১।
বেশ ভারি হয়ে গেল কিনা কথাটা ভাবছি।
২।
বাকি, গ্লোবাল মানহাজের / গ্লোবাল জিহাদের কনসেপ্ট এর মধ্যে থেকেই কোন অঞ্চলের স্ট্যাটাস পরিবর্তন হতে পারে বটে, অর্থাৎ, অগ্রগণ্য থেকে সাপোর্টিং বা সাপোর্টিং থেকে অগ্রগণ্যে। তবে তার জন্য যথাযথ উপসর্গ, অনুষঙ্গ ও নিয়ামক দরকার। আলহামদুলিল্লাহ, এখানেই আপনার আলোচনার স্বার্থকতা যে, আপনি হয়ত বুঝতে / বা বুঝাতে চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ আছে কিনা, আমরা সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করছি কিনা। এবং এই আলোচনা অবতারণের মাধ্যমে অন্যান্য ভাইদেরও মতামত / মাসোয়ারা আসার সুযোগ ঘটানো ( যদিও ওপেন ফোরাম হবার সুবাদে বিচক্ষণ ভাইরা হয়ত অল্পই রেসপন্স করবেন )। অতঃপর সবকিছু কম্পাইল করে যথাযথ অথরিটির নিকট পেশ করা - তাদেরকে ভাবতে 'সাহায্য' করা, স্ট্রাটেজি রিভিউ করতে সাহায্য করা।
প্রচেষ্টা এমন হলে সাধুবাদ রইল।
৩।
আজকাল আর 'জনবিক্ষোভ' / 'জন বা গণআন্দোলন' মাত্রই আপামর জনসাধারণের ( কমপক্ষে %৫০ এর) মনের কথা বহন করে এমন নয়। সেগুলোকে তাই 'জন' বলা যায় কিনা ভাবনার বিষয় বরং বেশিরভাগই ইন্টারেস্ট গ্রুপের কারসাজি। তাই সবগুলোতেই একাত্নতা প্রকাশ করা যায় না - যেমন সাম্প্রতিক কুমিল্লা'র টা - এটাতে কুশীলবরা চেয়েইছিল দাড়ি-টুপি ওয়ালারা যেন নেমে পড়ে, তাদেরকে ফলস পজিশনে ফেলা যায়। 'হিন্দু-মুসলিম' দাঙ্গা উস্কে দেওয়া যায়। তারপর নিজেরা ইচ্ছামত খেলা যায়।
হিন্দু - মুসলিম যুদ্ধ হবে বটে কিন্তু সেটা হবে 'শিরক' এর গ্রাউন্ডে, কোন রাজনৈতিক গেইম এর পুতুল হিসাবে নয়। আর শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে রাজনৈতিক গেইম যদি খেলতেও হয় তবে সটা আমাদেরই প্লট করা গেইম হলে ভাল হবে। চালকের আসনে আমরা থাকা চাই, অন্যের ফাঁদা গেইমে ফেঁসে নিজেদের বৃহৎ উদ্দেশ্য / লক্ষ্য থেকে ডি-ফোকাসড না হওয়া চাই। বিইযনিল্লাহ।
বলাই বাহুল্য সম্প্রতি আওয়ামীলিগ সরকারের সাথে ভারতের / বা 'র' এর বা/ বিজেপি সরকারের অবনিবনার জের ছিল এই গেইম।
৪।
নিরাপত্তার কারণে সশরীরে না হলেও হয়ত ভার্চুয়ালি এগিয়ে আসতে পারেন, যিনি/বা যারা একিউআই এস এর প্রতিনিধিত্ব করবেন, যাদের উপর লাখ - কোটি মানুষ আস্থা রাখবেন, স্বপ্ন দেখবেন ও ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
এখন কথা এসে যায়, 'এ কিউ আই এস' ! বলে কথা। আম জনতার কাছে কতটা হজমযোগ্য । নৌকা, ধানের শীষ আর লাংগলের পরিমণ্ডল / বা মানসপটে একে একটি অপশন হিসাবে দাঁড় করাতে হবে! বিষয়টি পরিশ্রমের, দীর্ঘ আর সবরের...। 'সুযোগ' এর ও বটে। ( সর্বপরি আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে অলৌকিক পরিবর্তনের) ।
