ফিকহি উদ্ধৃতিসমূহের মনগড়া অনুবাদ
ফোরামের সম্মানিত ভাইগণ! আমি বেশ কয়েক দিন আগে ফোরামে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি পোষ্ট দেখতে পাই। তাতে আমার তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ হয়। কিন্তু তখন আমার ল্যাপটপটি নষ্ট থাকায় সুযোগ হয়ে উঠেনি। তাই এখন আরেক ভাইয়ের ল্যাপটপ দিয়ে জবাবটি লিখার চেষ্টা করলাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার তাওফীকে।
আনজেম চৌধুরী “কাফেরদের রক্ত হালাল না হারাম” শিরোনামে একটি পোষ্ট দিয়েছেন।তাতে তিনি নিজের মনগড়া কতগুলো বিভ্রান্তিকর মূলনীতি প্রমাণের জন্য (অথবা না পারলে কমপক্ষে কিছু কিছু প্রাথমিক লোকদের মনে সংশয় সৃষ্টির জন্য) বিভিন্ন মাযহাবের সম্মানিত ইমামদের কিতাব থেকে অনেকগুলো উদ্ধৃতি পেশ করেছেন, যেগুলোতে তার কথার সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই।কিন্তু তিনি অতি সূক্ষ্ণতার সাথে সেগুলোর এমন ভুল অনুবাদ করেন, যাতে ঐ সমস্ত ভাইয়েরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যাবেন, যারা আরবী বুঝেন না অথবা বুঝলেও উক্ত ইবারতগুলোর সাথে পূর্বপরিচিত নন।আমি উক্ত ভুলগুলো স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো ইংশাআল্লাহঃ
১।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন:
الكافرالأصلي الذي ليس هومن أهل القتال، فإنه لايقتل عند أكثرالعلماء كأبي حنيفة ومالك وأحمد.
“অধিকাংশ উলামা` যেমনঃ আবু হানীফা (রহঃ), মালিক (রহঃ), আহমাদ (রহঃ) এর মতে- মুরতাদ নয় এমন কাফির (কাফির আসলি) যদি যুদ্ধে সম্পৃক্ত (আহলুল ক্বিতাল) না হয়, তবে তাদের হত্যা করা যাবে না।”
এর সঠিক অর্থ ও মর্ম:
“যে আসলি কাফির (বা আদি কাফির ) যুদ্ধক্ষম (যুদ্ধের উপযুক্ত) নয়, অধিকাংশ আলেমের মতে তাকে হত্যা করা যাবে না।যেমন ইমাম আবু হানিফা, মালেক ও আহমাদ (রহ) এর মত এটা।”
এখানে أهل القتال (যুদ্ধক্ষম বা যুদ্ধের উপযুক্ত) নয় বলে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও এজাতীয় লোকদেরকে বাদ দেওয়া উদ্দেশ্য। কে যুদ্ধে সম্পৃক্ত, কে সম্পৃক্ত না অথবা কার জাতি যুদ্ধে জড়িত, কার জাতি জড়িত না তা বুঝানো উদ্দেশ্যনয়।
প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
২।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন:
فَأَبُوحَنِيفَةَ رَأَى أَنَّ الْكُفْرَمُطْلَقًا إنَّمَا يُقَاتَلُ صَاحِبُهُ لِمُحَارَبَتِهِ فَمَنْ لَاحِرَابَ فِيهِ لَايُقَاتَلُ وَلِهَذَا يَأْخُذُ الْجِزْيَةَ مِنْ غَيْرِأَهْلِ الْكِتَابِ الْعَرَبِ وَإِنْ كَانُوا وَثَنِيِّينَ. وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ مَالِكٌ وَأَحْمَد فِي أَحَدِ قَوْلَيْهِ وَمَعَ هَذَا يَجُوزُالْقَتْلُ تَعْزِيرًا وَسِيَاسَةً فِي مَوَاضِعَ. وَأَمَّاالشَّافِعِيُّ فَعِنْدَهُ نَفْسُ الْكُفْرِهُوَالْمُبِيحُ لِلدَّمِ إلَّا أَنَّ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ تُرِكُوا لِكَوْنِهِمْ مَالًا لِلْمُسْلِمِينَ
