Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলাদেশে আক্রান্ত ইসলামঃ জিহাদী জামাতসমূহের ব্যর্থতা ও করণীয়

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    ১।
    তাই, জিহাদি তানজিমগুলোর এমন চিন্তাধারার উপর দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করা, সাধারণ মুসলিমদের সাথে ধোকা করার সামিল।
    বেশ ভারি হয়ে গেল কিনা কথাটা ভাবছি।

    ২।
    বাকি, গ্লোবাল মানহাজের / গ্লোবাল জিহাদের কনসেপ্ট এর মধ্যে থেকেই কোন অঞ্চলের স্ট্যাটাস পরিবর্তন হতে পারে বটে, অর্থাৎ, অগ্রগণ্য থেকে সাপোর্টিং বা সাপোর্টিং থেকে অগ্রগণ্যে। তবে তার জন্য যথাযথ উপসর্গ, অনুষঙ্গ ও নিয়ামক দরকার। আলহামদুলিল্লাহ, এখানেই আপনার আলোচনার স্বার্থকতা যে, আপনি হয়ত বুঝতে / বা বুঝাতে চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ আছে কিনা, আমরা সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করছি কিনা। এবং এই আলোচনা অবতারণের মাধ্যমে অন্যান্য ভাইদেরও মতামত / মাসোয়ারা আসার সুযোগ ঘটানো ( যদিও ওপেন ফোরাম হবার সুবাদে বিচক্ষণ ভাইরা হয়ত অল্পই রেসপন্স করবেন )। অতঃপর সবকিছু কম্পাইল করে যথাযথ অথরিটির নিকট পেশ করা - তাদেরকে ভাবতে 'সাহায্য' করা, স্ট্রাটেজি রিভিউ করতে সাহায্য করা।

    প্রচেষ্টা এমন হলে সাধুবাদ রইল।

    ৩।
    আজকাল আর 'জনবিক্ষোভ' / 'জন বা গণআন্দোলন' মাত্রই আপামর জনসাধারণের ( কমপক্ষে %৫০ এর) মনের কথা বহন করে এমন নয়। সেগুলোকে তাই 'জন' বলা যায় কিনা ভাবনার বিষয় বরং বেশিরভাগই ইন্টারেস্ট গ্রুপের কারসাজি। তাই সবগুলোতেই একাত্নতা প্রকাশ করা যায় না - যেমন সাম্প্রতিক কুমিল্লা'র টা - এটাতে কুশীলবরা চেয়েইছিল দাড়ি-টুপি ওয়ালারা যেন নেমে পড়ে, তাদেরকে ফলস পজিশনে ফেলা যায়। 'হিন্দু-মুসলিম' দাঙ্গা উস্কে দেওয়া যায়। তারপর নিজেরা ইচ্ছামত খেলা যায়।

    হিন্দু - মুসলিম যুদ্ধ হবে বটে কিন্তু সেটা হবে 'শিরক' এর গ্রাউন্ডে, কোন রাজনৈতিক গেইম এর পুতুল হিসাবে নয়। আর শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে রাজনৈতিক গেইম যদি খেলতেও হয় তবে সটা আমাদেরই প্লট করা গেইম হলে ভাল হবে। চালকের আসনে আমরা থাকা চাই, অন্যের ফাঁদা গেইমে ফেঁসে নিজেদের বৃহৎ উদ্দেশ্য / লক্ষ্য থেকে ডি-ফোকাসড না হওয়া চাই। বিইযনিল্লাহ।

    বলাই বাহুল্য সম্প্রতি আওয়ামীলিগ সরকারের সাথে ভারতের / বা 'র' এর বা/ বিজেপি সরকারের অবনিবনার জের ছিল এই গেইম।

