Announcement

Collapse
No announcement yet.

জুলহাজ মান্নান হত্যার ব্যাপারে এক র*্যান্ড দায়ীর তৈরী শুবুহাত নিরসন জরুরী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জুলহাজ মান্নান হত্যার ব্যাপারে এক র*্যান্ড দায়ীর তৈরী শুবুহাত নিরসন জরুরী

    একজন দরবারী / মডারেট ফেসবুক দায়ী আমাদের মুজাহিদ ভাইদের সাম্প্রতিক অপারেশনের ব্যাপারে নীচের লেখাটি লিখেছেন। আলেম ভাইদেরকে এই মডারেট দায়ীর তৈরীকৃত সন্দেহ-শুবুহাত দূর করার মতো দলীল ভিত্তিক উত্তর আশা করছি।

    উল্লেখ্যঃ এই লোকের বেশ কিছু ফলোয়ার থাকায় অনেক মানুষ উনার মাধ্যমে ভ্রান্তিতে পরে যেতে পারে। তাই, দলীল ভিত্তিক উত্তর জরুরী। গালাগালি কিংবা কটুক্তি কাম্য নয়।

    ==========
    এই হত্যাকান্ডগুলো কারা ঘটাচ্ছে আসুন সেই রাজনৈতিক বিতর্কে আমরা নাহয় নাই জড়ালাম। যেহেতু ধর্মীয়-রাজনৈতিক ধুম্রজাল অত্যন্ত বিস্তৃত তাই আমরা সবাইকে বেনিফিট অফ ডাউট দিই। কে এই কাজ করেছে এই ব্যাপারে আমরা কথাই না বলি।

    কিন্তু আমরা মুসলিমরা কি এই হত্যাকান্ডগুলোকে সমর্থন করবো? এই দায়ে যে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা এমন কিছু কাজে জড়িত যা ইসলাম সমর্থন করে না? এবং এই হত্যাকান্ডগুলোকে সমর্থন না করার মানেই কি এই দাঁড়াবে যে আমরা ঐ অনৈসলামিক কাজগুলোকেও সমর্থন করি? নাকি আমরা বড় পরিসরে ব্যাপারগুলোকে যাচাই করে দেখার দিকে আহ্বান করছি কেবল?

    এটা তো আমাদের অজানা নয় যে বহুদিন হয়ে গেল আমাদের দেশ কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশ মাত্র, এখানে ইসলামকে সামষ্টিক ভাবে বোঝার চর্চা এখনও খুবই সীমিত। এবং এটা কেবল আজকের কথা নয়, বহু দশক হয়ে গেছে আমরা একটি টোকেন ইসলামের চর্চা করে আসছি। এরকম একটি পরিবেশে সেক্যুলার চিন্তাভাবনা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার যে মডার্নিস্ট ব্যাখ্যা - যা পুরো বিশ্বে প্রধানতম আদর্শের স্থান নিয়ে নিয়েছে - এখানেও যে তা আস্তে আস্তে শিক্ষিত সমাজের প্রধান আদর্শিক অবস্থানে রূপ নিয়েছে তাতে আমাদের খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু অবাক হয়ে ওঠার তো কিছু নেই। বহুদিন ধরে ইসলামের আদর্শিক সত্যকে বুদ্ধিবৃত্তিক লেভেলে তুলে ধরার মতো কিছুই তো আমরা করতে পারিনি। সেরকম ইন্সটিটিউশন, ব্যক্তিত্ব ও জ্ঞানের চর্চা আমরা যারা ইসলামের ঝান্ডা বহন করি তারা তো গড়ে তুলতে পারিনি - এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় কী আমাদের আছে নাকি এটা স্বীকার করার মতো সৎ সাহস এবং বাস্তব জ্ঞানও আমাদের হয়ে ওঠেনি?

    নবীজী (সা.) তার সময়ে যা কিছু করেছেন তার কোনোটিই অবু দশ বিশ ত্রিশ গুনে করা হয়নি। তেমনটি দাবী করা হলে সেটা হবে আল্লাহ্* ও তার রাসূলের (সা.) প্রতিই মিথ্যাচার। তার দা'ওয়াত ও তার জিহাদের প্রতিটি ঘটনাই ছিলো হিকমাহ্* বা প্রজ্ঞা অবলম্বন করে। এখন কারও কারও মনে হচ্ছে হিকমতের নাম নিয়ে সব কিছুকে জলবৎ তরলং করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি ধর্মীয় ইস্যুর পেছনে হিকমাহ্* থাকাটা যে নবীজীর (সা.) সুন্নাহ তা আপনি কীভাবে অস্বীকার করেন? আল্লাহ্*র একটি নাম যে আল-হাকীম তা কীভাবে অস্বীকার করবেন? হিকমাহ্* শব্দটি যে কুরআনের একটি দর্শন সেটি কীভাবে অস্বীকার করা হবে?

    ইবনুল কায়্যিম, ত্রয়োদশ শতাব্দির একজন শ্রেষ্ঠ 'আলেম, বলেছেন হিকমাহ হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি সঠিক পদ্ধতিতে করা। কখনই হিকমার এই অর্থ করা হয়নি যে নবীজীর (সা.) সীরাতের কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে স্থান কাল পাত্রের হিসেব না করেই প্রমাণ হিসেবে বর্তমান সময়ে প্রয়োগ করে দেয়া হবে। ইবনুল কায়্যিম যে কথাটি বলেছেন সেটি খেয়াল করুন। আপনার সত্যিই কী মনে হয় যে আমরা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি সঠিক পদ্ধতিতে করছি? নাকি আমরা এতটাই দাম্ভিক ও স্বধার্মিকতায় এতটাই মোহিত যে এই প্রশ্ন নিজেদের কিছুক্ষণ সময় নিয়ে করার মতো মানসিকতাও আমরা হারিয়ে ফেলেছি?