“ইমাম আবু হানীফার (রহঃ) সিদ্ধান্ত হচ্ছে: কুফরের কারণে তার ধারকের (কাফের) সাথে লড়াই কেবল তখনই হতে পারে, যখন সে লড়াই করবে। আর যে লড়াইয়ে অংশ নিবে না, তার বিরূদ্ধে লড়াই করা যাবে না। আর একারণেই আহলে কিতাব না হয়ে মূর্তিপূজক হওয়া সত্ত্বেও আরবদের কাছ [যুদ্ধ না করে] থেকে জিযিয়া নেয়া হয়েছিল এবংএ বিষয়ে ইমাম মালিক (রহঃ), আহমদ (রহঃ) তার সাথে একমত পোষণ করেছেন (তার দুইমতের একটি অনুযায়ী)। তবে এটা সত্ত্বেও শাস্তি হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে কাফেরকে হত্যা করা কিছু ক্ষেত্রে জায়েয আছে। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মতে স্বয়ং কুফরই রক্ত মুবাহ (হালাল) হওয়ার কারণ। তবে নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় না, কারণ তারা মুসলিমদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে থাকে।”এর সঠিক অর্থ ও মর্ম:
“তাই ইমাম আবু হানিফা রহ: এর মতে যেকোন ধরণের কুফরই হোক না কেন, উক্ত কুফরের কারণে তার ধারকের (কাফেরের) সাথে যুদ্ধ করা হয় শুধু তার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণে (অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি যুদ্ধক্ষম হওয়ার কারণে)। সুতরাং যাদের মধ্যে যুদ্ধক্ষমতা নেই, তাদেরকে হত্যা করা হবে না। একারণেই অনারবী আহলে কিতাবদের থেকে জিযিয়া নেওয়া হয়, এমনকি যদি তারা মূর্তিপূজকও হয়। এব্যাপারে ইমাম মালেক ও আহমাদ রহ: (তার এক মত অনুযায়ী) তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। এতদ্বসত্ত্বেও কয়েক স্থানে সাজা হিসাবে বা রাজনৈতিক স্বার্থে (যারা যুদ্ধক্ষম না) তাদেরকেও হত্যা করা যাবে। আর ইমাম শাফেয়ী রহ: এর মতে স্বত্বাগতভাবে কুফরীই রক্ত বৈধকারী। কিন্তু নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হয় না, যেহেতু তারা মুসলমানদের সম্পদ হয়।”
এখানে বলা হয়েছে:
ইমাম আবু হানিফা রহ: এর মতে কাফেরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয় তার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণে। আর যেহেতু তার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণেই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, একারণে তাদের মধ্যে শুধু ‘যারা যুদ্ধক্ষমতা রাখে’ তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করা হবে (যেমন যুবক শ্রেণী)। আর যারা যুদ্ধক্ষমতা রাখে না (যেমন নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও এজাতীয় লোকগণ), তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে না।
প্রিয় পাঠক! কাফেররা সর্বদাই মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন: “তারা সর্বদাই তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফেরাতে সক্ষম হয়।”
তাই কাফেররা স্বউদ্যোগে যুদ্ধে নেমে আসুক বা না আসুক, তাদের বিরুদ্ধে সর্বদাই মুসলমানদের যুদ্ধ চলবে, যতক্ষণ না কুফর-শিরকের ফিৎনা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়, যেমনটা আল্লাহ সুবহানাহু পবিত্র কুরআনের সুরা আনফালের ৩৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন।