    ৪।
    তাই, আল্লাহর এই জমিনে জিহাদের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এবং সাধারণ জনগণকে জিহাদের বিশাল কর্মযজ্ঞে শামিল করতে নেতৃস্থানীয়দের এগিয়ে আসতে হবে, যাতে হঠাৎ সৃষ্ট এই জনরোষকে অবিরাম আন্দোলনের রূপ দেওয়া যায়।
    নিরাপত্তার কারণে সশরীরে না হলেও হয়ত ভার্চুয়ালি এগিয়ে আসতে পারেন, যিনি/বা যারা একিউআই এস এর প্রতিনিধিত্ব করবেন, যাদের উপর লাখ - কোটি মানুষ আস্থা রাখবেন, স্বপ্ন দেখবেন ও ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

    এখন কথা এসে যায়, 'এ কিউ আই এস' ! বলে কথা। আম জনতার কাছে কতটা হজমযোগ্য । নৌকা, ধানের শীষ আর লাংগলের পরিমণ্ডল / বা মানসপটে একে একটি অপশন হিসাবে দাঁড় করাতে হবে! বিষয়টি পরিশ্রমের, দীর্ঘ আর সবরের...। 'সুযোগ' এর ও বটে। ( সর্বপরি আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে অলৌকিক পরিবর্তনের) ।

    তবে হ্যা 'সুযোগ' দেখি। নৌকা, ধানের শীষ লাংগল ইত্যাদি তে মানুষ বিরক্ত ও বিতশ্রদ্ধ হওয়ায় একটি রাজনৈতিক ও নেতৃত্ব শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বটে - এটা সুযোগ। তবে ভোটকে মাধ্যম হিসাবে মানে, মানানো হয়। ভোটের বাইরে শুধু 'আর্মি' ক্ষমতা নিলে খুশি হয়। কিতালের মাধ্যমে 'এ কিউ আই এস বাংলাদেশ অংশ' বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করলে খুশি হবে কিনা - কি মনে করেন? শুধু মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স এবং হোম মিনিস্ট্রির আওতায় যে কুকুর গুলো পোষা হয় সেগুলো শান্তিতে আপনাকে সেটা গ্রহণ করতে দিবে কিনা - সেটা ম্যানেজ করার জন্য কি ভাবনা, গ্রহণ করে ফেললেও তাদেরকে দীর্ঘ সময় বশে রাখার মন্ত্র কি হবে - হোম ওয়ার্ক করে রাখা যায়। আর এই কাজ করার জন্য যে স্ট্রেংথ (সক্ষমতা) দরকার সেটা নাহয় অর্জন করার কাজে কোমর বেঁধে নেম পড়া যাবে যতদিন লাগে কিন্তু তার আগে সাব্যস্ত করতে হবে - এটাই করা হবে কিনা। অর্থাৎ, স্ট্রাটেজি রিভিউ।


    ৫।
    এই মহান নেতাদেরই ভাবতে হবে,
    নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে সমান্তরালভাবে জনবিক্ষোভের সাথে একত্রিত হওয়া সম্ভব কি না?*
    সম্ভব হলে- কিভাবে সম্ভব, পদ্ধতি কি হবে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে।
    জ্বি, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে !'

    (যা পর্যায়ক্রমিকভাবে অন্য লেখনীতে আলোচনার চেষ্টা করা হবে)
    => জ্বি ইনশাআল্লাহ, ইন্টারেস্টিং হবে নিশ্চয়ই। উপরে একক মাসোয়ারার নাসিহা ও এসেছে। ( আল্লাহ তা'আলা আমাদের নেক প্রচেষ্টা গুলো কবুল করুন। )
    "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
    আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
    "

    Comment


    • #17
      মুহতারাম abdul muqaddim ভায়ের বিশ্লেষণমূলক মতামতটি সকল ভাই পড়লে ভালো হয়!

      জাজাকাল্লাহ খাইরান! কখনো কোন পোস্টের নিচে একটি কমেন্টও অনেক মূল্যবান হয়ে থাকে যেমনটি মুহতারাম abdul muqaddim ভায়ের বিশ্লেষণমূলক কমেন্টে দেখা যাচ্ছে।
      এই বিষয়ে মুহতারাম ভাইদের বিশ্লেষণের অপেক্ষায় রইলাম! আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন এবং বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝে মানার তাওফিক দান করুন! আমীন!!

