Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাতিমের জন্য মব জাস্টিস ১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাতিমের জন্য মব জাস্টিস ১

    full post in PDF format https://archive.org/download/shatim_...orjalocona.pdf

    ইতিপূর্বে বিভিন্ন নীতিশাস্ত্রের আলোকে কটূক্তি খারাপ বলে যুক্তি দেয়া হয়েছে। এতদসত্বেও কোন কোন দার্শনিক অপমানকে বৈধতা দেয়ার কথা ভেবেছেন।

    অপমানের বৈধতা প্রসঙ্গ


    অপমান নিয়ে গবেষণা করেছেন এমন একজন ব্যক্তি হলেন জিরোম নিউ। তার sticks and stones বইয়ে তিনি বলেছেন, কাউকে অপমান করা তখনই যৌক্তিক হয়, যখন কোন বেয়াদবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে তা করা হয়। তার ভাষায়, where the disappointed expectations are presumptuous, and insulting is a proper putting of someone in their place, a puncturing of pretensions।
    কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস শ্যাকেলের মতে, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখলে অপমান করা উচিত। তার ভাষায়, People in power deserve it when they stupidly, arrogantly or indifferently muck up our lives, something they do routinely. They deserve it most especially when they misuse their authority, such as when they do so to display their power by make someone’s life worse or for the purpose of getting their own back on someone who resists their misuse of power. https://blog.practicalethics.ox.ac.u...ise-of-insult/

    গুলেপফ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাস্টিন কার্টার উপরের উভয়ের অনুরূপ বলেছেন যে, মজলুম পাল্টা অপমান করতে পারবে।
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন নম্র ভদ্র, আদিল ব্যক্তি হিসাবে তার যামানার শত্রুদের কাছেই প্রসিদ্ধ ছিলেন। ... এতদাসত্বেও তাকে অপমান করা ব্যক্তির প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু সাব্যস্ত করে না।

    পিয়ার্স কলেজের দার্শনিক কেলি উইরাইখ তো অপমান করা থেকে দূরেই থাকতে বলেছেন। একান্ত করতেই হলে যেসব শব্দভাণ্ডার ব্যবহার করতে বলেছেন তা অন্তত শাতিমদের পক্ষে মেনে চলা সম্ভব না। https://ncdj.org/style-guide/

    উল্লেখ্য এসকল বস্তুবাদী দার্শনিকদের অনেকেই (যেমন-জাস্টিন কার্টার) নৈতিক আপেক্ষিকতাবাদী; যে তত্ত্বের উন্মাদ দাবিসমূহ কিঞ্চিৎ পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং ইংরেজিতে বিশ্লেষণ যখন করেছে, তখন সত্য বলেছে ধরে না নিয়ে সকল অবস্থায় অপমান থেকে বিরত থাকার ইসলামি পরামর্শ দিচ্ছি; সেটাও নয় ইংরেজিতেই দিলাম https://darulifta-deoband.com/home/en/qa/8889

    এই বিশাল আলোচনার আসলে কোন প্রয়োজন ছিল না। কারণ স্বাভাবিক বিচার -বুদ্ধি থাকলে শাতিমের কাজকে ভাল মনে করার অবকাশ নেই। তবে সামনের আলোচনার ভিত্তি মজবুত করবে ইনশাআল্লাহ্।

    এখন প্রশ্ন হল, অপমান এবং কটূক্তি করা খারাপ, কিন্তু তা কি শাস্তিযোগ্য?

    বস্তুবাদী দার্শনিকদের প্রায় সবাই অপমান করাকে অনৈতিক মনে করলেও এই ব্যাপারে একমত যে, কটূক্তিকারীকে আইনের আওতায় আনা যাবে না। এর পিছনে কারণ স্পষ্ট; একজন সেকুলারের কাছে সকল ধর্মই সমানভাবে ভুয়া। আর পরিস্থিতি যখন তা-ই, তখন কাউকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যৌক্তিক হতে পারে না।