অনুরূপ সূরা বারাআর মধ্যে বলেছেন:
যে সমস্ত আহলে কিতাবরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে না, আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম হিসাবে মানে না এবং সত্য দ্বীনকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না তারা অবনত হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে।
তাই এখানেও কে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করল, কে করল না, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি; বরং কে যোদ্ধা ও কে যোদ্ধা না তথা কে যুদ্ধক্ষম ও কে যুদ্ধক্ষম না সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর এটি (أهلالقتال বা যুদ্ধক্ষম) শরীয়তের একটি বিশেষ পরিভাষা। শরীয়ত- নারী, শিশু, বৃদ্ধ, গীর্জায় ইবাদতকারী সন্নাসী, লেংড়া ও এজাতীয় কিছু শ্রেণী ব্যতীত বাকী সকল পুরুষ কাফেরকে أهلالقتال (যোদ্ধা বা যুদ্ধক্ষম) গণ্য করে।
প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আল্লাহই ভাল জানেন।
৩।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন।
فإن الأصل أن دم الآدمي معصوم لايقتل إلا بالحق وليس القتل للكفر من الأمر الذي اتفقت عليه الشرائع ولا أوقات الشريعة الواحدة كالقتل قودا فإنه مما لاتختلف فيه الشرائع ولا العقول
মূলনীতি হচ্ছে যেকোন আদম সন্তানের রক্ত মা'সুম (অর্থাৎ রক্ত ঝরানো থেকে বিরত থাকতে হবে)।কোন ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা যাবে না। শুধু কুফরের কারণে তাকে হত্যা করা এমন একটি বিষয়, যার ব্যাপারে শরীয়াহর বিধানসমূহ কোন একটি সময়ের জন্যও একমত হয় নি,যেমনটি কিসাস (القَوَدُالقِصاصُ - লিসানুল 'আরব) হিসেবে হত্যা করার ব্যাপারে হয়েছে, এমনকি বিবেকও (আক্বল) এতে একমত হয় না।
[আস সারিম আল মাসলুল, পৃ. ১০৪]
এর সঠিক অর্থ ও সারমর্ম:
“কেননা মূলনীতি হচ্ছে মানুষের রক্ত মাসুম বা সুসংরক্ষিত। যথার্থ কারণ ছাড়া তাদেরকে হত্যা করা যাবে না। আর কুফরের কারণে হত্যা করা এমন বিষয় নয়, যেটা সকল (নবীদের )শরীয়তে বা কোন এক (নবীর) শরীয়তেই সকল কালে বিদ্যমান ছিল, যেমনটা ছিল কিসাস হিসাবে হত্যা করার বিধানটি। কারণ এ ব্যাপারে (কিসাস হিসাবে হত্যা করার ব্যাপারে) বিভিন্ন (নবীর) শরীয়তের মধ্যে কোন তারতম্য নেই। আর কারো বিবেকও এতে দ্বিমত করে না।”
অর্থাৎ কিসাস হিসাবে হত্যা করার বিধানটি সকল নবীর শরীয়তেই এক রকম ছিল, কিন্তু কুফরের কারণে হত্যা করার বিধানটি সকল নবীর শরীয়তে ছিল না। এমনকি এক নবীর শরীয়তেও সকল কালে বিদ্যমান ছিল না।
এটা তো সোজা কথা। যেমন আমাদের নবীর শরীয়তে ইসলামের শুরু যুগে জিহাদের বিধান ছিল না।অত:পর আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদেরকে জিহাদের বিধান দিয়েছেন এবং কুফরের কারণে কাফেরদেরকে হত্যা করার বিধানও এসেছে। কিন্তু ঐ লোক এর কী মতলবি অনুবাদ করেছে। আল্লাহ হেফাজত করুন!
