Announcement

Collapse
No announcement yet.

📌 তাওহীদকে চার ভাগ করা কী বিদআত.. ❓

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 📌 তাওহীদকে চার ভাগ করা কী বিদআত.. ❓


    এক শুভানুধ্যায়ী ভাই'কে দেখলাম নজদী-তাইমি বলে একাধারে আক্রোশ ছড়াচ্ছেন।

    তিনি প্রশ্ন করেছেন ?
    “তাওহীদকে যে ভাগ করা হয় উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, হাকিমিয়্যাহ, আসমা ও সিফাত, এগুলো ভাগ করা বিদআত নয় কেন?

    [অর্থাৎ এগুলোকে যারা ভাগ করেছেন উক্ত শুভানুধ্যায়ী ভাই একপ্রকারের আক্রমণ করেই বুঝাতে চাইলেন এগুলো ভাগও বিদআত
    অথচ নজিদ-তাইমি'রা এমনটি কেন করছে?]”

    তিনি খুব তুচ্ছ করেই প্রশ্ন রেখেছেন এগুলো কেন করা হয় !?

    বিষয়টি নিয়ে দেখছি আমাদের কিছু ভাইও ইদানীং বিচলিত হচ্ছেন

    [যদিও কারণগুলো আমারও বোধগম্য হয়নি এখনো]

    তখন মনে হলো কিছু কথা লিখি যেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কল্যাণ হয় ও আলোচনাটি বোধগম্য হয়।

    • দ্বীন ইসলামের দুটি দিক-

    ১। মুহকাম — যা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্যাকেজ হয়ে অবতীর্ণ, এর সংখ্যা, ধরণ পদ্ধতি সবই আল্লাহ কর্তৃক সীমাবদ্ধ, এখানে কমানো, বাড়ানো কুফরি। যেমন; পাচ ওয়াক্ত সলাত, সলাতের সংখ্যা, পদ্ধতি।

    ২। মুজতাহাদ ফিহ — মুজতাহিদগনের যেখানে গবেষণা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যেমন সাদাকাতুল ফিতর আদায়ের বিষয়ে, অনেকে বলেন খাদ্যই দিতে হবে, অনেকে বলেন যে মূল্য দিলেও হবে।

    অন্য ভাষায় এটা এভাবে বলা যায় শরীয়তের কাজ দুই প্রকার।

    ১। ফিদ দ্বীন [দ্বীনের অন্তর্গত বিষয়, যা মুহকাম]

    ২। লিদ দ্বীন [দ্বীনে কল্যানে কোন পদক্ষেপ, যেমন মাদ্রাসার পড়াশোনা, বছররে তিন পরিক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদি]

    কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়া শেষ হলে আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি ইন-শাআল্লাহ।

    তাওহীদকে ৩/৪ ভাগে ভাগ করাকি বিদআত?
    জওয়াব স্পষ্ট যে,
    না এটা বিদআত নয়।

    কারণ মূল আকিদার/তাওহীদের মধ্যে কেউই কিছুই বাড়াননি, বরং জাতির কল্যানার্থে বুঝার সুবিধার্থেই ইসলামের স্বীকৃতি তাওহিদুল্লাহ'কে কায়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেরেফ বুঝার সুবিধার্থে।

    হ্যাঁ যদি তারা এমন কোন তাওহীদ পেশ করতো যার পক্ষে শরীয়তের কোন দলিলই পাওয়া সেক্ষেত্রে বলা যেতো যে এটা তাওহীদ কীভাবে হয়, কিন্তু তারা তো তা করেনি,

    ☞ বরং ইলাহি/ইবাদাত সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বলেছেন উলুহিয়্যাহ,

    ☞ রব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বলেছেন রুবুবিয়্যাহ

    ☞ আর বিচারক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বলেছেন হাকিমিয়্যা

    ☞ এবং আল্লাহর আসমাউল হুসনার ক্ষেত্রে বলেছেন আসমা ও সিফাত।

    এর প্রতিটির ক্ষেত্রেই আয়াত ও হাদিস ভরপুর রয়েছে।

    #নোটঃ

    🚫 এই আলোচনায় শাইখ আবু বকর জাকারিয়া সাহেবেরও একটি আপত্তির জওয়াব হয়ে যায়,

    আর তা হলো তিনি বলেন তাওহীদ তিন প্রকারেই সীমাবদ্ধ উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, আসমা ও সিফাত।

    আর হাকিমিয়্যা বলতে আলাদা কোন তাওহীদ নেই।

    তার জওয়াবে আমরা বলবো
    আসলে তাওহীদের এই ভাগটি সালাফগন করেছেন,

    তাই এটি যে এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বিষয়টি এমন নয়।

