Announcement

Collapse
No announcement yet.

গাযওয়াতুল হিন্দ ও আমাদের দায়িত্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গাযওয়াতুল হিন্দ ও আমাদের দায়িত্ব

    بسم الله الرحمن الرحيم

    গাযওয়াতুল হিন্দ: আমাদের দায়িত্ব

    কথিত আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারতের ক্ষমতায় হিন্দুত্ববাদী বিজেপির টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতা পাওয়ায় হিন্দুদের আস্ফালন বহুগুণ বেড়ে গেছে। গত মেয়াদে যখন তারা ক্ষমতায় এসেছিল তখনই তাদেরকে মুসলিমদের কচুকাটা করে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে অখণ্ড রাম রাজত্ব তৈরীর শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। এটা শুধু তাদের শ্লোগানই নয়, এটা তাদের রক্তে মিশ্রিত বহুদিনের লালিত স্বপ্ন। তখনই, বরং তার বহু আগেই আমাদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সতর্ক হইনি। নিজেদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যস্ত থেকেছি। এখন যখন হিন্দুত্ববাদীদের কৃপাণ আমাদের শাহরগ স্পর্শ করছে তখনও আমরা বেঘোরে ঘুমাচ্ছি।

    আমাদের উদাসিনতার এই সুযোগে হিন্দুত্ববাদীরা নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে গেছে বহুদূর। দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দিয়েছে রাম রাজত্বের স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী এদেশীয় দালালদের। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইস্কন ভারতীয় দালাল-তাগুত সরকারের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দালালির বিরোধীতা করে ষ্ট্যাটাস দেওয়ায় ভাই আবরার ফাহাদ রহ. কে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ইস্কন সদস্য মালাউন অমিত সাহার নেতৃত্বে, তারই রুমে। কিন্তু ভারতের পদলেহী হলুদ মিডিয়া এ হত্যাকান্ডে অমিত সাহার সম্পৃক্তির কথা বেমালুম চেপে যাচ্ছে, বরং তা অস্বীকার করছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ত্রিশ হাজার শিশুকে প্রকাশ্যে “হরে রাম, হরে কৃষ্ণ” পড়ানোর মত দৃষ্টতা দেখিয়েছে ইস্কনের হিন্দুত্ববাদীরা। সব মিলিয়ে তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে। ভারতে যেখানে সেখানে যখন তখন মুসলিম ভাইদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে, বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তে বিনা অজুহাতে মুসলিম ভাইদের পাখির মত নিশানা বানানো হচ্ছে। দেদারছে লুট করা হচ্ছে মুসলমানের সম্পদ। এদেশে অবস্থানকারী হিন্দুরা প্রকাশ্যে এদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার কথা বলছে।

    প্রিয় ভাইয়েরা! এসবই নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে। তাই আজ গাফলতের চাদর ছেড়ে জেগে উঠুন। হিন্দুত্ববাদীদের লালিত স্বপ্নের পথে শক্ত প্রতিরোধ দাঁড় করান। মোহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দশ বছর আগে যে যুদ্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, যে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে তিনি জাহান্নাম হতে মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছেন সে জানবাজ লোকদের দলে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান।

    এ ব্যাপারে নবীজির মুখ নি:সৃত সে বাণীগুলো মনযোগ দিয়ে দেখুন। তিনি ইরশাদ করেছেন-

    " عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ "

    “আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখবেন, তন্মধ্যে একটি দল হল, যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আর অন্য দলটি হল, যারা ইসা ইবনু মারয়াম আলাইহিস সালামের সাথে থাকবে”। -সুনানে নাসায়ী ৩১৭৫, মুসনাদে আহমাদ ২২৩৯৬ {শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।}

    আরো ইরশাদ হয়েছে,

    عن أبي هريرة، قال: وعدَناِ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - في غزوة الهند، فإن اسْتُشْهِدْتُ كنتُ من خير الشهداء، وإن رجعت فأنا أبو هريرة المحررة.

    আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে গাযওয়াতুল হিন্দের ওয়াদা দিয়েছেন। আমি যদি তাতে শহীদ হই তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব। আর আমি যদি গাযী হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব জাহান্নাম হতে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা। -সুনানে নাসায়ী ৩১৭৩, মুসনাদে আহমাদ ৭১২৮ {শায়খ আহমদ শাকের রহ. তাঁর তাহকীককৃত মুসনাদে আহমাদের টিকায় হাদীসটিকে সহিহ বলেছেন। দেখুন খন্ড ৬ পৃষ্ঠা ৫৩২}

    প্রিয় ভাই! মু’মিন জীবনের সবচে বড় পাওয়া জাহান্নাম হতে মুক্তির সনদ যে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে আজই তাদের দলভুক্ত হয়ে যান। পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। মযলুম মুসলমানদের রক্তের প্রতিটি ফোটার বদলা নেওয়ার জন্য উঠে দাড়ান। সকল মুসলিম ভাইবোনদের কানে এই জিহাদের আওয়াজ পৌছে দিন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সহায় হোন।

    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    আল্লাহ আমাদের কবুল করুক

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূণ পোষ্ট।
      আল্লাহ তা‘আলা মুহতারাম ভাইয়ের হৃদয় নিসৃত কথাগুলো উম্মাহর কানে পৌঁছে দিন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর আহবান।
        আল্লাহ তা‘আলা আপনার ইলমে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
        মুহতারাম ভাই- আপনার লেখা ফোরামে নিয়মিত চাই........ইনশা আল্লাহ
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          সুপ্রিয় ভাইয়েরা,আপনারা দয়া করে আমার কমেন্টটি পড়বেন!!!
          কিছু প্রশ্ন ও কিছু কথা বলবো। প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
          গাযওয়াতুল হিন্দ কি শুধু হিন্দুদের সাথে যুদ্ধ হবে নাকী এ অঞ্চলের পুরো কাফের কওমের সাথে হবে????
          এখানে গাযওয়াহ ব্যবহার করা হয়েছে কেনো??? যুদ্ধের আরো আরবি শব্দ আছে???
          মুমিনরা বিজয় হবে, মুমিনরাই এই জিহাদটি করবে, তাহলে যুগে যুগে পাকিস্তানি আর্মিরাও তাদের যুদ্ধগুলোকে গায্বাতুল বলেছে। মুমিন ও মুনাফিকের মাঝের ফরক্টুকু হারিয়ে যাচ্ছে।
          গাযওয়াতুল হিন্দে কুফফাররা অনেক শক্তিশালী হবে ইন্ডিয়ার অবস্তা দেখে মনে হচ্ছে, তাহলে আমাদের আলিমদের এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই কেনো????
          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

          Comment


          • #6
            ইস্কন মালাউন এবং ইস্কন প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর আঘাত হানা সময়ের দাবী নয় কি? সূরা তাওবার উপর আমলের সময় কি হয় নি? তাদের হত্যা করতে হবে, প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওৎ পেতে থাকতে হবে।
            আল্লাহ আমাকে মাফ করুন ও ক্ষমা করে দিন।
            হয়তো শরীয়াহ নয়ত শাহাদাহ।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ্ আমাদের কবুল করুন

              Comment


              • #8
                Originally posted by ashab345 View Post
                আল্লাহ্ আমাদের কবুল করুন
                আল্লাহুম্মা আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বরকত পুর্ণ গাজওয়ার জন্য কবৃল করৃন।
                  ইতিহাস সাক্ষিদেয় বহু বীর বাহাদুর মুসলিম বুজুর্গ রাসুলের ভবিষ্যত বাণী গাজওয়ায়ে হিন্দের বারাকাহ হাসিলের জন্য হিন্দে অভিযান চালিয়েছেন।
                  মালাউন হিন্দুগোষ্ঠির উপর করা প্রতিটা আঘাত আল্লাহ্ *কবৃল করুন।
                  মুমিন তুমি ভয় পেওনা = শেষ বিজয় তোমারই পদ চুম্বন করবে

