Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের প্রস্তুতি এবং এবং তার ব্যাপারে ধারাবাহিক আলোচনা (পর্ব ১)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    Originally posted by s_forayeji View Post
    যাঝাকাল্লাহ ভাই অনেক সুন্দর ভাবে রুপ রেখা সহ উপস্থাপন করেছেন -
    একটি বিষয়ে আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছিঃ

    তাগুতের উপরে আমরা আক্রমণ কি এজন্য করবো যে একদিন এভাবে আক্রমণ করার মধ্য দিয়ে তাদের নিঃশেষ করে দিতে পারবো? নাকি শুধুই অনেকটা বাধ্য হয়ে এবং জিহাদি দাওয়াতের প্রসার ঘটানর জন্য করব? এই বিষয়টি যদি পরিষ্কার করতেন -

    সম্মানিত মডারেটর,

    এখানে উল্লেখিত দু'টি কারণের মধ্যে কোনটার জন্যই আমরা তাগুতকে আক্রমন করবো না বরং তাগুতকে তো আমরা আক্রমন এজন্য করবো যে, শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে তাদেরকে আক্রমন করা "ফরযে আইন" হয়ে গেছে। তবে এটা ঠিক যে, এর মাধ্যমে নি:সন্দেহে জিহাদী দাওয়াতের প্রসার ঘটবে।

    শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম র. রচিত "মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা" বইয়ে উল্লেখিত দলিলসমূহের আলোকে তাগুত বাহিনীর উপর আক্রমনের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি -

    ১. মুজাহিদ তথা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার মুশরিক নরেন্দ্র মোদিকে সহায়তা করে এবং করছে

    ২. বর্তমান সরকার কাফের, মুশরিক নেতৃত্ববর্গকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছে

    ৩. কাফের সৈন্য বাহিনীকে (যেমন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র") মুসলিমদের ভূমিতে স্থান দিয়েছে

    Comment


    • #17
      আলোচনার সুবিধার্থে আমি আমার পূর্ববর্তী কমেন্টের উপর বিশ্লেষণধর্মী কিছু বিষয় উপস্থাপন করার প্রয়াস রাখছি -


      বর্তমানে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতির সামগ্রিক রুপরেখা আমি দুইটি ভাগে ভাগ করেছি -

      ১. তাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া এবং নেতৃত্ব স্থানীয়দেরকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা

      ২. পরবর্তী সম্মুখ সমরের জন্য সাধ্যানুযায়ী শক্তিমত্তা অর্জন করতে থাকা


      এই দুটি পয়েন্ট সামগ্রিক রুপরেখা হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। তাই এগুলোকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক আমলগুলো প্রথমে চলে আসবে। এখন প্রস্তুতিমূলক সমস্ত কাজকে আমি আবার দু’টি আলাদা ভাগে ভাগ করেছি –

      ১. প্রচার বা দাওয়াতী কার্য

      ২. সামরিক প্রস্তুতি ও প্রয়োগ

      এখন দেখা যাক, প্রস্তুতিমূলক আমলগুলোর কিছু বিস্তৃত পরিসর যা আলোচনা দীর্ঘ হবে বিধায় নির্যাসরুপে উল্লেখ করা হয়েছিলো।


      প্রথমত: প্রচার/ দাওয়াতী কার্য

      বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমাদের সমস্ত মিডিয়া থেকে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বিশেষ তিনটি বিষয়ে জোরালোভাবে কাজ করে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি –

      এখানে প্রথমেই আমি “অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বিশেষ তিনটি বিষয়” এর উল্লেখ করেছি। এখন এই অন্যান্য কাজের মধ্যে অবশ্যই সমস্ত দাওয়াতী কাজ/ প্রচারণা সম্পৃক্ত থাকবে।

      ১. দালীলিক এবং যুক্তিগত তত্ত্ব-উপাত্ত উপাস্থাপনের মাধ্যমে জনগনের কাছে মুজাহিদদের পরিচয় স্পষ্ট করে তোলা এবং মুজাহিদদের কাজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করা

      বিশ্লেষণ: ইসলামিক কোন ইস্যুতে যখন দালিলিক যুক্তি উপস্থাপিত হয় তখন তা আলেম সমাজের মাধ্যমেই হবে এবং এটাই গ্রহণযোগ্য। যেমন – দাওলার বিষয়ে আমরা পরিচ্ছন্ন ধারণা এবং সমস্ত সংশয়ের জবাব পেয়েছি উস্তাদ আহমাদ নাবীল হা. এর লেকচার সমগ্র থেকে পরবর্তীতে যে লেকচারগুলোর উপর বই বের হয়েছে। একারনে আলেমদের মাধ্যমে আলেমদেরকে উদ্বুদ্ধ করা এবং জিহাদের আবশ্যিকতা, ফাযায়েল, শরঈ দিক থেকে গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি বিষয় জনসম্মুখে নিয়ে আসার কাজ ধারাবাহিকভাবে চলতেই থাকবে।

      এই পয়েন্টে “জনগণের কাছে মুজাহিদের পরিচয় স্পষ্ট করে তোলা এবং মুজাহিদদের কাজ তথা জিহাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করা” এই কথার দ্বারা আমি আ’মভাবে জনসাধারণের কাছে জিহাদের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরির-ই ইঙ্গিত করেছি।



