Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের প্রস্তুতি এবং এবং তার ব্যাপারে ধারাবাহিক আলোচনা (পর্ব ১)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদের প্রস্তুতি এবং এবং তার ব্যাপারে ধারাবাহিক আলোচনা (পর্ব ১)

    সমস্ত প্রসংশা আল্লাহর জন্য, দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুল (সাঃ) এবং তার পরিবার বর্গের উপর।

    আশা করি উম্মতের জিল্লতির এই হালতে আমরা ভালো নাই -

    জিহাদ ফরজ হলে জিহদের প্রস্তুতিও ফরজ, আর তেমন অবস্থায় জিহাদের প্রস্তুতি কে ছেড়ে দেয়ার অর্থ জিহাদকেই ছেড়ে দেয়া, আল্লাহ জিহাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে সরাসরি হুকুম দিয়েছেন।
    আপনারা জানেন হয়ে গেলো মালাউন মুশরিক দের সাথে এদেশের মুরতাদ বাহিনীর কিছু চুক্তি, যা প্রতিরক্ষা চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তির একাংশের রয়েছে এদেশের মুরতাদ বাহিনী বনাম মালাউনদের মুরতাদ বাহিনী। সুতরাং তাদের প্রস্তুতির ব্যাপার টি খুব পরিস্কার। তাই আমাদেরও পিছিয়ে পড়া যাবেনা, সাধ্যমত প্রস্তুতি আমাদেরও নিতে হবে। দরকার হয় আমরা নিজেরা নিজেদের মত স্টাফ কলেজ বানিয়ে নিবো ইনশাআল্লাহ, আর আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

    আমাদের এই আলোচনা টি সিরিজ আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ, এবং আমরা এখানে গঠনমুলক এবং তথ্য ভিত্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বিষয় শিখবো ইনশাআল্লাহ।

    আমাদের এই কাজের মূল ৪ টি লক্ষ্যঃ

    ১। আল্লাহর সন্তুষ্টি
    ২। জিহাদের ব্যাপারে প্রস্তুতি
    ৩। জিহাদের ব্যাপারে জ্ঞান বৃদ্ধি
    ৪। এই কাজের ব্যাপারে ফিকির বৃদ্ধি, এমন পর্যায়ে যে তা একদিন স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমে রুপ নেয় ইনশাআল্লাহ


    আসলে এই ফিকির বৃদ্ধি করার কাজটি যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা বলে শেষ করা যাবেনা, এই কাজটি তাগুতের ঘুম হারাম করে দেয়, এক শায়েখ বলছিলেন, ইজরায়েল এটা ভয় পায়না যে কেউ ফিলিস্তিনের জন্য তার দিকে একটা গ্রেনেড ছুড়ে মারবে কিন্তু ইজরায়েল এটা ভয় পায় যে কেউ ফিলিস্তিন কে নিয়ে চিন্তা করবে, ইজরায়েল চায় মুসলিম উম্মাহ ফিলিস্তিন কে ভুলে যাক, কারন গ্রেনেড কে ঠেকানোর সামর্থ্য ইজরায়েলের আছে কিন্তু মানুষের চিন্তাধারা প্রতিহত করার কোন সামর্থ্য ইজরায়েলের নাই। একই ভাবে এদেশের তাগুত চায় আমরা ফিকির করা বন্ধ করে দেই, ইনশাআল্লাহ শুধু মাত্র এই বিষয়টাকেই সামনে আমরা ধারাবাহিক আলোচনার পর্বে নিয়ে আসবো। তবে এখনের জন্য শুধু এতটুকুই বলি আমরা ফিকির ছেড়ে দিয়েছি বলেই আজ আমাদের এই হাল! কাজ করতে হলে আগে ফিকির করতে হবে, ফিকির ছাড়া আমল কিভাবে আসবে!

    কাজের শুরুতে আমাদের লক্ষ্য ৪ টি খুব পরিস্কার থাকা দরকার, কারন লক্ষ্য পরিষ্কার না হলে আমাদের কাজ সফল হবেনা।

    কথা হচ্ছে আসকারি/সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে - এ লাইন পর্যন্ত যারা এসে পৌঁছেছেন, সবাই এখুনি বুকডন পজিশনে চলে যান - ১০ টা পুশ আপ - এবং ৫ টা বেলি বা রিচ আপ (শুয়ে যান হাটু গুটিয়ে নেন, হাত ঘাড়ের পিছনে নিয়ে কনুই দিয়ে দুই কান স্পর্শ করেন এবার থুতনি নিয়ে হাটুতে ঠেকান)