    ইসলামের স্বার্থেই আসুন আমরা এই হত্যাকান্ডগুলোর বিরোধিতা করি। এইজন্য নয় যে আমরা কোনও ইসলাম বিরোধী কাজকে সমর্থন করি। এজন্যই যে আমরা মনে করি আমাদের স্থান ও কালে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক। আমাদের ইসলামের সৌন্দর্যকে এর জ্ঞানের আলোকে তুলে ধরতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যেসব মানুষ ইসলামের ব্যাপারে একটি প্রান্তিক অবস্থানে চলে গেছে তাদের কাছে ইসলামের মূল মেসেজ আমাদের তুলে ধরা হয়নি। ইসলামের মেসেজকে তুলে ধরার জন্য আমাদের বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে এবং শক্তিশালী ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে হবে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ইসলাম কায়েম হবে না, কেবল ত্রাস কায়েম হবে।

    আসুন হিকমাহ্* অবলম্বন করি। সংকীর্ণমনারা এই হিকমাহ্* বা প্রজ্ঞা অবলম্বন করাকে যতই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে দেখুক না কেন হিকমাহ্* বা প্রজ্ঞা দিয়ে ইসলাম করা ও ইসলামকে মানুষের কাছে নিয়ে আসা আল্লাহ্* প্রদত্ত একটি মৌলিক দায়িত্ব। বাংলাদেশে ইসলাম পছন্দ করে না এমন অনেক কাজকে আমরা ধৈর্য ধরে সহ্য করেছি এবং আমরা আমাদের ইসলামিক জ্ঞান দিয়ে হোক অথবা সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে হোক - বুঝতে শিখেছি যে সত্যিকারের ইসলামকে তুলে ধরার জন্য আমাদের সত্যিকারের প্রজ্ঞা ও সত্যিকারের ধৈর্য লাগবে।

    আবারও বলছি এই হত্যাকান্ডগুলোর দায় আমি কারও ওপর চাপাচ্ছি না। আল্লাহ্*ই ভালো জানেন এগুলো কার করা। কিন্তু আসুন কাকে হত্যা করা হয়েছে সেদিকে আলোচনাকে প্রবাহিত করে এটিকে ইসলামের নামে জায়েজ না করে বরং আমরা ইসলামের মূল মেসেজকে ক্ষুণ্ণ করছে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরোধিতা করি। আপনি সেই দেশে বাস করছেন যেই দেশে মানুষ ইসলামের নামে শিরকও করে থাকে, এতে আপনার সহিষ্ণুতা ধরে রাখতে একদমই কষ্ট হচ্ছে না। একই ধরণের সহিষ্ণুতা আবারও ধরে রেখে আমরা এধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অনৈসলামিকতাকে স্পষ্ট করে তুলি। ইসলামকে ভালোবাসি বলেই, ইসলামের খাতিরেই, ইসলামের ভালো চেয়েই।

    ইসলামের পথ থেকে সরে এসে যে তরুণটি বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাকে আপনি শয়তানের দোসর ভাবতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার চিন্তাকে আরেকটু প্রসারিত করেন তাহলে এও হতে পারে যে তরুণটি ইসলামের কথা সঠিক ভাবে শোনেনি, ঈমানের পথে এমন কোনও সারথি সে এখনও পায়নি যে তাকে সেই সৌন্দর্যের সন্ধান দেবে যার সন্ধান আপনি পেয়েছেন। আপনি নিজেই কেন সেই সারথি হবার কথা চিন্তা করছেন না? আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপট তো আপনার অজানা নয়, এইটুকু উপসংহারে পৌঁছানো কি আপনার জন্য খুব কঠিন?

    আপনি আপনার বিবেককে জিজ্ঞেস করুন - যেদিন আপনি আল্লাহ্*র সামনে দাঁড়াবেন সেদিন আল্লাহ্*কে আপনি কী বলে খুশি করাটা যৌক্তিক মনে করবেন? "আমি আপনার জন্য মানুষকে ইসলামের মেসেজ দিয়েছি হিকমাহ্* ও সুন্দর বক্তব্যের মাধ্যমে" নাকি "আমি আপনার জন্য গুপ্তহত্যা করে বা গুপ্তহত্যাকে সমর্থন দিয়ে ইসলাম কায়েম করে এসেছি।"

    আমার এই আলোচনাটির জন্য বেধড়ক গালিগালাজ খেতে হবে যথারীতি। কিন্তু যেসব সাধারণ মুসলিমরা তাদের সাধারণ প্রজ্ঞা ও ইসলামের সামষ্টিক সৌন্দর্যকে মনে ধারণ করে আছেন তারা যদি নিজেদের সঠিক চিন্তার পেছনে আরেকটু মানসিক বল পান এবং এ নিয়ে নির্ভয়ে কথা বলার আরেকটু সাহস খুঁজে পান তাহলেই হবে। ইসলামকে এগিয়ে নেবেন এরাই - কুচক্রী ও নিন্দুকদের সকল অশ্লীল বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করেই। অবিবেচক রক্তপাত ঘটানো কোনও কাজ না - প্রজ্ঞা ও বুদ্ধির মাধ্যমে যে ধর্মীয় অনুশীলন সেটাই মূল কাজ - ইসলাম বলতে সেটাকেই বোঝায়।

    আমি পূর্বের স্টেটাসটিতে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে কেন ইসলামের নামে এসব চোরাগোপ্তা হত্যাকান্ডগুলোকে সমর্থন করা যাবে না। আমার মূল প্রস্তাবনা ছিলো যে ইসলামি শাস্তিগুলো কোনোরকম স্থান-কাল-পাত্রের বিবেচনা না করেই প্রয়োগ করা হঠকারিতা এবং তা ইসলামের জন্যই ক্ষতিকর। এই আলোচনার বিপক্ষে কেবল একটি নির্ধারিত অপরাধের বিপক্ষে ইসলামে কী শাস্তি বর্ণিত হয়েছে সেই সংক্রান্ত আয়াত বা হাদীসের রেফরেন্স দিয়েই অনেকে খুশি। ঐ অপরাধগুলোর শাস্তিগুলোকে কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু প্রসঙ্গটা হোলো এই শাস্তিগুলো কোন প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করা হবে। যে কোনও ইসলামিক বিধানই প্রয়োগ করার শর্ত রয়েছে, পদ্ধতি রয়েছে এবং প্রয়োগ করাটা কখন কী কারণে স্থগিত রাখা যেতে পারে বা রাখতে হবে তারও নির্দেশনা রয়েছে। সেটি ইসলামের যে হুদূদ শাস্তি (অর্থাৎ সেসব শাস্তি যা আল্লাহ্* কিছু নির্দিষ্ট অপরাধে নির্ধারণ করে দিয়েছেন) - এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কখনই আয়াত বা হাদীস দিয়ে কোনও একটি অপরাধের ইসলামি শাস্তি কি সেটা দেখিয়ে দিলেই - দলিল প্রতিষ্ঠিত হয় না। কেননা ঐ অপরাধের শাস্তি কী সেটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে না। আলোচনার বিষয় হোল শাস্তির প্রায়োগিক দিক।

    চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে শাস্তি দেয়ার যে কায়দা তা হুদূদ শাস্তির প্রায়োগিক দিকগুলোর বিচারে কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এখানে যে আমাদের সমাজের পরিস্থিতির খেয়াল রাখা হচ্ছে না কেবল তাই নয়, হুদুদ শাস্তি প্রয়োগ করার আগে মানুষকে ইসলামের ব্যাপারে বোঝানো লাগে, সুষ্ঠু বিচারপদ্ধতির মাধ্যমে প্রমাণ করা লাগে, শাস্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবধরণের সন্দেহ থেকে মুক্ত থাকা লাগে তার কিছুই এখানে করা হয়নি। যারা খুন করছে তারা শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে কীনা সেই মৌলিক প্রশ্ন না হয় বাদই দিলাম। সন্দেহ মুক্ত থাকা বলতে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কীনা কেবল সেই সন্দেহের কথা হচ্ছে না, সেই অপরাধী ইসলামের ব্যাপারে সুন্দর করে জানে কীনা সেই সন্দেহও প্রযোজ্য। 'আইশা রা. বর্ণিত একটি হাদীস - যা ইমাম বাইহাকীর মতে মাওকূফ (অর্থাৎ এটি নবীজীর হাদীস হিসেবে প্রচলিত হলেও আসলে সাহাবীর কথা) - তাতে বলা হয়েছে: "মুসলিমদের ওপর হুদূদ প্রয়োগ করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকো, যদি মুসলিমদের জন্য (শাস্তি প্রয়োগ না করার) কোনও রাস্তা খুঁজে পাও তাহলে তাদের ছেড়ে দাও। কেননা শাস্তি দিতে গিয়ে ভুল করার চেয়ে একজন ইমামের ক্ষমা করতে গিয়ে ভুল করাটা উত্তম।" ইমাম আত-তিরমিযী, আল-হাকিম, আল-বাইহাকী হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। এখানে কী ঘটছে? কিছু মানুষ - যারা ইমাম নন কোনও যুক্তিতেই - তারা কোনও রকম কোর্ট কাচারি না করে এবং হুদূদ শাস্তির সকল শর্ত পূরণ না করেই চাপাতি দিয়ে মানুষ খুন করে আসছেন।

    ইমাম ওয়াহবাহ্* আয-যুহাইলী "আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া-আদিল্লাতুহ" গ্রন্থটির লেখক। যারা ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়েন তাদের কারো এই বইটি অজানা থাকার কথা নয় এবং বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বইটি একটি মূল রেফরেন্স গ্রন্থ। ৪ মাযহাবের তুলনামূলক আলোচনা সংবলিত এমন বইয়ের নমুনা সমসাময়িক স্কলারশিপে বিরল। বইটির ৫ম খন্ডে তিনি ইসলামের শাস্তি ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এখানে তিনি বলেছেন যে হাদ্দ শাস্তি যেকোনও শাস্তির মতই যেনতেন ভাবে দেয়া চলবে না, এবং শাস্তি দেয়ার সময়ও ভয় বা আতঙ্ক তৈরি করলে চলবে না। কারণ শাস্তির মূল কারণ হচ্ছে - যে কোনও শাস্তি ব্যবস্থার মতোই - সমাজে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা। অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া বা যা শাস্তি রয়েছে তার উর্দ্ধে তাকে আতঙ্কিত করা এবং তার ব্যক্তিগত সম্মান নষ্ট করা শাস্তির মূল উদ্দেশ্য ও পদ্ধতির মাঝে কখনই পড়ে না। এখন যারা চাপাতি দিয়ে বাসাবাড়ি গিয়ে শাস্তি দিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা কি এসব মেইন্টেইন করছেন? মানুষের ঘরে হামলা করে হুদূদ শাস্তি কায়েম করার কথা কি ইসলামে এসেছে? ঘরের যে দারোয়ানটিকে মারা হোলো তার ওপর কোন শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে? আশ্চর্যের কথা যে কিছু মুসলিম এসব কাজের সমর্থন দিচ্ছেন! এ কোন ইসলাম যেখানে বিবেক হারিয়ে মানুষ দানবে পরিণত হয়?

    কিন্তু এতো গেলো শাস্তি যখন প্রয়োগ করা হবে তখনকার কথা। আসুন শাস্তি প্রয়োগের প্রেক্ষাপট নিয়ে শায়েখ ড: ওয়াহবাহ আয-যুহাইলী কী বলছেন সেটা দেখা যাক। যেহেতু এরকম সংকীর্ণমনা মানুষের অভাব হবে না যারা ন্যূনতম যাচাই বাছাই না করে এবং পড়াশোনা না করেই আমার পাশাপাশি এই অসামান্য শায়েখেরও পিন্ডি চটকাবেন - সেটা অবধারিত জেনেও - এটা বলে নেয়া দরকার যে নিচের অংশটুকু একটি বিস্তৃত আলোচনার একটি ছোট অংশ মাত্র। কোনও আলটপকা উপসংহারে পৌঁছনোর পূর্বে আমি বোদ্ধাদের ব্যর্থ অনুরোধ করবো তারা যেন কষ্ট করে পুরো আলোচনা পড়ে নেন। নিচের অংশটি শায়েখের (এর আগে দুটি কথা, এক, আমি অনুবাদে অবশ্যই অর্থ ঠিক রেখে যতটা প্রাঞ্জল করা যায় চেষ্টা করেছি। কিন্তু আরবি ভাষার বাক্যগঠন, গাম্ভীর্য ও অর্থ ঠিক রাখতে গিয়ে কিছু বাক্য সুখপাঠ্য হয়নি, আশা করি বিষয়ের গুরুত্বের কারণে সেটা ক্ষমার যোগ্য অপরাধ হবে। দুই, মূল প্রসঙ্গের বাইরে বলা কিছু কথার সাথে আমি ব্যক্তিগত ভাবে একমত নই, যেটা আমার চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিতরা বুঝবেন, কিন্তু আমি এখানে কেবল অনুবাদকের ভূমিকা পালন করছি এবং দ্বিমতের জায়গাগুলো এই টপিকে গুরুত্বপূর্ণ নয়)।