      Comment


      • #18
        আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

        "১/ ভারি হয়ে গেল কিনা কথাটা ভাবছি।*"
        ==> সম্ভবত, কিন্তু এই কথার সাথে দ্বিমত করার অবকাশও খুব বেশি নেয়। তাই নয় কি?

        "২। আলহামদুলিল্লাহ, এখানেই আপনার আলোচনার স্বার্থকতা যে, আপনি হয়ত বুঝতে / বা বুঝাতে চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ আছে কিনা, আমরা সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করছি কিনা।"

        ==> অনেকটাই তাই। কারণ ২০১৬ সালের বাংলাদেশ এবং ২০২১ সালের বাংলাদেশ এক নয়। অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সহকারী, প্রশাসনিক, হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
        অতি সম্প্রতি একক পরাশক্তির দাবিদার আমেরিকা তাদের খোলসের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে। যা আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলোর ক্ষমতায় আসার দ্বারকে উন্মোচন করেছে। অর্থাৎ বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বা সাধিত হতে যাচ্ছে।

        রুট লেভেলের অবস্থা যাছাই করার এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই দীর্ঘ সময়ে নিস্ক্রিয়তার মধ্যে আমরা কি সক্রিয়তার উপাদান যোগাড় করতে পেরেছি; নাকি আরো বেশি সক্রিয়তা হারিয়েছি? আমাদের দেখতে হবে আগামীতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কিনা? গ্রহণ করে থাকলে তা কতটুকু? আর স্বাভাবিকভাবে তা কাগজে কলমে হিসাব করা সম্ভব না।

        "৩। হিন্দু - মুসলিম যুদ্ধ হবে বটে কিন্তু সেটা হবে 'শিরক' এর গ্রাউন্ডে, কোন রাজনৈতিক গেইম এর পুতুল হিসাবে নয়। আর শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে রাজনৈতিক গেইম যদি খেলতেও হয় তবে সটা আমাদেরই প্লট করা গেইম হলে ভাল হবে। চালকের আসনে আমরা থাকা চাই, অন্যের ফাঁদা গেইমে ফেঁসে নিজেদের বৃহৎ উদ্দেশ্য / লক্ষ্য থেকে ডি-ফোকাসড না হওয়া চাই। বিইযনিল্লাহ।"

        ==> জি ভাই এবিষয়ে আমি পুরোপুরি একমত যে, যেকোনো গেমের চালক আসনে অবশ্যই আমাদের মুজাহিদ নেতাদের থাকতে হবে। কিন্তু কুমিল্লা বা রংপুর রংপুর-এর মত আন্দোলন জনআক্রোশের একটি ছোট অংশ হতে পারে, পুরো আন্দোলনের চিত্র না। সুতরাং এই আসনটি যদি অন্য কোন চালকের হাতে থাকে তাতে আমাদের কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বরং এই পরিস্থিতিগুলোকে ব্যবহার করে আমাদের একটা প্রান্তিকতা তৈরি করতে হবে; সেটা হিন্দু-মুসলিম প্রান্তিকতা হোক বা সেটা তাগুত-শিরক-ইমানের প্রান্তিকাই হোক না কেন।

        কারণ নেইলী হত্যাকাণ্ডে মুসলিমদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড আসামের হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। আবার বাবরি মসজিদ শহীদ করার পরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হিন্দুস্তানে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন এবং প্রান্তিকতাকে স্পষ্ট করেছছিল। সুতরাং এই ধরনে আন্দোলনকে আমরা এই প্রান্তিকতা তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।

        "৪। নিরাপত্তার কারণে সশরীরে না হলেও হয়ত ভার্চুয়ালি এগিয়ে আসতে পারেন, যিনি/বা যারা একিউআই এস এর প্রতিনিধিত্ব করবেন, যাদের উপর লাখ - কোটি মানুষ আস্থা রাখবেন, স্বপ্ন দেখবেন ও ঝাঁপিয়ে পড়বেন।"