তবে হ্যা 'সুযোগ' দেখি। নৌকা, ধানের শীষ লাংগল ইত্যাদি তে মানুষ বিরক্ত ও বিতশ্রদ্ধ হওয়ায় একটি রাজনৈতিক ও নেতৃত্ব শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বটে - এটা সুযোগ। তবে ভোটকে মাধ্যম হিসাবে মানে, মানানো হয়। ভোটের বাইরে শুধু 'আর্মি' ক্ষমতা নিলে খুশি হয়। কিতালের মাধ্যমে 'এ কিউ আই এস বাংলাদেশ অংশ' বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করলে খুশি হবে কিনা - কি মনে করেন? শুধু মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স এবং হোম মিনিস্ট্রির আওতায় যে কুকুর গুলো পোষা হয় সেগুলো শান্তিতে আপনাকে সেটা গ্রহণ করতে দিবে কিনা - সেটা ম্যানেজ করার জন্য কি ভাবনা, গ্রহণ করে ফেললেও তাদেরকে দীর্ঘ সময় বশে রাখার মন্ত্র কি হবে - হোম ওয়ার্ক করে রাখা যায়। আর এই কাজ করার জন্য যে স্ট্রেংথ (সক্ষমতা) দরকার সেটা নাহয় অর্জন করার কাজে কোমর বেঁধে নেম পড়া যাবে যতদিন লাগে কিন্তু তার আগে সাব্যস্ত করতে হবে - এটাই করা হবে কিনা। অর্থাৎ, স্ট্রাটেজি রিভিউ।
৫।
জ্বি, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে !'
=> জ্বি ইনশাআল্লাহ, ইন্টারেস্টিং হবে নিশ্চয়ই। উপরে একক মাসোয়ারার নাসিহা ও এসেছে। ( আল্লাহ তা'আলা আমাদের নেক প্রচেষ্টা গুলো কবুল করুন। )
তাই, জিহাদি তানজিমগুলোর এমন চিন্তাধারার উপর দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করা, সাধারণ মুসলিমদের সাথে ধোকা করার সামিল।
২।
বাকি, গ্লোবাল মানহাজের / গ্লোবাল জিহাদের কনসেপ্ট এর মধ্যে থেকেই কোন অঞ্চলের স্ট্যাটাস পরিবর্তন হতে পারে বটে, অর্থাৎ, অগ্রগণ্য থেকে সাপোর্টিং বা সাপোর্টিং থেকে অগ্রগণ্যে। তবে তার জন্য যথাযথ উপসর্গ, অনুষঙ্গ ও নিয়ামক দরকার। আলহামদুলিল্লাহ, এখানেই আপনার আলোচনার স্বার্থকতা যে, আপনি হয়ত বুঝতে / বা বুঝাতে চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ আছে কিনা, আমরা সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করছি কিনা। এবং এই আলোচনা অবতারণের মাধ্যমে অন্যান্য ভাইদেরও মতামত / মাসোয়ারা আসার সুযোগ ঘটানো ( যদিও ওপেন ফোরাম হবার সুবাদে বিচক্ষণ ভাইরা হয়ত অল্পই রেসপন্স করবেন )। অতঃপর সবকিছু কম্পাইল করে যথাযথ অথরিটির নিকট পেশ করা - তাদেরকে ভাবতে 'সাহায্য' করা, স্ট্রাটেজি রিভিউ করতে সাহায্য করা।
প্রচেষ্টা এমন হলে সাধুবাদ রইল।
৩।
আজকাল আর 'জনবিক্ষোভ' / 'জন বা গণআন্দোলন' মাত্রই আপামর জনসাধারণের ( কমপক্ষে %৫০ এর) মনের কথা বহন করে এমন নয়। সেগুলোকে তাই 'জন' বলা যায় কিনা ভাবনার বিষয় বরং বেশিরভাগই ইন্টারেস্ট গ্রুপের কারসাজি। তাই সবগুলোতেই একাত্নতা প্রকাশ করা যায় না - যেমন সাম্প্রতিক কুমিল্লা'র টা - এটাতে কুশীলবরা চেয়েইছিল দাড়ি-টুপি ওয়ালারা যেন নেমে পড়ে, তাদেরকে ফলস পজিশনে ফেলা যায়। 'হিন্দু-মুসলিম' দাঙ্গা উস্কে দেওয়া যায়। তারপর নিজেরা ইচ্ছামত খেলা যায়।