    বর্তমানে সর্বগ্রাসী আল্লাহর হাকিমিয়্যাহর ক্ষেত্রে শিরক সবচেয়ে বেশি হচ্ছে,

    তাই উম্মাহকে সতর্ক করার জন্য তাওহীদকে উক্ত তিন প্রকারে ভাগ করা হয়েছিলো ঠিক সেই সতর্কতার চাহিদার কারণেই আজকে তাওহীদকে চার ভাগ করে হাকিমিয়্যা যুক্ত করা হয়েছে।

    #বিশেষ_নিবেদনঃ

    শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ এর প্রতি বিদ্বেষ রাখা শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিকে দেখা যায় যে তিনি আবার দেওবন্দের বিখ্যাত আলিম শাইখ আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রাহিঃ এর প্রশংসা ও সমর্থন করেন।

    তখন সেই শুভানুধ্যায়ী ভাইকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়,
    তাওহীদকে চার ভাগ করা যদি বিদআত হয় তাহলে ইমামুল আছর আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রাহিঃ
    এর রচিত বুখারীর ব্যখ্যা গ্রন্থ “ফাইদ্বুল বারী [فيض الباري]
    এর মধ্যে শিরককে তিন ভাগ করেছেন

    ১। শিরক ফিজ জাত

    ২। শিরক ফিস সিফাত

    ৩। শিরক ফিত ত্বায়াত

    তাহলে শুভানুধ্যায়ী ভাইকি আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রাহিঃ এর উপরও বিদআতের অভিযোগ তুলবেন????

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    [60] أَلَم تَرَ إِلَى الَّذينَ يَزعُمونَ أَنَّهُم ءامَنوا بِما أُنزِلَ إِلَيكَ وَما أُنزِلَ مِن قَبلِكَ يُريدونَ أَن يَتَحاكَموا إِلَى الطّٰغوتِ وَقَد أُمِروا أَن يَكفُروا بِهِ وَيُريدُ الشَّيطٰنُ أَن يُضِلَّهُم ضَلٰلًا بَعيدًا [60] আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়ে তাগুতকে বিচারক বানাতে চায় অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়। ( উক্ত আয়াতের মধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে যে কেউ যদি তাগুতকে বিচারক বানায় তাহলে ইহা হবে আল্লাহর আদেশ লংঘন করা ।কারণ আল্লাহ তায়ালা তাগুতকে অস্বীকার করতে বলেছেন এবং তার থেকে শুধু বিরত থাকতে বলেন নি। এমনকি তাগুতকে বিচারক মানার ক্ষেত্রেও কুফরি করতে বলা হয়েছে । কারণ এই আয়াতের মধ্যে তাগুতকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও আল্লাহ তায়ালা তাগুতকে অস্বীকার করতে বলেছেন । এবং তাকে বিচারক হিসেবে গ্রহন করা আল্লাহ,র অপছন্দ হবার কারণে আল্লাহ তায়ালা এই আয়াত অবতীর্ণ করেছেন যা অতি স্পষ্ট। সুতরাং যেহেতু তাকে বিচারক না মানার অর্থ দাঁড়ায় তাকে কুফরি বা প্রত্যাখ্যান করা তাই তাগুতকে বিচারক মানা হল তাকে কুফরি না করা সুতরাং তাকে কুফরি না করা মানে তার প্রতি ঈমান আনা সুতরাং আল্লাহর প্রতি যেমন ঈমান আনা হচ্ছে তেমন ঈমান তাগুতের প্রতি আনার অর্থ দাঁড়ায় তাগুতকে আল্লাহর সাথে শরীক করা আর তাই আল্লাহর মত কাউকে বিচারক মানা হল শিরিক ফিল হাকিমিয়্যাহ। এবং এটি আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      এবং উক্ত আয়াত যাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে তারা তাগুতকে বিচারক মেনে নেওয়ার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাদের আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নকে অস্বীকার করেছেন ।এতে প্রমাণিত হল যে যারা তাগুতকে বিচারক মনে করবে তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করেনি বা আল্লাহর প্রতি কুফরি করল।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        এবং আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদের মধ্যে বলেছেন الا له الخلق و الأمر অর্থাৎ সৃষ্টি যার বিধান তার । এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে যিনি স্রষ্টা হবেন তিনি বিধান প্রনয়ন করবেন । এবং বিধান প্রনয়ন‌ একমাত্র স্রষ্টার গুন। তাই কেউ বিধান প্রণয়ন করে এই দাবি করছে যে সে স্রষ্টা। যদিও তা সে মুখে না বলুক তবুও সে তা কাজে প্রকাশ করছে। সুতরাং কাউকে স্রষ্টার আসনে বসানো হল শিরিকি।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X