      ২. যতবেশি সম্ভব উম্মাহর সামনে মুরতাদ শাসকের চক্রান্ত, ইসলাম বিদ্বেষীতা, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যায়-অপরাধ ইত্যাদি প্রকাশ করে দেয়া।

      বিশ্লেষণ: এর অর্থ হচ্ছে সরকারী অপশাসেনর বিরুদ্ধে উম্মাহ তথা জনগনের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া। আমরা যখন শাসকের চক্রান্ত প্রকাশ করবো অথবা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যায়-অপরাধ তখন তা জনগনের নিরাপত্তার বিষয়ে মুজাহিদদের চিন্তাধারাকে জনগনের কাছে সুস্পষ্ট করে তুলবে। আবার যখন আমরা তাগুতের ইসলাম বিদ্বেষীতা প্রকাশ করতে থাকবো তখন দ্বীনি স্বার্থ রক্ষার্থে মুজাহিদদের অবস্থান স্পষ্ট হতে থাকবে। তবে এটা অনেকটা নির্ভর করবে অআমরা কিভাবে সেগুলো উপস্থাপন করছি এবং কতটা সফলতার সাথে জনগনের কাছে পৌঁছিয়ে দিচ্ছি।



      ৩. দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে আসন্ন বিপদের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সে সম্পর্কে উম্মাহকে উপর্যুপরি সতর্ক করা।

      বিশ্লেষণ: এই পয়েন্টে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে আসন্ন বিপদের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা বলতে আসলে কাদের বিপদ এবং কোন বিপদের বিষয়ে ইঙ্গিত করা হচ্ছে? যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন বিপদ চিহ্নিত করা হয় তখন তা জনগনের বিপদ বলেই আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এখন এই বিপদের দু’টি বিশেষ দিক থাকবে যার একটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় দিক যেখানে আম জনতার স্বার্থ প্রাধান্য পাবে এবং অপরটি হচ্ছে ধর্মীয় দিক যেখানে নির্দিষ্টভাবে মুসলিম জনতার দ্বীনি স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।

      আর উম্মাহকে উপর্যুপরি সতর্ক করতে থাকার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হবে যে, মুজাহিদরা উম্মাহ’র স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।



      তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ইনশাআল্লাহ প্রচার বা দাওয়াতী কার্যের মাধ্যমে প্রধান দু’টি লক্ষ্য হবে –

      ১. আলেম সমাজের সম্পৃক্ততা

      ২. উম্মাহর সমর্থন লাভ



      এর পরেই মূলত আমরা সামরিক প্রয়োগের বিষয় সামনে নিয়ে আসবো। তবে দাওয়াতী কাজের পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতি সমান্তরালে চলতে থাকবে।
      Last edited by Mujaheed of Hind; 04-11-2017, 06:50 AM.

      Comment


      • #18
        প্রথমেই ভাইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই জন্যে যে, এটা যেহেতু উন্মুক্ত আলোচনা। তাই আমি আমার মতামত পেশ করার আগে ভাইদের কথার একটু পর্যালোচনা করতে চাচ্ছি।

        এখানে আমদের মূল বিষয় ছিলঃ- সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝাবে? কি কি বিষয় এই প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ এবং আমরা কিভাবে সেই প্রস্তুতির আমল করতে পারি?

        আবু উসামা ভাই, আবু ফাতিমা ভাই, ফরায়েজি ভাই সহ সবাই সামগ্রিক প্রস্তুতি বলতে দাওয়াতেরকেই বুঝাচ্ছেন। mujaheed of hind যদিও সামরিকটাকে এনেছেন কিন্তু উনার একটা কথা উপর ভিত্তি করে আলোচনা ভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে।

        mujaheed of hind ভাইজান বলেছেনঃ

        (( বর্তমানে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতির সামগ্রিক রুপরেখা আমি দুইটি ভাগে ভাগ করবো -
        ১. তাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া এবং নেতৃত্ব স্থানীয়দেরকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা
        ২. পরবর্তী সম্মুখ সমরের জন্য সাধ্যানুযায়ী শক্তিমত্তা অর্জন করতে থাকা ))

        পরে এটার উপর ভিত্তি করে দুই জন মোডারেটর ভাই আলোচনাটাকে শাসকের উপর আক্রমন কখন করবেন না করবেন সে দিকে নিয়ে গেছেন। আমার মনে হচ্ছে, আসলে কাউকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা বা কাকে কখন হত্যা করা হবে তাতো এখন আলোচনা হবে না ভাই। এখানে তো শুধু প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা করা হবে। সেটার আলোচনা তো ভিন্ন জায়গায় হবে।

        কারণ সেই আলোচনা করলে এখানে অনিবার্য ভাবেই বলতে হবে আমার লক্ষ কি অঞ্চল নাকি বিশ্ব? ছোট লক্ষ্য নাকি শরিয়াহ বাস্তবায়ন? নির্দষ্ট সময় আছে নাকি আনলিইটেড ? কতদিন গেরিলা থাকবে বা কখন ভুমি প্রকাশ্যে দখল করবে ? কাকে কখন আক্রমণ করবে ? সেগুলো না বলে মধ্যে দিয়ে শাষকের উপর আক্রমনের কথা নিয়ে তর্কে লিপ্ত হলে কোন সামগ্রিক ফায়দা আলোচনা হবে না বলেই অনে হচ্ছে ?

