Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিয়ামতের আলামাত — পর্ব -৩ ইমাম মাহদি রা এর পরিচয় । মাওলানা মাসউদ কাওসার

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিয়ামতের আলামাত — পর্ব -৩ ইমাম মাহদি রা এর পরিচয় । মাওলানা মাসউদ কাওসার

    কিয়ামতের আলামাত — পর্ব -৩
    ইমাম মাহদির রা. এর পরিচয়
    মাওলানা মাসউদ কাওসার
    (কিয়ামতের পূর্বে এমন কিছু অবস্থা ও প্রেক্ষাপট তৈরি হবে যার সাথে মুমিনদের জান্নাত ও জাহান্নামের সম্পর্ক। শেষ যমানার ব্যাপারে সবচেয়ে সত্যবাদী সংবাদ প্রদানকারী নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদিসের সারাংশ হল শেষ যমানায় পুরো পৃথিবী দুইটি তাবুতে বিভক্ত হয়ে যাবে। একটি হবে মুমিনদের তাবু যেখানে নিফাকের অস্তিত্ব থাকবে না। আরেকটি তাবু হবে মুনাফিকদের তাবু যেখানে ইমানের অস্তিত্ব থাকবে না। মাওলানা মাসউদ কাওসার মা: জি: এর এই আলোচনাটি সেই সফলতা ও ব্যর্থতার সাথেই সম্পৃক্ত। এই বয়ানটিতে মুমিনদের চিন্তার খোরাক রয়েছে। মাওলানা সাহেব আলোচনাটি একটি সাধারণ মজলিসে করেছিলেন। যেখানে সম্মানিত ভাই হাফেজ শাহযাদ (মুহিব্বুল্লাহ) শহিদ রহ. উপস্থিত ছিলেন। ভাই হাফেজ শাহযাদ শহিদ রহ. অনেক গুরুত্বসহকারে বয়ানটি রেকর্ড করেন। আর অডিও সেই দরসগুলো ভাই খাইরুদ্দীন লেখার আকৃতিতে নিয়ে আসেন। ইনশাআল্লাহ এই দরসগুলো ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সামনে পেশ করা হবে।)
    إن الحمد لله نحمده و نستعينه ونستغفره ونؤمن به و نتوكل عليه ونعوذ بالله من شرور أنفسنا و من سيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلله فلا هادي له ونشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له ونشهد أن سيدنا ومولانا محمدا عبده ورسوله أما بعد..
    أعوذ بالله من الشيطان الرجيم ، بسم الله الرحمن الرحيم
    سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنْفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ
    প্রথম অংশটি মাহদি রা. এর আত্মপ্রকাশ নিয়ে। মাহদি রা.এর আত্মপ্রকাশের ব্যাপারে প্রথমে দু’টি বিষয় মাথায় রাখুন, ইনশাআল্লাহ সামনে এই ধারাবাহিকতার সাথে আলোচনা করা হবে।
    সর্বপ্রথম হযরত মাহদি রা. এর পরিচয়, তার নাম ও বংশ এবং তার দৈহিক গুণাবলী এবং তারপর তার আগমনের পূর্বের আলামতগুলো আলোচনা করা হবে। তিনি কবে আসবেন? তার যে সব আলামত আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেছেন সেগুলো বর্ণনা করা হবে। তারপর তিনি কবে, কখন, কোথায় কিভাবে আত্মপ্রকাশ করবেন সে অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর হযরত মাহদি রা. এর নিজের জীবনের অবস্থা যে, তিনি আত্মপ্রকাশের পর কিভাবে ইসলামকে বিজয় করবেন? তার ধরণ কেমন হবে? তার জিহাদ কী? তার যুদ্ধগুলো কার কার সাথে হবে? এবং কিভাবে ইসলামের বিজয় আসবে? কে তার সহযোগী হবে? কে তার বিরোধী হবে? এসব বর্ণনা করার পর তার বৈশিষ্ট্য এবং তার গুণাবলী তুলে ধরা হবে যে, হযরত মাহদি রা. এর যমানায় ইসলামের কী কী বিশেষত্ব হাসিল হবে? বা তার যমানার গুরুত্ব কী এবং কী কী গুণ থাকবে? তার বয়স কত হবে? তিনি হযরত ইসা আ. এর সাথে কত বছর থাকবেন? তার মৃত্যু কোথায় কখন হবে? তার জানাযা কে পড়াবেন এবং তার দাফন কোথায় হবে? এধরনের সমস্ত হাদিস বর্ণনা করা হবে।

