Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-৩।। জীবনসঙ্গীনী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. এ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-৩।। জীবনসঙ্গীনী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. এ



    জীবনসঙ্গীনী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. এর ছেলেকে দেয়া নসীহত:

    নারীরা সাধারণত রোমান্টিকতা পছন্দ করে। খুনসুটি-রসিকতা পছন্দ করে। নখরা-ন্যাকা তাদের স্বভাবগত। তারা ভালবাসার স্পষ্ট প্রকাশকে খুবই পছন্দ করে। তুমি একান্তে স্ত্রীর কাছে এসব কথা প্রকাশে কখনোই কার্পণ্য করবে না। তাকে বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলবে। যদি এসবে কার্পণ্য কর, তাহলে দেখবে কিছুদিন পরই তোমার আর তার মাঝে একটা অদৃশ্য পর্দা ঝুলে গেছে। এরপর দিনদিন পরস্পরের সম্পর্কে শুষ্কতা আসতে শুরু করবে। ভালবাসা জানালা দিয়ে পালাবার পথ খুঁজবে।
    .
    নারীরা কঠোর-কর্কশ-রূঢ়-বদমেজাজি-রুক্ষস্বভাবের পুরুষকে একদম পছন্দ করে না। তোমার মধ্যে এমন কিছু থাকলে এখুনি ঝেড়ে ফেল। কারণ তারা সুশীল, ভদ্র, উদার পুরুষ পছন্দ করে। তুমি তার ভালবাসা অর্জনের জন্য, তাকে আশ্বস্ত করার জন্য হলেও গুণগুলো অর্জন কর।
    .
    এটা খুব ভালো করে মনে রাখবে, তুমি তোমার স্ত্রীকে যেমন পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, পরিপাটি, গোছালো
    সুরুচিপূর্ণ, সুগন্ধিময় দেখতে চাও, তোমার স্ত্রীও কিন্তু তোমাকে ঠিক তেমনটাই চায়। তাই সাবধান থাকবে, তার চাহিদা পূরণে যেন কোন অবস্থাতেই তোমার পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র অবহেলা না হয়।
    .
    ঘর হল নারীদের রাজ্য। একজন নারী নিজেকে সবসময় সেই রাজ্যের সিংহাসনে আসীন দেখতে খুবই পছন্দ করে। সে কল্পনায়, স্বপ্নে, বাস্তবে এই রাজ্য নিয়ে ভাবে। সাজায়, রচনা করে। খুবই সাবধান থাকবে। কখনোই তোমার স্ত্রীর এই সুখময় রাজত্বকে ভেংগে দিতে যেও না। এমনকি তাকে সিংহাসন থেকে নামিয়ে দেয়ার প্রয়াসও চালাবে না। তুমি তো জানোই, আল্লাহ্ তা'আলার কাছে সবচেয়ে অপছন্দজনক বিষয় কী?
    .
    - তাঁর সাথে কোনকিছু শরীক করা।
    - হ্যাঁ, ঠিক বলেছো। একজন রাজার কাছেও সবচেয়ে ঘৃণিত বিষয় কী?
    - তার রাজ্যে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করা।
    .
    নারীরা তার স্বামীকে মনে প্রাণে, সর্বান্ত:করণে প্রবলভবে স্বামীকে পেতে চায়। হুঁশিয়ার থেকো বাবা! তুমি ভুলেও নিজেকে আর স্ত্রীর পরিবারকে এক পাল্লায় তুলে মাপতে শুরু করে দিও না। তুমি এ অন্যায় দাবী করে বসো না 'হয় আমাকে বেছে নাও, নাহলে তোমার বাবা-মাকে। তুমি এই বিষয়টা চিন্তাতেও স্থান দিও না। তুমি তাকে এমনটা করতে বাধ্য করলে সে হয়তো চাপে পড়ে মেনে নিবে। কিন্তু তার মনের গহীনে কোথাও একটা চাপা বোবা কান্না গুমরে মরতে থাকবে। তোমার প্রতি এক ধরনের সুপ্ত অশ্রদ্ধা তার কোমল মনে জেগে উঠবে।