        তাই পরের কোন পর্বে ফারায়েজি ভাই সেটা আলাদা ভাবে উল্ল্যেখ করবেন ইং

        Last edited by আল্লাহর বান্দা; 04-11-2017, 08:10 AM.

        Comment


        • #19
          Originally posted by আল্লাহর বান্দা View Post
          mujaheed of hind ভাইজান বলেছেনঃ

          (( বর্তমানে বাংলাদেশে জিহাদের প্রস্তুতির সামগ্রিক রুপরেখা আমি দুইটি ভাগে ভাগ করবো -
          ১. তাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া এবং নেতৃত্ব স্থানীয়দেরকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা
          ২. পরবর্তী সম্মুখ সমরের জন্য সাধ্যানুযায়ী শক্তিমত্তা অর্জন করতে থাকা।
          জী আখী,, কাদের কে কখোন টার্গেট বানানো যায়। সে বিষয়টা এখানে আলেচনা করা সমিচিন মনে হয় না। তবে সামরিক প্রস্তুতি আলোচনা করা জুরুরী। তবে এমন কোন বিষয় অালোচান না করা যেটা শত্রুদের পরিকল্পনায় সসহযোগীতা হয়ে যায়।
          আমারা এদেশে কিভাবে জিহাদের একটা সুন্দর পরিবেশ/ প্লাটফর্ম গুছিয়ে নিতে পারি সে বিষয় আলোচনা করতে পারি। ইনশাআল্লাহ্।।

          ভুল ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে এবং সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।।
          Last edited by Abu Osama; 04-11-2017, 09:45 AM.
          ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
          কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
          যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
          নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


          ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

          Comment


          • #20
            [QUOTE=s_forayeji;27772]
            এখানে আসবে, সাথীদেরকে প্রথমে সামরিক সমস্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রস্তুত করা। তারপর দেশের পরিস্থিতিকে নিজেরদের কৌশলের মাধ্যেম আরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে নিজেদের জন্যে ময়দান প্রস্তুত করা। যেমনটা শাইখ উসামা টুইনটাওয়ারে হামলা করে করেছিলেন। তেমনি আমাদের সামনে একটা সুবর্ন সুযোগ এসেছে। আর তা হচ্ছে ভারত ............... ভাইরা, আর কি সামনে বাড়ব ?


            ভাই আপনি সুনির্দিষ্ট করে কোন কিছু না বললেই হল আমরা এখানে সাধারন আলোচনা করছি। আসলে আমরা এখনো অই দিকে যায়ই নি - হয়ত সামনের অন্য কোন পর্বে তা থাকতে পারে। আমাদের বর্তমান আলোচনা হচ্ছে

            আমাদের প্রস্তুতি কে আমরা কিভাবে সাজাবো? কোন অংশ কত টুকু গুরুত্ব পাবে? আসলে আমার বুঝে এই আলোচনায় সামরিক আলোচনার তেমন কোন সুযোগই নাই, কারন ধরেন আপনি একটি সামরিক মহড়া দিবেন- ১০০০ সৈন্য, ট্যাঙ্ক, কামান, বিমান সব রেডি, কিন্তু এই মহড়া দেখার জন্য একটা লোক ও নাই আপনার এই মহড়া কতটুকু কার্যকর হবে! বা আপনার মহড়ার সৈনিকেরাই কতটুকু জোশের সাথে মহড়া করবে?

            মুলত এই বিষয় টা আমরা সামনে আনতে চাচ্ছিলাম যে, আমাদের প্রস্তুতির আগেও আরো একটা অনেক বড় প্রস্তুতির জরুরত আছে অই প্রস্তুতিটির সাথে পরের প্রস্তুতি অনেক বেশি নির্ভরশীল।

            আল্লাহু আলাম
            Last edited by s_forayeji; 04-11-2017, 12:08 PM.

            Comment


            • #21

              স্থানীয় মুরতাদ তাওয়াগিতদের শুরুতেই আক্রমণ না করাই আল-কায়েদার মানহাজ। কেননা মানুষ আসলি কাফিরদের কুফুরি যতটুকু বুঝে, মুরতাদদের কুফুরি ততটুকু বুঝে না। যেমন শায়খ উসামা রহ বলেন, "আক্রমণের শিকার করতে হবে তাদের যাদের কুফর প্রকাশ্য বেশী, যাদের কুফরের মাত্রা বেশী তাদের নয়।"

              যদিও মুরতাদদের কুফুরি বেশী, কিন্তু ভারতীয়-আমেরিকানদের কুফুরি প্রকাশ্য বেশী...

              অনিবার্য হয়ে যাওয়া বলতে বোঝায় যে, মুরতাদদের প্রতিহত করা ব্যাতিত তাদের মুশরিক প্রভুদের প্রতিহত করা যায় না কিংবা তারা এমনভাবে চেপে বসে যে তাদের প্রতিহত না করে অস্তিত্ব টিকবে না... প্রথম সুরত বিদ্যমান সোমালিয়া, মালি ও ইয়েমেন। দ্বিতীয় সুরত আমরা দেখতে পাই সিরিয়াতে।

              অনিবার্য বলতে আমরা এটি বুঝিনা যে, তারা আমাদের ভাইদের গ্রেফতার করে ফেলছে।

              বরং, জিহাদি তেহরিক দাঁড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যেটা অর্জিত হবে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে মুরতাদদের সাথে সংঘাত এড়িয়ে যাওয়া চাই।

              আসলি কাফির-মুশরিকদের প্রোটেকশনে যখন স্থানীয় মুরতাদদের অবস্থান পরিস্কার হয়ে যাবে যা কেবল কাফির-মুশরিকদের টার্গেট করার মাধ্যমেই জাহির করা সম্ভব... তখন সাধারণ অনেক সহজেই মুরতাদদের বাস্তবতা বুঝতে পারবে। যেমনটা হয়েছে পাকিস্তানে...