    মাহদি রা. এর আত্মপ্রকাশের ধারাবাহিকতায় তার নাম ও বংশ পরিচয়:

    আবু দাউদ ও সুনানে ইবনে মাজাহ-এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসুলে আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,“তার উপনাম হবে আবু আব্দুল্লাহ”। উপনাম তথা তার ছেলের নাম অনুযায়ী তাকে আবু আব্দুল্লাহ বা আব্দুল্লাহর পিতা বলে ডাকা হবে। তবে মৌলিকভাবে তার আসল নাম হবে মুহাম্মাদ। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:“তার নাম আমার নাম অনুযায়ী হবে।” মুহাম্মাদ নাম হবে। পিতার নামও আব্দুল্লাহ। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“তার পিতার নামও আমার পিতার নাম অনুযায়ী হবে।” মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ।
    উপাধী: নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে তার দু’টি উপাধি ইরশাদ করেছেন যে, তার উপাধি হবে আল-মাহদি এবং আল-জাবের। তাহলে এখন নাম এবং উপাধিসহ পুরো নাম এমন হয় আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মাহদি আল-জাবের।
    বংশ: বংশের দিক দিয়ে তিনি হাশেম গোত্রের সাথে সম্পৃক্ত হবেন। হাশেমি গোত্র থেকে হবেন এবং কুরাইশি হবেন। আর মদিনা মুনাওয়ারায় বসবাসকারী হবেন। হাশেমি তো পুরো দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছে। মক্কায় আছে, মদিনায় আছে এবং হিন্দুস্তানেও আছে। কিন্তু তিনি মদিনায় বসবাসকারী হাশেমি হবেন। যারা তার সিরাতের ব্যাপারে লেখেছেন তারা তার পুরো নাম, উপনাম, উপাধি, বংশ এবং এলাকার সাথে সম্পৃক্ত করে এভাবে বর্ণনা করেছেন,“আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মাহদি আল-জাবের আল-হাশেমি আল-মাদানি”। মাদানি তথা মদিনায় বসবাসকারী। আবু আব্দুল্লাহ উপনাম, মুহাম্মাদ নাম, আব্দুল্লাহ বাবার নাম, আল-মাহদি এবং আল-জাবের উপাধি এবং আল-হাশেমি হল বংশ এবং আল-মাদানি হল এলাকা।
    “আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মাহদি আল-জাবের আল-হাশেমি আল-মাদানি রা.।”
    নবি আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে উপাধীর বর্ণনা করেছেন তার অর্থগুলো বুঝে নেন। মাহদি অর্থ হল “আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নির্দেশনা নিয়ে প্রেরিত ব্যক্তি”। কারণ, আল্লাহ তাআলা হযরত মাহদি রা.কে একটি বিশেষ গুণ দিয়ে এবং বিশেষ একটি প্রতিশ্রুতি ও মর্যাদা দিয়ে পাঠাবেন। এই রেফারেন্সেই তার নাম মাহদি। অন্যথায় আল-মাহদি হেদায়াতের অর্থের দিক দিয়ে তো আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেকগুলো দুআ বর্ণিত আছে। হযরত মুআবিয়া রা.এর জন্য দুআ করেছেন: اللهم اجعله هاديا مهديا (হে আল্লাহ! তাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত পথ প্রদর্শনকারী বানিয়ে দাও।) কিন্তু এখানে এটি এক বিশেষ গুণ। একটি বিষয় বুঝে নেন যে, এই আল-মাহদি উপাধির সাথে সাথে একটি অঙ্গীকারও। এটি তার মাকাম বা অবস্থানও বটে।