    জিরোম নিউ-য়ের একটা উক্তি থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়, I have tried to argue that offense is less of a danger than the stifling of free speech. There might in the end be no limit to religious sensitivities and ultimately no scope for freedom of expression.
    তার বক্তব্যের রদ করা কঠিন কিছু না। কিন্তু আজকে সেদিকে না যাই। মূলত, আমাদের মতো সে-ও তার ধর্মের মূলনীতিকে হুমকির মুখে ফেলতে রাজি না; যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
    এখন আমরা দেখবো শাতিমকে আইন প্রণয়ন করে অপরাধী সাব্যস্ত করা খলীফার পক্ষে যৌক্তিক কিনা।

    বিভিন্ন দেশে যেখানে হলোকস্ট কিংবা আর্মেনিয়া হত্যাকাণ্ড অস্বীকার করলেই জেলে যেতে হয়, (https://www.splcenter.org/fighting-h...rs-sent-prison) সেখানে এতটুকু তো প্রমাণ হয়েই যায় যে, বাক-স্বাধীনতা অসীম নয়; বরং অনেক ক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য। আর এখন তো স্পিচ আইন প্রক্রিয়াধীন আছেই। https://academic.oup.com/book/9256/c...ract/155957982
    গায়িকাদেরও আজকাল সুশীল কথায় গান গাইতে হয়; যা বাক-স্বাধীনতার অবাধ না হবার ব্যাপারে সামাজিক সম্মতি প্রমাণ করে। https://www.theguardian.com/commenti...-my-heart-sank

    দ্বিতীয়ত, ধর্ম আইনের অন্যতম উৎস। ধর্মে শাতিম হত্যার কথা থাকলে তা গ্রহণ করা রাষ্ট্রের জন্য অযৌক্তিক কিছু না। https://bangla.bdlawpost.com/2024/07...of-law-in.html

    https://wikioiki.com/%E0%A6%86%E0%A6...6%BF%E0%A6%B8/


    তৃতীয়ত, রাষ্ট্র একটি সার্বভৌম সত্ত্বা। সে সার্বভৌম একারনেই যে, সে তার খেয়ালখুশি মতো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাখে।

    এর বিপরীতে কেউ কেউ মানবাধিকার কার্ড ফেলতে পারে। মনে রাখতে হবে, মানবাধিকার আইন মানুষের বানানো। নিজে একজন মানুষ হয়ে আরেকজনের বানানো আইন মানার চেয়ে নিজের বানানো আইন মানা অনেক ভাল। তাছাড়া কিছু লোক নিজেদের বানানো ফিরিঙ্গি আইন সার্বজনীন দাবি করলেই সেটা সার্বজনীন হয়ে যায় না। এমনকি কথিত মানবাধিকার আইনের প্রাথমিক সংস্করণের ব্যাখ্যাও রিদ্দা-র আইনের বিরোধী ছিল না। অর্থাৎ আইনের ব্যাখ্যা কে করছে, সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। https://www.bespacific.com/a-history...united-states/

    ফলবাদ নিয়ে আলোচনায়, শাতিম কেন জাতীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি তার 7টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং জাতীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাষ্ট্র তার সার্বভৌম ক্ষমতার বলে শাতিমকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে। কথিত মানবাধিকার আইনের ধার ধারার কোন কারণ নেই।

    শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ-
    অপরাধের মাত্রা যত বেশি হয়, শাস্তি তত বেশি। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Proportionality_(law)

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্যালেস্টার বেল বলেছেন, অপমানকারীকে পাল্টা অবজ্ঞার শিকার বানাতে হবে। তার ভাষায়, One way of protecting oneself from feeling insulted would be to muster a targeted counter-contempt towards one's insulters. Such a targeted counter-contempt would protect targets from feeling insulted, and it may help victims of racist and sexist insults maintain their sense of self-respect. https://ndpr.nd.edu/reviews/sticks-a...hy-of-insults/

    আমাদের বক্তব্য হল, একজন ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে অপমান তখনই করা সম্ভব, যখন তার সত্ত্বার অস্তিত্বের গুরুত্বকেও অবজ্ঞা করা হয়। আর এই চরম পর্যায়ে উপনীত হবার কারনও আছে। কারনটা হল, আমি যাকে আমার প্রাণের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই, সেই সত্ত্বা অবজ্ঞার শিকার হয়েছে। অন্য কথায়, শাতিম আমার অস্তিত্বকেই অবজ্ঞা করেছে।