    "হুদূদের যে শাস্তিগুলো সেগুলো তাই একই সাথে সতর্ক করার ও সংশোধনের উপকরণ – সমাজে সংস্কার আনার ও শোভনীয়তা বজায় রাখার মাধ্যম। কিন্তু আমি এটাও একই সাথে উল্লেখ করতে চাই যে ইসলামি শরি’আ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এর সবচেয়ে কঠোর দিকগুলো – যেমন হুদূদের শাস্তি ও এরকম যা আছে – সেগুলো দিয়ে শুরু করাটা উগ্র দৃষ্টিভঙ্গি, ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা ও বাড়াবাড়ির নামান্তর মাত্র। এটি মোটেই সঠিক মেথডলজি নয়। এভাবে শরি’আ কায়েম করতে চাইলে তা দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে – যেমনটা ঘটেছিলো সুদানে ১৯৮৫ সালে হুদুদ শাস্তি প্রচলনের পর (১৯৮৩ সালে) এবং পাকিস্তানে ১৯৮৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের প্লেন বিধ্বস্ত হবার পর – যিনি সেখানে শরি’আ অ্যাপ্লাই করেছিলেন। কেননা শরি’আ হোলো একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা যা বিচ্ছিন্নভাবে প্রয়োগ করা যায় না। মানব জীবনের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক – এ সকল দিগন্ত জুড়ে এটি বিস্তৃত।

    সংস্কারের ক্ষেত্রে ইসলামের পদ্ধতি হোলো প্রথমত মানুষকে বোঝানো ও আশ্বস্ত করা, যুক্তি দেয়া ও ব্যাখ্যা প্রদান করা, সুন্দর কথা ও বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে আহ্বান করা, অযথা মনে অস্থিরতা সৃষ্টি করে না এমন শান্ত ও সৌম্য দিকনির্দেশনা দেয়া। যারা পাশ্চাত্যের আইন-কানুনের প্রতি অনুরক্ত তাদের সাথে আলোচনা করা ও তাদের প্ররোচিত করার জন্যই এসব কিছু ব্যবহার করতে হবে।

    সামাজিক রীতিনীতির গোঁড়ামি, ঔপনিবেশিকতা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া উপাদানসমূহ, পাশ্চাত্যের পার্থিব দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি থেকে সমাজকে সরিয়ে ইসলামের পরিপূর্ণ দয়া, সুবিচার, সহজতা এবং ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে এর শান্তিময়তার দিকে নিয়ে আসা সম্ভব হবে হিক্*মাহ (প্রজ্ঞা) প্রয়োগ করে এবং মানুষের মাঝে ইসলামের শিক্ষাসমূহ ছড়িয়ে দিয়ে। একই সাথে এও নিশ্চিত করতে হবে যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর সংস্কার সাধিত হচ্ছে। এটি করতে হবে শুরা বা পারস্পরিক আলোচনাভিত্তিক শাসনব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেয়ার মাধ্যমে - সুবিচারকে বিচার ব্যবস্থা ও রাজনীতির সত্যিকার নিয়ন্ত্রকে পরিণত করে - কেবল স্লোগান হিসেবে নয়, কাজের মাধ্যমে। যতটা পারা যায় সমাজে অর্থনৈতিক সুস্থিরতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য। দারিদ্র্য ও বেকারত্ব রোধের চেষ্টা করতে হবে, নিরক্ষরতা দূর করতে হবে। শিক্ষাহীন সমাজের চিহ্নসমূহ মুছে ফেলতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা ও মিডিয়ার – বিশেষ করে রেডিও টিভির - সংস্কার করতে হবে। এসবের মাধ্যমে যেসব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও জটিলতা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে যেসব জট তৈরি হয়েছে ও সন্দেহের বীজ রোপিত হয়েছে সেগুলো দূর হয় – যার মূল উৎস হচ্ছে জীবনের ঘটনাসমূহের ধর্মীয় ব্যাখ্যা না জেনে অন্তঃসারশূণ্য মেটেরিয়ালিস্টিক চিন্তাধারা দিয়ে প্রভাবিত হওয়া।

    এসব না করে কেবল নামকাওয়াস্তে হুদূদ শাস্তির বিধানগুলো প্রয়োগ করা এবং ইসলামের প্রয়োগকে এই শাস্তিগুলো কায়েম করার মাঝে সীমাবদ্ধ করে রাখা আর অন্যদিকে মানুষকে দ্বিধা, অজ্ঞানতা, অভাব ও মানসিক দোটানার মাঝে ফেলে রাখা – এটা মোটেই আল্লাহ্*র শরি’আ বা দ্বীনের মধ্যে পড়ে না - যে শরি’আ বা দ্বীন কিনা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হবে। সম্ভবত শরি’আকে হুদুদ শাস্তি প্রয়োগের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখাটা মানুষকে ইসলাম থেকে আরও দূরে ঠেলে দেয়ারই মাধ্যম মাত্র। এর মাধ্যমে ইসলামের ব্যর্থতা, এর অনুপযোগিতা এবং এর বিধানসমূহের পূর্ণাঙ্গতার অভাবই মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে মাত্র। আল্লাহ্* তা’আলা বলেন: “তোমরা কি কেবল কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস করো এবং অপর অংশগুলোতে অবিশ্বাস করো? যে এমনটা করে তার প্রতিদান আর কী হতে পারে দুনিয়াতে লাঞ্ছিত হওয়া ছাড়া! আর শেষ বিচারের দিন তাকে ঠেলে দেয়া হবে কঠোরতম শাস্তির দিকে। আর তোমরা যা করো তার ব্যাপারে আল্লাহ্* অনবহিত নন”। [আল-বাক্বারাহ্*: ৮৫]"

    [আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া-আদিল্লাতুহ: ভ: ৫, পৃ: ৭৫৩-৭৫৪, প্র: দারুল ফিক্*র]
    ========================

    উনার ফেসবুক লিংকঃ www.facebook.com/asifshibgat.bhuiyan?fref=ts

  • #2
    নতুন করে ইসলাম শেখায়!!!!

    Comment


    • #3
      <একজন আলিম কর্তৃক প্রদত্ত উত্তর> <সংশয় নিরসন হবে সবার ইনশা'আল্লাহ> <দালিলীক বিশ্লেষণ>

      আল-কায়েদার এসব অপারেশনগুলো হুদুদ?
      না, জিহাদ ও নহী আনিল মুনকার?

      মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে শরীয়তের এ সব পরিভাষা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করা প্রয়োজন।

      ১- হুদুদ হচ্ছে ইসলামের দণ্ডবিধি। এগুলো বাস্তবায়নের জন্যে নির্ধারিত কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। যেমন-চুরির শাস্তি হাতকাটা বাস্তবায়নের জন্যে উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ ও চুরিকৃত বস্তুর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আবশ্যক।
      ২- জিহাদ এ'লায়ে কালিমাতুল্লাহের জন্যে লড়াই করা। এটা কাফেরদের বিরুদ্ধে হতে পারে, আবার জরুরিয়াতে দীন অস্বীকারকারী নামধারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে হতেও পারে। যেমন- হযরত আবু বকর রাজি. নামধারী মুসলিম যাকাত অস্বীকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন।
      ৩- নহী আনিল মুনকার হচ্ছে শরীয়াহকর্তৃক নিষিদ্ধ কাজে বাধা দেওয়া। এক্ষেত্রে এগুলো হুদুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া শর্ত নয়। মিথ্যা বলা ও গীবতের ব্যাপারে শরীয়াতে নিষেধ এসেছে। কিন্তু এগুলোর নির্ধারিত কোনো শাস্তি নেই। তাই বলে কি এগুলো থেকে বারণ করা যাবে না?
      সামর্থ্যানুযায়ী এগুলোর প্রতিরোধে তিনটি স্তরের যেকোনোটি অবলম্বন করা যাবে।

      এবার আসুন, আমরা খুঁজে দেখি বাংলাদেশে পরিচালিত আল-কায়েদার এ অপারেশনগুলো কোনটির অন্তর্ভুক্ত হয়।
      এগুলো বোঝার জন্যে প্রথমে আল-কায়েদার টার্গেটগুলো পড়া প্রয়োজন।
      যদি আপনি এই টার্গেটগুলো পড়ে নেন তাহলে দেখবেন যে, এই টার্গেটগুলোর কোনোটাই হুদুদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা এরমধ্যে যিনার শাস্তি, চুরির শাস্তি এবং মদ্যপানসহ বিভিন্ন অপরাধে জর্জরিত অপরাধীদেরকে টার্গেট বানানোর কথা উল্লেখ নেই। অথচ এই অপরাধগুলো আমাদের দেশে ব্যাপক হারে বিদ্যমান। যদি এই অপারেশনগুলো হুদুদ হয়ে থাকত তাহলে কেনো এই অপরাধগুলোর কথা উল্লেখ নেই?

      তাহলে এই অপারেশগুলো কী?
      এগুলো হচ্ছে হচ্ছে জিহাদ ও নহী আনিল মুনকার। কীভাবে এগুলো জিহাদ ও নহী আনিল মুনকার সেটাই এখানে আলোচনা করছি।

      বোঝার স্বার্থে আমরা প্রথমে আল-কায়েদার অপারেশগুলো দু'ভাগে বিভক্ত করি।
      ১- শাতিমদের হত্যা করা। ২- অশ্লীলতা প্রসারকারী সমকামীদেরকে হত্যা করা।

      প্রথমটি হচ্ছে জিহাদ আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নহী আনিল মুনকার।

      প্রথমটির দলীল-
      কা'ব বিন আশরাফ, আবু রাফে ও আসওয়াদ আনসিসহ সব শাতিমদের কোনোটিকেই বিচারিক পদ্ধতিতে শাস্তি দেওয়া হয় নি। অন্য এলাকায় বিভিন্ন সাহাবী পাঠিয়ে গুপ্তহত্যা করানো হয়েছে। আর বুখারী শরীফসহ বিভিন্ন হাদীসের গ্রন্থে এগুলো হুদুদের অধ্যায়ে নয় বরং মাগাযী তথা যুদ্ধের অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে। এবং অপারেশনগুলোর বিভিন্ন নামও ছিল যেমন- সারিয়্যাহে মুহাম্মদ বিন মাসলামাহ।
      যদি এগুলো হুদুদ হয়ে থাকে তাহলে কেনো এদের শাস্তি বিচারিক পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন হয় নি? কেনো হাদীসের গ্রন্থসমূহে কিতাবুল হুদুদে না এগুলোর স্থান দিয়ে কিতাবুল মাগাযীতে স্থান দেওয়া হলো?
      এবার অনেকে বলবেন, যে, রাসুলুল্লাহের যুগে এই শাস্তিতো রাষ্ট্রপ্রধানের নেতৃত্বে হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে কাদের নেতৃত্বে হচ্ছে? তাদেরকে জিজ্ঞেস করবো, যে,
      আল-কায়েদার প্রধান ঘাটি কোথায়? ওরা কাকে আমীরুল মুমিনীন মানে?
      যেভাবে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য এলাকায় নিজের লোক পাঠিয়ে অপরাধীকে হত্যা
      করিয়েছেন ঠিক সেভাবে আল-কায়েদা তাদের প্রধান ঘাটি থেকে নির্দেশ পাঠিয়ে
      অপরাধীকে হত্যা করিয়েছে। মাওলানা
      আসেম উমরের বক্তব্য এটা বোঝা যায়।
      এরপরও কথার মধ্যে কিছু ফাঁক থেকে যায়, কেননা অনেকে আবার
      কইবেন যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতো নিজস্ব লোক পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু আল-কায়েদাতো এদেশের লোক দ্বারা কার্য সম্পাদন করেছে।
      তাদেরকে বলবো, যে, একটু কষ্ট করে ভন্ড
      মিথ্যুক নবী দাবিদার যিন্দীক আসওয়াদ আল-আনসির হত্যাকান্ড স্মরণ করুন। তাহলে দেখবেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়েমেনের স্থানীয় নেতাদেরকে চিঠি
      লিখেছেন এই ভন্ডকে শায়েস্তা করার
      জন্যে। এই নির্দেশ পেয়েই যুবক সাহাবী হযরত ফায়রুজ আদ-দায়লামি রাযি.'র
      নেতৃত্বে আসওয়াদকে হত্যা করা হয়। তাহলে বোঝা গেলো যে, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে স্থানীয় লোককেও দায়িত্ব দেওয়া যায়।

      দ্বিতীয়টির দলীল : (এটি নহী আনিল মুনকার)
      ১- এই ব্যাপারে প্রথমে দলীল হিসেবে হযরত উমর রাজিয়াল্লাহু আনহু'র কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তাফসীরে ইবনে কাসীর সহ নির্ভরযোগ্য সব তাফসীরগ্রন্থেই সুরা নিসার ৬৫নং আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ আছে যে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি ফয়সালায় অসন্তুষ্ট হয়ে হযরত উমর রাজিয়াল্লাহু আনহু'র দরবারে প্রার্থী হয়েছিল, তখন হযরত উমর রাজিয়াল্লাহু আনহু পূর্ণ ঘটনা শোনার পর তিনি ওই মুনাফিককে হত্যা করে ফেলেন। পরে যখন এই সংবাদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলো তখন রাসুলুল্লাহ এ কথা বলেন নি, যে, 'উমর বিনা বিচারে হত্যা করেছে', 'উমর আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে', 'উমর কাল-পাত্র বুঝে নি'।
      বরং বলেছেন, ... উমর কোনো মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে না।

      ২- হোদায়বিয়া সন্ধির মধ্যে যে সব শর্ত ছিল এরমধ্যে একটি ছিল যে, মক্কা থেকে যদি কেউ মদীনায় চলে আসে তাহলে তাকে মক্কায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে ইসলামগ্রহণকারী মদীনায় আসা সাহাবী আবু বছীর রাজিয়াল্লাহ আনহুকে মক্কার কাফিরদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তিনি পথিমধ্যে এক কাফিরকে হত্যা করে মদীনায় গেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে আশ্রয় দেন নি। পরে তিনি সমুদ্র উপকূলে চলে যান। সেখানে একটি বাহিনী বানিয়ে মক্কার কাফিরদের উপর চোরাগুপ্তা হামলা শুরু করেন।
      আচ্ছা, এটা কী চোরাগুপ্তা হামলার পক্ষে দলীল নয়?