    আল-মাহদিয়াতের অবস্থান কী? এটি এভাবে বুঝুন যে, আল্লাহ তাআলার প্রদত্ত এমন কিছু পদ আছে যা আল্লাহ তাআলা নির্বাচন করেন এবং কিছু পদ এমন আছে যা মাখলুক নিজের চেষ্টা-প্রচেষ্টা এবং সাধনার মাধ্যমে অর্জন করে। ইসলামে প্রসিদ্ধ চারটি অবস্থান রয়েছে যা আল্লাহ তাআলা কাউকে দান করেন: নবুওয়াত, সিদ্দিকিয়াত, শাহাদাত এবং সালেহিয়্যাত। কাউকে আল্লাহ তাআলা নবি বানালে সে নবুওয়াতের অবস্থানে উত্তীর্ণ হতে পারে। কাউকে আল্লাহ তাআলা সিদ্দিকিয়াত দান করলে সে সিদ্দিক হতে পারে এবং কাউকে শাহাদাতের অবস্থান দান করলে সে শহিদ হয় এবং সালেহিয়াতের মাকাম দান করলে সালেহ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: প্রত্যেক নামাজে আমার কাছে এই দুআ করো:
    اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ [١:٦]
    “হে আল্লাহ! আমাদেরকে সিরাতে মুস্তাকিম দেখাও।”
    সিরাতে মুস্তাকিম কী?
    صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
    “হে আল্লাহ! আপনার ঐসকল লোকের পথ দেখান যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন।” কী অনুগ্রহ করেছেন? পঞ্চম পারায় সুরা আন-নিসায় এর বর্ণনা রয়েছে:
    فَأُولَٰئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ
    “এরাই তবে রয়েছে তাঁদের সঙ্গে যাঁদের উপরে আল্লাহ্ নিয়ামত প্রদান করেছেন -- নবীগণের মধ্য থেকে, ও সত্যপরায়ণদের ও সাক্ষ্যদাতাদের এবং সৎকর্মীদের।”
    নবুওয়াত, সিদ্দিকিয়াত, শাহাদাত এবং সালেহিয়্যাত..এগুলো হল চারটি বড় মাকাম বা অবস্থান। আর মাহদি হওয়া, এটি হল প্রথম দু’টির পর এবং শেষ দু’িটর আগের অবস্থান। এটি নবুওয়াত ও সিদ্দিকিয়াতের পরে এবং শাহাদাত ও সালেহিয়্যাতের আগের অবস্থান। অর্থাৎ আল-মাহদি হওয়া নবুওয়াত ও সাহাবিয়্যাত (সিদ্দিকিয়াত) এর পর সবচেয়ে বড় মর্যাদা। শাহাদাত ও সালেহিয়্যাত তার পরে আসে। দুনিয়ার সমস্ত শহিদদের থেকে বেশি মর্যাদাশীল অবস্থান হল মাহদিয়াতের অবস্থান এবং দুনিয়ার সমস্ত ওলিদের মর্যাদা থেকে বেশি মর্যাদাশীল অবস্থান হল মাহদিয়াতের অবস্থান। বেলায়েত থেকে উঁচু, সালেহিয়্যাত থেকে উঁচু এবং শাহাদাতের চেয়ে উঁচু অবস্থান মাহদিয়াত। নবুওয়াত ও সাহাবিয়াতের পরের অবস্থান এটি। মাহদি উপাধি হওয়ার সাথে সাথে এই অবস্থানেরও পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে যে, তিনি আল-মাহদিয়াতের অবস্থানে উত্তীর্ণ।
    তার দ্বিতীয় উপাধি হল আল-জাবের। আল-জাবেরের ব্যাপারে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মোবারক হাদিস বর্ণিত আছে। স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
    الجابر الذي يجبر الأمة