    ওমর (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমার কাছে সবকিছু থেকে প্রিয়, তবে আমার জান ছাড়া। তখন নবীজী (সা.) বললেন, না ওমর, এতে হবে না। যে সত্তার হাতে আমার জান তাঁর কসম! (ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারবে না,) যতক্ষণ না আমি তোমার কাছে তোমার জানের চেয়েও প্রিয় না হই। পরক্ষণেই ওমর (রা.) বললেন, হাঁ এখন তা হয়েছে; আল্লাহর কসম! (এখন থেকে) আপনি আমার কাছে আমার জানের চেয়েও প্রিয়। তখন নবীজী (সা.) বললেন, হাঁ ওমর! এখন হয়েছে। (সহীহ বুখারী : ৬৬৩২)।
    স্পষ্টত:, এই হাদিস সকল মানুষের ব্যাপারে না, তাই এই যুক্তি অন্য সাধারণ মানুষের ব্যাপারে খাটে না। অন্যদের ব্যাপারে বেল কিংবা কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস শ্যাকেলের পাল্টা অপমানের পথ অনুসরণ করার চেয়ে চুপ থাকা ভাল। কারণ নিজে ঠিক জেনেও তর্কে চুপ থাকলে জান্নাতে উচু ঘর পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ্।

    এই যুক্তি হিন্দুদের গোপ্রীতির অনুরূপ নয়। কারণ মানুষের উপর গরুকে প্রাধান্য দেয়ার মত গাজাখুরী দর্শন, প্রায় সকল প্রকার প্রস্তাবিত নীতিশাস্ত্রের বিরোধী। special pleading ছাড়া গরুকে অন্যান্য পশুর উপরেই প্রাধান্য দেয়া যায় না, সেখানে বিশেষ ব্যক্তির প্রতি altruism মানব ইতিহাসে ও সাহিত্যে অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা।

    শাতিমের জন্য এই চরম শাস্তির আরও কারণ হল, সে পরোক্ষভাবে আল্লাহ, কুরআন, সকল পবিত্র বিষয় এবং অদৃশ্য জগতের মত প্রকৃত বাস্তবতাকে অস্বীকার করার মাধ্যমে তার নিজের অস্তিত্বকেও অর্থহীন প্রমাণ করেছে। আর ইহজীবন প্রকৃত বাস্তবতা নয়, near death experience এর অতি মজবুত প্রমাণ। মুফতি তাকী উসমানী হাফি: -এর 'দুনিয়ার ওপারে' এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম। https://archive.org/download/TaqiUsm...ina.com%29.pdf

    যাইহোক, এই যুক্তিতে সকল কাফের হত্যার উপযুক্ত হলেও আইনের বলে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার কারণে হত্যা করা যায় না। শাতিম অন্যদিকে সামাজিক চুক্তি ভঙ্গ করে এবং তাকে হত্যাই তখন আইনের শাসন বলে বিবেচিত হয়।

    আর প্রাণের চেয়ে মূল্যবান সত্বাকে (সত্তা) অবজ্ঞা করার বিপরীতে অপমানকারীর অস্তিত্বের অধিকারকে অবজ্ঞা করা নিছক দাবিই নয়; আমাদের ভাইয়েরা যে নিজেদের প্রাণের চেয়ে নবীজির সম্মানের ব্যাপারে বেশি উদ্বিগ্ন তা তো আদালত প্রাঙ্গণে তাদের হাসি থেকেই স্পষ্ট। সুতরাং আমাদের দাবি এবং কাজ পরস্পর বিরোধী নয়। বরং সেকুলারদের পক্ষ থেকে তাদের মেটাফিজিক্যাল অবস্থানের ব্যাপারে একনিষ্ঠতা প্রমাণের প্রয়োজন আছে। ভুলে গেলে চলবে না, মৃত্যুকে অবজ্ঞা করার নামই বীরত্ব।

    “Valor is the contempt of death and pain.” — Tacitus

    বস্তুত, শাতিমের সাজা মৃত্যুদণ্ড অপেক্ষা বেশি কিছু হওয়া উচিত। কারণ সে যাকে অবজ্ঞা করেছে সেটা আমার প্রাণের চেয়ে দামি। কিন্তু দুনিয়াতে যেহেতু মৃত্যুদণ্ড অপেক্ষা অতিরিক্ত শাস্তি দেয়া অসম্ভব, সেহেতু এখানেই সীমিত রাখতে হল।

    এখন যেহেতু আমরা শাস্তির মাত্রা মৃত্যদণ্ড হওয়া এবং খলীফা কর্তৃক তা কার্যকর করার বৈধতা সম্পর্কে আন্দাজ করতে পেরেছি; খলীফার অনুপস্থিতিতে তা কার্যকর করা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা যাক।

    (চলবে ইনশাআল্লাহ্ )
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 3 days ago.