      ৩ - সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদবি রাহ. তাঁর অনবদ্য গ্রন্থ তারীখে ও দাওয়াত বা সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাসের দ্বিতীয় খন্ড শুধু ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.র জীবনীর উপর সীমাবদ্ধ করেছেন। এইগ্রন্থে একাধিকবার উল্লেখ আছে যে, ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. 'হিসবাতুল্লাহ' নামে একটি বাহিনী গঠন করেছিলেন যেটির কাজ ছিল শহরের সব অন্যায়-অপরাধ প্রতিহত করা। তাঁকে যখন বলা হল যে, সরকার বিদ্যমান থাকাবস্থায় আপনারা কেনো আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন? তখন তিনি জবাব দিয়েছিলেন, যে, সরকার যেসব মুনকারের নিষেধ করবে না আমরা সেগুলো করবো।
      সুতরাং যারা ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.'র ছাত্র শুধু ইমাম ইবনে কায়্যিম রাহ. পর্যন্ত নিজের ইলম নিয়ে যান, তারা কেনো আরেকটু সাহস করে তাঁরই শায়খ ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ'র জীবনী পাঠ করেন না?
      না, নিজের থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে? ইসলাম আম্রিকি না হয়ে চৌদ্দবছরের হয়ে যাবে এই ভয়ে?

      ৪- পাকিস্তানের গভর্ণর সালমান তাসিরকে হত্যার কারণে যখন উম্মাহের মুজাহিদ মুমতাজ কাদরী শহীদ রাহ.কে ফাঁসি দেওয়া হয় তখন শায়খুল ইসলাম তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহের একটি অডিওবার্তা নেটে আসে। ওই বার্তায় তিনি প্রাসঙ্গিক আলোচনা এভাবে করেছেন যে, 'যদি কেউ এভাবে হত্যা করে ফেলে তাহলে তাঁর উপর কেসাস আসবে না। কেননা যাকে সে হত্যা করেছে প্রথম থেকে তার রক্ত হালাল ছিলো'। শুনুন পূর্ণ বক্তব্য, মূল আলোচনা ৫মিনিট-এ পাবেন। https://m.youtube.com/#/watch?v=s5t3LwFVPFY

      মোটকথা, আমরা যদি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত সব তথ্য-উপাত্ত দেখি, তাহলে কোনোভাবেই এ গুলো শরীয়াহ বহির্ভূত পাবো না। বেশির চে বেশি পাবো যে, কেউ কেউ হিকমাতের খেলাফ বলেছেন।
      ইনশাআল্লাহ আমরা অন্যদিনের আলোচনায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করবো যে, এগুলো কীভাবে শতভাগ হিকমাহপূর্ণ।

      এত দলীল-প্রমাণাদি থাকার পরও যদি কেউ বলে যে,
      '... ইসলামি শাস্তিগুলো কোনোরকম স্থান-কাল-পাত্রের বিবেচনা না করেই প্রয়োগ করা হঠকারিতা এবং তা ইসলামের জন্যই ক্ষতিকর'।
      তাহলে আমরা তার ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে পড়ে যাই যে, উনি ইসলামকে সর্বকালে সর্বসাধারণের জন্যে পরিপূর্ণ মানেন কি না? না, ইহুদীদের মতো একেক সময় একেক ব্যক্তির জন্যে একেক আইন মানেন! যেভাবে ইয়াহুদী নিয়ন্ত্রিত আমেরিকা একেকজনের জন্যে একেক আইন করে থাকে।

      এ কথা আমাদের সবাই জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এ ব্যাপারে কোনো ইমামের ইখতেলাফ নেই যে, ক্ষেত্র বিশেষে কিয়াস করে ইজতেহাদ করার অবকাশ সে সব বিষয়ে রয়েছে যে গুলোর ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহে বর্ণনা পাওয়া যাবে না। আর যেগুলোর ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহে সুস্পষ্ট বর্ণনা আছে সে গুলোর ব্যাপারে কোনো ইজতেহাদ বা কিয়াস নেই।
      আল্লাহ তা'আলা বলেছেন-
      'অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে'।[সুরা: আন-নিসা/৬৫]

      অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,
      'যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান'।[সুরা : আন-নিসা/১১৫]
      Last edited by Abu Khubaib; 04-30-2016, 04:42 PM.
      إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏

      "যখন আমরা কোন সম্প্রদায়ের নিকট পৌছি যুদ্ধের জন্য, এটি তাদের জন্য দুর্বিষহ সকাল যাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল।"

      (সহিহ বুখারি, ৩৭১)

      Comment


      • #4
        Ataحدود hishabe kora hoini بل jihad hishabe korabe kora hoeche
        Miqdad

        Comment


        • #5
          A shob lok kono din e bojbena.
          Miqdad

          Comment


          • #6
            قاتلوهم حتى لا تكون فتنة وكون الدين كله لله
            Miqdad

            Comment


            • #7
              Jader kase hododer ashakori tarai e to ai roge rogannito
              Miqdad

              Comment


              • #8
                اسلام er acta niti hochche سدالذريعة
                Miqdad

                Comment


                • #9
                  هذا الرجل انا قلت لك انتم لن تستطيعو الى الجهاد ابدا
                  Miqdad

                  Comment


                  • #10
                    هم الذين يحتاج الى الفلوس
                    Miqdad

                    Comment


                    • #11
                      জুলহাজ মান্নান কোন সাধারণ সমকামী ছিল না বরং সে ছিল সমকামিতার প্রচারক। সমকামিতাকে যে হালাল মনে করে সে সুষ্পষ্ট কুফর করল, আর সে এর প্রচার ও প্রসারে লিপ্ত সে ইসলামের সাথে হারবে লিপ্ত (ইসলামের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত)। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ তার আল সারিমুল মাসলুল কিতাবের ২৮৫-২৮৬ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেন যে যারা হারবী তাদেরকে যে কেউ হত্যা করতে পারে, এজন্য কোন শাসকের অনুমতির প্রয়োজন নেই। যদি শাসক শরীয়াহ দ্বারা শাসন করত, তবেও তার অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। আর এখন যখন শাসকরা আল্লাহর বিধানের বিপরীতে শাসন করে, তখন কতটা অনুমতি প্রয়োজন তা সহজেই অনুমেয়।