              আশা করি অনিবার্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি। মুরতাদদের টার্গেট বানানোর চেয়ে জরুরী তাদের প্রভুদের টার্গেট বানানো। কেননা মুরতাদেরা হাতের পুতুলমাত্র...

              শার'ঈ ফরজের কথা দেখলেও যেটা বুঝে আসে, আগ্রাসী ক্রুসেডার-মুশরিকদের আক্রমনই সামনে আসে কেননা মুসলিমদের রক্তে তাদের হাত অধিক রঞ্জিত এবং তাদের পতন ছাড়া স্থানীয় মুরতাদদের পতন সম্ভব নয়। বর্তমানে একটি জমিনে শরিয়াহ কায়েম তখনই হবে যখন সেখানে বিদেশী কাফিরদের প্রভাব কমে যাবে... শুধু মুরতাদ মেরে এটা সম্ভব নয়। ওয়াল্লাহু আ'লাম।

              শরিয়তের প্রহরীরা ডকুমেন্টরিতে এসংক্রান্ত জরুরী কিছু মূলনীতি খুব সংক্ষেপে শায়খরা একাধিক জায়গায় আলোচনা করেছেন।

              Comment


              • #22
                Originally posted by আল্লাহর বান্দা View Post
                আমার মনে হচ্ছে, আসলে কাউকে হত্যার আওতায় নিয়ে আসা বা কাকে কখন হত্যা করা হবে তাতো এখন আলোচনা হবে না ভাই। এখানে তো শুধু প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা করা হবে। সেটার আলোচনা তো ভিন্ন জায়গায় হবে।

                কারণ সেই আলোচনা করলে এখানে অনিবার্য ভাবেই বলতে হবে আমার লক্ষ কি অঞ্চল নাকি বিশ্ব? ছোট লক্ষ্য নাকি শরিয়াহ বাস্তবায়ন? নির্দষ্ট সময় আছে নাকি আনলিইটেড ? কতদিন গেরিলা থাকবে বা কখন ভুমি প্রকাশ্যে দখল করবে ? কাকে কখন আক্রমণ করবে ? সেগুলো না বলে মধ্যে দিয়ে শাষকের উপর আক্রমনের কথা নিয়ে তর্কে লিপ্ত হলে কোন সামগ্রিক ফায়দা আলোচনা হবে না বলেই অনে হচ্ছে ?

                মাশাআল্লাহ ভাই সুন্দর বলেছেন, আসলে আমাদের মূল মাকসাদ ছিল ভাইদের চিন্তা গুলো কে একত্রিত করা এরপর একটা সাধারন বুঝের উপরে স্থির হওয়া যেটা অধিক গ্রহনযোগ্য (সব দিক বিবেচনায়)

                এখানে আপনার প্রতিটি প্রশ্নই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ -

                যেমন লক্ষ্য কি অঞ্চল নাকি বিশ্ব? - এমন ই প্রশ্ন আমরা চাই আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের প্রস্তুতি মানে এই না যে আমরা শুধু বাংলাদেশের কাজের জন্যই প্রস্তুত হব, বরং আমাদের প্রস্তুতি আসলে গাযওয়াতুল হিন্দের জন্যই হতে হবে। বরং আরো স্পষ্ট করে বললে আমাদের প্রতিটি প্রস্তুতি কে যাচাই করে দেখতে হবে সেটা গাযওয়াতুল হিন্দের জন্য উপকারী কিনা?

                লক্ষ্য কি শরিয়াহ বাস্তবায়ন? - আসলেই কি আমরা যথেষ্ট সামরিক অপারেশনের মধ্য দিয়ে শরিয়াহ বাস্তবায়ন করতে পারবো? কুফরের সর্দার দের না হটিয়ে! এই অঞ্চলের কুফর এর মাথা যদি ভারত হয় সে কি আমাকে আমার ভুমিতে শরিয়াহ কায়েম করতে দিবে! তাহলে গাযওয়াতুল হিন্দ এর আগে কি শরিয়াহ কায়েম সম্ভব হবে?

                নির্দিষ্ট সময় আছে নাকি আনলিমিটেড? - যুদ্ধের কৌশল যদি গেরিলা হয় তাহলে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর বের করা বেশ কঠিন। কারন নিঃসন্দেহে এটার কোন নির্দিষ্ট সময় নাই, আবার এটা আনলিমিটেড ও হওয়া সম্ভব না যদিও গেরিলা যুদ্ধ কৌশলে বলা হয়, "তোমার যুদ্ধ কে প্রলম্বিত কর, বিস্তৃত কর, এতে তমার শত্রু তিলে তিলে নিঃশেষ হবে"

                কত দিন গেরিলা পদ্ধতি থাকবে কখন ভুমি দখল হবে? - অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন, আমরা যদি পুরাটা বাংলাদেশ ও দখল করে ফেলতে পারি - আমরা কি এখানে নিজেদের তামকিন ঘোষণা দিব? ভুমি দখল নিয়ে থাকব? আর ভারত কি তা হতে দিবে? তাহলে ভারতের সাথে যুদ্ধে বাংলাদেশের রিসোর্স নিয়ে আমরা কত দিন টিকে থাকতে পারবো? আর এ তরিকাতে এসেও যদি দেখি দিন শেষে আমাকে ভারতের সাথেই মুকাবেলা করতে হচ্ছে তাহলে এই মুকাবেলার জন্য আমি কি আগে থেকেই আমার পরিকল্পনা অন্য ভাবে সাজাবো কিনা!