হিন্দু - মুসলিম যুদ্ধ হবে বটে কিন্তু সেটা হবে 'শিরক' এর গ্রাউন্ডে, কোন রাজনৈতিক গেইম এর পুতুল হিসাবে নয়। আর শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে রাজনৈতিক গেইম যদি খেলতেও হয় তবে সটা আমাদেরই প্লট করা গেইম হলে ভাল হবে। চালকের আসনে আমরা থাকা চাই, অন্যের ফাঁদা গেইমে ফেঁসে নিজেদের বৃহৎ উদ্দেশ্য / লক্ষ্য থেকে ডি-ফোকাসড না হওয়া চাই। বিইযনিল্লাহ।
বলাই বাহুল্য সম্প্রতি আওয়ামীলিগ সরকারের সাথে ভারতের / বা 'র' এর বা/ বিজেপি সরকারের অবনিবনার জের ছিল এই গেইম।
৪।
তাই, আল্লাহর এই জমিনে জিহাদের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এবং সাধারণ জনগণকে জিহাদের বিশাল কর্মযজ্ঞে শামিল করতে নেতৃস্থানীয়দের এগিয়ে আসতে হবে, যাতে হঠাৎ সৃষ্ট এই জনরোষকে অবিরাম আন্দোলনের রূপ দেওয়া যায়।
এখন কথা এসে যায়, 'এ কিউ আই এস' ! বলে কথা। আম জনতার কাছে কতটা হজমযোগ্য । নৌকা, ধানের শীষ আর লাংগলের পরিমণ্ডল / বা মানসপটে একে একটি অপশন হিসাবে দাঁড় করাতে হবে! বিষয়টি পরিশ্রমের, দীর্ঘ আর সবরের...। 'সুযোগ' এর ও বটে। ( সর্বপরি আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে অলৌকিক পরিবর্তনের) ।
তবে হ্যা 'সুযোগ' দেখি। নৌকা, ধানের শীষ লাংগল ইত্যাদি তে মানুষ বিরক্ত ও বিতশ্রদ্ধ হওয়ায় একটি রাজনৈতিক ও নেতৃত্ব শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বটে - এটা সুযোগ। তবে ভোটকে মাধ্যম হিসাবে মানে, মানানো হয়। ভোটের বাইরে শুধু 'আর্মি' ক্ষমতা নিলে খুশি হয়। কিতালের মাধ্যমে 'এ কিউ আই এস বাংলাদেশ অংশ' বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করলে খুশি হবে কিনা - কি মনে করেন? শুধু মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স এবং হোম মিনিস্ট্রির আওতায় যে কুকুর গুলো পোষা হয় সেগুলো শান্তিতে আপনাকে সেটা গ্রহণ করতে দিবে কিনা - সেটা ম্যানেজ করার জন্য কি ভাবনা, গ্রহণ করে ফেললেও তাদেরকে দীর্ঘ সময় বশে রাখার মন্ত্র কি হবে - হোম ওয়ার্ক করে রাখা যায়। আর এই কাজ করার জন্য যে স্ট্রেংথ (সক্ষমতা) দরকার সেটা নাহয় অর্জন করার কাজে কোমর বেঁধে নেম পড়া যাবে যতদিন লাগে কিন্তু তার আগে সাব্যস্ত করতে হবে - এটাই করা হবে কিনা। অর্থাৎ, স্ট্রাটেজি রিভিউ।
৫।
এই মহান নেতাদেরই ভাবতে হবে,
নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে সমান্তরালভাবে জনবিক্ষোভের সাথে একত্রিত হওয়া সম্ভব কি না?*
সম্ভব হলে- কিভাবে সম্ভব, পদ্ধতি কি হবে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে সমান্তরালভাবে জনবিক্ষোভের সাথে একত্রিত হওয়া সম্ভব কি না?*
সম্ভব হলে- কিভাবে সম্ভব, পদ্ধতি কি হবে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে।
(যা পর্যায়ক্রমিকভাবে অন্য লেখনীতে আলোচনার চেষ্টা করা হবে)
Comment