের ব্যবস্থা করা! তাই না? এর ফলে ফরজ জিহাদী কাজে যুক্ত হতে কী আমার কাল বিলম্ব হবে না? এই যে, আমি ১ লাখ কর্মীর কথা উপরে বলেছি যে, যদি তারা টাইপ করে, যদি তারা ভিডিও বানায়, তবে এমন এমন হবে .... এহেন পরিস্থিতিতে কী এটা তাদের দ্বারা করা সম্ভব? এই পরিস্থিতিতে তাদের দ্বারা কী কাল বিলম্ব হবে না? কিন্তু জীহাদি কাজও যে ফরজ হয়ে আছে। বিপদ যে দরজায় কড়া নাড়ছে। এই বুঝি আমার অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে গেল। ডানে যাবো নাকি বামে যাবো বুঝে উঠতে পারছি না!
          হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

          Comment


          • #6
            হায়! যদি আমার সামর্থ্য থাকত এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার-
            • জেনারেল লাইনে অল্প/ মধ্যম/ বেশী পড়েছে
            • আলীয়া মাদ্রাসায় অল্প/ মধ্যম/ বেশী পড়েছে
            • কৌমি মাদ্রাসায় অল্প/ মধ্যম/ বেশী পড়েছে
            উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হবেন তারা, যাদের মাঝে উপরের তিনটির মধ্য থেকে যেকোনো একটি গুণ বিদ্যমান এবং সেই সাথে বর্তমান সময়ে বেকার আর তারা পড়া-লেখা ও কিছু ইনকাম উভয়টা করার মন-মানষিকতা রয়েছে।



            উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাইম টেবিল হবে-
            • ঘুম থেকে উঠা
            • ওজু-গোসল করা
            • কুরআন তেলাওয়াত করা
            • ফজরের সলাত আদায় করা
            • বাদ ফজরের আমল করা
            • তারপর হালকা নাস্তা করা
            • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে কারখানা বা কাজ করার মত জায়গা থাকবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সকালের হালকা নাস্তার পর কাজ করবেন
            • দুপুর ১১টায় কারখানায় কাজ করা শেষ হয়ে যাবে
            • দুপুর ১১টা থেকে ১টা; এই মোট ২ ঘন্টায় - গোসল, দুপুরের খাবার খাওয়া ও হালকা ঘুম
            • ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত যোহরের সময়ের সকল সলাত আদায় করা
            • ২টা থেকে আসর পর্যন্ত ক্লাস হবে
            • আসরের সলাত
            • বাদ আসর - কম্পিউটার ক্লাস
            • মাগরিবের সলাত
            • বাদ মাগরিব সন্ধ্যার আমল
            • তারপর কুরআন তেলাওয়াত
            • এশার সলাত
            • খাবার খাওয়া
            • ঘুমাতে যাওয়া



            শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে কারখানা বা কাজ করার মত জায়গা-
            শিক্ষার্থীরা এখানে কাজ করবে এবং তারা বেতন পাবে। এই বেতন সে খরচ করবে। খাওয়া - পড়া - থাকা - প্রয়োজন মিঠানোর পর কোনো অর্থ বাকী থাকলে সে তা তার বাড়িতে পাঠাবে বা সে যা চায় তা করবে। প্রতিদিনের সকল লেনদেন উক্ত সময়েই করতে হবে। শিক্ষার্থী কাজ করবে, কাজ শেষেই তাকে বেতন দিতে হবে। শিক্ষার্থী খাবে, খাবারের পরেই শিক্ষার্থীকে তাকে তার খাবারের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।


            সবাইকে কারখানাতেই কাজ করতে হবে বিষয়টা এমন নয়, বরং সে-
            • রান্না করা
            • বাজার করা
            • ওয়েটারের কাজ করা
            • অ্যাকাউন্টের কাজ করা
            • ঝাড়ু-ধোয়া-মুছা করা টয়লেট সাফ করা
            • শিক্ষকতা করা
            ইত্যাদিসব কাজও করতে পারবে। আর প্রতিদিন একই কাজ করতে হবে তাও নয়, বরং যেকাজটায় খালি থাকবে সেটাই করতে পারবে। আর নিশ্চয় কাজভেদে বেতন কম-বেশী থাকবে।


            যারা রান্না করবে, বাজার করবে, ঝাড়ু-ধোয়া-মুছা করবে, টয়লেট সাফ করবে, শিক্ষকতা করবে তাদেরকে তাদের এই সকল মূল কাজ সকালের হালাকা নাস্তার পর থেকে ১১ টার মধ্যেই করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষক যা ক্লাসে পড়াবেন তার একটা প্রস্তুতি রয়েছে, তা তাকে এই সময়ই করতে হবে। পাচককে তার মূল রান্নার সকল কাজ সকালের হালাকা নাস্তার পর থেকে ১১ টার মধ্যেই করতে হবে।