        ==> জি সরাসরি না হলে ভার্চুয়ালি যদিও এই বিষয়টি আরও অনেক বেশি আলোচনা এবং বিতর্কের অবকাশ রাখে যাতে এটা সঠিক সমাধান পর্যন্ত পৌঁছানো যায়

        কিন্তু, একটি বিষয়ে আমি দ্বিমত করার অধিকার রাখি তা হচ্ছে, গণআন্দোলন তৈরি করার জন্য ব্যানার কতটুকু প্রয়োজনীয়? কারণ যেকোন জিহাদি তানজিমের মাকসাদ হওয়া উচিত তানজিমের মানহাযকে প্রাসঙ্গিক করে তোলা। স্বয়ং তানজিম কে নয়।

        যেমন, খতমে মুলহেদিন আন্দোলন-এর পালধারী ইমাম সৈয়দ জিয়াউল হক (হাফিজুল্লাহ)-এর মত ব্যক্তিত্ব যাদের উপস্থিতি বা যাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা সমাজকে, একটি আন্দোলনকে রূপ দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। আল্লাহু আ'লাম।


        "৫। জ্বি, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে !"
        ==> অবশ্যই, নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে।

        "উপরে একক মাসোয়ারার নাসিহা ও এসেছে। "
        ==> সম্মানিত ভাইয়ের দেওয়া মাসোহারা অবশ্যই বিবেচনার দাবি রাখে। কিন্তু এই ব্যাপারে আমার মত হচ্ছে একক মাসআলাগুলো স্বাভাবিকভাবে একক হয়ে থাকে যাতে প্রচুর ভুল ভ্রান্তি থাকার সম্ভাবনা থাকে। এমনও হতে পারে সামান্য কোন ভুলের জন্য কোন একটি বড় মাসোয়ারা বাতিল হিসেবে গণ্য হয়ে যেতে পারে তাই প্রত্যেকটি মাসোয়ারা আলোচনা-সমালোচনা যুক্তি-পাল্টা যুক্তি, তর্ক-বিতর্কে প্রয়োজনীয়তা রাখে।

        ( আল্লাহ তা'আলা আমাদের নেক প্রচেষ্টা গুলো কবুল করুন। -- আমীন)

        Comment


        • #19
          সম্মানিত পোষ্টদাতা ভাইকে জাযাকাল্লাহ। অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। ভাইয়ের আলোচনা প্রসঙ্গে আমি আমার দু’টি মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ। খুব সংক্ষেপে।

          ১. বাংলাদেশের গণবিক্ষোভ, বিশেষত: আলেমদের বিক্ষোভ ফেনার বুদবুদের ন্যায়, যার কোন ভিত্তি ও শিকড় নেই। মূর্তি নিয়ে চরম উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে আমি ভেবেছিলাম, হয়তো এখন থেকে আওয়ামীলীগের সাথে আলেমদের মুখোমুখি অবস্থা তীব্র হতেই থাকবে। উত্তেজনা বাড়তেই থাকবে। আলেমরা আন্দোলনের পর আন্দোলন করতে থাকবে। তারপর অনেকে নিহত, অনেকে কারাবন্দি, অনেকে পলাতক হবে। আওয়ামীলীগের সাথে আলেমদের চরম শত্রুতা স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তারপর কী ঘটলো?!!! সবাই দেখেছেন।
          তারপর নরেন্দ মোদি আগমন উপলক্ষে ২০জন শহিদ হলো। তখনও ভেবেছি, হয়ত চূড়ান্ত সংঘাতময় কোন পরিস্থিতি হবে, কিন্তু এরপরও তারা বারবার শান্তির কথাই বলে। আইন ও সংবিধানের কথাই বলে। সরকারের কাছে ছোট হয়ে নত হয়ে সংলাপ করতে যায়। যা ছিল অত্যন্ত লজ্জাজনক।
          যাইহোক, এটা বাংলাদেশের ভূমি। এখানকার মানুষের মধ্যে মুনাফিকী, স্বার্থপরতা, কাপুরুষতা ব্যাপক ও গভীর। এটা কোন আরবের ভূমি নয় কিংবা আফগানের ভূমিও নয়। তাই এদেরকে কাজের সময় পাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেরা কিছু একটা করবো বা আক্রমণ শুরু করে দিবো, সেটাও তো সম্ভব না। কারণ তখন শুধু আমরাই থাকবো। এরা পাশে থাকবে না। আর আমাদের একার পক্ষে তো প্রকাশ্য জিহাদ শুরু করা বা গোপন কার্য়ক্রমই ব্যাপক আকারে করা সম্ভব নয়।
          তাই এই অন্ত:সারশূণ্য গণবিক্ষোভকে সুযোগ মনে করার কোন কারণ নেই মনে হয়। বরং আমাদেরকে আমাদের সেই পুরান নীতিতেই আগাতে হবে। অর্থাৎ দাওয়াতুল ফারদের মাধ্যমে। তবে এটাকে কোন অপরাশনের ভিত্তি মনে না করে শুধু দাওয়াতের মাধ্যম বানানো যেতে পারে।