    জাবের শব্দের দু’টি অর্থ। উর্দু ভাষায় যখন জাবের বলা হয় তখন আমাদের সামনে একটি অর্থ ভেসে ওঠে। জাবের শব্দটি কঠোর এবং জালেমের অর্থে ব্যবহার হয়। অমুক অনেক বড় জালেম এবং জাবের (কঠোর) শাসক। কিন্তু আরবিতে বিষয়টি এমন নয়। আরবীতে জাবেরের দু’টি অর্থ এবং এই উভয় অর্থ হযরত মাহদি আ. এর উপাধির সাথে প্রয়োগ হয়। একটি অর্থ তো প্রসিদ্ধ যা আমি আপনি সবাই জানি যে, কঠোর। কারও কঠোর হওয়ার অর্থই জুলুম নয়। আলিমগণ বলেন যে, হযরত মাহদি আ. যখন দুনিয়াতে আসবেন তখন তিনি দু’ধরণের লোকদের সম্মুখীন হবেন। সর্বপ্রথম তিনি কাফেরদের সম্মুখীন হবেন। কাফেরদের মোকাবেলায় সত্যিই তিনি জাবের তথা কঠোর হবেন। আল্লাহর বিধানে এবং আল্লাহর হুদুদে তিনি নরম হবেন না। আল্লাহর দ্বীনকে বাস্তবায়ন করণে তিনি নরম নয়। যেমন হযরত ওমর রা. এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, তিনি আল্লাহর কিতাবে আমলকারী ছিলেন এবং দুনিয়াতে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে দ্বীনকে বাস্তবায়নকারী ছিলেন, যেখানে কোন ধরণের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ ছিল না। তিনি এই অর্থে জাবের যে, তিনি কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং দুনিয়াতে দ্বীনকে, পৃথিবীতে তা বাস্তবায়নে কঠোর। আর এটি তো ভাল গুণ। এই জাবের জুলুম ও ত্রাসের অর্থে নয়। বরং কঠোরতা ও নিয়মানুবর্তিতার অর্থে।
    দ্বিতীয় অর্থ যেটি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন তা হল الجابر الذي يجبر الأمة
    আল-জাবেরের দ্বিতীয় অর্থ আরবী ভাষা ও গ্রামারে এটি আসে যে, الجابر শব্দটি الجبيرة থেকে নির্গত; ভেঙ্গে যাওয়া হাড্ডিকে জোড়া দেওয়ার জন্য যে পট্টি বা লাকড়ি বেঁধে দেওয়া হয় আরবী ভাষায় তাকে الجبيرة বলা হয়ে থাকে। যার হাড্ডিতে আঘাত লেগেছে বা হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে এবং সে তাতে পট্টি বেঁধে নিয়েছে বা অভিজ্ঞ ডাক্তার সেখানে একটি লাকড়ি বেঁধে দিয়েছে যার উপর পট্টি থাকে ফিকহের কিতাবে এই ব্যক্তির অজুর ব্যাপারে মাসআলা বর্ণিত আছে আল-জাবিরা শিরোনামে। যখন হাড্ডি জোড়া লেগে যায় তখন পট্টিটা হালকা হয়ে যায়। আরবিতে এই পট্টিকেই الجبيرة বলা হয়। ফিকহের কিতাবে মাসআলা উল্লেখ আছে যে, এই ব্যক্তির জন্য পট্টির জায়গা ধৌত করা জরুরী নয়। সে তার উপর মাসহ করলে তার অজু ও নামাজ হয়ে যাবে।

    আল-জাবের যা মাহদি আ. এর উপাধি তার একটি অর্থ হল কাফেরদের জন্য কঠোর। দ্বিতীয় অর্থ হল ভেঙ্গে যাওয়া হাড্ডিকে জোড়া দানকারী। নিশ্চয়ই ইমাম মাহদি আ. যখন এই উম্মতের মাঝে আসবেন এবং আত্মপ্রকাশ করবেন তখন উম্মত ভেঙ্গে যাওয়া বিক্ষিপ্ত এবং দিকভ্রান্ত অবস্থায় থাকবে। তিনি উম্মতকে একত্রিত করে তাদের অবস্থার উন্নতি করবেন। তিনি ভেঙ্গে যাওয়া জিনিসকে জোড়া দানকারী এবং বিক্ষিপ্ত উম্মতকে জোড়া দানকারী, ছড়িয়ে থাকা জিনিসকে সুবিন্যস্তকারী জাবের। মাহদি রা. নিশ্চিত একটি হাড্ডির মতো টুকরো টুকরো বিক্ষিপ্ত উম্মতকে তাদের বাহুকে ঠিক করে বাহুবল তৈরি করে নিজেদের বাহুশক্তি দিয়ে জিহাদের মাধ্যমে দ্বীনকে দুনিয়াতে বাস্তবায়ন করবেন। সুতরাং বিক্ষিপ্ত উম্মতের অবস্থাকে ঠিক করার দিক থেকে তার জন্য আল-জাবের উপাধি একদম সঠিক।