            ২টা থেকে আসর পর্যন্ত ক্লাস হবে। কি ক্লাস হবে?
            জেনারেল, আলীয়া ও কৌমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা সবচেয়ে মেধাবী ও অপরকে শিক্ষা দিতে পারদর্শী হবে, তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যে বিষয় সে জানে সে বিষয়ে সে শিক্ষক হবে। আর যে বিষয়ে সে জানে না সে বিষয়ে সে ছাত্র হবে। শিক্ষক হিসেবে সে বেতন পাবে। আর ছাত্র হিসেবে সে বেতন দিবে।



            সব কিছু তো আর এমন করে করে লিখা সম্ভব না, স্থান-কাল-অবস্থা অনুযায়ী সকল কিছু ঠিকঠাক করে নিতে হবে। এটা একটা আইডিয়া মাত্র।



            সবশেষে একজন শিক্ষার্থী যেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু জ্ঞান, কিছু স্কিল ও কিছু অর্থ সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।
            হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

            Comment


            • #7
              আমার এই অগোছালো কথাগুলো কোনো তানজীম বা জামা'আতের বক্তব্য নয়, বরং আমার নিজস্ব কিছু অভিমত মাত্র। বিভিন্ন বই, বিভিন্ন আর্টিকেল, অডিও, ভিডিও ও বিভিন্ন উপলব্ধি থেকে আমার এই কিছু অগোছালো কথামালা।


              উপরের ফটোটিতে রয়েছে পাকিস্তানের মানচিত্র ও তার বর্তমান প্রদেশসমূহ




              ১৯৭১'র পর্যন্ত পাকিস্তান পাঁচটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। যথা-
              ১. পাঞ্জাব
              ২. সিন্ধু
              ৩. খাইবার পাখতুনখোয়া
              ৪. বালুচিস্তান
              ৫. বাংলাদেশ

              পাকিস্তান প্রশাসন সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিত এবং এখনও দেয় পাঞ্জাবকে, এবং সবচেয়ে কম সুযোগ-সুবিধা দিত বাংলাদেশকে। এই হিসাব অনুযায়ী এখানে প্রদেশগুলোর পর্যায়ক্রম লিখা হয়েছে। বাংলাদেশ বরাবরই জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আসছিল, ফলে ১৯৭১'র পর থেকে পাকিস্তান চারটি প্রদেশে বিভক্ত। যথা-
              ১. পাঞ্জাব
              ২. সিন্ধু
              ৩. খাইবার পাখতুনখোয়া
              ৪. বালুচিস্তান

              উপরের ফটোটি গাঢ় লাল রঙ্গে চিহ্নিত স্থানটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ



              উপরের ফটোর গাঢ় সবুজ রঙ্গে চিহ্নিত স্থানটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুইটি জেলা ওয়াজিরিস্থান



              বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আমেরিকা যখন আফগানিস্তানে হামলা করেছিল, তখন তালেবানরা পাকিস্তানের এই ৩য় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এসো আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিশেষ করে এই প্রদেশের দুইটি জেলায়; একটি হচ্ছে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও অপরটি হচ্ছে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান। এই দুই জেলাকে একসাথে ওয়াজিরিস্তান বলা হয়, যা একটি পার্বত্য অঞ্চল। আমেরিকা যখন আফগানিস্তানে হামলা করেছিল তখন তালেবানরা এই ওয়াজিরিস্তানের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছিলেন। তারা এখানে এসো আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা এই ওয়াজিরিস্তান থেকে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে কুফফারদের আঘাত করে আবার ওয়াজিরিস্তানে ফিরে আসতেন। এই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকেই প্রথম তালেবানরা আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করে প্রথম আফগানিস্তান দখল করা শুরু করেছিলেন।

              এই পদ্ধতি অনুসরণে বাংলার অনেক ভাইকে বলতে শোনা যায়, শুধু বাংলাদেশকে সামনে রেখে যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করলে হবে না, বরং পুরো ভারতবর্ষকে সামনে রেখে যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আর বাংলাদেশে যেহেতু না ব্যাপক পাহাড়-পর্বত আছে, আর না ব্যাপক বন-জঙ্গল আছে, সেহেতু বাংলাদেশ হবে সাহায্যকারী ভূমি।
              Last edited by মুহাম্মাদ সাহেল; 04-28-2023, 09:29 AM.
              হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