    আলহামদুলিল্লাহ আপনারা যারা শেষ করে এসেছেন।

    আমাদের এই আলোচনায় জিহাদের প্রস্তুতির মধ্যে পড়ে এমন সমস্ত বিষয় থাকবে ইনশাআল্লাহ, আমরা যেমন ট্যাকটিক্স নিয়ে কথা বলতে পারি একই ভাবে আমরা রাজনীতিকেও বাদ দিবোনা, কিংবা দাওয়াহ কিংবা প্ল্যানিং, কিংবা একটি জিহাদের আয়াত মুখস্ত কিংবা একটি হাদিস মুখস্ত - আমাদের জন্য যা দরকার তার সবই আমরা আলোচনা করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

    আলোচনা করার সময় আমরা খেয়াল রাখবোঃ

    ১। অন্য ভাইয়ের সম্মানের দিকে খেয়াল রাখা, বিবাদে লিপ্ত না হওয়া
    ২। সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল (কিন্তু বিষয় পরিস্কার করার জন্য যতটুকু বলতেই হবে তা উপস্থাপনায় রাখতে হবে)
    ৩। সম্ভব হলে দলিল ভিত্তিক আলোচনা
    ৪। পরিমার্জিত


    আপনারা রেডি? ইনশাআল্লাহ চলেন তাহলে শুরু করি, "হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী আমাদের এই কাজ শুধু আপনার সন্তুস্টির জন্য, আপনি এই কাজের ব্যাপারে এবং আর সমস্ত কাজের ব্যাপারে আমাদের অভিভাবক হয়ে যান, আপনার সন্তুস্টির দিকে আমাদের এই কাজ এবং আর সমস্ত কাজ পরিচালিত করেন"

    আমাদের আজকের আলোচনাঃ

    বাংলাদেশে আমরা জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝবো? এখানে ব্যাক্তিগত প্রস্তুতি বুঝানো হচ্ছেনা বরং সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝাবে? কি কি বিষয় এই প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ এবং আমরা কিভাবে সেই প্রস্তুতির আমল করতে পারি?




    * কমেন্ট সেকশনে আমাদের আলোচনা শুরু করতে পারি ইনশাআল্লাহ
    Last edited by s_forayeji; 04-10-2017, 12:42 PM.
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

  • #2
    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় রাসুল সাঃ এর উপর এবং তার পরিবারের উপর।

    → আলকয়দার মানহাজ গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া। বাংলাদেশে ও এ পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে।
    →কিন্ত গেরিলা যুদ্ধের জন্য জনগনের সাপোর্ট একান্তই জরুরী। তাই আমাদের জনগনের সাপোর্ট অর্জন করা দরকার।
    →বাংলাদেশে কি হতে চলছে (আল্লাহু আলাম) এ সম্পর্কে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
    →সম্ভাব্য ভারতীয় অগ্রাসন সম্পর্কে সচেতন করা।
    →কারা মুলত সন্ত্রাসী সেটা বুঝিয়ে দেয়া এবং জংগীরা উম্মাহর শত্রু নয় বরং প্রকৃত বন্ধু সেটা স্পস্ট বুঝিয়ে দেয়া।
    →আলেম ওলামাদের অধিকতর দাওয়াত দেয়া। কারন ইসলাম প্রিয় সাধারন মানুষ যখন কোন বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্দে ভোগে তখন আলেম ওলামাদের দিকে তাকিয়ে থাকে যে তারা কি বলে।
    →আলেম ওলামা গন যদি এগিয়ে আসে আমি মনে করি ৮০% দাওয়াতের কাজ এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
    →আলেম দের কে এভাবে তশকিল করতে হবে,, যাতে হয় তারা জিহাদের পক্ষ নিবে না হয় চুপ থাকবে (নিরাপত্তা হিন হলে) এবং বিরোধীতা ছেড়ে দিবে।


    আমার কমেন্টের ভুল ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের সবার কাছে মাফ চাই।।
    ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
    কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
    যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
    নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


    ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ্।খুব ভালো উদ্যগ।ফিকির না করে কোন কাজেই সফল হওয়া যায়না।
      কিন্তু অধমের দৃষ্টিতে এখানে প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা করাটা আমাদের জন্য মঙ্গল জনক হবে বলে মনে হচ্ছেনা।(আল্লাহ ভালো জানেন)
      এটি যে একটি ওপেন ফোরাম আমাদের সবারই জানা।আর আমরা এখানে কি লিখছি,কি ভাবছি,কি বলছি তা তাগুতের বাহিনী সর্বক্ষণ মনিটরিং করছে।এখান থেকে তথ্য নিয়েই তারা তাদের কার্যপ্রনালী তৈরী করে।
      যুদ্ধ কৌশলের মাঝে গুরুত্বপূর্ন একটি হল "শত্রুকে যাবতীয় তথ্যের ক্ষেত্রে অন্ধকারে রাখা"
      একজন বলেছিলেন "তুমি তোমার ব্যাপারে শত্রুকে যতটুকু অন্ধকারে রাখবে ততুটুকই তুমি সফল হবে"।
      অতএব অধমের মাশওয়ারা হল আমরা শত্রুদেরকে আমাদের ব্যাপারে গোলক ধাঁধায় ফেলে রাখবো ইনশাআল্লাহ।
      সামান্য থেকে সামান্য একটি তথ্য ওদের কাছে অনেক কিছু।
      (এ*টি আমার এক*টি পরামর্শ মাত্র। এর বেশী কিছু নয়)
      Last edited by banglar omor; 04-10-2017, 04:01 PM.
      শামের জন্য কাঁদো.....

