Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাসকের ব্যবধান; এই যুগ-সেই যুগ-

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাসকের ব্যবধান; এই যুগ-সেই যুগ-

    ১ বিষয়ঃ বিরোধিতা-বিদ্রহ;
    পার্থক্য সুস্পষ্ট হকপন্থিদের একটি মৌলিক পরিচয়ের অন্তর্ভুক্তি হল “পথভ্রষ্ট শাসক বিরোধিতা"

    দেখুন ,
    আমি যে কোন শাসক থেকে খুরুজ [শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ] এর কথা বলিনা।
    বিরোধিতা মানেই বিদ্রোহী নয়
    [দুটোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে] ইমামগন শাসকদের কুকর্মের বিরোধিতা করেছেন তবে তখনকার শাসক মুসলিম হওয়ার কারণে বিদ্রোহ করেননি।

    বিষয়টি আপনার বুঝতে হবে- “আল্লাহর শরীয়াহ গ্রহনকারী শাসক, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা বাস্তবয়ানে বিলম্বিত করে”
    এমন শাসক শরঈ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মুসলিম, তবে পাপি।

    কিন্তু “এমন শাসক যারা আল্লাহর শরীয়াহকেই গ্রহন করেনা বরং তা দূরে নিক্ষেপ করে আর তা মধ্যযুগীয় আইন বলে উপহাস ইত্যাদি করে” এমন শাসক শরঈ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মুসলিম নয়।

    দুই শাসকের মাঝে ব্যবধান অনেক যদিও আমরা তা স্পষ্টতই বুঝতে পারি কিন্তু মন সায় না দেয়ায় তা মানতে চাইনা।

    প্রথম প্রকার শাসকের ব্যপারেই যদি ইমামদের এই মনোভাব হয় যে,
    তারা ওই, শাসকের বিরোধিতা করেছেন [ইমাম আজম ও ইমাম আহমাদ ইবনু তাইমিয়া প্রমূখ এর জলন্ত প্রমাণ হতে পারে]

    তাহলে ভাবুন ,
    বর্তমান সরকাগুলোর বিষয়ে তাদের অবস্থান ও কর্ম কি শুধু “বিরোধিতাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো? নাকি ইসলাম রক্ষায়
    তারা বিদ্রোহও করতো?”
    চাই উভয় প্রকারের শাসককে একই পাল্লায় মাপা মস্ত বড় ভুলই হতে পারে

    চলবে....
    ইনশাআল্লাহ ___

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    মানুষ যেমনি ভাবে মানবীয় বৈশিষ্ট্যে সর্বযুগে একধরনের থাকে এবং তাদের অপরাধও এক ধরনের হয়ে থাকে এবং তাদের অপরাধের কুফলও এক ধরনের হয়ে থাকে তাই সরবযুগের মানুষের জন্য এক ইসলামী আইন সমান তালে কাজ করবে । এখানে কোন যুগের সাথে ইসলামকে বিশেষায়িত করা নিতান্ত ভুল হবে কারণ যুগের ভিন্নতার করনে মানুষের মানবীয় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যেমন কোন ভিন্নতা সৃষ্টি হয় না। তেমনি ভাবে ইসলাম সর্বযুগে মানুষের জীবন বিধান হওয়ার ক্ষেত্রে এর মাঝে ভিন্নতা তৈরির প্রয়োজন হবে না অর্থাৎ ভিন্ন কোন আইন প্রনয়নের প্রয়োজন দেখা দিবে না।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      সুতরাং মধ্য যুগের মানুষের মাঝে এবং এই যুগের মানুষের মাঝে মানবীয় বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে যেমন কোন তোফাৎ নেই তাই ইসলামী আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও কোন ধরনের তফাতের দাবী উঠানো যাবে না।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        এবং পূর্ববর্তী কাফেররা ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করার একটি পন্থা হল যে ইহাকে পূর্ববর্তীদের পুরানো কথা বলে উড়িয়ে দেওয়া যেমনি ভাবে তারা ইহা উড়িয়ে দিত যাদু বলে অথবা কবিতা বলে অথবা গনকের কথা বলে ইত্যাদি তেমনি ভাবে এই যুগেও ইসলামী আইনকে মধ্যযুগীয় আইন বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দলিল
        وَالَّذى قالَ لِوٰلِدَيهِ أُفٍّ لَكُما أَتَعِدانِنى أَن أُخرَجَ وَقَد خَلَتِ القُرونُ مِن قَبلى وَهُما يَستَغيثانِ اللَّهَ وَيلَكَ ءامِن إِنَّ وَعدَ اللَّهِ حَقٌّ فَيَقولُ ما هٰذا إِلّا أَسٰطيرُ الأَوَّلينَ

        [17] আর যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বলে, ধিক তোমাদেরকে, তোমরা কি আমাকে খবর দাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব, অথচ আমার পূর্বে বহু লোক গত হয়ে গেছে? আর পিতা-মাতা আল্লাহর কাছে ফরিযাদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার তুমি বিশ্বাস স্থাপন কর। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। তখন সে বলে, এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ নয়।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X