  • #2
    শাতিমের জন্য মব জাস্টিস- 2

    full post in pdf format
    https://archive.org/download/shatim_202501/shatim%20oporadh%20o%20shastir%20porjalocona.pdf

    সেকুলার দেশে থেকে শাতিম হত্যা নিষিদ্ধ হলেও ইসলামি দেশের প্রেক্ষাপটে শাতিম হত্যা অত্যন্ত যৌক্তিক, যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু যদি ইসলামি হুকুমত না থাকে, তখন?

    মৌলিক নৈতিক ভিত্তি-

    শাতিমের শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ করতে গিয়ে যে মেটাফিজিক্যাল ধারণা বর্ণনা করা হয়েছে, তা খিলাফাতের অস্তিত্ব থাকাকে আবশ্যক করে না। কারণ ইসলামি শাসন থাকুক বা না থাকুক, সকল শর্তেই মুমিনের নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিজের জীবনের থেকেও প্রিয়। ফলশ্রুতিতে, শাতিমকে হত্যার প্রয়োজনীয়তা ইসলামি দেশের সীমানা ও অস্তিত্ব থেকে স্বাধীন হয়ে যায়। moral justification হিসাবে এটাই প্রথম ভিত্তি প্রদান করে।
    এর কিছু ইতিবাচক গুরুত্ব-
    1। যেহেতু মুসলিমরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সুবিচার পাচ্ছে না। মব জাস্টিস এখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
    2। বিদ্যমান কল্পিত সামাজিক চুক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অবমাননা করে; আল্লাহর সাথে রূহের জগতের চুক্তিকে সত্যায়িত করে।
    3। উম্মাহ তার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন উপলব্ধি করতে পারে।
    4। জনগণ প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার চেয়ে শাতিম বিচারে অধিক একাত্মতা অনুভব করে।

    একাকী বা লোন উলফের যৌক্তিকতা -

    এজাতীয় crime control vigilantism কালেভদ্রেই bystander vigilantism হয়ে থাকে এবং অনেক উল্লেখযোগ্য নৈতিক ন্যায্যতার কারণ দর্শানো যায়-
    পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ড কোন স্বার্থান্বেষী কারণে সংগঠিত হয় না; বরং উম্মাহর স্বার্থে হয়ে থাকে।
    • হত্যাকারীরা রাষ্ট্রের আদর্শগত পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
    • উদ্দেশ্যের মাহাত্ম্যের কারণে এই হত্যা উপযোগিতাবাদ দ্বারা সমর্থনযোগ্য বলে আমরা মনে করি।
    • সামাজিক সমর্থন এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান বৈধতা দানকারীর একটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট দেখলেই বুঝা যায় যে নিহত ব্যক্তি কোন সমবেদনা পাচ্ছে না।
    • শাতিমকে হত্যা করা হয় ধর্মীয় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে; এটাকে ইচ্ছাকৃত হত্যার সাথে তুলনা করা যায় না।
    তা সত্বেও, আমাদের বিপ্লবী ভাইদের ফাসি দেয়া হয়। কারণ,
    For the powerful, crimes are those that others commit
    (Noam Chomsky, David Barsamian (2010). “Imperial Ambitions: Conversations on the Post-9/11 World”, p.73, Macmillan)


    সম্ভাব্য সমালোচনা-

    এটাকে wild justice বললেও একথা অস্বীকার করা যায় না যে, অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এটা নেহায়েত আবেগ তাড়িত অবিবেচিত কর্ম নয়। বরং পিলিয়াভিন ও রোডিনের মতে, এটা হন্তারকের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। (I. Piliavin. J. Rodin and J. Piliavin, "Good Samaritanism: An Underground Phenomenon?" Journal of Personality and Social Psychology 13 (1969): 289-99)