      Comment


      • #4
        আমি banglar omor ভাইয়ের সাথে একমত পোষণ করছি

        এরপরেও মডারেটর ভাইয়েরা বিষয়টি নিশ্চিত করলে আলোচনা শুরু করবো ইনশাআল্লাহ....
        Last edited by Mujaheed of Hind; 04-10-2017, 04:16 PM.

        Comment


        • #5
          আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহ,

          জাযাকাল্লাহ এমন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য। এটা আসলেই সময়ের দাবী। বিশেষ করে যখন নিজে নিজে ব্রেইন স্টরমিং করার চেয়ে সামস্টিকভাবে একটা প্লাটফরমে আলোচনা করা যায় এবং শিক্ষণীয় বিষয়ের উপর আমল করা যায়। যাই হোক ভাই আজকের যে প্রশ্নটা সঞ্চালক ভাই উত্থাপন করেছেন এটার ব্যপ্তি এত বিশাল যে আসলে ২/১ টি কথার মধ্যে এটা শেষ হবার নয় মনে হচ্ছে। তবে এখানে প্রাসঙ্গিক ২/১ কথা আপাতত বলার চেষ্টা করছি ইনশাল্লাহ।
          জিহাদকে আমভাবে চিন্তা করলে এটা একটা যুদ্ধ। আর যুদ্ধ মানে এটার সাথে ২ টি বিষয় সম্পর্কযুক্ত থাকে।
          ১। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য যা অর্জন করা দরকার
          ২। একটি পক্ষ যারা সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করবে সেই লক্ষ্য অর্জনে বাঁধা দিতে।
          যদি জিহাদের জন্য প্রস্তুতি বলা হয় তাহলে বলব প্রথম প্রস্তুতি দরকার নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে ১০০% পরিষ্কার হওয়া। এটার জন্য দরকার ইলম অর্জন করা। এই ইলম শুধুমাত্র কুরআন এবং সুন্নাহ নির্ভর নয়। এটা আমাদের অবশ্যই লাগবে। কিন্তু একটা জমীনে যখন আপনি জিহাদ করবেন তখন সেই জমিনের জন্য আপনার নির্দিষ্ট পরিকলপনা নিতে হবে। বিষয়টা এমন না যে শামের জন্য আপনার যা লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্যও একই লক্ষ্য হবে। এই বিষয়গুলো ভালভাবে বুঝার জন্য জিহাদি ময়দানের উমারাগনের বিভিন্ন লেখা পড়তে হবে। যেমন; ম্যানেজমেন্ট অভ স্যাভেজরি।
          অতঃপর নিজেদের শত্রুকে চেনা। শত্রুকে চেনা মানে এটা না যে আমভাবে বলে দেওয়া এরা হল আমাদের শত্রু। বরং শত্রু কারা, তাদের চিন্তাধারা কি, তাদের শক্তির জায়গা কোনটা, তাদের দুর্বলতা কোথায় ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে জানা। কারণ আপনি আপনার শত্রুকে যদি ঠিকমত না চিনতে পারেন তাহলে নিজের পরবর্তী প্রস্তুতি কিসের ভিত্তিতে নিবেন। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার। আপনার শত্রুর যেটা দুর্বলতা সেই জায়গায় আপনি শক্তি অর্জন করেন। তাহলে আপনি শত্রুর দুর্বল জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করে শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
          তাই তাই প্রথম অবস্থায় বলা যায় ইনশাল্লাহ আমরা নিজেদের লক্ষ্য এবং নিজেদের শত্রুকে এই দুটিকে চেনার মধ্যে নিজেদের প্রস্তুতি রাখতে পারি। এরপর এগুলোর উপর ভিত্তি করে নিজেদের পরবর্তী প্রস্তুতি কি হবে তা নির্ধারণ করতে পারব ইনশাল্লাহ।

          আল্লাহ্* আমার কথার ভুল-ত্রুটি থেকে সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।।

          Comment


          • #6
            ভাই এখানে তো আলোচনাটি সামগ্রিক আলোচনা হবে বলেই মনে হচ্ছে... মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ (দা বা) তো স্বীয় বয়ানে অনেক স্পেসিফিক আলোচনা করেছেন কিন্তু তাতে এমন কিছুই প্রকাশ পায়নি যার আশংকা করা হয়... আমরা সেই মূলনীতি অনুসরণ করতে পারি সম্ভবত...