                তাহলে আমাদের কি মনে হয়? এই জমিনের কাজ আসলে কেমন রুপ নিচ্ছে?
                Last edited by s_forayeji; 04-11-2017, 12:00 PM.
                মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                Comment


                • #23
                  Originally posted by Umar Abdur Rahman View Post

                  স্থানীয় মুরতাদ তাওয়াগিতদের শুরুতেই আক্রমণ না করাই আল-কায়েদার মানহাজ। কেননা মানুষ আসলি কাফিরদের কুফুরি যতটুকু বুঝে, মুরতাদদের কুফুরি ততটুকু বুঝে না। যেমন শায়খ উসামা রহ বলেন, "আক্রমণের শিকার করতে হবে তাদের যাদের কুফর প্রকাশ্য বেশী, যাদের কুফরের মাত্রা বেশী তাদের নয়।"

                  যদিও মুরতাদদের কুফুরি বেশী, কিন্তু ভারতীয়-আমেরিকানদের কুফুরি প্রকাশ্য বেশী...

                  শার'ঈ ফরজের কথা দেখলেও যেটা বুঝে আসে, আগ্রাসী ক্রুসেডার-মুশরিকদের আক্রমনই সামনে আসে কেননা মুসলিমদের রক্তে তাদের হাত অধিক রঞ্জিত এবং তাদের পতন ছাড়া স্থানীয় মুরতাদদের পতন সম্ভব নয়। বর্তমানে একটি জমিনে শরিয়াহ কায়েম তখনই হবে যখন সেখানে বিদেশী কাফিরদের প্রভাব কমে যাবে... শুধু মুরতাদ মেরে এটা সম্ভব নয়। ওয়াল্লাহু আ'লাম।

                  শরিয়তের প্রহরীরা ডকুমেন্টরিতে এসংক্রান্ত জরুরী কিছু মূলনীতি খুব সংক্ষেপে শায়খরা একাধিক জায়গায় আলোচনা করেছেন।
                  উত্তম পর্যালোচনা, জাঝাকাল্লাহ ভাই -
                  মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                  Comment


                  • #24
                    Originally posted by আবু ফাতিমা View Post
                    জিহাদকে আমভাবে চিন্তা করলে এটা একটা যুদ্ধ। আর যুদ্ধ মানে এটার সাথে ২ টি বিষয় সম্পর্কযুক্ত থাকে।
                    ১। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য যা অর্জন করা দরকার
                    ২। একটি পক্ষ যারা সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করবে সেই লক্ষ্য অর্জনে বাঁধা দিতে।
                    যদি জিহাদের জন্য প্রস্তুতি বলা হয় তাহলে বলব প্রথম প্রস্তুতি দরকার নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে ১০০% পরিষ্কার হওয়া। এটার জন্য দরকার ইলম অর্জন করা। এই ইলম শুধুমাত্র কুরআন এবং সুন্নাহ নির্ভর নয়। এটা আমাদের অবশ্যই লাগবে। কিন্তু একটা জমীনে যখন আপনি জিহাদ করবেন তখন সেই জমিনের জন্য আপনার নির্দিষ্ট পরিকলপনা নিতে হবে। বিষয়টা এমন না যে শামের জন্য আপনার যা লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্যও একই লক্ষ্য হবে। এই বিষয়গুলো ভালভাবে বুঝার জন্য জিহাদি ময়দানের উমারাগনের বিভিন্ন লেখা পড়তে হবে। যেমন; ম্যানেজমেন্ট অভ স্যাভেজরি।
                    অতঃপর নিজেদের শত্রুকে চেনা। শত্রুকে চেনা মানে এটা না যে আমভাবে বলে দেওয়া এরা হল আমাদের শত্রু। বরং শত্রু কারা, তাদের চিন্তাধারা কি, তাদের শক্তির জায়গা কোনটা, তাদের দুর্বলতা কোথায় ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে জানা। কারণ আপনি আপনার শত্রুকে যদি ঠিকমত না চিনতে পারেন তাহলে নিজের পরবর্তী প্রস্তুতি কিসের ভিত্তিতে নিবেন। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার। আপনার শত্রুর যেটা দুর্বলতা সেই জায়গায় আপনি শক্তি অর্জন করেন। তাহলে আপনি শত্রুর দুর্বল জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করে শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
                    তাই তাই প্রথম অবস্থায় বলা যায় ইনশাল্লাহ আমরা নিজেদের লক্ষ্য এবং নিজেদের শত্রুকে এই দুটিকে চেনার মধ্যে নিজেদের প্রস্তুতি রাখতে পারি। এরপর এগুলোর উপর ভিত্তি করে নিজেদের পরবর্তী প্রস্তুতি কি হবে তা নির্ধারণ করতে পারব ইনশাল্লাহ।
                    জাঝাকাল্লাহ ভাই খুব অল্পের মধ্যে আপানি আমাদের কে প্রস্তুতির আমল গুলো দেখিয়ে দিয়েছেন,

