পুরো দুনিয়ায় শাসকের সুদৃষ্টি ও নিরাপত্তা অর্জনে তৎপর
এই ফিরকাটি জামে, মাদখালি, রাসলানি হালাবী ইত্যাদি নামে পরিচিত।
উপমহাদেশে এই ফিরকাটি নিজেদের আহলে হাদিস বলে থাকে।
❝এসকল ইরজার সালাফিদের মূল অস্ত্রই হলো আহলুস সুন্নাহকে,
বিশেষ করে মুজাহিদদের খারিজি আখ্যায়িত করা❞
আল-ইমাম শাইখ সুলাইমান বিন নাসির আল-উলওয়ান ফাক্কাল্লাহু আসরাহ বলেন—
❝বর্তমান লোকদের স্বভাব হয়েছে
যে ভিন্নমতপোষণকারীকে খারেজি বলো ঘায়েল করছে।
যে ব্যক্তি আমর বিল মারুফ
[সৎ কাজের আদেশ] নাহি আনিল মুনকার [অসৎ কাজের বাধাঁ] করতে গেলো ব্যাস সে খারেজি হয়ে গেলো।
যে মুরতাদকে কাফের বললো সে খারেজি হয়ে গেলো।
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিলারী বিকৃতিগ্রস্তদের যারা প্রকাশ করে দিলো খারেজি হয়ে গেলো।
কেউ ইমান ভঙ্গের কারণসমূহ নিয়ে আলোচনা করছেন তো ব্যাস সে খারেজি আখ্যা পড়ে যাচ্ছেন।
ফলে অবস্থা এমন হয়েছে যে সাম্প্রদায়িক এমন একটি জাতিগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে
যে তারা মুরতাদ ব্যভিচারীদের নিয়েও উচ্চবাচ্য করেনা পাছে বিকৃতিগ্রস্তরা না আবার তাদের খারেজী আখ্যা দিয়ে ফেলে।
মূলত সর্বযুগেই মুরজিয়াদের একটি গ্রুপ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের লোকদের সম্পর্কে বলেছে যে তারা খারেজি।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিঃ'কে অপবাদ দেয়া হয়েছে যে,
তিনি খারেজি, এতে তারা কোন ক্ষতি হয়নি।
ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ
কে খারিজি আখ্যা দেয়া হয়েছে এতে তার কোন ক্ষতি হয়নি।
ইবনু কাইয়্যিম রাহিঃ সম্পর্কে বলা হয়েছে
তিনি নাকি খারেজি যেমনটি তিনি তার কাসিদায়ে নুনিয়া কবিতায় উল্লেখ করেছেন।
আশ্চর্যের কথা হলো
কোরআন ও সুন্নাহর অধীনতা
যে গ্রহন করে তাকেই বলা হয় যে এমনটি করে তুমি খারেজি হয়ে যাচ্ছো।
আসলে তারা শব্দ গ্রহন করেছে ঠিকই কিন্তু অর্থের দিশা লাভ করেনি
আর এটা এই অলস অক্ষম মুরজিয়াদের একটি হাতিয়ার যা তাদের বিতর্কের শক্তি প্রকাশ করে। যেমন কবি বলেনঃ
বিতর্কে তাদের কোন যুক্তি নেই, দিশাহীন অনুসারী এই,
সে তার দলিল পাবে কোথায়,
তারা দলীলের আশ্রয় নেয়না।
অপারগ হয়ে তারা ক্ষমতার দাপটের আশ্রয় নেয়।
তারা দলিল দিয়ে বিতর্ক করার ক্ষমতা রাখেনা,
নতুবা তারা দলিল দিয়ে দলিল খন্ডন করেনা কেন?
অবশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে লোকদেরকে দূরে সরানোর জন্য অপবাদ দেয়া, বিদাতি আখ্যা দেয়া ও বিভ্রান্ত বলার জন্য বাধ্য হয়।
কারণ কারো সম্পর্কে যখন লোকদের বলা হয় যে, অমুক খারেজি,
তখন মানুষ তার কাজকে খারেজিদের কর্মকাণ্ড মনে করে তার থেকে সরে পরে!
তারা আমাদের সম্পর্কে লোকদের ধারণা দেয় যে- তারা খারেজি!