            মূলতঃ যুদ্ধের কৌশল তো ব্যাপকভাবে জানা থাকেই... কুফফাররা তার অনেক কিছু ইতিমধ্যেই জানে। আলোচনার মাধ্যমে যদি ভাইদের চিন্তাধারায় গতি আসে তাহলে তো তা উত্তম... কেবল সেনসিটিভ তথ্য শেয়ার না করা চাই। কিংবা এমন কৌশল যা আমভাবে সামনে আলোচনা করা হয় না।

            মুজাহিদিন শায়খরাও আমভাবে এমন বলেন... এমন উদাহারণ তো প্রচুর রয়েছে... যেমন একজন ভাই যিনি দুনিয়াবি পেশায় ব্যস্ত, ফেসবুকে কিছু পোস্ট দেয়াই উনার কাজ... কিন্তু এই কাজটাই যদি সঠিক চিন্তাধারার আলোকে করা হতো তাহলে কোনো তানজিমে শরীক না হয়ে, নির্দেশনা ছাড়াই দাওয়াত আরও পৌঁছে দিতে পারত।

            সামরিক ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পারি, লোন ওলফ আক্রমণের বিষয়টা কত খোলাখুলি আলোচনা হয়। এমনকি কীভাবে কী করতে হবে সবই বলে দেয়া হয় কিন্তু এর ফলে কি এটা দুর্বলতা হিসেবে আমরা দেখি??

            মূলতঃ নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস না করা চাই... প্রস্তুতি সংক্রান্ত আলোচনা হওয়া তো জরুরী। এবং ফোরামের উদ্দেশ্যই তো এটা... এটা স্রেফ কোনো নির্দিষ্ট জামা;আতের ভাইদের আড্ডা দেয়ার জায়গা এমনটা ভাবা সঠিক হবে না ইনশা'আল্লাহ।

            ওয়াল্লাহু আ'লাম।
            Last edited by Guest; 04-10-2017, 05:58 PM.

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহি ওয়াহদাহ্
              ওয়াসসলাতু ওয়াসসালামু আ’লা মানলা নাবিয়্যা বাআ’দা
              আম্মাবাদ


              আল্লাতাআ’লা জিহাদের স্থিতিকালের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,

              “আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়.........
              (বাক্বারা: ১৯৩) (অনুবাদ habibur.com)


              আয়াতের এই অংশ থেকে এটা প্রতিয়মান হয় যে, জিহাদ ততক্ষণ পর্যন্তই চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর জমীনে দ্বীন পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়। অর্থাৎ জিহাদের এই আমল যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অগ্রসর হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।


              এখন আমাদের আলোচনার প্রথম বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে সামিগ্রকভাবে জিহাদের প্রস্তুতি বলতে আমরা কি বুঝবো?


              বর্তমানে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতির সামগ্রিক রুপরেখা আমি দুইটি ভাগে ভাগ করবো -

              ১. তাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া এবং নেতৃত্ব স্থানীয়দেরকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা

              ২. পরবর্তী সম্মুখ সমরের জন্য সাধ্যানুযায়ী শক্তিমত্তা অর্জন করতে থাকা



              প্রস্তুতির আমল:

              প্রথমত: প্রচার কার্য

              বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমাদের সমস্ত মিডিয়া থেকে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বিশেষ তিনটি বিষয়ে জোরালোভাবে কাজ করে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি –

              ১. দালীলিক এবং যুক্তিগত তত্ত্ব-উপাত্ত উপাস্থাপনের মাধ্যমে জনগনের কাছে মুজাহিদদের পরিচয় স্পষ্ট করে তোলা এবং মুজাহিদদের কাজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করা

              ২. যতবেশি সম্ভব উম্মাহর সামনে মুরতাদ শাসকের চক্রান্ত, ইসলাম বিদ্বেষীতা, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যায়-অপরাধ ইত্যাদি প্রকাশ করে দেয়া।

              ৩. দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে আসন্ন বিপদের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সে সম্পর্কে উম্মাহকে উপর্যুপরি সতর্ক করা।

              দ্বিতীয়ত: সামরিক প্রস্তুতি ও প্রয়োগ


              আল্লাহতাআ’লা ঘোষনা করেন,


              “আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন...........
              সূরা আনফাল: ৬০ (অনুবাদ habibur.com)