          ২. আমাদের দেশ ছোট্ট। চতুুর্দিক থেকে ভারতবেষ্টিত। ধরতে গেলে ভারতের পেটের ভিতর ছোট্ট একটা বাচ্চা। এখানে তো স্বতন্ত্রভাবে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা বা করে টিকে থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই। তাই এটাকে বৈশ্বিক জিহাদের সহযোগী অঞ্চল ভাবা ছাড়া উপায় নেই। আর আল্লাহও তো এমনটা আদেশ করেন নাই যে, স্বতন্ত্রভাবে এখানেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে হবে বা এখান থেকেই শুরু হতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে সমস্ত মুসলিম এক জাতি এবং সমস্তত ইসলামী বিশ্ব এক দেশ। তাই *পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে ইসলামী খেলাফত কায়েম হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তারপর সেখান থেকে সমগ্র ইসলামী বিশ্ব এবং কাফের বিশ্ব জয় করার কাজ চলবে।

          ৩. বাংলাদেশে কিছু হতে হলে অবশ্যই পার্শ্ববর্তী অঞ্চলুগলোতে সুবিধাজনক অবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সাথে লাগোয়া ভারতের প্রদেশগুলোতে। আর সেটা হতে হলে সমগ্র ভারতেই জিহাদের কাজ চলতে হবে এবং মুজাহিদদের অবস্থা শক্তিশালী ও ভারত সরকারের অবস্থা দুর্বল হতে হবে।

          মোটকথা, এসকল কারণে বৈশ্বিক জিহাদি চিন্তাধারা ব্যতিত এককভাবে শুধু বাংলাদেশ জয় করার পরিকল্পনা করা যায় না। বা বৈশ্বিক জিহাদি কার্যক্রমের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ব্যতিত এককভাবে এখানে বেশি অগ্রসর হয়ে যাওয়াও ফায়দাজনক হবে বলে মনে হয় না।

          এই হল আমার বুদ্ধির দৌড়। বাকিটা আল্লাহই ভালো জানেন।
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 10-29-2021, 08:14 PM.