    সামনের কথা হল তার বংশ নিয়ে যে, তিনি কোন বংশের সাথে সম্পর্ক রাখবেন? তার ব্যাপারে এসেছে যে, তিনি আল-হাশেমি, আর এই গোত্রটি নবুওয়াতের বংশধারার সাথে সম্পর্ক রাখে। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে,“সে আমার বংশ থেকে হবে। আর আমার বংশ থেকে এভাবে যে, ফাতেমা রা.থেকে এবং ফাতেমার পর হাসান রা. থেকে।” হযরত ফাতেমা রা. এর দুই ছেলে। একজন হলেন হযরত হাসান রা. এবং তার বংধরদেরকে হাসানী বলা হয় এবং দ্বিতীয়জন হলেন হযরত হুসাইন রা. এবং তার বংশধরদেরকে হুসাইনি বলা হয়ে থাকে।
    আবু দাউদ শরীফের হাদিসে আছে যে, হযরত আলি রা.নিজের ছেলে হাসান রা.কে খেলতে দেখে বললেন যে, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছিলেন যে, হাসানের পৃষ্ঠদেশ থেকে, তার বংশ থেকে আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তিকে তৈরি করবেন যিনি আল-মাহদি হবেন এবং যার মাধ্যমে ইসলামের বিজয় আসবে। আবু দাউদ শরীফে হাদিসটি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত আছে। সুতরাং তিনি নবী বংশের সাথে সংযুক্ত হবেন। নবী বংশ হাশেমি গোত্রের হওয়ার সাথে সাথে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আরও একটি শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন, বড় একটি ফজিলত উল্লেখ করেছেন। দেখুন! সাইয়েদ হওয়া অনেক বড় একটি ফজিলত এবং হাশেমি ও কুরাইশি হওয়া অনেক বড় ফজিলত।
    কিন্তু আজ যদি কোন সাইয়্যেদ হাশেমি কুরাইশি এই দাবি করে বসে যে, সে আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত তাহলে কি আপনি মেনে নেবেন? আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া পৃথক একটি শান ও মর্যাদা। পৃথক একটি ফজিলত। আহলে বাইতকে আল্লাহ তাআলা যে ফজিলতগুলো দান করেছেন তা অন্য কাউকে দান করেননি। চাই সে সাইয়্যেদ হোক বা হাশেমি হোক। কিন্তু আহলে বাইতের অন্তর্ভ্ক্তু হওয়া পৃথক বিষয় এবং হাশেমি ও কুরাইশি হওয়া আলাদা বিষয়। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, তিনি হাশেমি বংশের হবেন, কুরাইশি হবেন এবং নবী খান্দানের সাথে সম্পর্ক রাখবেন। আমার পরিবার এবং আমার সন্তানদের থেকে হবেন। হাসানি হবেন, হযরত ফাতেমা রা. এর সন্তানদের থেকে হবেন। এর সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা তাকে আরও একটি ফজিলত দান করেছেন যে, আল্লাহ তাকে সেই ফজিলত দান করেছেন এবং তাকে ঐ মর্যাদাই দিয়েছেন ও অবস্থান দিয়েছেন যা আহলে বাইতকে দিয়েছেন।
    আহলে বাইত কারা? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ও বিবিগণ এবং নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরের সন্তানগণ। আল্লাহ তাআলা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘর, তার স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে যে ফজিলত দান করেছেন, যে বিধান এদের ক্ষেত্রে, ঠিক সে ফজিলত ও বিধান মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মাহদি রা. এর ক্ষেত্রে। সুনানে ইবনে মাজাহতে নবি করি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
    المهدي منا ومن أهل البيت
    মাহদি আমাদের থেকে এবং আমাদের বংশ থেকে এবং আমাদের পরিবার থেকে।
    আল্লাহ তাআলা তাকে নবি পরিবারের ফজিলত দান করেছেন।