              ১. সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য অস্ত্র সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বহাল করা

              ২. প্রশিক্ষিত গেরিলা ইউনিট তৈরি করা

              ৩. তাগুতের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে আঘাত শুরু করা যেন তাগুতের অন্তরেও ভীতি সঞ্চারিত করা যায় যেভাবে শাতিমদের অন্তরে ভীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে



              বি.দ্র: এটা যেহেতু একটা মাশোয়ারার অংশ সেক্ষেত্রে আলোচনায় ক্রতি-বিচ্যূতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। একারণে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর জন্য উন্মুক্ত সুযোগ বহাল থাকবে।

              আল্লাহ কবুল করুন, আমীন....
              [/SIZE]
              Last edited by Mujaheed of Hind; 04-10-2017, 07:22 PM.

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ সকল ভাইদের কে সঠিক ভাবে সকল কাজগুলো কে অগ্রগতি করার তাওফিক দান করুণ আমিন

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Mujaheed of Hind View Post



                  এখন আমাদের আলোচনার প্রথম বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে সামিগ্রকভাবে জিহাদের প্রস্তুতি বলতে আমরা কি বুঝবো?


                  বর্তমানে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতির সামগ্রিক রুপরেখা আমি দুইটি ভাগে ভাগ করবো -

                  ১. তাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া এবং নেতৃত্ব স্থানীয়দেরকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা

                  ২. পরবর্তী সম্মুখ সমরের জন্য সাধ্যানুযায়ী শক্তিমত্তা অর্জন করতে থাকা

                  ৩. তাগুতের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে আঘাত শুরু করা যেন তাগুতের অন্তরেও ভীতি সঞ্চারিত করা যায় যেভাবে শাতিমদের অন্তরে ভীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
                  শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ "সাধারণ দিক-নির্দেশনা" তে বলেন,

                  "আমেরিকার তাবেদারদের লক্ষ্য বানানোর ব্যাপারে, এলাকাভিত্তিক ভিন্নতার অবকাশ রয়েছে।
                  এক্ষেত্রে সাধারণ নীতি হচ্ছে, তাদের সাথে যেকোন মোকাবেলা এড়িয়ে যাওয়া, শুধুমাত্র সেই দেশসমূহ ব্যতীত যেখানে তাদের সাথে সম্মুখ সমরে উপনীত হওয়া অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়।"
                  তাই স্থানীয় মুরতাদদের প্রাইম টার্গেট করা সহিহ হবে কি ??

                  আল্লাহু আ'লাম!

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by আবু কুদামা View Post
                    হে আল্লাহ সকল ভাইদের কে সঠিক ভাবে সকল কাজগুলো কে অগ্রগতি করার তাওফিক দান করুণ আমিন
                    আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন
                    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Umar Abdur Rahman
                      শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ "সাধারণ দিক-নির্দেশনা" তে বলেন,

                      ------------------
                      ----------------
                      -----------

                      তাই স্থানীয় মুরতাদদের প্রাইম টার্গেট করা সহিহ হবে কি ??

                      আল্লাহু আ'লাম!

                      সম্মানিত মডারেটর,

                      আমি প্রথমত জিহাদের সামগ্রিক প্রস্তুতির রুপরেখা দু'টি প্রধান ভাগে ভাগ করেছি।

                      অত:পর প্রস্তুতির আমল উল্লেখ করতে গিয়ে সামরিক প্রস্তুতি ও প্রয়োগ অংশে আলাদা তিনটা পয়েন্ট এনেছি যা পুনরায় নিচে উল্লেখ করছি -

                      ১. সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য অস্ত্র সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বহাল করা

                      ২. প্রশিক্ষিত গেরিলা ইউনিট তৈরি করা

                      ৩. তাগুতের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে আঘাত শুরু করা যেন তাগুতের অন্তরেও ভীতি সঞ্চারিত করা যায় যেভাবে শাতিমদের অন্তরে ভীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

                      এখানে প্রথমে রেখেছি সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ এবং গেরিলা ইউনিট গঠন করার বিষয়। এখন এটা তো নিশ্চিত যে এই দু'টি কাজ করতে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যয় হবে যে সময়ের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই মুজাহিদরা কোন সংঘর্ষে যাবে না্। এই অবস্থায় এটা আলোচনায় আসতে পারে যে, প্রাথমিকভাবে এই দু'টি কাজ সম্পন্ন করতে কতটা সময় লাগবে। এরপরে উল্লেখিত তিন নাম্বার পয়েন্ট সামনে আসবে তার আগে নয়।

                      শাইখকে আল্লাহ হিফাজত করুন। অবশ্যই এই আলোচনায় শায়েখের সাধারণ দিক-নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যিক। তবে এক্ষেত্রে আমরা শায়েখের কথাকে কিছুটা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ –

                      “...................তাদের সাথে যেকোন মোকাবেলা এড়িয়ে যাওয়া, শুধুমাত্র সেই দেশসমূহ ব্যতীত যেখানে তাদের সাথে সম্মুখ সমরে উপনীত হওয়া অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়................”



