بسم الله الرحمن الرحيم
গাযওয়াতুল হিন্দ: আমাদের দায়িত্ব
গাযওয়াতুল হিন্দ: আমাদের দায়িত্ব
কথিত আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারতের ক্ষমতায় হিন্দুত্ববাদী বিজেপির টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতা পাওয়ায় হিন্দুদের আস্ফালন বহুগুণ বেড়ে গেছে। গত মেয়াদে যখন তারা ক্ষমতায় এসেছিল তখনই তাদেরকে মুসলিমদের কচুকাটা করে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে অখণ্ড রাম রাজত্ব তৈরীর শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। এটা শুধু তাদের শ্লোগানই নয়, এটা তাদের রক্তে মিশ্রিত বহুদিনের লালিত স্বপ্ন। তখনই, বরং তার বহু আগেই আমাদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সতর্ক হইনি। নিজেদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যস্ত থেকেছি। এখন যখন হিন্দুত্ববাদীদের কৃপাণ আমাদের শাহরগ স্পর্শ করছে তখনও আমরা বেঘোরে ঘুমাচ্ছি।
আমাদের উদাসিনতার এই সুযোগে হিন্দুত্ববাদীরা নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে গেছে বহুদূর। দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দিয়েছে রাম রাজত্বের স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী এদেশীয় দালালদের। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইস্কন ভারতীয় দালাল-তাগুত সরকারের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দালালির বিরোধীতা করে ষ্ট্যাটাস দেওয়ায় ভাই আবরার ফাহাদ রহ. কে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ইস্কন সদস্য মালাউন অমিত সাহার নেতৃত্বে, তারই রুমে। কিন্তু ভারতের পদলেহী হলুদ মিডিয়া এ হত্যাকান্ডে অমিত সাহার সম্পৃক্তির কথা বেমালুম চেপে যাচ্ছে, বরং তা অস্বীকার করছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ত্রিশ হাজার শিশুকে প্রকাশ্যে “হরে রাম, হরে কৃষ্ণ” পড়ানোর মত দৃষ্টতা দেখিয়েছে ইস্কনের হিন্দুত্ববাদীরা। সব মিলিয়ে তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে। ভারতে যেখানে সেখানে যখন তখন মুসলিম ভাইদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে, বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তে বিনা অজুহাতে মুসলিম ভাইদের পাখির মত নিশানা বানানো হচ্ছে। দেদারছে লুট করা হচ্ছে মুসলমানের সম্পদ। এদেশে অবস্থানকারী হিন্দুরা প্রকাশ্যে এদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার কথা বলছে।
প্রিয় ভাইয়েরা! এসবই নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে। তাই আজ গাফলতের চাদর ছেড়ে জেগে উঠুন। হিন্দুত্ববাদীদের লালিত স্বপ্নের পথে শক্ত প্রতিরোধ দাঁড় করান। মোহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দশ বছর আগে যে যুদ্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, যে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে তিনি জাহান্নাম হতে মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছেন সে জানবাজ লোকদের দলে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান।
এ ব্যাপারে নবীজির মুখ নি:সৃত সে বাণীগুলো মনযোগ দিয়ে দেখুন। তিনি ইরশাদ করেছেন-
" عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ "
“আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখবেন, তন্মধ্যে একটি দল হল, যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আর অন্য দলটি হল, যারা ইসা ইবনু মারয়াম আলাইহিস সালামের সাথে থাকবে”। -সুনানে নাসায়ী ৩১৭৫, মুসনাদে আহমাদ ২২৩৯৬ {শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।}
আরো ইরশাদ হয়েছে,
عن أبي هريرة، قال: وعدَناِ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - في غزوة الهند، فإن اسْتُشْهِدْتُ كنتُ من خير الشهداء، وإن رجعت فأنا أبو هريرة المحررة.
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে গাযওয়াতুল হিন্দের ওয়াদা দিয়েছেন। আমি যদি তাতে শহীদ হই তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব। আর আমি যদি গাযী হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব জাহান্নাম হতে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা। -সুনানে নাসায়ী ৩১৭৩, মুসনাদে আহমাদ ৭১২৮ {শায়খ আহমদ শাকের রহ. তাঁর তাহকীককৃত মুসনাদে আহমাদের টিকায় হাদীসটিকে সহিহ বলেছেন। দেখুন খন্ড ৬ পৃষ্ঠা ৫৩২}
প্রিয় ভাই! মু’মিন জীবনের সবচে বড় পাওয়া জাহান্নাম হতে মুক্তির সনদ যে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে আজই তাদের দলভুক্ত হয়ে যান। পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। মযলুম মুসলমানদের রক্তের প্রতিটি ফোটার বদলা নেওয়ার জন্য উঠে দাড়ান। সকল মুসলিম ভাইবোনদের কানে এই জিহাদের আওয়াজ পৌছে দিন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সহায় হোন।
Comment