বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রাথমিক গেরিলা যুদ্ধ পাঠ -৪
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন ওয়াসালাতু ওয়াসালাম আলা নাবি'ইল কারিম
আজকে গেরিলা আন্দোলনের বিভিন্ন মারহালা সম্পর্কে জানব ও এই যুদ্ধের সফলতার জন্য প্রধান চারটি কারন সম্পর্কে জানার চেস্টা করব ইনশাআল্লাহ।
গেরিলা যুদ্ধের প্রধান ৩টি মারহালা আছে।
১ম মারহালা (গোলযোগ তৈরি বা তটস্থ করার মারহালা) :
এই মারহালায় আপনি শত্রু থেকে অনেক দুর্বল থাকবেন। এই মারহালা সাধারণত সব থেকে দীর্ঘ হয়। আফগানিস্তানে তো এই মারহালা প্রায় ১০ বছরের অধিক ছিল। আপনি শত্রুর মেধাবী মাথাগুলোতে আঘাত হানার চেস্টা করবেন। যাতে শত্রু খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়। যাতে আপনি সামনের মারহালাতে উপকার পান। এই মারহালাতে আপনি হালকা অস্ত্র, বোমা (বিভিন্ন ধরনের), হালকা রেইড, এ্যাম্বুশের উপর নির্ভর করবেন। এই মারহালায় সব সময় আপনার খুব কম ক্ষতি হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি বেশী সাহসিকতা দেখানোর প্রয়োজন নেই। এই মারহালায় শত্রু যখন রাগান্বিত থাকবে আপনি শত্রুকে চ্যালেঞ্জ করবেন না। এতে আপনার ব্যাপক ক্ষতি হবে। আপনি এই স্তরে কখনোই তামকিন নেয়ার চেষ্টা করবেন না। এমনকি শত্রু আপনাকে জায়গা ছেড়ে দিলেও। এটা শত্রুর পাতা ফাঁদ। তাই আমাদের দেশের অঞ্চলগুলো বা পাহাড়ি অঞ্চল ছেড়ে দিলেও ওখানে গিয়ে থাকবেন না। এটা আপনার রাজনৈতিক পরাজয়ের প্রথম কারন হবে। এই মারহালাতে আপনি শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা করবেন।
২য় মারহালা (ভারসাম্যতা রক্ষার মারহালা)
এই মারহালা হল শত্রুর সাথে আপনার শক্তির কিছুটা ভারসাম্য হয়েছে এমন। শত্রু কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। আপনি মাঝারি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেন। মুজাহিদদের সংখ্যা বেড়েছে, আপনি শত্রুর শক্তিশালি ঘাটিতে আক্রমণ করেছেন, কিছু এলাকা আপনার নিয়ন্ত্রনে এসেছে, গেরিলাদের গ্রুপ গুলো ২০-২৫ হতে পারে।
এই মারহালা হল শত্রুর সাথে আপনার শক্তির কিছুটা ভারসাম্য হয়েছে এমন। শত্রু কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। আপনি মাঝারি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেন। মুজাহিদদের সংখ্যা বেড়েছে, আপনি শত্রুর শক্তিশালি ঘাটিতে আক্রমণ করেছেন, কিছু এলাকা আপনার নিয়ন্ত্রনে এসেছে, গেরিলাদের গ্রুপ গুলো ২০-২৫ হতে পারে।
৩য় মারহালা (চুড়ান্ত বিজয়)
এই মারহালায় শত্রু এবং আপনি সরাসরি সংঘর্ষ করবেন। আপনার নিকট নিয়মিত সেনা ও আধা সামরিক দল আছে। ২য় মারহালাতে যে জায়গাগুলো বাকি আছে আপনি সেখানে মনোনিবেশ করবেন।
এই তিনটি মারহালা যে সব দেশে একি ভাবে শুরু হবে বিষয়টি এমন নয়। আর কখনো ভুলের কারনে ২য় মারহালাতে যুদ্ধ ব্যর্থ হতে পারে। মারহালা পরিবর্তনের সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। শত্রু চাইবেই আপনাকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।
এই তিনটি মারহালা যে সব দেশে একি ভাবে শুরু হবে বিষয়টি এমন নয়। আর কখনো ভুলের কারনে ২য় মারহালাতে যুদ্ধ ব্যর্থ হতে পারে। মারহালা পরিবর্তনের সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। শত্রু চাইবেই আপনাকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।
গেরিলা যুদ্ধ সফল হওয়ার কারনসমুহ। আর এটা বর্ণনা করা হচ্ছে শাইখ আবু মুস'আবের গেরিলা যুদ্ধের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কিতাব থেকে।
" শায়েখ বলেছেন গেরিলা যুদ্ধে সফলতার জন্য চারটি প্রধান কারন রয়েছে
১. একটি ইসলামী সশস্ত্র গেরিলা সংগঠন থাকবে।
২. এটি জনগনের নামে চলবে বা আন্দোলিত হবে।
৩. গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার মত অবস্থা/কারণ থাকা লাগবে।
৪. পরিপূর্ণ পরিকল্পনা ও কৌশল থাকা লাগবে।""
এগুলোর ব্যাখ্যা ইনশাআল্লাহ পরের পাঠে।
২. এটি জনগনের নামে চলবে বা আন্দোলিত হবে।
৩. গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার মত অবস্থা/কারণ থাকা লাগবে।
৪. পরিপূর্ণ পরিকল্পনা ও কৌশল থাকা লাগবে।""
এগুলোর ব্যাখ্যা ইনশাআল্লাহ পরের পাঠে।
প্রিয় ভাই, যুদ্ধ একটি বাস্তবতা। এতে আবেগের থেকে প্রয়োজন বাস্তবতা বুঝা। আপনি ইসলামী আন্দলনের একজন সশস্ত্র কর্মী হওয়ার নিয়ত করেছেন আপনার অবশ্যই যুদ্ধের বাস্তবতা, শত্রুর অবস্থা সম্পর্কে ভাল করে জানা থাকা লাগবে। আপনার উপর হয়ত জেল জুলুম হতে পারে, সেটার জন্য প্রস্তুত থাকা। এরকম পরীক্ষা আসলে সবর ও ইস্তিকামাত থাকা। হিন্দের ভুমিতে সফলতার জন্য প্রয়োজন আপনার ইখলাস, তাওয়াক্কুল, আনুগত্যতা, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি। আপনি নিজেকে এখন থেকেই গড়ে তুলুন দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য। নিজের মাঝে সবর ও সহনশীলতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজেকে উত্তম গুণে গুণান্বিত করার চেষ্টা করুন, দুয়া করুন। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে কবুল করুন মুশরিকদের বিরুদ্ধে। আমিন
Comment