                      এখন এই অনিবার্যতা আমরা কিভাবে বিশ্লেষণ করবো এটাই হচ্ছে প্রশ্ন। এটা সত্য এবং সঠিক বিষয় যে, মুজাহিদরা এখনো সরকারী বাহিনীকে এড়িয়ে চলছে। কিন্তু, সরকারী বাহিনী কি মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনে চলে আসেনি? অথবা মুজাহিদরা এদের এড়িয়ে চললেও এরা তো মুজাহিদদেরকে ছাড় দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে এটাও ভাবার বিষয় যে, পরিস্থিতি ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে আমরা সরকারী বাহিনীকে নিয়ে ভাববো? আর সেক্ষেত্রে আমরা কি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে থাকবো নাকি আমরাও মাঝে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতির উপর চাপ প্রয়োগ করবো?


                      এ পর্যায়ে আমরা সামরিক শক্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আলোচনায় আসতে পারি, যার প্রধান একটি বিষয় হচ্ছে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তোলা এবং অস্ত্রের মজুদ বাড়ানো। তাহলে আমরা নিশ্চয় এটা করতে পারি যে প্রশিক্ষণ এমনভাবে চলতে থাকবে যেন সম্মুখ সমরে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই আমরা গেরিলা যুদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারি।



                      অনুরোধ: ভাইদেরকে অনুরোধ করবো, বিশেষ করে যারা সিনিয়র তাদেরকে, আপনারা স্বত:স্ফূর্তভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন ইনশাআল্লাহ। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো ভালো পরামর্শ আসবে। আর ফোরামের সম্মানিত শাইখদেরকে বলবো, আমাদের আলোচনায় শরঈ কোন ভূল উঠে আসলে তা সাথে সাথে সংশোধন করে দিন।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by bokhtiar
                        প্রিয় ভাই এমনভাবে এগুতে হবে যেনো এদেশের জনগন মোজাহিদিনদের পূর্ণ সাপুর্ট দেয়। এক্ষেত্রে ত্বাগুতের কু কর্মগুলো জনগনের সামনে বেশী বেশী করে তুলে ধরা। তাছাড়া আমাদের ভূমীটা কিন্তু ছোট, এখানে উল্লেখ যোগ্য কোন এলাকা নাই যেখানে মোজাহিদিনরা নুছরা প্রাপ্ত। কাজেই খুব হেকমতের সাথে এগুতে হবে। এই সরকার অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় থাকলে মোজাহিদিনদের সফলতা দ্রুত আসবে। কারণ হচ্ছে মানুষ ধাক্কা না খেলে সজাগ হয়না। আমার কথার মধ্যে ভুল থাকলে শুধরে দিবেন।

                        জ্বী আখি
                        জনসমর্থনের জন্য প্রস্তুতিমূলক অংশে মিডিয়া'র সম্ভাব্য কাজগুলো উল্লেখ করা হয়েছে -

                        ১. দালীলিক এবং যুক্তিগত তত্ত্ব-উপাত্ত উপাস্থাপনের মাধ্যমে জনগনের কাছে মুজাহিদদের পরিচয় স্পষ্ট করে তোলা এবং মুজাহিদদের কাজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করা

                        ২. যতবেশি সম্ভব উম্মাহর সামনে মুরতাদ শাসকের চক্রান্ত, ইসলাম বিদ্বেষীতা, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যায়-অপরাধ ইত্যাদি প্রকাশ করে দেয়া।

                        ৩. দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে আসন্ন বিপদের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সে সম্পর্কে উম্মাহকে উপর্যুপরি সতর্ক করা।


                        আর জনগনের দিক থেকে সামগ্রিকভাবে নুসরাহ পাওয়ার আশা করার সুযোগ নেই
                        বরং উপযোগী সংখ্যক জনসমর্থন অর্জন হওয়াই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ
                        Last edited by Mujaheed of Hind; 04-10-2017, 11:03 PM.

