Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-৫।। উসমানি খিলাফায় বিয়ের কিছু চমৎকার আইন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-৫।। উসমানি খিলাফায় বিয়ের কিছু চমৎকার আইন



    উসমানি খিলাফায় বিয়ের কিছু চমৎকার আইন:

    এক.
    ঐচ্ছিক বিয়ের বয়স শুরু হতো আঠার থেকে। শেষ হতো পঁচিশে। এর মধ্যে বিয়ে না করলে, তাকে বাধ্য করে বিয়ে করানো হতো।

    দুই.
    যদি কেউ অসুস্থতার অজুহাত দেখাতো, তদন্ত করে দেখা হতো, বক্তব্যটা সঠিক কি না। রোগটা নিরাময়যোগ্য হলে, সুস্থ্ হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় চাপ স্থগিত রাখা হতো। আর দুরারোগ্য ব্যাধি হলে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই বিয়ে করতে বাধা দেয়া হতো।

    তিন.
    পঁচিশ হয়ে যাওয়ার পরও যদি কেউ বিনা কারণে বিয়ে না করে থাকতো, তার আয়/ব্যবসা বা সম্পদের এক চতুর্থাংশ কেটে রাখা হতো। জব্দকৃত অর্থ নিয়ে বিবাহোচ্ছুক গরীবদের বিয়ের বন্দোবস্ত করা হতো।

    চার.
    পঁচিশের পরও বিয়ে না করলে, তাকে রাষ্ট্রীয় কোনও চাকুরিতে নেয়া হতো না। কোনও সংগঠনেও ভুক্তি দেয়া হতো না। আর চাকুরিতে থাকলে, ইস্তেফা দেয়া হতো।

    পাঁচ.
    কোনও ব্যক্তির বয়স যদি পঞ্চাশ হয়ে যায়, ঘরে বিবি থাকে একটা, কিন্তু তার আর্থিক সংগতি ভালো, তখন তাকে সামাজিক কোনো কাজে অর্থ দিয়ে অংশগ্রহণ করতে বলা হতো। গ্রহণযোগ্য কোনও কারণ দেখিয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে, সামর্থ্য অনুসারে অন্তত এক থেকে তিনজন এতিমের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হতো।

    ছয়.
    আঠার থেকে পঁচিশের মধ্যে যদি কোনও গরীব যুবা বিয়ে করতো, তাকে হুকুমতের পক্ষ থেকে ১৫৯ থেকে শুরু করে ৩০০ দুনমা পরিমাণের জমির বন্দোবস্তি দেয়া হতো। চেষ্টা করা হতো জমিটা যেন তার বাড়ির কাছাকাছি কোথাও হয়। এক দুনমা সমান: ৯০০ মিটার।

    সাত.
    গরীব বর যদি কারিগর বা ব্যবসায়ী হয়, তাকে পূঁজিপাট্টা দেয়া হতো। কোনও বিনিময় ছাড়াই। তিন বছর মেয়াদে।

    আট.
    ছেলে বিয়ে করার পর, বাবা মায়ের সেবা করার জন্যে আর কোনও ভাই না থাকলে, বরকে বাধ্যতামূলক সেনাকার্যক্রম থেকে রেহাই দেয়া হতো। তদ্রুপ মেয়ের বিয়ের পর যদি বাবা মায়ের সেবার জন্যে ঘরে কেউ না থাকে, মেয়ের জামাইকেও বাধ্যতামূলক সেনা কার্যক্রম থেকে রেহাই দেয়া হতো।

    নয়.
    পঁচিশের আগেই বিয়ে করে তিনসন্তানের বাবা হলে, নৈশস্কুলে বিনামূল্যে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হতো। সন্তান তিনজনের বেশি হলে, তিনজনের লেখাপড়ার ব্যবস্থা বিনামূল্যে করা হতো। বাকী সন্তানদের জন্যে দশ টাকা করে বরাদ্দ করা হতো। তের বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। কোনও মহিলার ঘরে যদি চার বা তার চেয়ে বেশি ছেলে সন্তান থাকতো, তাকে মাথাপিছু ২০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হতো।