    তুমি জানো, অনেক শুনেছো এবং পড়েছো নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাহু (বা পাজরের) বাঁকা হাড় থেকে। এই বক্রতা কিন্তু তার দোষ নয়, সৌন্দর্য। তুমি চোখের ভ্রু লক্ষ করে দেখেছ? সেটার সৌন্দর্যটা কোথায়?
    .
    - বক্রতায়
    - একদম ঠিক কথা। বক্রতাই ভ্রুকে সুন্দর করে তোলে। ভ্রুটা যদি সোজা হত, দেখতে সুন্দর লাগতো না। যদি তোমার স্ত্রী কোন ভুল করে ফেলে, অস্থির হয়ে রেগেমেগে হামলা করে বসো না। উত্তেজিত অবস্থায় তাকে সোজা করতে যেও না, তাহলে অতিরিক্ত চাপে ভেঙে যাবে। আর ভাঙা মানে বুঝোই তো, তালাক!
    আবার সে অনবরত ভুল করে যেতে থাকলে ভেঙে যাওয়ার ভয়ে কিছু না বলে লাগামহীন ছেড়েও দিও না। তাহলে বক্রতা যে আরো বেড়ে যাবে। নিজের ভেতরে গুটিয়ে যাবে। তোমার প্রতি আচরণ উদ্ধত হয়ে যাবে। তোমার কথায় কান দিবে না।
    .
    - তাহলে কী করব?
    - মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে।
    .
    তুমি ঐ হাদিসটা পড়ো নি?
    - কোনটা?
    - ঐ যে, যার ভাবার্থ হল, নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে এমনভাবে যে, তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়। তার প্রতি অতীতে কৃত সব সদ্ব্যবহার-সদাচার ভুলে যায়। তুমি যদি তার প্রতি যুগ-যুগান্তরও সুন্দর আচরণ কর, হঠাৎ একদিন কোনক্রমে একটু রূঢ় আচরণ করে ফেলেছ, ব্যাস অমনিই-ই সে নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলবে - আমি তোমার কাছে কখনোই ভালো কিছু পাইনি।
    .
    দেখো বাছা! তার এই আচরণে রুষ্ট হয়ো না। তার এই চপল স্বভাবের প্রতিক্রিয়ায় তার প্রতি বিতৃষ্ণা এনো না। তার এই স্বভাবকে তুমি অপছন্দ করলেও, তার মধ্যে এমন অনেক কিছু পাবে, যা তুমি শুধু পছন্দই করো না, বরং জানও লড়িয়ে দিতে পারো।
    .
    নারীদের শরীর মনের অবস্থা সবসময় এক রকম থাকে না। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটা সময় তাদের শারীরিক দুর্বলতা থাকে। অনেক সময় মানসিক অস্থিরতাও বিরাজ করে। তাদের এই দুর্বলতা, অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে আল্লাহ্ তা'আলা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের নামাজ মাফ করে দিয়েছেন। রোযাকে পিছিয়ে দিয়েছন তার স্বাস্থ্য ও মেজাজ ঠিক হওয়া পর্যন্ত। তুমিও তোমার স্ত্রীর দুর্বল মুহুর্তগুলোতে তার প্রতি কোমল হবে।
    .
    সবসময় মনে রেখো, তোমার স্ত্রী তোমার কাছে অনেকটা দায়বদ্ধ। বিভিন্নভাবে তোমার মুখাপেক্ষী। তোমার সুন্দর আচরণের কাঙাল। তুমি তার প্রতি যত্নবান হবে। তার প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দিবে। তাকে আপন করে নেবে। তাহলে সে তোমার জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হবে। তাকে অনুপম সংগী হিসেবে পাবে।
    সব মেয়েই তো এই রকম একজন স্বামী চায়,
    এই রকম স্বামী পাওয়া সত্যি খুব ভাগ্যের ব্যাপার।