                    আসলেই প্রস্তুতির সবার আগে আসেল দরকার "ইলম" আর এরপরের পয়েন্টটি হুবহু আপনার লেখাটাই তুলে দিলাম আবার-

                    "অতঃপর নিজেদের শত্রুকে চেনা। শত্রুকে চেনা মানে এটা না যে আমভাবে বলে দেওয়া এরা হল আমাদের শত্রু। বরং শত্রু কারা, তাদের চিন্তাধারা কি, তাদের শক্তির জায়গা কোনটা, তাদের দুর্বলতা কোথায় ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে জানা। কারণ আপনি আপনার শত্রুকে যদি ঠিকমত না চিনতে পারেন তাহলে নিজের পরবর্তী প্রস্তুতি কিসের ভিত্তিতে নিবেন। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার। আপনার শত্রুর যেটা দুর্বলতা সেই জায়গায় আপনি শক্তি অর্জন করেন। তাহলে আপনি শত্রুর দুর্বল জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করে শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন ইনশাল্লাহ"

                    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                    Comment


                    • #25
                      আলহামদুলিল্লাহ
                      আলোচনার মাধ্যমে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো বের হয়ে আসতেছে এবং মূল বিষয়বস্তু পরিষ্কার হয়ে উঠছে
                      ইনশাআল্লাহ এর মাধ্যমে আলোচিত বিষয়গুলো থেকে তুলনামূলক বেশি ফায়দা হাসিল করা যায় এমন সিদ্ধান্তে আসা যাবে

                      আল্লাহর বান্দা ভাই কে বলছি,

                      আখি এখানে অবশ্যই আমরা তর্ক করছি না বরং প্রত্যেকে তাদের মাশোয়ারা পেশ করছি। আর যেহেতু এটা মাশোয়ারা সেহেতু কিছু ভূল-ক্রটি তো এখানে থাকবেই

                      আমি আমার বর্তমান পয়েন্টগুলো থেকে প্রত্যাবর্তন করছি এবং পরবর্তীতে মূল বিষয়বস্তুর উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইনশাাআল্লাহ...

                      Comment


                      • #26
                        সামগ্রিক প্রস্তুতিকে বিশেষ তিনটি কাজের আওতায় নিয়ে আসা যেতে পারে –


                        ১. দাওয়াতী কার্যক্রম

                        ২. মুজাহিদদের ইলম অর্জন, শারীরিক প্রস্তুতি ও অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ

                        ৩. ভবিষ্যৎ টার্গেট নির্ধারণের জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহীকরণ



                        দাওয়াতী কার্যক্রম

                        ১. যেসব আলেম-উলামা হক্বের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন তাদেরকে বিচ্ছিন্ন না রেখে সাংগঠনিকভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা

                        ২. আলেমদের মাধ্যমে আলেমদের কাছে দাওয়া’হ পৌঁছিয়ে দেয়া এবং মানহাযের কাজে আলেমদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো

                        ৩. এ্যামেরিকা, ভারত এসব দেশের কুফর এবং ইসলামের সাথে শত্রুতার বিষয়সমূহ আলোচনায় এনে জনসাধারণের কাছে জিহাদ সংক্রান্ত সংশয় নিরসন, জিহাদের অপব্যাখ্যা, ফাযায়েল ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে বার্তা পৌঁছিয়ে দেয়া।

                        ৪. ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর চলমান এমন প্রত্যেকটি কার্যক্রম আলোচনায় নিয়ে আসা এবং জনগনের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা যেন জনগনই এসব বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে থাকে।

                        মুজাহিদদের ইলম অর্জন, শারীরিক প্রস্তুতি ও অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ


                        ১. ইলম অর্জন

                        অনলাইন এবং অফলাইনে ধারাবাহিকভাবে কর্মী ভাইদের জন্য ইলম শিক্ষা কার্যক্রম জারী রাখা। কোন কোন ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক দারস ফোরামে আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়া হালাকা, দাওরা, শাইখদের দারস ইত্যাদি কার্যক্রম ধারাবাহিকতার সাথে বজায় রাখা।

                        মুজাহিদ ভাইদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক্যাল বিষয় নিয়ে একটি সিলেবাস তৈরি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বই এই সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত করা যায়, যেমন – ম্যানেজম্যান্ট অফ স্যাভেজারি, স্ট্র্র্যাটিজিক ওভারস্ট্রেস, গেরিলা ওয়ারফেয়ার ইত্যাদি।


                        ২. শারীরিক প্রস্তুতি

                        -- এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এরিয়া ভিত্তিক বাছাই করে কিছু ভাইকে সিলেক্ট করে নেয়া যেতে পারে। যাদের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত এক্সারসাইজের বাহিরেও আলাদা কিছু এক্সারসাইজ প্রদান করা। যেমন – বাংলাদেশ সেণাবাহিনীতে প্রাথমিকভাবে যেসব ট্রেনিং প্রদান করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সৈনিকদেরকে ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩ ঘন্টা ঘুমাতে দেয়া হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২-১ জন সৈনিকের সাথে কথা বলে এরকম কিছু বিষয় জেনে নিয়েছি। এখন আমরা কিছু ভাইকে কম ঘুমানো, কম খেয়ে বা দুই বেলা খেয়ে অথবা মাঝে মাঝে না খেয়ে অথবা শুধু শুকনা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকা এরকমভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে পারি।