    ল্যান্স শটল্যান্ড Spontaneous Vigilantism: A Bystander Response to Criminal Behavior নিবন্ধে লিখেছেন, the observation of an emergency creates an emotional state on the part of the observer. This state can range from disgust to rage depending upon the circumstances. The more a bystander can empathize with the victim, the more intense this emotional state will be...The benefits accrued by participating in spontaneous vigilantism are the reduction of this emotional state and the belief that this act will help make the participant and his community safer. Thus, he lowers his anxiety over the crime rate in his community by taking personal action...spontaneous vigilantism... may be expected when the following conditions exist: a) where the interpretation of the incident is unambiguous and clear. (b) Where the opinion of the bystanders or community is unanimous concerning the blame for the crime
    অর্থ- জরুরি অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলে পর্যবেক্ষকের মধ্যে এক ধরণের আবেগগত অবস্থা তৈরি হয়। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এই অবস্থা ঘৃণা থেকে শুরু করে ক্রোধ পর্যন্ত হতে পারে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী যত বেশি ভুক্তভোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন, এই আবেগগত অবস্থা তত তীব্র হবে।...স্বতঃস্ফূর্ত সচেতন যোদ্ধার অংশগ্রহণের ফলে যে সুবিধাগুলি পাওয়া যায় তা হল, এই মানসিক অবস্থা হ্রাস করা এবং এই বিশ্বাস যে, এই কাজটি অংশগ্রহণকারী এবং তার সম্প্রদায়কে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে। এইভাবে, তিনি ব্যক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে তার সম্প্রদায়ে অপরাধের হার সম্পর্কে তার উদ্বেগ কমিয়ে আনেন।...স্বতঃস্ফূর্ত সতর্কতা... নিম্নলিখিত পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলে আশা করা যেতে পারে: ) যেখানে ঘটনার ব্যাখ্যা দ্ব্যর্থহীন এবং স্পষ্ট। () যেখানে প্রত্যক্ষদর্শী বা সম্প্রদায়ের মতামত অপরাধের দোষের বিষয়ে একমত।
    তানজিমের অধীনে

    তানজিম এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে থাকলে তা যুদ্ধের অংশ হিসাবে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে এটা মোটেই first degree murder এর আওতায় আসবে না, এধরনের targeted killing এক প্রকার excusable homicide এর অংশ বলা যেতে পারে।

    তানজিম বিদ্যমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লব করার চেষ্টা করছে। এটা রাজনৈতিক সংগ্রাম, অপরাধ নয়।
    All politics is a struggle for power; the ultimate kind of power is violence.”
    C. Wright Mills

    The purpose of armed struggle is not simply to kill… its purpose is to reach a political goal.
    - Abu Abbas
    অভিজাতবাদী (elitist) পারেতো লিখেছেন, In virtue of class-circulation, the governing elite is always in a state of slow and continuous transformation. .. From time to time sudden and violent disturbances occur... Afterwards, the new governing elite again resumes its slow transformation. (Vilfredo Pareto, The Mind and Society, ed., Arthur Livingston (New York: Harcourt, Brace, 1935), 4: 1569.)
    অর্থ- শ্রেণী-চক্রের কারণে, শাসক অভিজাতরা সর্বদা ধীর এবং চলমান রূপান্তরের অবস্থায় থাকে... সময়ে সময়ে হঠাৎ হিংসাত্মক অস্থিরতা দেখা দেয়... এরপর, নতুন শাসক অভিজাতরা আবার তাদের ধীর রূপান্তর পুনরায় শুরু করে।
    মোস্কা লিখেছেন, the tendency to replenish ruling classes from below--is constantly at work with greater or lesser intensity in all human societies. At times the rejuvenation comes about in rapid or violent ways.(Gaetano Mosca, The Ruling Class, ed Arthur Livingston (New York: McGraw-Hill, 1939), pp. 413)
    অর্থ- নিচ থেকে শাসক শ্রেণীকে পুনরায় পূরণ করার প্রবণতা - সমস্ত মানব সমাজে বৃহত্তর বা কম তীব্রতার সাথে ক্রমাগত কাজ করছে। কখনও কখনও এই পুনর্জাগরণ দ্রুত বা হিংসাত্মক উপায়ে ঘটে।
    সম্ভাব্য সমালোচনা-