    দশ.
    কোন ছাত্র লেখাপড়ার কাজে ব্যস্ত থাকলে, লেখাপড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত বিয়ে স্থগিত রাখার অনুমতি দেয়া হতো।

    এগার.
    কোনো কারণে স্বামীকে অন্য এলাকায় থাকতে হলে, বাধ্য করা হতো সাথে করে স্ত্রীকেও নিয়ে যেতে। যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে স্ত্রীকে সাথে নিতে না পারলে, স্বামীর যদি আরেক বিয়ে করার সামর্থ থাকতো, তাকে কর্মস্থলে আরেক বিয়ে করতে বাধ্য করা হতো। তারপর চাকুরি শেষে নিজের এলাকায় ফিরলে, দুই স্ত্রীকেই সমান অধিকারে রাখতে বাধ্য করা হতো।

    বর্তমানের প্রেক্ষাপটে আইনগুলো হয়তো বেখাপ্পা শোনাবে, কিন্তু সমাজে প্রচলিত সব ধরনের অনাচার রোধে, আইনগুলো বেশ কার্যকর বলেই মনে হয়।
    বিশেষত: খিলাফাহব্যবস্থা বিদ্যমান থাকার উপকারিতা ও না থাকার অপকারিতা সকলের নিকট সুসাব্যস্থ বলেই মনে হয়।
    তাই আসুন! সমাজের সকল দুরাচার রোধে খিলাফাহব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করি।



    সংগ্রহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত


    ****************



    প্রথম পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-১ ।। বিয়ে করলে কি কি পরিবর্তন হয়-
    https://dawahilallah.com/showthread.php?23281-



    দ্বিতীয় পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-২ ।। অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়-
    https://dawahilallah.com/showthread.php?23615-



    তৃতীয় পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-৩।। জীবনসঙ্গীনী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. এর ছেলেকে দেয়া নসীহত:
    https://dawahilallah.com/showthread.php?24504-



    চতুর্থ পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-৪।। মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে পুরুষের একাধিক বিবাহ
    https://dawahilallah.com/showthread.php?24746-
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    ভাইজান সব পর্ব শেষ হলে সব একসাথে ওয়ার্ড ও পিডিএফ করে দেয়ার অনুরোধ..সিরিজটা বেশ উপকারী হবে সবার জন্য ইনশা-আল্লাহ..আল্লাহ তা'য়ালা আপনাকে এই সিরিজটা সুন্দরভাবে শেষ করার তাওফিক দান করুন,আল্লাহুম্মা আমিন।

    Comment


    • #3
      পোস্টের কথাগুলোর রেফারেন্স থাকলে ভালো হতো!
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        সম্ভব হলে রেফারেন্সগুলো দিয়েদিলে আরো ভাল হবে ইনশাআল্লাহ

        Comment


        • #5
          Originally posted by জিহাদের পথে View Post
          সম্ভব হলে রেফারেন্সগুলো দিয়েদিলে আরো ভাল হবে ইনশাআল্লাহ
          Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
          পোস্টের কথাগুলোর রেফারেন্স থাকলে ভালো হতো!
          সহমত পোষণ করছি ভাই আপনাদের সাথে। তবে এগুলো যেখান থেকে সংগ্র করা হয়েছে, সেখানে রেফারেন্স ছিল না। অবশ্য যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, সে জায়গাটি বিশ্বস্ত।
          তাই আমার মনে হয়- এগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ না করা। তাছাড়া এগুলো তো এমন কোন বিষয় নয় যে, রেফারেন্স ছাড়া গ্রহন করা যাবে না। তথাপিও কোন ভাইয়ের জানা থাকলে রেফারেন্স যুক্ত করে দিতে পারেন। (আমার জানা নেই) জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
          সার কথা, যার মন চায় গ্রহন করতে পারেন, আর যার মন না চায়, এড়িয়ে যেতে পারেন।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X