    তার শারীরিক বর্ণনাও হাদিসে পূর্ণ বিবরণের সাথে বর্ণিত আছে। সুনানে ইবনে মাজাহ’র এক হাদিসে আছে তিনি হাশেমি বংশের হবেন, এসব বিস্তারিত বর্ণনার সাথে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে, তিনি লম্বা গঠনের হবেন। তার রঙ হবে লাল ও সাদা। শক্তিশালী দেহের অধিকারী হবেন। উজ্জ্বল এবং প্রশস্ত ললাটের অধিকারী হবেন। নাক খাড়া হবে এবং তার জিহ্বায় সামান্য জড়তা থাকবে। সামান্য জড়তা কোন দোষ নয়। কথা বলার সময় কখনও কখনও আটকিয়ে যাবেন, যার ফলে তিনি নিজের কথা বন্ধ করে দিবেন এবং নিজের কথা জারি রাখার জন্য তার সামান্য কষ্ট হবে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এই শারীরিক গঠনের বর্ণনা দিয়েছেন। এটি আবু দাউদ শরীফের হাদিস এবং সুনানে ইবনে মাজার একটি দীর্ঘ হাদিসের অংশ।
    এই হল হযরত মাহদি আ. এর নাম এবং তার বংশ ও শারীরিক বর্ণনা। এলাকার ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, তিনি মদিনার হাশেমীদের থেকে হবেন এবং নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, তিনি মদিনায় বসবাসকারী হবেন। হাদিসের একটি কিতাব হল “নুরুল আবসার”। তাতে এই বর্ণনাটি উল্লেখ করা হয়েছে যে, মদিনার নিকটবর্তী একটি বসতি আছে, যার নাম আল-কুরা বা আল-কারিম। তিনি সেই বস্তির অধিবাসী হবেন।

    হযরত মাহদি রা. কোন অবস্থায় আসবেন? এখন তার আগমনের পূর্ববর্তী আলামতগুলো নিয়ে কথা বলব। তবে তা শুরু করার পূর্বে একটি হৃদয়গ্রাহী বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। দেখুন! আধুনিক এই যুগে যখন কারও ব্যাপারে এত বিস্তারিত অবস্থা জানা যাবে, তার নাম, পিতার নাম, এলাকার নাম, গোত্রের নাম, এবং রঙ ও বংশ, শারীরিক গঠন ও আকৃতি, চোখের রঙ এবং কপাল এবং নাক ইত্যাদি এত বিস্তারিত আলোচনা যখন হাদিসে বিদ্যমান আছে তখন ইহুদী এবং কাফেররা কি তার ব্যাপারে উদাসীন থাকবে? এই হাদিসগুলো সামনে রেখে তারা কয়েক বছর আগে এমন লোকের অনুসন্ধান শুরু করেছে যিনি ্এসে ইসলামের বিজয় এবং কুফরকে ধ্বংস করে দেওয়ার কারণ হবেন। তারা পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়ে এবং এই নাম ও গঠন এবং আকার-আকৃতির লোকের তালাশ শুরু করে। সকলের ডেটা বিদ্যমান, কম্পিউটার আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী এবং শাসকশ্রেনিও তাদের অধীনস্ত। কিন্তু আল্লাহ তাআলা মাহদি আ. এর হেফাজতের খুব সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। সুন্দর একটি মাধ্যম করে দিয়েছেন। তার নাম ও বংশ কেমন? তা এভাবে যে, তার নাম কী? মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ এবং গোত্র হল হাশেমি। যখন নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, তিনি হাশেমি এবং মদিনার সাথে সম্পৃক্ত তাহলে তো খুব সহজেই এমন ব্যক্তিকে কাফেররা বের করতে পারত। তারা যার অনুসন্ধান শুরু করেছে তাকে প্রথমেই হত্যা করে দিত বা অন্য কিছু করত, কিন্তু কঠিন অনুসন্ধানের পরও এমন ব্যক্তির খোঁজ মিলল না। কারণ কী? কারণ হল নাম ও বংশ। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ তার নাম এবং হাশেমি বংশ। মদিনা এবং মদিনার আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী। আল্লাহ তাআলা এই ব্যবস্থা করে দিলেন যে, হাশেমীদের মাঝে এবং বিশেষ করে আরবীদের মাঝে প্রত্যেক দ্বিতীয় বা তৃতীয় ব্যক্তির নামই মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। এই নামটি এত ব্যাপক করে দেওয়া হয়েছে যে, আরবের আপনি যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে দেখবেন প্রত্যেক দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। দুই তিনটি নাম অনেক বেশি। আর হাশেমিদের মাঝে নবি পরিবারে তো এই নামটি এমনিতেই বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ হাশেমি হবে এবং মদিনার নিকটবর্তী এলাকায় বসবাসকারী হবে। যখন এমন ব্যক্তির লিস্ট পৃথক করা হল তখন স্ক্রিনে হাজারো ব্যক্তির নাম চলে এলো। এখন কোন মানুষের, কোন লোকের পিছু করা হবে? কাকে পরীক্ষা করা হবে?

    আল্লাহ তাআলার হেফাজতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যে সুরত তা হল এই, রাসুলে আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইবনে মাজাহ’র হাদিসে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তাআলা তাকে যে গুণগুলো দান করবেন তা হল ইমান, নেকি, তাকওয়া এবং তাহারাতের পর তার মাঝে একজন বিজয়ীর গুণাবলী থাকবে। একজন বুদ্ধিমান রাজার মতো গুণাবলী থাকবে এবং পুরো যুগ ধরে বিজয় করার গুণাবলী তার মাঝে থাকবে। এধরণের যত যোগ্যতা আছে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই দান করবেন না। বরং তিনি সাধারণ একজন মুসলমান হবেন যিনি সংযত হবেন এবং পবিত্র চিন্তার অধিকারী। আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে নিজের কুদরতের মাধ্যমে এক রাতেই তাকে এই অবস্থানে উত্তীর্ণ করে এসব যোগ্যতা তার ব্যক্তিত্বে ঢেলে দেবেন। এর পূর্বে অন্য কারও তো দূরের কথা স্বয়ং মুহম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ যিনি আগামীকাল মাহদি হবেন তিনি আজ জানবেন না যে, কাল আমি আগামীকাল এই পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছি। হাদিসটি কী? সেই হাদিস যা পূর্বে আহলে বাইতের আলোচনায় এসেছে। তার একটি অংশ হল এই:
    المهدي منا ومن أهل البيت يصلح الله في ليلة
    আল্লাহ তাআলা তাকে এক রাতেই এসব গুণ ও যোগ্যতা দান করবেন। এরপূর্বে জগতের কোন সৃষ্টিও জানবে না এবং স্বয়ং মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ যিনি মাহদি হবেন তিনিও আজ একজন সাধারণ মুসলমান, মুমিন এবং পরহেযগার ও মুত্তাকি এবং আল্লাহকে ভয়কারী একজন মুসলিম হবেন। কিন্তু তার এটি জানা থাকবে না। বরং তিনি নিজেই হয়ত আজ অপেক্ষা করতে থাকবেন যে, কাল হয়ত কোন মাহদি আগমন করবেন। যখন আল্লাহ তাআলা এক রাতেই তাকে মাহদিয়াতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করবেন এবং সব যোগ্যতা ও গুণাবলী এক রাতেই দান করবেন। আর আল্লাহ তাআলার সত্তা তো সক্ষম ও শক্তিধর। আর হাদিস শরিফে তো বিষয়টি স্পষ্টভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে।

    একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমরা যখন মাহদি আ. এর ব্যাপারে কথা বলি তখন তার ডানে বামে দু’টি শব্দ যোগ করি। একটি হল আল-ইমাম এবং দ্বিতীয়টি হল রাদিয়াল্লাহু আনহু। “ইমাম” তো একটি আবশ্যকীয় বিষয় যে, তিনি এসে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। আর যিনি এসে লোকদের রাজনৈতিক ইমাম হবেন তাকে তো ইমামই বলা হবে। সাথে সাথে যেহেতু তিনি এরপূর্বে একটি নামাজ পড়াবেন এবং সেখানে হযরত ইসা আ.ও তার মুক্তাদি হবেন, এই দিক দিয়েও তাকে ইমাম বলা হয়ে থাকে যে, দুনিয়াতে এমন এক উম্মতও আছে যার পিছনে একজন নবিও নামাজ আদায় করেছেন। এই দিক দিয়ে তাকে ইমাম বলা হয়ে থাকে। এই উম্মতকে আল্লাহ তাআলা এই ফজিলত দান করেছেন। স্বয়ং মাহদি রা. পিছনে সরতে চাইবেন, কিন্তু ইসা আ. বলবেন যে, আমাকে আপনার আনুগত্যের আদেশ করা হয়েছে। আপনি নামাজ পড়ান। আল্লাহ তাআলা এই উম্মতকে এই সম্মান দিয়েছেন যে,এই উম্মতের একজন সদস্যের পিছনে একজন নবি নামাজ পড়বেন।এজন্যই তাকে ইমাম বলা হয়। রাজনৈতিক ইমাম এবং নামাজেরও বিশেষ ইমাম।
    দ্বিতীয়ত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলা হয়ে থাকে। আর এটি বলা উচিত নয় শুধু জরুরীও। এজন্য যে, রাদিয়াল্লাহু বলার যে শর্তগুলো আছে তার সবই হযতর মাহদি আ. এর মাঝে পাওয়া যায়। এর জন্য ফিকহের কিতাবে তিনটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। কথা হল আপনি ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতে পারবেন যার ইমানে ব্যাপারে সাক্ষ্য বিদ্যমান আছে। তার ইমানের বিষয়টি শক্তিশালী দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত। এরপর ইমানের উপর জিন্দেগী অতিবাহিত হওয়া প্রমাণিত এবং ইমানের উপর মৃত্যুবরণের বিষয়টিও প্রমাণিত। যেমনটি সাহাবায়ে কেরামের ক্ষেত্রে হয়েছে যে, তাদের ইমানের সাক্ষ্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন। তাদের ইমানের উপর অবিচল থাকা প্রমাণিত এবং তাদের মৃত্যু ইমানের উপরই হয়েছে। এছাড়া স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষেত্রে রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রদু আনহু বলে দিয়েছেন।
    হযরত মাহদি রা. এর ইমান কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত এবং তার ইমানের উপর অবিচল থাকা এবং ইমানের জন্য এবং ইসলামের জন্য কুরবানি পেশ করা এবং জিহাদ করাও প্রমানিত। আর তার জানাযা যেহেতু স্বয়ং ইসা আ. পড়াবেন তাহলে তার ইমানের উপর মৃত্যুও প্রমাণিত। তাই তার ব্যাপারে রাদিয়াল্লাহু আনহু ব্যবহারের শর্তগুলো বিদ্যমান আছে। তাকে রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলা ঠিক আছে।
    চলবে.......

    নওয়ায়ে আফগান জিহাদ, মার্চ-২০২০ইং সংখ্যা থেকে অনূদিত।
    ১ম পর্বের লিংক:

    ২য় পর্বের লিংক:
    একজন গেরিলা যুদ্ধা একজন কমান্ডোর মত, সে যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় সক্ষম

  • #2
    জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই, অনেক কিছু জানতে পারছি

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ভাই। আল্লাহ আপনার ইলমে বরকত দান করুন। আমীন
      সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম........
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X