    তানজিমের পক্ষ থেকে পরিচালিত মিশনকে vigilante politics হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। অনেকেই এর সমালোচনার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু আরোপিত অভিযোগের প্রায় কোনটাই আমাদের বিরুদ্ধে ধর্তব্য নয়।

    যেমন জন লক
    , রোজেনবাম ও সেডেরবার্গের মতে এজাতীয় কাজে সমাজে রক্তপাত বেড়ে যাবে। কিন্তু আমরা তেমন কিছু গত দশকে দেখি নি। লক লিখেছেন, it is unreasonable for Men to be Judges in their own Cases, that Self-love will make men partial to themselves and their Friends. And on the other side, that III Nature, Passion and Revenge will carry them too far in punishing others ( Two Treatises of Government, ed. Peter Laslett (New York: Mentor Books, 1965), p. 314.)
    এটা একটা যৌক্তিক আশঙ্কা যে, পরিস্থিতি স্বজনপ্রীতি, অবিচার এবং যুলুমে পৌছাতে পারে। কিন্তু শাতিমের ক্ষেত্রে পরিচালিত অভিযানে এরকম কিছু দেখা যায় নি; এমনকি হবার সম্ভাবনাও নেই, যা যে কোন চিন্তাশীল লোকের পক্ষে অনুমান করা সম্ভব।

    গণতান্ত্রিক তাত্ত্বিকরা অভিযোগ করতে পারে যে, শাতিম হত্যার সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। কিন্তু তা মোটা বুদ্ধির পরিচয় দিবে। তাছাড়া ইসলামি মতাদর্শ প্রচলিত গণতন্ত্রের একরকম antithesis পর্যায়ের; সুতরাং গণতন্ত্রের প্রচলিত ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সমালোচনা সুবিচার হবে না। অন্যদিকে মুজাহিদ ঠিকই তার সম্প্রদায়ের প্রতি ভ্রাতৃত্ব অনুভব করে। এখানে শাতিম স্বয়ং সমাজবহির্ভূত। To be associable one must feel respect for his fellow citizens (Edmond Cahn, The Predicament of Democratic A/an (New York: Dell, 1962), pp. 164-65.) শাতিম পৃথিবীর 25% মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না। শাতিমের পাওনা বুঝিয়ে দেয়াই সামাজিক সম্প্রীতির পরিচয়।

    অন্যান্য অভিযোগ -

    1। বেচে থাকার অধিকার খর্ব- কেন শাতিম বেচে থাকার অধিকার হারায় আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
    2। সুবিচার বা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার - শাতিম তার অপরাধের ব্যাপারে প্রকাশ্য বলেই শাস্তির আওতায় আসে। তার কাজ কোন রূপ ব্যাখ্যার দাহি রাখে না। আর bystander vigilantism হলে এগিয়ে আসা নায়ক অস্পষ্ট অপরাধে নিজেকে জড়ায় না যা শটল্যান্ডের আলোচনায় গত হয়েছে। আর তানজিমে বিশেষ শারঈ বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুতরাং ভুল করে কাউকে আক্রমণের প্রশ্ন উঠে না।

    উপসংহার -

    1। কটূক্তি ও অপমান অনৈতিক কাজ।
    2। যেসব দার্শনিক কিছু পরিসরে অপমানের অনুমতি দেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেসব শর্তের বাহিরে।
    3। ইসলামি রাষ্ট্রের পক্ষে অপমানের সাজা মৃত্যু দুণ্ড হবার যথাযথ কারণ আছে।
    4। ইসলামি দেশের অনুপস্থিতিতেও শাস্তির মাত্রা capital punishment হবার মেটাফিজিক্যাল ভিত্তি অক্ষত থেকে যায়।
    5। সেকুলার দেশে মুসলিম সুবিচার পায় না বলে আইন হাতে তুলে নেয়।
    6। শাতিম ছাড়া অন্যান্য অপরাধ আইন হাতে তুলে নেয়ার মত গুরুতর নয়।
    7। আইন হাতে তুলে নিলে রাষ্ট্রের আইনের লঙ্ঘন হলেও মুজাহিদ কোন মতাদর্শগত স্ববিরোধীতায় লিপ্ত হয় না।
    8। তানজিমের অধীনে থেকে শাতিম হত্যা করা নৈতিক ও দর্শনগতভাবে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ ( consistent and coherent )

    Comment

    Working...
    X