প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।
৪।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন:
إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال فإذا زال ذلك بعقد الذمة عاد الحقن الأصلي
"মৌলিকভাবে একজন মানুষের রক্ত ঝরানো নিষেধ এবং (রক্ত ঝরানোর) বৈধতা কেবল তার যুদ্ধে সম্পৃক্ততার কারণেই হয়। আর যখন এটি (যুদ্ধে সম্পৃক্ততা) যিম্মাহর চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়ে যায়, তার (রক্ত ঝরানোর) নিষেধাজ্ঞা পুনরায় ফিরে আসে।” ["আল-মাবসুত", ১০/৮১]এর সঠিক অর্থ ও মর্ম:
“মৌলিকভাবে মানুষের রক্ত সুসংরক্ষিত। বৈধতা দেওয়া হয়েছে কেবল যুদ্ধ-জিহাদের প্রসঙ্গটির কারণে। সুতরাং যখন যিম্মী চুক্তির কারণে যুদ্ধ প্রসঙ্গ থাকে না, তখন পুনরায় পূর্বোক্ত নিষেধাজ্ঞা ফিরে আসে।”
উপরোক্ত কথার উদ্দেশ্যে হল:
মুসলমানদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার বিধান দেওয়া হয়েছে বলে কাফেরদের রক্ত প্রবাহিত করা বৈধ হয়েছে। অন্যথায় সত্ত্বাগতভাবে মানুষের রক্ত নিষিদ্ধ বা সুসংরক্ষিত ছিল। সুতরাং যতদিন কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের বিধান বাকী থাকবে, ততদিন তাদের রক্ত বৈধ থাকবে। আর যখন কাফেররা মুসলমানদের সাথে যিম্মি চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার কারণে তাদের সাথে জিহাদ বন্ধ হয়ে যাবে, তখন পুনরায় তাদের সত্ত্বাগত নিরাপত্তা ফিরে আসবে।
এখানে সাময়িকভাবে কাফেরদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা- না করার কথা বলা হয়নি; বরং কাফের-মুসলিমের মাঝে কিয়ামত অবধি স্থায়ী যুদ্ধ সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, যা কেবল কাফেরদের পক্ষ থেকে যিম্মী চুক্তি গ্রহণ করার দ্বারাই বন্ধ হয়।
প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আল্লাহই ভাল জানেন।
প্রিয় পাঠক! এই আঞ্জেম চৌধুরীর লেখা পড়ে বোঝা যায়, সে ভুলে এগুলো করেনি। বরং দাজ্জালী করেছে। কারণ সে কতগুলো কিতাব ঘেটেছে!? তার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নির্দিষ্ট উদ্ধৃতিটি সংগ্রহ করেছে। আবার তার অনুবাদও করেছে। তথাপি প্রথমে কত বড় মুজতাহিদ সেজেছিল! নাম্বার দিয়ে দিয়ে এ বিষয়ে কতগুলো বানোয়াট মূলনীতি দাঁড় করিয়েছে। তাতে বোঝা যায়, সে ধোকাবাজ। অনুবাদের সূক্ষ্ণ মারপেচে ফেলে জেনারেল শিক্ষিত ভাইদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে এবং এই আশা করেছে যে, এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পূর্বেই অনেককে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেওয়া যাবে। আল্লাহ হেফাজত করুন!
এই জনাব আঞ্জেম আরো বলেছে যে, ইকদামী (আক্রমণাত্মক) জিহাদের জন্য খলীফা শর্ত; অথচ কোন প্রকার জিহাদের জন্য খলীফা শর্ত হওয়ার কথা কোন কিতাবে উল্লেখ নেই। “খলীফা থাকলে তিনিই যুদ্ধ পরিচালনা করবেন, তার অনুমতি ছাড়া অভিযান পরিচালনা করা যাবে না” এটা ভিন্নকথা। আর “জিহাদের জন্য খলীফা শর্ত” এটা আরেকটি ভিন্ন কথা।
তাই সব ভাই শুনে রাখুন, যখন খলীফা না থাকে, তখন জিহাদের জন্য খলীফা আদৌ শর্ত নয়। ইমাম ইবনে কুদামা রহ: বলেন,
فإذا عدم الإمام لم يؤخر الجهاد
তাই যখন খলীফা থাকবে না, তখন জিহাদকে বিলম্বিত করা হবে না।
Comment