                      এই সকল ব্যক্তিরা বিভ্রান্ত ফেইক সালাফী। এদেরকে সালাফী সাইট islmaqa এর ফতোয়া দিয়ে প্রমাণ করা যেতে পারে যে হারবী দের হত্যার জন্য শাসকের অনুমতির প্রয়োজন নেই - https://islamqa.info/en/103739

                      Comment


                      • #12
                        রসকস হীন এক প্রলাপ লিখেছে। পড়তেও বিরক্তি লাগে।

                        কোথায় লিখেছে লিংক তো দিলেন না। বুঝতে চাইলে ওরে বুঝাতে অত ইলম লাগবে না। না বুঝতে চাইলে ধান্দাবাজদের পেছনে লেগে থাকার সময় কোথায়। আনসার আল ইসলামের হত্যা কান্ডগুলোতে যেখানে সাধারণ মুমিনরাও খুশি সেখানে সে দ্বিমত পোষণ করে । আবার বলতেছেন সে ফেবু ফেমাস । ফেবুতে অনেক পাগলও ফেমাস।

                        Comment


                        • #13
                          আনসার আর ইসলামের এই অপারেশনগুলোকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর অংশ মনে হয়। এটা হদ্* কায়েম না কিংবা হয়তো নাহি আনিল মুনকারও না। কারণ তারা তো সকল মুনকারকে প্রতিহত করছেন না। তারা বাছাইকৃত কিছু সেক্টরকে টার্গেট করছেন। তবে ব্যাপক অর্থে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নিজেই নাহি আনিল মুনকারের একটা অংশ।

                          জিহাদ সম্মুখ যুদ্ধ আকারে হতে পারে। আবার গেরিলা যুদ্ধ আকারেও হতে পারে। বর্তমান সময়ে মুজাহিদদের শক্তি-সামর্থ কম থাকায় তারা গেরিলা যুদ্ধ আকারে যুদ্ধ করছেন।

                          এখন গেরিলা যুদ্ধের একপক্ষ তো পরিষ্কার। মুজাহিদগণ।

                          অপরপক্ষ কারা? তারা হচ্ছেঃ বিশ্বের তাগুতী ব্যবস্থা পুরোটা। এটা আমেরিকা-ব্রিটেন থেকে শুরু হয়ে - খালেদা-হাসিনা-ইনু-মিনু হয়ে যারাই ইসলামী শরীয়াতকে বিজয়ী হতে দিতে চায় না, যারাই শরীয়াতকে আটকে দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে হবে।

                          এই তাগুতী পক্ষের সৈনিক অনেক ধরনের। কেউ সশস্ত্রভাবে তাগুতকে পাহারা দেয়, কেউ বুদ্ধি দিয়ে তাগুতকে সাহায্য করতেছে, কেউ অর্থ দিয়ে তাগুতকে শক্তিশালী করতেছে, কেউ তাগুতের আইডিওলোজি / তাগুতের বিশ্বাস / ধ্যান-ধারনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ তাগুতের কলম সৈনিক, কেউ অর্থদাতা।

                          ঠিক যেমনঃ মক্কার কুরাইশদের কাফির সৈনিকদের পাশাপাশি তাদেরকে মাশোয়ারা দেয়ার মতো কিছু লোক ছিল, কিছু কবি ছিল তাদের পক্ষে কবিতা লিখতো, কিছু গায়িকা ছিল যারা তাদের কথায় গাইতো, কিছু বড় বড় ব্যবসায়ী ছিল যারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করতো। এরা সবাই মিলে একটা পক্ষ।

                          আর ইসলামের জন্য রয়েছে আরেকটা পক্ষ।

                          সম্মুখ যুদ্ধে যদি এই সকল গায়িকা / কবি / এরা যুদ্ধের ময়দানে হাজির থাকতো এবং কাফির বাহিনীর পক্ষে গান-কবিতা-বুদ্ধি প্রদান - তাদের আদর্শের প্রচার-প্রসার করতে থাকতো, তাহলে মুসলিমরা এই সকল শ্রেণিকে আক্রমণ না করে বসে থাকতো না। গেরিলা যুদ্ধেও তেমন।

                          বস্তুতঃ বর্তমান যুগে এই সকল কবি / গায়ক / বুদ্ধিজীবি / অর্থদাতা / প্রচারকদের মাধ্যমেই তাগুতী ব্যবস্থা সমাজে অনেক শক্তভাবে শিকড় গেড়ে বসে আছে।

                          শুধু কল্পণা করুনঃ যদি এই সকল শ্রেণির নামধারী মুসলিমগুলো সবাই ইসলামী শরীয়াতের পক্ষে থাকতো, নূন্যতম বিরোধিতা না করতো, তাহলে কি হাসিনা-খালেদারা শুধু তাদের সামরিক ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে কুফরী শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে পারতো? নিশ্চিত সেটা তাদের জন্য অনেক কঠিন হতো।

                          এই সকল সাপোর্টিং শ্রেণির জন্যই আসলে তাগুতের আসন এত শক্ত হয়েছে। তাই, শক্তি কম থাকায় মুজাহিদরা যদি প্রথমে তাগুতের পক্ষের শক্তিশালী অংশে আঘাত না করে, দূর্বল অংশে আঘাত করতে থাকে, তাহলে সেটা ঠিকই আছে। এটা জিহাদেরই গুরুত্বপূর্ণ একটা কৌশল। আল্লাহু আ'লাম।

                          যেহেতু এটা জিহাদের ময়দান, তাই এখানে প্রত্যেক টার্গেটকে আলাদাভাবে তাকফীর করা জরুরী না। বরং একেকটা শ্রেণী চিহ্নিত করে সারিয়া পরিচালনাই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।

                          এরপরও তো আলহামদুলিল্লাহ, মুজাহিদগণ একেবারে সুষ্পষ্টভাবে কুফরে লিপ্তদেরকেই শুধু টার্গেট হিসেবে নিচ্ছেন। আ'মভাবে ইসলামী শরীয়াতের বিরোধী সকল টার্গেটকে এখনো ধরা শুরু করেন নি। আমাদের ধারনাঃ যাতে সাধারণ মুসলমানরা ধীরে ধীরে মুজাহিদদের সারিয়াগুলো দেখতে দেখতে জিহাদী আবহাওয়াতে অভ্যস্থ হয়ে যায়, এজন্য মুজাহিদ ভাইরা এই রকম সুষ্পষ্টভাবে চিহ্নিত, সকলের বুঝে সহজেই ধরে, এই রকম টার্গেট এর উপর আগে কাজ করতেছেন। আল্লাহু আ'লাম।