                  Comment


                  • #10
                    যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধা দরকার!!! আমাদের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আর যুদ্ধা/ মুজাহিদ তৈরি হয় না যা ছিলো কওমির লক্ষ উদ্দেশ্য। এখন যে যত বেশি তেলবাজি করতে পারবে সেই বড় মুহতামিম হতে পারবে। যার নুন খায় তার গুন গায়!! ফ্রীতে হজ্ব করলে কী আর হক্ব কথা বলা যাবে। ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া(নাকি ভণ্ড) আল্লাহ ভালো জানেন। মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে আর আলিম নামের জালিমরা মুখে কাপড় ঢুকিয়ে বসে আছে। এখন কি আর কথা বের হবে???????...
                    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                      যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধা দরকার!!! আমাদের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আর যুদ্ধা/ মুজাহিদ তৈরি হয় না যা ছিলো কওমির লক্ষ উদ্দেশ্য। এখন যে যত বেশি তেলবাজি করতে পারবে সেই বড় মুহতামিম হতে পারবে। যার নুন খায় তার গুন গায়!! ফ্রীতে হজ্ব করলে কী আর হক্ব কথা বলা যাবে। ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া(নাকি ভণ্ড) আল্লাহ ভালো জানেন। মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে আর আলিম নামের জালিমরা মুখে কাপড় ঢুকিয়ে বসে আছে। এখন কি আর কথা বের হবে???????...
                      ইনশা আল্লাহ, তাদের মাঝ থেকেই একদল যোদ্ধা বের হবে। নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নেই প্রিয় ভাই...!
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        অনেকদিন পর আদনান মারুফ ভাইয়ের পোষ্ট পেলাম। নিয়মিত আপনাকে ফোরামে চাই ভাই…
                        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                        Comment


                        • #13
                          মাশাআল্লাহ ভাই সুন্দর পোস্ট করেছেন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন
                          এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন আমিন

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                            যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধা দরকার!!! আমাদের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আর যুদ্ধা/ মুজাহিদ তৈরি হয় না যা ছিলো কওমির লক্ষ উদ্দেশ্য। এখন যে যত বেশি তেলবাজি করতে পারবে সেই বড় মুহতামিম হতে পারবে। .....
                            ভাই, কুরআনে বর্ণিত জালুতের সাথে তালুত আলাইহিস সালামের যু্দ্ধে অল্পকিছু লোক শরীক হওয়া আর বাকীরা যুদ্ধ করতে অপারগতা প্রকাশ করা থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, জিহাদ আসলে অল্পসংখ্যক লোকই করে, বরং দূর্বল ইমানের লোকেরা জিহাদে শরিক হলেই সমস্যা, তারা একটুতেই ভীতসন্তস্ত্র হয়ে যাবে, এবং অন্যদের মাঝেও ভীতি ছড়িয়ে দেবে, যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে অন্যদের হিম্মত ও মনোবল ভেঙ্গে দিবে। এজন্যই পানি পানের পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের ছাটাই করে দেওয়া হয়েছে। তাই কওমীর অধিকাংশ আলেমদের তাগুতের পক্ষে যোগ দেওয়ায় হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ইনশাআল্লাহ অল্প কিছু আলেম যারা আছেন তারাই আমাদের সঠিক পথনির্দেশনা দান করবেন। আর আল্লাহ তো ইসলাম রক্ষা করার জন্য আলেমদের ঠিকাদারী দেননি। আলেমরা দ্বীনের সাহায্যে এগিয়ে না আসলে সাধারণ মুসলিমদের থেকেই আল্লাহ তায়ালা তার দ্বীনের সাহায্যকারী মনোনয়ন করবেন। এতে দ্বীনের কোন ক্ষতি হবে না। বরং আলেমরা নিজেরাই দ্বীনের সাহায্যের সৌভাগ্যবঞ্চিত হবে।
                            الجهاد محك الإيمان

                            জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                            Comment


                            • #15
                              "ভারতে যেখানে সেখানে যখন তখন মুসলিম ভাইদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে, বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তে বিনা অজুহাতে মুসলিম ভাইদের পাখির মত নিশানা বানানো হচ্ছে।
                              “আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখবেন, তন্মধ্যে একটি দল হল, যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আর অন্য দলটি হল, যারা ইসা ইবনু মারয়াম আলাইহিস সালামের সাথে থাকবে”।
                              তারপরও কি বসে থাকার সময় আছে????
                              فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                              Comment

                              Working...
                              X