                        -- কম ঘুমানোর চর্চার ক্ষেত্রে তাহাজ্জুদের আমলে অভ্যস্ত হওয়া জরুরী এবং কম খেয়ে থাকার অভ্যেস করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার সাথে সাপ্তাহিক দু’টি রোযা (সোম, বৃহস্পতি) করা। যেমন – রুটিন টা এমন হতে পারে যে রাতে সর্বোচ্চ ৪ ধন্টা ঘুমানো এবং দিনে ৩০ মিনিটের কাইলুলা। সর্বোমোট প্রাথমিকভাবে ঘুম সারাদিন-রাত মিলে ৫ ঘন্টার বেশি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।

                        -- প্রত্যেক ভাই সাপ্তাহিক ২-১ দিন সাধারণ কিছু রান্না করে খাওয়ার অভ্যেস করা। যেমন – ভাত তরকারী, খিচুরী, গোস্ত ভূনা, রুটি ইত্যাদি। রান্না করার ক্ষেত্রে সম্ভব হলে একসাথে ১০/২০ জন বা এরচেয়ে-ও বেশি পরিমাণ লোকের খাবার প্রস্তুত করার কৌশল আয়ত্ব করা। এমন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে শেখা যেগুলো অধিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে শারীরিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে অবশ্যই গোস্ত রান্না করতে শিখা, মিষ্টি জাতীয় খাবার প্রস্তুত করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হতে পারে।

                        -- সম্ভাব্য সবধরণের আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে ধারণা লাভ এবং এসব অস্ত্র ব্যবহার শিখার জন্য বাছাইকৃত ভাইদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।


                        ভবিষ্যৎ টার্গেট নির্ধারনের জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহীকরণ

                        যেমন – ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী “র”, ইন্ডিয়ান স্টেট ব্যাংক, ইস্কন গ্রুপ, মুভ ফাউন্ডেশন, কুফফার দূতাবাস, আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা। মোট কথা, পরিস্থিতি অরাজক করার জন্য কুফফার প্রধানদের বিশেষ করে ভারতের যেকোন স্বার্থে আঘাত হানার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে থাকা।

                        Comment


                        • #27
                          সামগ্রিক প্রস্তুতিকে বিশেষ তিনটি কাজের আওতায় নিয়ে আসা যেতে পারে –


                          ১. দাওয়াতী কার্যক্রম

                          ২. মুজাহিদদের ইলম অর্জন, শারীরিক প্রস্তুতি ও অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ

                          ৩. ভবিষ্যৎ টার্গেট নির্ধারণের জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহীকরণ
                          যাঝাকাল্লাহ্ ।।।
                          ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
                          কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
                          যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
                          নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


                          ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

                          Comment


                          • #28
                            আলহামদুলিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াসসালা মুয়ালা রাসুলিল্লাহ...
                            মাসা-আল্লাহ চমৎকার একটা পদক্ষেপ।
                            এখানে কয়েক টি পয়েন্ট এর উপর প্রশ্ন করা হয়েছে, প্রথমে
                            "বাংলাদেশে আমরা জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝবো?"
                            বাংলাদেশের মানুষের সতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন-
                            ১। এদেশের মানুষ অনেকটা আবেগপ্রবণ ও নরমদিল ওয়ালা যার ফলশ্রুতিতে চিন্তা করার পরিবর্তে হুজুগে সিদ্ধান্ত বেশি নেয়। ( অনেক ক্ষেত্রে নিজে তেমন কোন সিধান্ত নেয়ই না বরং আর ৫ জন যা করে সেও টা করে)
                            => এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে কিছু তাৎক্ষণিক ফলাফল আসলেও লম্বা সময়ের জন্য টিকে থাকা কষ্টকর।
                            ২। এ ভুমির মানুষের মধ্যে ইসলামের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্*।
                            => এটা ইসলামের বিপ্লবের জন্য যথেষ্ট কার্যকারী হবে ইন শা আল্লাহ্*। ( এটা পরিষ্কার এ দেশের মানুষ রক্ত দিলে শুধু ইসলামের জন্যই দিবে ইন শা আল্লাহ্*। )
                            ৩। এদেশের মানুষের মধ্যে মা'সুল থেকে মা'মুর হওয়ার প্রবণতা বেশি। এর ফলে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবনতাও কম।
                            => এক্ষেত্রে যোগ্য মা'সুল সংকটে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
                            ৪। ভারত বিদ্বেষী প্রবণতা
                            => এটা ভবিষ্যতে প্লাস পয়েন্ট হবে ইন শা আল্লাহ্*
                            ৫। ইসলাম সম্পর্কে ক্লিয়ার কাট ইলম এর অভাব তাই অনেক সময় দেখা যায় ফরজ আমলের থেকে নফল আমলের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। তাছাড়া তাওহীদ সংক্রান্ত ইলমের যথেষ্ট অভাব।
                            => এটার সদুর প্রসারি খারাপ প্রভাব পরতে পারে ।
                            ৬। ভোটাভোটি ছাড়া অন্য কোন রাস্তা যে আছে সেটাই অধিকাংশ মানুষ বুজে না ।
                            এখন উপরের পয়েন্ট গুলো চিন্তা করলে যে প্রস্তুতিগুলো নেওয়া প্রয়োজনঃ
                            ১। মানুষের মনে তাওহিদের ভিত্তি মজবুত করে বসানো।
                            ২। ওয়ায়েজ হক উলামাদের সংখ্যা বাড়ানো।
                            ৩। অনলাইন প্রচুর দাওয়াহ বাড়ানো ও তা সহজলভ্য করা। ( মিডিয়ার দাওয়াহতে যারা জিহাদ বুজবে তাদের কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া)
                            ৪। ওদের মিডিয়ার প্রতি আস্তা সরানোর।
                            ৫। মুরতাদ সরকার ও তার বাহিনী কীভাবে অন্য কাফির দেশদের তাবেদারি করছে তা জনগনের সামনে উপস্থাপন করা উচিৎ তাই এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ইস্যুগুলোকে ব্যাখা করে এদের প্রতি নেগেটিভ ধারণা তৈরি করা। ( অনলাইনেই হক বা অফলাইনে) ।
                            ৬। বর্তমানে মুজাহিদ রা যে জিহাদ করছে জাস্ট এততুকু মানুষকে বুজাতে পারলেই তারা ইনশাল্লাহ অনেক সাপোর্ট দিবে।
                            ৭। জামাতবদ্ধ করার জন্য দাওয়াহ ক্ষেত্রে স্পেশালদের টার্গেট করা যাতে তাদের প্রত্যেকেই প্রথম ক্যাটাগরির সোলজার, দায়ী, আলেম, আনসার, ডোনার, কমান্ডার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক অথবা কমপক্ষে যে কোন একটা বিষয়ে পারদর্শী হতে পারে। প্রয়োজনে অল্প বয়স্ক শিক্ষার্থী ভাইদের নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া ও নির্ধারিত বিষয়ে প্রসিক্ষন দেওয়া।