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Abu Osama View Post
                          সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় রাসুল সাঃ এর উপর এবং তার পরিবারের উপর।

                          → আলকয়দার মানহাজ গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া। বাংলাদেশে ও এ পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে।
                          →কিন্ত গেরিলা যুদ্ধের জন্য জনগনের সাপোর্ট একান্তই জরুরী। তাই আমাদের জনগনের সাপোর্ট অর্জন করা দরকার।
                          →বাংলাদেশে কি হতে চলছে (আল্লাহু আলাম) এ সম্পর্কে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
                          →সম্ভাব্য ভারতীয় অগ্রাসন সম্পর্কে সচেতন করা।
                          →কারা মুলত সন্ত্রাসী সেটা বুঝিয়ে দেয়া এবং জংগীরা উম্মাহর শত্রু নয় বরং প্রকৃত বন্ধু সেটা স্পস্ট বুঝিয়ে দেয়া।
                          →আলেম ওলামাদের অধিকতর দাওয়াত দেয়া। কারন ইসলাম প্রিয় সাধারন মানুষ যখন কোন বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্দে ভোগে তখন আলেম ওলামাদের দিকে তাকিয়ে থাকে যে তারা কি বলে।
                          →আলেম ওলামা গন যদি এগিয়ে আসে আমি মনে করি ৮০% দাওয়াতের কাজ এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
                          →আলেম দের কে এভাবে তশকিল করতে হবে,, যাতে হয় তারা জিহাদের পক্ষ নিবে না হয় চুপ থাকবে (নিরাপত্তা হিন হলে) এবং বিরোধীতা ছেড়ে দিবে।


                          আমার কমেন্টের ভুল ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের সবার কাছে মাফ চাই।।
                          মাশা আল্লাহ ভাই সুন্দর বলেছেন। আসলেই আমাদের সামরিক প্রস্তুতির সাথে সাথে জনগন কে জিহাদের দাওয়াত এবং উপলব্ধি বুঝানোর জন্যও কাজ করে যেতে হবে। বাস্তবতা আসলে এমন যে, সামরিক প্রস্তুতি যতই উচু মানের হোক না কেন, জনগনের কাছে যদি এই জিহাদের দাবি, বাস্তবতা এবং উপলব্ধি পরিষ্কার না করা যায় তাহলে কখনই এই জিহাদ সফলতার মুখ দেখবেনা। জনগন কে এই জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।

                          এমন একটি ডিজাইন আমরা শামে দেখতে পাই যদিও তাদের কাজটি আসকারী ছিলো। শামে প্রথমে জাবহাত আল নুসরা আল কায়েদার ব্যানারে ছিলেন, এরপর নিজেদেরকে আল কায়েদার ব্যানার থেকে আড়াল করে নিলেন, এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিলো শামের জনগন। জনগনের মন জিতে নেয়া, জনগন কে এই ইতমিনান দেয়া যে শামের মুসলিমরাই সবার আগে, এবং সম্মানিত উমারাগন ও উনাদের বিভিন্ন বিবৃতি এর মাধ্যমে এই কাজ কে উত্তম বলেছেন। এর ফলে দেখা গেছে শামের মুসলিম এর অন্তর আরো মজবুত হয়েছে এবংআন্দোলনমুখী হয়েছে। এবং এর ধারাবাহিকতায় সব শেষে তাহরির আস শাম, এখানেও মূল স্লোগান হচ্ছে শামের জনগন – আসকারী কাজ ও একটি দাওয়াত, জিহাদি দাওয়াত। এখন এই দাওয়াতি কাজের মূল স্লোগান যদি আমরা দেখি তবে তা হচ্ছে শামের জনগনের মুক্তি, শামের জনগনের নিরাপত্তা। যেমন হায়াত আত তাহরির আস শামের আমিরের প্রথম বয়ান যদি আমরা দেখি তবে সেটা তে শুধু এবং শুধু শামের জনগনের কথাই বলা হয়েছে।