এখানে তাদের না কোন দ্বীন আছে, না বিবেক আর না সততা।
মোট কথা তারা তাদের ইরজায়ী মিশন এভাবে বাস্তবয়ান করে যাচ্ছে।
সারকথা হলো-
যারা ইমান ভঙ্গের কারণসমূহকে অস্বীকার [জুহুদ] হালাল জ্ঞান [ইস্তিহলাল] ও ই মিথ্যা প্রতিপন্ন [তাকজিব] শর্তপর সাথে সীমিত করে দেয় তারাই মুরজিয়া।
আর এটাই জাহমিয়া মুরজিয়াদের মাজহাব, আর তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতলে খারেজি বলে থাকে
এজন্যকার মধ্যে কী গুন আছে এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
শুধুমাত্র বিদাতিদের অপব্যখ্যা ও বিকারগ্রস্ত লোকদের কথা গ্রহন করলেই হবেনা।
✍️ এক মুওয়াহিদ
এই ফিরকাটি জামে, মাদখালি, রাসলানি হালাবী ইত্যাদি নামে পরিচিত।
উপমহাদেশে এই ফিরকাটি নিজেদের আহলে হাদিস বলে থাকে।
❝এসকল ইরজার সালাফিদের মূল অস্ত্রই হলো আহলুস সুন্নাহকে,
বিশেষ করে মুজাহিদদের খারিজি আখ্যায়িত করা❞
আল-ইমাম শাইখ সুলাইমান বিন নাসির আল-উলওয়ান ফাক্কাল্লাহু আসরাহ বলেন—
❝বর্তমান লোকদের স্বভাব হয়েছে
যে ভিন্নমতপোষণকারীকে খারেজি বলো ঘায়েল করছে।
যে ব্যক্তি আমর বিল মারুফ
[সৎ কাজের আদেশ] নাহি আনিল মুনকার [অসৎ কাজের বাধাঁ] করতে গেলো ব্যাস সে খারেজি হয়ে গেলো।
যে মুরতাদকে কাফের বললো সে খারেজি হয়ে গেলো।
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিলারী বিকৃতিগ্রস্তদের যারা প্রকাশ করে দিলো খারেজি হয়ে গেলো।
কেউ ইমান ভঙ্গের কারণসমূহ নিয়ে আলোচনা করছেন তো ব্যাস সে খারেজি আখ্যা পড়ে যাচ্ছেন।
ফলে অবস্থা এমন হয়েছে যে সাম্প্রদায়িক এমন একটি জাতিগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে
যে তারা মুরতাদ ব্যভিচারীদের নিয়েও উচ্চবাচ্য করেনা পাছে বিকৃতিগ্রস্তরা না আবার তাদের খারেজী আখ্যা দিয়ে ফেলে।
মূলত সর্বযুগেই মুরজিয়াদের একটি গ্রুপ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের লোকদের সম্পর্কে বলেছে যে তারা খারেজি।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিঃ'কে অপবাদ দেয়া হয়েছে যে,
তিনি খারেজি, এতে তারা কোন ক্ষতি হয়নি।
ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ
কে খারিজি আখ্যা দেয়া হয়েছে এতে তার কোন ক্ষতি হয়নি।
ইবনু কাইয়্যিম রাহিঃ সম্পর্কে বলা হয়েছে
তিনি নাকি খারেজি যেমনটি তিনি তার কাসিদায়ে নুনিয়া কবিতায় উল্লেখ করেছেন।
আশ্চর্যের কথা হলো
কোরআন ও সুন্নাহর অধীনতা
যে গ্রহন করে তাকেই বলা হয় যে এমনটি করে তুমি খারেজি হয়ে যাচ্ছো।
আসলে তারা শব্দ গ্রহন করেছে ঠিকই কিন্তু অর্থের দিশা লাভ করেনি
আর এটা এই অলস অক্ষম মুরজিয়াদের একটি হাতিয়ার যা তাদের বিতর্কের শক্তি প্রকাশ করে। যেমন কবি বলেনঃ
বিতর্কে তাদের কোন যুক্তি নেই, দিশাহীন অনুসারী এই,
সে তার দলিল পাবে কোথায়,
তারা দলীলের আশ্রয় নেয়না।
অপারগ হয়ে তারা ক্ষমতার দাপটের আশ্রয় নেয়।
তারা দলিল দিয়ে বিতর্ক করার ক্ষমতা রাখেনা,
নতুবা তারা দলিল দিয়ে দলিল খন্ডন করেনা কেন?
অবশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে লোকদেরকে দূরে সরানোর জন্য অপবাদ দেয়া, বিদাতি আখ্যা দেয়া ও বিভ্রান্ত বলার জন্য বাধ্য হয়।
কারণ কারো সম্পর্কে যখন লোকদের বলা হয় যে, অমুক খারেজি,
তখন মানুষ তার কাজকে খারেজিদের কর্মকাণ্ড মনে করে তার থেকে সরে পরে!
তারা আমাদের সম্পর্কে লোকদের ধারণা দেয় যে- তারা খারেজি!
এখানে তাদের না কোন দ্বীন আছে, না বিবেক আর না সততা।
মোট কথা তারা তাদের ইরজায়ী মিশন এভাবে বাস্তবয়ান করে যাচ্ছে।
সারকথা হলো-
যারা ইমান ভঙ্গের কারণসমূহকে অস্বীকার [জুহুদ] হালাল জ্ঞান [ইস্তিহলাল] ও ই মিথ্যা প্রতিপন্ন [তাকজিব] শর্তপর সাথে সীমিত করে দেয় তারাই মুরজিয়া।
আর এটাই জাহমিয়া মুরজিয়াদের মাজহাব, আর তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতলে খারেজি বলে থাকে
এজন্যকার মধ্যে কী গুন আছে এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
শুধুমাত্র বিদাতিদের অপব্যখ্যা ও বিকারগ্রস্ত লোকদের কথা গ্রহন করলেই হবেনা।
✍️ এক মুওয়াহিদ
Comment