              Comment


              • #8
                Muhammad adnan saif ভাই তার একটি পোষ্টে উল্লেখ করেছেন, শায়েখ আবু মুস'আব আস-সুরি হাফিজাহুল্লাহ প্রকাশ্য সম্মুখ যুদ্ধের শুরুতে গেরিলা যুদ্ধ করার জন্য কিছু ভূমিগত আবশ্যিক উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন,
                ১. ভূমিটি আয়তনে বড় হতে হবে।
                ২. ভূমিটিতে লম্বা ও বিভিন্ন ধরনের বর্ডার থাকতে হবে।
                ৩. ভূমিটি এমন হতে হবে, যেন তা অবরোধ করা কঠিন হয়।
                ৪. ভূমিটিতে বন-জঙ্গল ও পাহাড়-পর্বতের মত অসমতল অঞ্চল থাকতে হবে, যাতে করে শত্রুর মোকাবেলায় এই অসমতল অঞ্চলগুলো থেকে সাহায্য পাওয়া যায়।
                ৫. ভূমিটি এমন হতে হবে, যেন সেখানে অবরোধের সময়ও পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য ও পানি পাওয়া যায়।
                সমান সমান বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা কী দেখতে পাই?
                ১. বাংলাদেশ আয়তনে বড় নয়।
                ২. বাংলাদেশে লম্বা ও বিভিন্ন ধরনের বর্ডার নেই।
                ৩. বাংলাদেশকে অবরোধ করা কঠিন কোনো কাজ নয়।
                ৪. বাংলাদেশে বন-জঙ্গল ও পাহাড়-পর্বতের মত অসমতল অঞ্চলের পরিমান নেই বললেই চলে।
                ৫. বাংলাদেশকে অবরোধ করলে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য ও পানি পাওয়া যাবে না।

                এই বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে বলা হয়, মাছের জন্য পানি যেমন জরুরী ঠিক তেমনি জনবহুল স্থানে গেরিলা যোদ্ধারা হল মাছ আর তাদের পানি হল জনগণ। কিন্তু প্রশ্ন আসে জনগণ নামক পানিতে গেরিলা মাছেরা কি এই পর্যন্ত সফল হয়েছেন? ইরাক ও শামে কি তারা সফল হয়েছেন?



                এইজন্য বলা হয়, গেরিলাদের জন্য জনগণ তখনই পানির মত কাজে আসবে, যখন উক্ত ভূমির অবস্থা হবে এমন যে,
                • জিহাদি জামা'আতগুলো বিচ্ছিন্নতা পরিহার করে পরস্পর একত্র হয়ে যাবে ও একে অপরের প্রতি উদার হবে।
                • জিহাদি জামা'আতগুলো তারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ব্যাপারে সাধারণ মুসলিম জনসাধারণকে অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে সচেতন করে ফেলবেন।
                • জিহাদি জামা'আতগুলোর প্রতি আলেমগণের ব্যাপক হারে সমর্থন থাকবে।
                • আলেমগণ জনগণকে সঠিক ইসলাম পালনে ও শত্রুর বিরুদ্ধে উদ্ভুদ্ধ করবেন।
                • ব্যাপক জনসমর্থন পাওয়া লাগবে।
                • আলেমগণ যেন জনগণকে জাগিয়ে তোলান এবং তাদেরকে সংগঠিত করেন।
                • আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বা আদর্শিক ঐক্য গঠন করা।
                • অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারাকে সহজ করা।

                এই সবগুলোই তালেবানরা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পেয়েছিলেন। কিন্তু এগুলো কি বর্তমান বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে? যদি এগুলো বর্তমান বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে, তবে কিভাবে বাংলায় মুজাহিদগণ গেরিলা অপারেশন করবেন? এ নিয়ে কি আমার রক্তক্ষরণ হয়?
                হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                Comment


                • #9
                  এই সব কিছুই করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

                  আপনার লিখনি ও ভাবনা থেকে যা বুঝলাম
                  ১। অনেক কাজ করা দরকার তবে লোক নেই
                  ২। লোক থাকলেও তারা অর্থনৈতিক কারণে কাজে সময় দিতে পারবেনা
                  ৩। আপনার ইচ্ছে, যদি সম্ভব হতো তাহলে নিজে এমন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে দিতেন যা থেকে ইনকামও হবে।


                  মুহতারাম! আমার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা
                  আমরা যে কোন হালাল ইনকাম সোর্স গ্রহণ করতে প্রস্তুত না
                  ▪️ আমরা "লোকে কি বলবে" এর দায়ে সম্ভব এমন হালাল ইনকাম সোর্স গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকি
                  ▪️ আমরা লাঞ্ছিত দরিদ্র জিন্দেগী পছন্দ করি হালাল উপায়ে স্বনির্ভর থাকার চেয়ে
                  ফলে আমরা অর্থনৈতিক কষ্টে আছি।

                  সারাদিন ২৪ ঘন্টা সময়
                  ঘুম রাত ০৯:৩০ থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত ঘুমালে মোটামুটি ৭ ঘন্টা ঘুম হয়ে যায়। তারপর তাহাজ্জুদ, ফজর সালাত ও আজকার করে ৭টায় ফারেগ হওয়া যায়।