                          ভাই আলেমদের কথা নিয়ে এসেছেন, কোন সন্দেহ নাই আলেমদের মেহনত ব্যাতিত এই দাওয়াতি কাজ অনেক ভারি হয়ে যাবে, দেখেন তাগুতরা পর্যন্ত তাদের এই কাজে ভ্রান্ত আলিমেদের সাহাজ্য নিচ্ছে - এটাই আসলে প্রমান করে জিহাদি কাজের সফলতার জন্য আলিমদের অবদান কত জরুরী!
                          মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by s_forayeji View Post
                            বাংলাদেশে আমরা জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝবো? এখানে ব্যাক্তিগত প্রস্তুতি বুঝানো হচ্ছেনা বরং সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝাবে? কি কি বিষয় এই প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ এবং আমরা কিভাবে সেই প্রস্তুতির আমল করতে পারি?
                            জিহাদের প্রস্তুতি বলতে শুধু মুজাহিদিন দের প্রস্তুতি বুঝলে হয়ত ভুল হবে, কারন ধরে নিচ্ছি মুজাহিদিনগন সমস্ত প্রস্তুতি পরিপূর্ণ ভাবেই নিলেন কিন্তু এখনো এদেশের জনগন জিহাদ কি, জিহাদের প্রয়োজনীয়তা, জিহাদের বাস্তবতা এগুলো কিছুই বুঝলেন না তাহলে এই প্রস্তুতি আসলে তেমন কোন কাজেই আসবে না। আমাদের এই যুদ্ধ হচ্চেহ গেরিলা যুদ্ধ আর গেরিলা যুদ্ধে সফলতার প্রথম শর্ত হচ্ছে জনগনের সামনে এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে দেয়া। এই উদ্দেশ্য পরিস্কার করা ব্যাতিত কার্যত যে কোন আমলই দীর্ঘমেয়াদি কোন উপকার আনতে ব্যার্থ হবে। সুতরাং আমাদের জিহাদের প্রস্তুতি বলতে আম মুসলিম জনতার প্রস্তুতিও বুঝবে। শামের জনগন যদি জিহাদের জন্য প্রস্তুত না হতেন তাহলে সঙ্গত ভাবে এই প্রশ্ন টি করা যেত শামের জিহাদ সফলতার মুখ দেখতে আরো কত সময় নিত? তবে এটাও ঠিক যে প্রস্তুতির এই সামগ্রিক বিষয়টি আলাদা কোন অধ্যায় নয় বরং এটি একটি চিন্তাধারার উপর নির্ভরশীল।
                            তা কেমন? এই প্রস্তুতির কাজটি আসলে জিহাদের অন্যান্য কাজগুলোর সাথে সমন্বয় করে আগাতে থাকবে। এটি বলার অর্থ হচ্ছে আমাদের ক্ষেত্র যদি হয় আসকারী এবং দাওয়াহ তবে আসকারী কাজ যেন এমন হয় তা জনগন কে মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে অর্থাৎ তাদের দৃষ্টিপথ পরিষ্কার করে দিবে, একই ভাবে জনগনের প্রস্তুতিও যেন এমন হয় যে আসকারী কাজ কে তরান্বিত করবে। যেমন মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জিহাদের ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করবে, জিহাদ বিরোধী শক্তি কে বাতিল বলে জানবে।

                            তাই আপাত ভাবে জিহাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি আসলে একটি বিশাল দাওয়াহ এর প্রস্তুতিই বুঝাবে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে আগে জনগনের কাছে এই জিহাদের আমলের প্রয়োজনীয়তা এবং বাস্তবতা পরিষ্কার করে দেয়া। কারন এটি ব্যাতিত আর অন্য সব প্রস্তুতিই বৃথা হয়ে যেতে পারে।

                            আল্লাহু আলাম -
                            মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by Mujaheed of Hind View Post

                              এখন এই অনিবার্যতা আমরা কিভাবে বিশ্লেষণ করবো এটাই হচ্ছে প্রশ্ন। এটা সত্য এবং সঠিক বিষয় যে, মুজাহিদরা এখনো সরকারী বাহিনীকে এড়িয়ে চলছে। কিন্তু, সরকারী বাহিনী কি মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনে চলে আসেনি? অথবা মুজাহিদরা এদের এড়িয়ে চললেও এরা তো মুজাহিদদেরকে ছাড় দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে এটাও ভাবার বিষয় যে, পরিস্থিতি ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে আমরা সরকারী বাহিনীকে নিয়ে ভাববো? আর সেক্ষেত্রে আমরা কি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে থাকবো নাকি আমরাও মাঝে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতির উপর চাপ প্রয়োগ করবো?


                              এ পর্যায়ে আমরা সামরিক শক্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আলোচনায় আসতে পারি, যার প্রধান একটি বিষয় হচ্ছে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তোলা এবং অস্ত্রের মজুদ বাড়ানো। তাহলে আমরা নিশ্চয় এটা করতে পারি যে প্রশিক্ষণ এমনভাবে চলতে থাকবে যেন সম্মুখ সমরে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই আমরা গেরিলা যুদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারি।
                              যাঝাকাল্লাহ ভাই অনেক সুন্দর ভাবে রুপ রেখা সহ উপস্থাপন করেছেন -
                              একটি বিষয়ে আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছিঃ

                              তাগুতের উপরে আমরা আক্রমণ কি এজন্য করবো যে একদিন এভাবে আক্রমণ করার মধ্য দিয়ে তাদের নিঃশেষ করে দিতে পারবো? নাকি শুধুই অনেকটা বাধ্য হয়ে এবং জিহাদি দাওয়াতের প্রসার ঘটানর জন্য করব? এই বিষয়টি যদি পরিষ্কার করতেন -
                              মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                              Comment

                              Working...
                              X