          Comment


          • #20
            এদেশের জিহাদি কার্যক্রমের ব্যার্থতা সফলতা অনেকটাই হিন্দের জিহাদি কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে। যেহেতু উপমহাদেশে সাপের মাথা ভারত।কাজেই আমদের কার্যক্রম গুলোর ভারসাম্য না হওয়াটা বর্তমান পরিস্থিতির কারন। হতেপারে কাটাতারের এই পার্শে কিছু কাজ হলেও ঐ পার্শে কোন কাজ নেই। যতদিন ভারত অস্থিতিশীল না হবে ততদিন এখানে যতই অস্থিতিশীল হোক ফলাফল আসবেনা। তাইবলে এখন আমাদের কোন কাজ নেই এমন নয় চিন্তার পরিধিকে বর্ডারের ভেতর বন্দি না করে অন্তত ভারত বর্ষ পর্যন্ত নিয়ে আসা। ইনশাআল্লাহ সে সময়টা হয়তো বেশি নয় যখন ভারত সরকার অস্থিতশীল হবে কাশ্মীরের মতো আরো দুই একটা মারাকা তৈরী হবে বা কাশ্মীরের অবস্থাই এমন হবে যে মুদির পশ্চাৎদেশ লাল হয়ে যাবে। আর ভারত অস্থিতিশীল হয়ে গেলেই এখানে অপারেশন শুরু হয়েযাবে এমনটাও নয় কারন অপারেশন চালানোর জন্য যতটুকো জন সমর্থন ও সক্ষমতা দরকার সেটা এখনো যথেষ্ট হয়নি। আর কাশ্মীরের ঘা হয়তো এখানে এসে শুকানোর চেস্টা করবে ভারত। যার ফলে পরিনতি ভয়াবহ সেটা আঁচ করা যায়। এদেশের জিহাদ বিমুখ সাধারন জনগন মডারেট মুসলিম গনতন্ত্রকামী বিভিন্ন দল পীর মুরিদ উস্তাদ শাগরিদ তবলিগ ওয়ালা কথিত সুন্নী মাজার পন্থী লা মাযহাবী সহ মুসলিম নামধারী যারাই আছে তাদের উপর এক ভয়ংকর হিন্দুত্ববাদি আগ্রাসন অপেক্ষা করছে। যার প্রথম ধাপ অলরেডি শুরু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় আলিমদেরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে। কই সেখানেতো কে জিহাদি আর কে জিহাদি নয় সেটা দেখা হয়নি, কে গনতন্ত্রকামী কে গনতন্ত্রকামী নয় সেটাও দেখা হয়নি ব্যাপক ভাবে গ্রেফতার হওয়াটা আমদেরকে কীসের ইংগিত দেয় সেটা আমরা জনগনকে বুঝাতে পারছিনা। যার কারনে এই ভয়ংকর আগ্রাসনকে হয়তো আমরা শুরুতে ঠেকাতে ব্যার্থ হবো। ততদিনে হয়তো অনেক রক্ত ঝরে যাবে অনেক তাজা প্রান এমনিতেই চলে যাবে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই। এর পর যদি জনগন জাগে গনতন্ত্র বাদ দিয়ে প্রতিরোধ গড়েতুলে এবং ততদিনে হয়তো হিন্দের পরিস্থিতি অনুকুল হবে। এখন হয়তো বলবেন আমাদের যদি এতই মার খেতে হয় তাহলে এতদিন ধরে জিহাদি তানজিম গুলো কী করলো।তাদের সফলতা তাহলে কোথায়? আমি বলব এখানে শুধু এই দেশের জিহাদি তানজিম গুলোর কথা বলে লাভ নেই। হুজি জেএমবি যদি জন সমর্থন নিয়েও কাজ করতো তার পরও ভারতবর্ষ বাদদিয়ে শুধু এদেশে একটি তানযিম কতক্ষন টিকে থাকতে পারতো সেটাও লক্ষনীয়। খিলাফাতে উসমানিয়ার পতনের পর সারাবিশ্বে জিহাদি কোন তানজিম দাড়াতে পারেনি। তাগুতের ভয়ে আলিমরা জিহাদের অপব্যাখ্যা করা শুরু করেছে। তো এতোদিনের কাযা কাফফারা আদায় করতে একটু কুরবানী মেনে নিতে হবে। বাকী আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন। এখন আমাদের করনীয় হলো সামনে যে আগ্রাসন আসছে সেটা এক দীর্ঘ মেয়াদী সংঘাতের রূপ নিবে। এই দীর্ঘ সময় আমাদের টিকে থাকতে হবে। নিজেদেরকে সেফ রাখার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন মসজিদ ভাংগা মন্দিরে কুরআন রাখা আরো কতকিছু যে দেখতে হবে আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন। হয়তো এমন আরো অসংখ্য নাটক তৈরী হয়ে আছে শুধু মঞ্চায়নের বাকী। সুযোগ বুঝে সেগুলো আপনার আমার সামনে মঞ্চস্থ করা হবে। এসব কিছু হলো আগ্রাসনের পটভূমি তৈরির কাজ। এসব দেখে বিচলিত হলে চলবেনা। জিহাদি তানজিমগুলোর সমালোচনা করেও ফায়দা নেই। আপনি আমি মিলেই তো তানজিম। আমরা যদি কাজ করতাম আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহুর মতো ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারতাম। মোট কথা দাওয়াহ ইদাদের বিকল্প নেই। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক্ব দান করুন। আমীন!!