                  আরো বাকি থাকে ১০ ঘন্টা
                  🔸 যে কোন ডেলি লেভারের কাজ করলে ৮টা বা ৯টা থেকে শুরু হয়ে আসর বা মাগরিব পর্যন্ত করা যায়।

                  রোজ সর্বনিম্ন ৪০০৳ করে ধরলে ৯/১০ ঘন্টা ইনকামের পেছনে দৌড়ালে মাস শেষে চলে আসে ১২ হাজার টাকা,

                  🔸 অথবা যদি কোন অটো রিকশা, ইজিবাইক, বা বড় অটো রিকশা ও কেউ চালায় তাহলে সে কমপক্ষে দিনে ৫/৬শ কামাতে পারবেই

                  🔸 বা উল্লেখিত সময়ের কোন পার্ট টাইম নিন্ম মানের জবও করা হয় তাহলেও মাস শেষে ১০ / ১২ হাজার আসবেই।

                  এখনো এ টাকা দিয়ে কিছুটা লো লেভেলে থেকে সংসার চালিয়ে, এমবি খরচ দিয়েও মাস শেষে হাজার, পাঁচশো চাইলেই জমানো যায়। যা দিয়ে সে বছর দুই তিন পরে ভালো একটা বিজনেস শুরু করতে পারবে। এভাবে একটা সময় অবস্থা উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।

                  আর বাকি থাকে ৩:৩০ মিনিট এর মধ্য থেকে দেড় দুই ঘন্টা সময়ও যদি কেউ আপনার উল্লেখিত কাজ গুলোর জন্য দেয় তাহলে ১/২ পৃষ্ঠা, একটা স্কৃপ্ট এর বেসিকটা, একটা পিডিএফ, একটা অডিও, ইত্যাদি সর্বনিম্ন ফোরামে ৮/১০টা কমেন্ট বা সোশাল মিডিয়ায় প্রচারণা অনেক কিছুই করা যায় দৈনিক। রেগুলেরটি থাকলে কাজ গুলোর কোয়ালিটি ও পূর্ণতা ডেলিই উন্নত ও সম্পন্ন হতে থাকে৷ আপনার কুট কুট করে করার নীতিটা এ সময়টাতে প্রয়োগ করলেই হলো ব্যাস!

                  কিন্তু আমরা, লোকে কি বলবে করে কোন কাজ না করতে না করতে এখন কর্মবিমুখই হয়ে গেছি, এখন লোকে বাহবা দিবে এমন কাজ পেলেও করিনা। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক।


                  আল্লাহ তা'আলা আমাকে আমার সকল এমন মুসলিম ভাইকে এসব আপদ থেকে হিফাজত করে, কর্মঠ, নিরলস, ক্রিয়েটিভ হওয়ার তাওফিক দান করুন আমিন!

                  রব্বে কারীম যে ধমকি দিয়েছেন ["লাউ আরদুল খুরুজা লাআ'আদ্দু লাহি উদ্দাতান" যদি তারা সত্যিই জিহাদে বের হতে চাইত তবে কিছু না কিছু প্রস্তুতিতো নিতই]
                  এ ধমকি থেকে তিনিই হিফাজত করুক আমীন!

                  হে আল্লাহ! আমাদের সত্যি অর্থেই আপনাকে ভয় করার তাওফিক দান করুন আমিন!
                  আপনার পথ জিহাদে সত্যি অর্থেই আগ্রহী হওয়ার তাওফিক দান করুন আমিন!

                  অনেক অনেক জাযা-কুমুল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা আফ্রিদি ভাইকে
                  Last edited by মুহাম্মাদ সাহেল; 04-30-2023, 12:09 AM.
                  হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                  Comment


                  • #10
                    এগুলো কি বর্তমান বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে? যদি এগুলো বর্তমান বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে, তবে কিভাবে বাংলায় মুজাহিদগণ গেরিলা অপারেশন করবেন? এ নিয়ে কি আমার রক্তক্ষরণ হয়?
                    সত্যিই নিজেকে প্রশ্নকরার মত একটি বিষয়...
                    হে আল্লাহ! আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে জিহাদকে ভালোবাসার তাওফিক দান করুন আমিন! :'(
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment


                    • #11
                      শুকরিয়া মুহতারাম আল-ক্বলাম ভাই। এবং বিশেষভাবে শুকরিয়া এই জন্য যে, আপনার লিখা পরে আমার অনুভব হয়েছে যে, আপনি এই লিখাগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। মা শা আল্লাহ। এই লিখাগুলোর প্রতি আপনি যেমন মনোযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তা'আলাও আপনার প্রতি তেমন বিশেষ মনোযোগ দান করুন। আমীন।
                      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                      Comment

                      Working...
                      X