                            আমাদের এ ভুমির আয়তন কম ( যতটুকু আছে তাও গেরিলা যুদ্ধের জন্য ভোগলিক ভাবে তেমন উপযোগী না ) মানুষ বেশি ।
                            তাছাড়া আমাদের এ ভুমির প্রস্তুতি শুধু এ ভুমির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ না। তাই শুধু এ ভুমির বিজয়ের চিন্তা না করে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের জন্য চিন্তা করা উচিৎ। তাছাড়া আফগানের বিজয়টা হিন্দুস্থানের লরাইয়ের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আরেকটি বিষয় হল সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষদের রেডি করার সাথে সাথে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হল মুজাহিদের জামাতগত ভাবে বেশি প্রস্তুতি অর্জন করা ও শক্তিশালী হওয়া কারন হিন্দুস্থানের যুদ্ধ অন্য অঞ্চলের যুদ্ধের মত না এটা হবে অল্পসময়ের জন্য এবং খুবই মেসাকার। তাছাড়া এ যুদ্ধের মূল প্রতিপক্ষ হচ্ছে মুসরিকরা ( ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় মুসরিকদের সাথে যুদ্ধ অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয় এবং প্রচণ্ড রক্তপাত হয়)। আর যুদ্ধ শুরু হলে উভয়পক্ষের জন্য এ ভুমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
                            আর এ লড়াইয়ের শুরুতে মুজাহিদের টিকে থাকার লরাইতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
                            * আমার ব্যাক্তিগতমত হল গ্লোবাল জিহাদের ক্ষেত্রে আমেরিকা মূল টার্গেট হলেও এখানে ভারতের আধিপত্ত বেশি তাই তাই আমাদের প্রস্তুতিটাও এই এঙ্গেল থেকে নেওয়া উচিৎ। আল্লাহ্*ই ভাল জানে।
                            আর সর্বশেষ কথা হল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্*র জন্যই। তিনিওই সবকিছুকে কেন্দ্রের দিকে নিচ্ছে এবং তিনিওই আমাদেরকে বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করছে এবং কাফেরদের করছে পরাজিত।

                            Comment


                            • #29
                              Originally posted by সুলতান মাহমুদ View Post
                              আলহামদুলিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াসসালা মুয়ালা রাসুলিল্লাহ...


                              "বাংলাদেশে আমরা জিহাদের প্রস্তুতি বলতে কি বুঝবো?"
                              বাংলাদেশের মানুষের সতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন-
                              [COLOR="#000000"]


                              আর এ লড়াইয়ের শুরুতে মুজাহিদের টিকে থাকার লরাইতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সর্বশেষ কথা হল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্*র জন্যই। তিনিওই সবকিছুকে কেন্দ্রের দিকে নিচ্ছে এবং তিনিওই আমাদেরকে বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করছে এবং কাফেরদের করছে পরাজিত।

                              মাশাআল্লাহ ভাই, খুব সুন্দর ভাবে আপনি গুছানো একটা উপস্থাপনা করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দিন।
                              মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                              Comment


                              • #30
                                Originally posted by Mujaheed of Hind View Post
                                সামগ্রিক প্রস্তুতিকে বিশেষ তিনটি কাজের আওতায় নিয়ে আসা যেতে পারে –


                                ১. দাওয়াতী কার্যক্রম

                                ২. মুজাহিদদের ইলম অর্জন, শারীরিক প্রস্তুতি ও অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ

                                ৩. ভবিষ্যৎ টার্গেট নির্ধারণের জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহীকরণ






                                মাশাআল্লাহ ভাই, আপনি সুন্দর ভাবে করনীয় গুলো সামনে নিয়ে এসেছেন -
                                মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                                Comment

                                Working...
                                X