    Collected‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬



    ****************



    প্রথম পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-১ ।। বিয়ে করলে কি কি পরিবর্তন হয়-
    https://dawahilallah.com/showthread.php?23281-



    দ্বিতীয় পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-২ ।। অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়-
    https://dawahilallah.com/showthread.php?23615-
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই অনেক সুন্দর হয়েছে...
    আরও সামনে এমন লিখা পাবো আশা করি ইনশাআল্লাহ।
    ভাই অনেকেই বলে থাকে যে, মেয়েরা নাকি স্বামীর বাম পাঁজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি -এ কথা কী ঠিক(?)
    না ভাই ঠিক নয়!
    তাঁর কারণ সমাজে দেখা যাই অনেক মেয়ের দু-তিন জায়গা বিয়ে হয়। তাহলে তারা কোন পুরুষের হাড় থেকে সৃষ্টি...??

    Comment


    • #3
      Originally posted by উবাইদা আল হিন্দ View Post
      মাশাআল্লাহ ভাই অনেক সুন্দর হয়েছে...
      আরও সামনে এমন লিখা পাবো আশা করি ইনশাআল্লাহ।
      ভাই অনেকেই বলে থাকে যে, মেয়েরা নাকি স্বামীর বাম পাঁজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি -এ কথা কী ঠিক(?)
      না ভাই ঠিক নয়!
      তাঁর কারণ সমাজে দেখা যাই অনেক মেয়ের দু-তিন জায়গা বিয়ে হয়। তাহলে তারা কোন পুরুষের হাড় থেকে সৃষ্টি...??
      আর যে সকল মেয়েদের বিয়ে হয় না বা বিয়ের আগে মারা যায় তারা কার হাড় দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে।

      Comment


      • #4
        আমার পোস্টে যা বলা হয়েছে-
        তুমি জানো, অনেক শুনেছো এবং পড়েছো নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাহু (বা পাজরের) বাঁকা হাড় থেকে। এই বক্রতা কিন্তু তার দোষ নয়, সৌন্দর্য।
        Originally posted by উবাইদা আল হিন্দ View Post
        ভাই অনেকেই বলে থাকে যে, মেয়েরা নাকি স্বামীর বাম পাঁজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি -এ কথা কী ঠিক(?)
        না ভাই ঠিক নয়!

        بسم الله الرحمٰن الرحيم.
        حامدا و مصليا و مسلما

        এ সম্পর্কে একটি হাদিস পাওয়া যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,

        إِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلَى طَرِيقَةٍ فَإِنِ اسْتَمْتَعْتَ بِهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا وَبِهَا عِوَجٌ وَإِنْ ذَهَبْتَ تقيمها كسرتها وَكسرهَا طَلاقهَا

        ‘নারীকে পাঁজরের হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে, কক্ষনো সে তোমার জন্য সোজা হবার নয়। অতঃপর তুমি যদি তার নিকট হতে উপকার নিতে চাও, তবে ঐ বক্রাবস্থায় আদায় করতে হবে। তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলতে পার। ‘ভেঙ্গে ফেলা’ বলতে তাকে (উপায়-উপায়ন্তর না পেয়ে) তালাক প্রদান করা।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৬৮]

        রাসূল (সা.) হাদিসটিতে এ কথা বলেননি যে, নারীদেরকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। বরং হাদিসটি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য। মুহাদ্দিসিনগণ বলেন, নারীদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এর দু’টি ব্যাখ্যা হতে পারে।
        ১. নারীদের উপমা হাদিসে পেশ করা হয়েছে যে, নারীরা পাঁজরের হাড়ের মত একটু বাঁকা স্বভাবের। অল্পতেই তারা বেঁকে যায়। এটি তাদের সৌন্দর্যেরই অন্তর্ভুক্ত। কোনো দোষ নয়।
        ২. আদম (আ.)-এর পাঁজরের হাড় থেকে নারীদেরকে তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন,

        أَنَّ حَوَّاءَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعِ آدَمَ الْأَيْسَرِ

        ‘হাওয়া (আ.)-কে আদম (আ.)-এর বাম পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ [ফাতহুল বারী ৬/৩৬৮]

        সুতরাং বুঝা গেল, নারীদেরকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়নি।

        তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ১/১৩৭

        আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

        و الله تعالى أعلم بالصواب

        وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم


        Collected‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu ahmad View Post
          আমার পোস্টে যা বলা হয়েছে-



          بسم الله الرحمٰن الرحيم.
          حامدا و مصليا و مسلما

          এ সম্পর্কে একটি হাদিস পাওয়া যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,

          إِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلَى طَرِيقَةٍ فَإِنِ اسْتَمْتَعْتَ بِهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا وَبِهَا عِوَجٌ وَإِنْ ذَهَبْتَ تقيمها كسرتها وَكسرهَا طَلاقهَا

          ‘নারীকে পাঁজরের হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে, কক্ষনো সে তোমার জন্য সোজা হবার নয়। অতঃপর তুমি যদি তার নিকট হতে উপকার নিতে চাও, তবে ঐ বক্রাবস্থায় আদায় করতে হবে। তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলতে পার। ‘ভেঙ্গে ফেলা’ বলতে তাকে (উপায়-উপায়ন্তর না পেয়ে) তালাক প্রদান করা।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৬৮]

