Announcement

Collapse
No announcement yet.

#মুরজিয়াদের_মুখোশ_উন্মোচন ১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #মুরজিয়াদের_মুখোশ_উন্মোচন ১

    পুরো দুনিয়ায় শাসকের সুদৃষ্টি ও নিরাপত্তা অর্জনে তৎপর
    এই ফিরকাটি জামে, মাদখালি, রাসলানি হালাবী ইত্যাদি নামে পরিচিত।

    উপমহাদেশে এই ফিরকাটি নিজেদের আহলে হাদিস বলে থাকে।

    ❝এসকল ইরজার সালাফিদের মূল অস্ত্রই হলো আহলুস সুন্নাহকে,

    বিশেষ করে মুজাহিদদের খারিজি আখ্যায়িত করা❞

    আল-ইমাম শাইখ সুলাইমান বিন নাসির আল-উলওয়ান ফাক্কাল্লাহু আসরাহ বলেন—

    ❝বর্তমান লোকদের স্বভাব হয়েছে
    যে ভিন্নমতপোষণকারীকে খারেজি বলো ঘায়েল করছে।


    যে ব্যক্তি আমর বিল মারুফ
    [সৎ কাজের আদেশ] নাহি আনিল মুনকার [অসৎ কাজের বাধাঁ] করতে গেলো ব্যাস সে খারেজি হয়ে গেলো।


    যে মুরতাদকে কাফের বললো সে খারেজি হয়ে গেলো।

    বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিলারী বিকৃতিগ্রস্তদের যারা প্রকাশ করে দিলো খারেজি হয়ে গেলো।

    কেউ ইমান ভঙ্গের কারণসমূহ নিয়ে আলোচনা করছেন তো ব্যাস সে খারেজি আখ্যা পড়ে যাচ্ছেন।

    ফলে অবস্থা এমন হয়েছে যে সাম্প্রদায়িক এমন একটি জাতিগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে
    যে তারা মুরতাদ ব্যভিচারীদের নিয়েও উচ্চবাচ্য করেনা পাছে বিকৃতিগ্রস্তরা না আবার তাদের খারেজী আখ্যা দিয়ে ফেলে।

    মূলত সর্বযুগেই মুরজিয়াদের একটি গ্রুপ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের লোকদের সম্পর্কে বলেছে যে তারা খারেজি।

    ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিঃ'কে অপবাদ দেয়া হয়েছে যে,
    তিনি খারেজি, এতে তারা কোন ক্ষতি হয়নি।

    ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ
    কে খারিজি আখ্যা দেয়া হয়েছে এতে তার কোন ক্ষতি হয়নি।

    ইবনু কাইয়্যিম রাহিঃ সম্পর্কে বলা হয়েছে

    তিনি নাকি খারেজি যেমনটি তিনি তার কাসিদায়ে নুনিয়া কবিতায় উল্লেখ করেছেন।

    আশ্চর্যের কথা হলো
    কোরআন ও সুন্নাহর অধীনতা

    যে গ্রহন করে তাকেই বলা হয় যে এমনটি করে তুমি খারেজি হয়ে যাচ্ছো।

    আসলে তারা শব্দ গ্রহন করেছে ঠিকই কিন্তু অর্থের দিশা লাভ করেনি

    আর এটা এই অলস অক্ষম মুরজিয়াদের একটি হাতিয়ার যা তাদের বিতর্কের শক্তি প্রকাশ করে। যেমন কবি বলেনঃ

    বিতর্কে তাদের কোন যুক্তি নেই, দিশাহীন অনুসারী এই,

    সে তার দলিল পাবে কোথায়,
    তারা দলীলের আশ্রয় নেয়না।

    অপারগ হয়ে তারা ক্ষমতার দাপটের আশ্রয় নেয়।

    তারা দলিল দিয়ে বিতর্ক করার ক্ষমতা রাখেনা,

    নতুবা তারা দলিল দিয়ে দলিল খন্ডন করেনা কেন?

    অবশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে লোকদেরকে দূরে সরানোর জন্য অপবাদ দেয়া, বিদাতি আখ্যা দেয়া ও বিভ্রান্ত বলার জন্য বাধ্য হয়।

    কারণ কারো সম্পর্কে যখন লোকদের বলা হয় যে, অমুক খারেজি,

    তখন মানুষ তার কাজকে খারেজিদের কর্মকাণ্ড মনে করে তার থেকে সরে পরে!

    তারা আমাদের সম্পর্কে লোকদের ধারণা দেয় যে- তারা খারেজি!

    এখানে তাদের না কোন দ্বীন আছে, না বিবেক আর না সততা।

    মোট কথা তারা তাদের ইরজায়ী মিশন এভাবে বাস্তবয়ান করে যাচ্ছে।

    সারকথা হলো-
    যারা ইমান ভঙ্গের কারণসমূহকে অস্বীকার [জুহুদ] হালাল জ্ঞান [ইস্তিহলাল] ও ই মিথ্যা প্রতিপন্ন [তাকজিব] শর্তপর সাথে সীমিত করে দেয় তারাই মুরজিয়া।

    আর এটাই জাহমিয়া মুরজিয়াদের মাজহাব, আর তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতলে খারেজি বলে থাকে