            Comment


            • #21
              বাংলাদেশ/ তিন দিক ভারত বেষ্টিত দেশটিতে জিহাদ/ যুদ্ধের পলিসি কেমন সেটা নির্ভর করে এখানকার মুসলিমরা কী চাই তার উপর। বাংলাদেশের মুসলিমরা যদি একটি সত্যিকারের ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে এবং সে অনুযায়ী প্রচেষ্টা চালায় তাহলে তাদেরকে দুটি বড় শক্তির মোকাবিলা করতে হবে, [ ভারত / হিন্দুত্ববাদী শক্তির] [ বাংলাদেশের সেকুলার জনগনের] ভাইয়েরা, তাহলে আমরা ভেবে দেখতে পারি শত্রুর সংখ্যা কত?? যুদ্ধে নামার আগে আমাদের অবশ্যই শত্রুর শক্তি ও অবস্থান নিশ্চিত হতে হবে। বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবে বহু নামধারী মুসলিমদের দেখতে পাচ্ছি/ পাবো। হে এখানে একটা বিষয় কাজ করে, মুজাহিদ ভাইয়েরা যদি মুলহিদ ও ভারতের চরদের হত্যাই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে এদেশের আর্মিদের বিশাল বড় একটা সংখ্যা মুজাহিদ ভাইদের সাথে থাকবে, সরাসরি না থাকলেও মনে মনে সাপোর্ট দিবে। ইন্ডিয়া যদি বাংলাদেশে আক্রমণ করে তাহলে মুজাহিদ ভাইয়েরা কী করবে??? আর্মিরাদের অধিকাংশ যেহেতু ইসলাম চাইবে না সেহেতু বসে থাকবে নাকি আর্মিদের সাথে এক হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করবে!? ভারত বিরোধী এদেশে বহু আর্মি আছে। ভারত আক্রমণ করলে এটা ভারতের জন্য ধ্বংসের কারণও হতে পারে। কারণ তখন জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে মুজাহিদ ভাইয়েরা ও আর্মিরা জোরালো আক্রমণ করবে, ইংশা আল্লাহ ভারত পরাজিত হবে।
              বাংলাদেশে ttp এর মতো যুদ্ধ করাটা খুবই কঠিন আমার কাছে মনে হচ্ছে। তবে হে আল্লাহ অবশ্যই কোন না কোন পথ খুলা রেখেছেন, আমাদের সেই পথ পদ্ধতিগুলো খুজে খুজে বের করতে হবে। আমাদের কিছু পদক্ষেপ হাতে নেওয়া সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবী,
              ১/ বাংলাদেশ প্রশাসনে আমাদের কতক ভাইকে ঢুকানো। বিশেষ করে আর্মিতে।
              ২/ আমাদের ভাইদের দ্বারা কিছু হসপিটাল খুলা।
              ৩/ কিছু ভাইকে ডাক্তার বানানো।
              ৪/ ইঞ্জিনিয়ার / কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
              ৫/ নিজেদের মালিকানাধীন জমিতে মাদ্রাসা/ স্কুল খোলা। ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা উচিত।
              আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
              আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

              Comment

              Working...
              X