          রাসূল (সা.) হাদিসটিতে এ কথা বলেননি যে, নারীদেরকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। বরং হাদিসটি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য। মুহাদ্দিসিনগণ বলেন, নারীদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এর দু’টি ব্যাখ্যা হতে পারে।
          ১. নারীদের উপমা হাদিসে পেশ করা হয়েছে যে, নারীরা পাঁজরের হাড়ের মত একটু বাঁকা স্বভাবের। অল্পতেই তারা বেঁকে যায়। এটি তাদের সৌন্দর্যেরই অন্তর্ভুক্ত। কোনো দোষ নয়।
          ২. আদম (আ.)-এর পাঁজরের হাড় থেকে নারীদেরকে তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন,

          أَنَّ حَوَّاءَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعِ آدَمَ الْأَيْسَرِ

          ‘হাওয়া (আ.)-কে আদম (আ.)-এর বাম পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ [ফাতহুল বারী ৬/৩৬৮]

          সুতরাং বুঝা গেল, নারীদেরকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়নি।

          তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ১/১৩৭

          আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

          و الله تعالى أعلم بالصواب

          وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم


          Collected‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬
          জাযাকাল্লাহ খাইরান
          আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আ-মীন ইয়া রব্বাল আলামিন

          Comment


          • #6
            Originally posted by উবাইদা আল হিন্দ View Post
            জাযাকাল্লাহ খাইরান
            আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আ-মীন ইয়া রব্বাল আলামিন
            ওয়া ইয়্যাকা ভাই।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              আমাদের যেসব ভাইদের একাধিক বিয়ে করার শক্তি-সামথ' আছে তাঁদের উচিৎ একাধিক বিবাহ করা।শয়তান তো এটাই চায় যে, আপনি যেন বিয়েই না করেন! আপনার সোনালী যৌবনটাকে যেন আপনি জিনা-ব্যাভিচার করে শেষ করে দেন।তাইতো শয়তান এবং শয়তানের চ্যালাচামুনডারা ১৮ বছরের আগে নারী- পুরুষের বিবাহকে নিষিদ্ধ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের তাগুতি-কুফরি আইনে তেরো বছরের উপরে যে কেউ চাইলে জিনা-ব্যাভিচার করতে পারে! তাগুত সরকার ও দাজ্জালি মিডিয়া তাদের তথাকথিত ❝সচেতনতামুলক❞ভিডিওতে প্রচার করে যে ১৮ বছরের আগে মেয়েদের "জোর- জবরদস্তি" করে বিয়ে দেওয়া হয়।
              কিন্তু তার দাবি সম্পূর্ণ বানোয়াট,মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।আমি আপনাদের খেদমতে এই বিষয়ে একটি প্রমাণ পেশ করছি.....আমি একজন সত্যবাদি মাজলুম আলেমের মুখে শুনেছি যে একজায়গায় একজন তাগুত ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার)একটি মেয়ের বাল্যবিবাহ(হালাল বিবাহ)বন্ধ করে দিতে যায়।তখন সেই মেয়েটি ইউএনও র কাছে জিজ্ঞেস করে "আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন এই বিয়েতে রাজি। তাহলে কেন আপনারা আমার বিয়ে ভেঙে দিতে এসেছেন???" তখন সেই মালাউন মহিলা আমাদের বোনটিকে বলে,"তুমি ১৮ বছর হওয়ার আগে তুমি তোমার হবু স্বামীর সাথে ❝প্রেম❞ (জিনা-ব্যাভিচার) কর, ১৮ বছর হওয়ার পর বিয়ে করিও"।আমার প্রিয় ভাইয়েরা চিন্তা করতে পারেন,এই তাগুত -কুফফারদের দুঃসাহস কোন পযার্য়ে গিয়ে ঠেকছে!হে আমার লোন উলফ মুজাহিদ ভাইয়েরা,আসুন আমরা এই দুপায়া জানোয়ারদের জোড়ায়- জোড়ায় আঘাত করি এবং ইসলামের দুশমনদের ঘাড়ের ওপর চাপাতির কোপ বসাই।
              Last edited by Jihadi Molla; 10-04-2021, 02:08 PM.

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর লিখেছেন।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর টিপস । মুহতারম ভাই বউমা ও শাশুরির আচরন নিয়ে কিছু লিখবেন তারা মিলে মিশে কিভাবে থাকবেন ।

                  Comment

                  Working...
                  X