                          গেরিলা যুদ্ধের একটা বড় মূলনীতি হচ্ছে, জনসমর্থন অর্জন। জনগণের সমর্থন ব্যতীত গেরিলা যোদ্ধারা পানির বাইরে মাছের মতো। আনসার আল ইসলামের এই অপারেশনগুলো জনসমর্থন অর্জনের একটা উপায় বলেই মনে হয়।

                          পাশাপাশি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অনেক স্তর থাকতে পারে। মনে হচ্ছেঃ মুজাহিদ ভাইরা ধীরে ধীরে সারিয়া করে করে নিজেদেরকে আরো বড় সারিয়া অথবা গাযওয়া এর জন্য প্রস্তুত করছেন। অন্ততঃ তাদের অপারেশন এর প্যাটার্ন দেখে সে রকমই মনে হয়।

                          তাই মুজাহিদগণের বর্তমান অপারেশনগুলো জিহাদ ফি সাবিল্লাহ এর অংশ, সেটা গেরিলা পদ্ধতিতে জিহাদের অন্যতম স্তম্ভ জনসমর্থন অর্জনের উপায় ও মুজাহিদগণের ব্যাপক প্রশিক্ষন ও প্রস্তুতির একটা পর্যায়। আল্লাহু আ'লাম।

                          আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদেরকে কবুল করুন ও তাদের আমলে বরকত দান করুন। সাথে আমাদের সকলকেও কবুল করুন। আমীন।

                          নোটঃ উপরের আলোচনাটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত উপলব্ধি। কোন আলেম / সিনিয়ার তালেবে ইলম ভাই যদি এই চিন্তার শুদ্ধ / অশুদ্ধতা যাচাই করে দেন, তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব ইনশাআল্লাহ।

                          তবে ফেসবুকের সেই 'বুজুর্গ' যদি অদৌ জিহাদ করা যাবে কিনা - এই প্রশ্ন তুলেন, তাহলে সেটা আলাদা আলোচনা। আমরা ধরে নিচ্ছি, উনি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নূন্যতম ধারনা রাখেন।
                          Last edited by Taalibul ilm; 04-30-2016, 10:16 PM.
                          কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                          Comment


                          • #14
                            এই ব্যক্তি জামা'আত ঘরানার। উনি রশিদ ঘানুসি, ইউসুফ কারজাবি আর ইয়াসির কাদির ককটেল... এখান থেকে এক চামচ, আরেক জায়গা থেকে হাফ চামচ এভাবেই তিনি কাজ চালান। মুজাহিদ বিদ্বেষ এই ব্যক্তির চরমে। আজীবন শুধুমাত্র মুজাহিদিনদের কর্মকান্ডই এই ব্যক্তি কন্ডেম করে আসছে।

                            এই ব্যক্তি কুফর ল প্র্যাকটিস করার পক্ষেও একটি ভিডিও রিলিজ করেছেন (আ'উজুবিল্লাহ), বেপর্দা বোন দিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাচ্ছেন...

                            এই ব্যক্তির এসকল বিভ্রান্তি আমলে নেয়ার কোনো সুযোগই নেই।

                            যদি শুধুমাত্র সমকামীতার শাস্তি দেয়াই মূল উদ্দেশ্য হতো, আল্লাহ'র বান্দারা তো রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো মিসকিন সমকামীদের মধ্য হতে কাউকে হত্যা করলেই পারতেন। উনারা অনেক ঝুকি নিয়ে কাজটা করেছেন তা তো দেখাই যাচ্ছে... এবং অনেক প্রস্তুতিও নিয়েছেন মিডিয়াতে দেখিয়েছে। নিতান্ত অন্ধরাই বলবে যে এই ভাইয়েরা সমকামীদের উপর হাদ্দ কায়েম করেছেন।

                            "সূর্যের আলোকেও যদি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হয় তখন আর কি ই বা বলার থাকে...

                            "আলোচনা তো হতে পারে মানুষের সাথে, কোনো হাইওয়ানের সাথে নয়।"

                            وَاللّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ

                            Comment


                            • #15
                              একটা উসুল হচ্ছে কার কথা শোনা প্রয়োজন আছে আর কার কথা শোনা প্রয়োজন নাই। সিবগাতের সাহেবের মত লোক যার বাহ্যিক জ্ঞানের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই যে সে জানে। তবে সে তার জানা কে তার হাওয়া অনুযায়ী পরিচালিত করেছে। (আল্লাহ্* আমাদের হেফাজত করুন)

                              ইসলামে খুব বেশি চিন্তাবিদ হবার দরকার নাই, কারন দ্বীনের আহকাম সমূহের ব্যাপারে আল্লাহ্* বলেছেন, "তারা বলে আমরা শুনলাম এবং মানলাম"

                              মূসা (আঃ) কে জখন আল্লাহ্* বললেন হে মুসা তোমার লাঠি দিয়ে সাগরে আগাহত করো, মুসা (আঃ) কিন্তু চিন্তা করেন নি সাগরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে কি ফায়দা? উনি উনার কাজ করেছেন!

                              সিবগাত সাহেব কি সাগরে লাঠি দিয়ে আঘাত করার মধ্যে কোন হিকমাহ খুজে পাবেন? কিংবা নূহ (আঃ) নৌকা বানানোর মধ্যে, যেখানে ত্রি সীমানার মধ্যে কোন সাগর নাই। সিবগাত সাহেব বলবেন "আরে সেটা তো ছিল আল্লাহ্*র সরাসরি আদেশ"

                              তাহলে আমি বলি জিহাদের আর কিতালের ১০০ এর ও অধিক আয়াত এগুলো কি? "তারা বলে আমরা শুনলাম এবং মান্য করলাম" এটা কি?

                              সিবগাত সাহেবের জন্য আমার এতটুকুই বলার আছে,

                              নিজেকে চ্যাম্পিয়ন ভাববেন না! আপনার চেয়ে অনেক বড় চ্যাম্পিয়ন এই জমিনে খেলে গেছে তারা কেউ আপনি যা বলেছেন তা বলার সাহস ও পায়নি।

                              ও বাই দা ওয়ে উনাদের সময়ে অবশ্য ফেবু এবং লাইক বাটন ছিলো না।
                              মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                              Comment

                              Working...
                              X