    এজন্যকার মধ্যে কী গুন আছে এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

    শুধুমাত্র বিদাতিদের অপব্যখ্যা ও বিকারগ্রস্ত লোকদের কথা গ্রহন করলেই হবেনা।

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    ভাই, হানাফি নামধারী অনেক আলেমরাও নিজের অজান্তে অথবা সরকারের লোভে পড়ে মুরজিয়াদের মতই কথা বলে।জিহাদের কথা জিজ্ঞাস সব ফেরকার উলামায়ে সূ রাই এক ধরনের আকিদা প্রচার করে।

    Comment


    • #3
      আস ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু ,,

      ভাই যারা জেহাদ ফী সাবীলিল্লাহ থেকে কিত্বাল ফী সাবীলিল্লাহ কে
      আলাদা করতে চাই

      তারাই হল বর্তমান জামানার
      মির্জা গোলাম মোহাম্মদ কাদিয়ানী
      সে কোন মাসলাকের হোক
      সেটা বিবেচ্য নয়

      আর যারা আল্লাহর রাস্তা
      বলতে জেহাদ ফী সাবীলিল্লাহ কে মনে করে না তারা হল শরীয়তের সুস্পষ্ট অপব্যাখ্যা কারী

      তারা কোন দল আকীদা মানহাযের
      সেটা বিবেচ্য নয়
      বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকারের ভ্রান্ত মতবাদ এবং বিভ্রান্তিকর ফিরকা থেকে সংরক্ষিত রাখুন।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          "পুরো দুনিয়ায় শাসকের সুদৃষ্টি ও নিরাপত্তা অর্জনে তৎপর
          এই ফিরকাটি জামে, মাদখালি, রাসলানি হালাবী ইত্যাদি নামে পরিচিত।"
          মুহতারাম ভাই---
          এত সংক্ষিপ্ত ও জামে মুরজিয়াদের মুখোস উম্মোচন খুব সুন্দর লাগলো,মাশাআল্লাহ

          Comment


          • #6
            মা শা আল্লাহ
            অনেক সুন্দর লিখেছেন প্রিয়

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়ালাকে শুধু মেনে নেওয়ার নাম ঈমান নয় বরং আল্লাহকে পূর্নাঙ্গ ভাবে ইলাহ হিসেবে মেনে নেওয়ার নাম ঈমান। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা যেই সকল গুনাবলী রয়েছে সেগুলোর সব কিছু মেনে নেওয়া এবং এতে কাউকে শরীক না করার নাম হল আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে পূর্নাঙ্গ ভাবে মেনে নেওয়া । এমনি ভাবে আল্লাহকে পূর্নাঙ্গ ভাবে ইলাহ হিসেবে মেনে নেওয়ার অন্তর্ভুক্ত হল তিনি যেই সকল সংবাদ দিয়েছেন তাকে মেনে নেওয়া এবং বিশ্বাস করা সুতরাং তিনি যেই সকল সংবাদ দিয়েছেন তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ করার অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহকে পরিপূর্ণ সক্ষম হিসেবে মেনে না নেওয়া তাই আল্লাহর কোন সংবাদকে অস্বীকার করার অর্থ হলো তাকে অক্ষম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তাই এটি কুফরি যেমন কিয়ামতের দিবসকে অস্বীকার করা। সুতরাং কেউ আল্লাহরকে পূর্নাঙ্গ ভাবে ইলাহ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অর্থ হল ইহা যে তার মধ্যে বিভিন্ন ত্রুটি রয়েছে এবং এই ত্রুটি সমাধানের জন্য আরেকজন ইলাহের প্রয়োজন এবং এখানে আল্লাহর সাথে শরীক করাকে মেনে নেওয়া হচ্ছে তাই এখানে আল্লাহকে পূর্নাঙ্গ ভাবে ইলাহ হিসেবে মেনে না নেওয়ার কারণে ইহা কুফরি বা শিরিকি । সুতরাং আল্লাহকে একক ভাবে বিধান প্রনয়নের অধিকারী না মানা হলও আল্লাহকে পূর্নাঙ্গ ভাবে ইলাহ হিসেবে মেনে না নেওয়া তাই এটি কুফরি। আর মানুষ তার অন্তরের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে থাকে আর অন্তর যদি ভালো কাজের দিক নির্দেশনা দেয় তাহলে সে ভালো কাজ করে আর অন্তর যদি কুফুরির দিক নির্দেশনা দেয় তাহলে সে কুফুরি করে থাকে। সুতরাং যে মুখ দ্বারা কুফরি করে অথবা এমন কোন কাজ করে থাকে যা শুধুমাত্র কাফেররাই করে থাকে তাহলে এখানে সে অন্তর দিয়ে কুফরি করেছে বলে বিবেচিত হবে । এবং সে যদি অন্তর দ্বারা কুফরি না করেও থাকে তাহলে এর হিসাব নিকাশ আল্লাহ তায়ালা নিবেন । আমরা বাহিরে প্রকাশ্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমল করতে আদিষ্ট। এবং আল্লাহ যেই রজমের বিধান দিয়েছে তাকে পরিবর্তন করার অর্থ হল আল্লাহকে পূর্ণাঙ্গভাবে ইলাহ হিসেবে মেনে না নেওয়া এবং তাকে পরিপূর্ণ জ্ঞানি মনে না করা এবং আল্লাহকে ছোট করা এবং তার উপর এবং তার মতের উপর নিজেদেরকে এবং নিজেদের মত গ্রহণ যোগ্য মনে করা এবং নিজেদেরকে এক্ষেত্রে আল্লাহর শরিক সাব্যস্ত করা তাই এটি কুফরি।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment

              Working...
              X