Announcement

Collapse
No announcement yet.

#মুরজিয়াদের_মুখোশ_উন্মোচন ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #মুরজিয়াদের_মুখোশ_উন্মোচন ২

    মুরজিয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্মণ হলো তারা কারো থেকে সুস্পষ্ট কুফরি কাজ প্রকাশ পেলেই শর্ত জুড়ে দিবে “মন থেকে তো সে এটা করেনি” যদিও তার যুক্তির পক্ষে দাড় করানোর

    শরঈ কোন গ্রহনযোগ্য ফতওয়া
    সে পেশ করতে পারবেনা।

    মুনাফিকরা যখন আল্লাহ তায়ালা ও রাসুলকে নিয়ে উপহাস করছিলো, তখন কোন সাহাবি তা শুনে ফেললে মুনাফিকরা বললো
    “আমরা তো মজা করছিলাম”।

    আল্লাহ তায়ালাই তাদের কথাকে রদ্দ/খন্ডন করে আয়াত নাজিল লরে দিলেন-

    ❝বলো; তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসুল নিয়ে উপহাস করছো.?

    আর ওজর পেশ করিওনা কারণ তোমরা ইমান আনার পরে কুফরি করেছো❞ [সুরা তাওবা]

    উক্ত ঘটনাটি সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে “হৃদয় থেকে কুফর না করেও শুধু জবানে উপহাস করলেও ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়,

    কারণ উক্ত আয়াতই বলছে তারা উপহাস করছিলো, আর তা জবান দিয়েই হচ্ছিলো।

    আর যে ব্যক্তি জবান দিয়েই কুফর ও শিরক করে তার অন্তর তো আরো জঘন্য।

    যেমন নাজিল হয়েছে-

    তাদের জবানেই বিদ্বেষ [পরিষ্কার] প্রকাশ পায় আর তাদের অন্তরে যা রয়েছে তাতো আরো জঘন্য [নিসা]

    অতএব কর্ম, কথা দ্বারাও ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়।

    এক্ষেত্রে তার হৃদয়ের সাথেই ইমানকে সীমাবদ্ধ করে লুকোচুরি করাকে সালাফগন মুজিয়া বলোছেন।

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    সর্বসম্মত মূলনীতি হল الرضا بالكفر كفر . অর্থাৎ কুফরিকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা হল কুফরি । কারণ যে যেই মতকে অবলম্বন করে সে সেই মতের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে এবং সেই মতের প্রতি সন্তুষ্ট থাকার অর্থ দাঁড়ায় তাকে সাপোর্ট করা বা গ্রহণ করা এবং কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন
    [32] مِنَ الَّذينَ فَرَّقوا دينَهُم وَكانوا شِيَعًا ۖ كُلُّ حِزبٍ بِما لَدَيهِم فَرِحونَ
    [32] যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।
    সুতরাং কোন মতকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মানে ঐ মতকে মেনে নেওয়া কারণ কেউ যখন কোন মতকে মেনে নেয় তখন সে সেই মতকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে যেটি আয়াতের আলোকে প্রমানিত হচ্ছে সুতরাং কোন লোককে যদি জোর করা না হয় তখন যদি সে কুফরি বাক্য উচ্চারণ করে তখন এতে প্রমাণিত হল সে সন্তুষ্ট চিত্তে কুফরি বাক্য উচ্চারণ করেছে কারণ জোর করা হলে যদি তা অসন্তুষ্ট চিত্তে হয়ে থাকে তাহলে জোর করা না হলে তা নিশ্চয় সন্তুষ্ট চিত্তে হবে। আর সন্তুষ্ট চিত্তে কুফরি বাক্য উচ্চারণ করা প্রমাণ করে সে কুফরিতে সন্তুষ্ট। তাই সে কুফরিতে সন্তুষ্ট থেকে কুফরি করেছে। এবং কাইকে যদি জোর পূর্বক কুফরি বাক্য উচ্চারণ করতে বলা হয় তখন সেটি কুফরি হবে না। কারণ এখানে তাকে জোর করে উচ্চারণ করানো হয়েছে যা প্রমাণ বহন করে যে সে কুফরিতে সন্তুষ্ট নয় তাই সেটি কুফরি নয় । দলিল
    [106] مَن كَفَرَ بِاللَّهِ مِن بَعدِ إيمٰنِهِ إِلّا مَن أُكرِهَ وَقَلبُهُ مُطمَئِنٌّ بِالإيمٰنِ وَلٰكِن مَن شَرَحَ بِالكُفرِ صَدرًا فَعَلَيهِم غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُم عَذابٌ عَظيمٌ
    [106] যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি। অর্থাৎ যে কুফরির প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X