সঠিক দল চিনার উপায়
আজ আমাদের সমাজে ইসলামী অনেক দল--সংঘঠন রয়েছে যেমন, জমিয়ত, খেলাফত, জামায়াত, চর্মনাই ও মজলিস ইত্যাদি। এখন আমরা কোন্ দলের অনুসরণ করব? কারণ প্রত্যেক দল নিজেদের কে সঠিক মনে করেন। এবং এর জন্য কোরআন হাদিস দিয়ে দলিল পেশ করেন, ও তার বিপরীত দলকে না হক সাব্যস্ত করেন। তাই আমরা কোরআন হাদিস অনুসন্ধান করে দেখব যে, এই ব্যাপারে কোরআন-হাদিস কোনো মূলনীতি বলছে কিনা? বা কোনো গুনাগুন আলোচনা করেছে? তখন আমরা কোরআনে দেখতে পাই যে, এই ব্যাপারে মূলনীতিআকারে কয়েকটি গুণ বর্ননা করেছে। যাদের মাঝে এই গুণগুলো পূর্ণরূপে পাওয়া যাবে, তারাই আমাদের “মুক্বতাদা” বলে বিবেচ্যো হবে। তাই আল্লাহ তায়ালা বলেন।
يا أيها الذين آمنوا من يرتد منكم عن دينه فسوف يأت الله بقوم يحبهم و يحبونه أذلة على المؤمنين أعزة على الكافرين يجاهدون في سبيل الله و لا يخافون لومة لائم.....الآية
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! (জেনে রেখো) তোমাদের মধ্যে কোনো লোক যদি নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে (মুরতাদ হয়ে) ফিরে আসে (তাতে আল্লাহ তায়ালার কোনো ক্ষতি নেই) তবে আল্লাহ তায়ালা অচিরেই (এখানে) এমন এক সম্প্রদায়ের উত্থান ঘটাবেন যাদের তিনি ভালোবাসবেন, তারাও তাঁকে ভালোবাসবে, (তারা হবে) মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে, কোনো নিন্দুকের নিন্দার তারা ভয় করবে না। (মূলত) এ গুলো হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকেই তিনি তা দান কেরন, আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞার আধার।
উল্লোখিত আয়াতের মধ্যে ছয়টি গুণের কথা বলা হয়েছে।
১. يحبهم আল্লাহ যাদেরকে মহব্বত করবেন।
২. يحبونه যারা আল্লাহকে মহব্বত করবেন।
৩. أذلة على المؤمنين যারা মুমিনদের প্রতি হবে সদয়।
৪. أعزة على الكافرين কাফেরদর প্রতি হবে কঠোর।
৫. يجاهدون في سبيل الله যারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করে।
৬. لا يخافون لومة لائم যারা ভয় করেনা কোন নিন্দুকের নিন্দা।
এই ব্যাপারে রাসুল স. ইরশাদ করেন।
ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠَّﻢ : ﻻ ﺗﺰﺍﻝُ
ﻃﺎﺋﻔﺔٌ ﻣﻦ ﺃﻣَّﺘﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺤﻖِّ ﻻ ﻳﻀُﺮُّﻫﻢ ﻣﻦ ﻳﺨﺬُﻟُﻬﻢ ﺣﺘَّﻰ ﻳﺄﺗﻲَ ﺃﻣﺮُ ﺍﻟﻠﻪِ
অর্থ: রাসুল স. বলেন আমার উম্মতের একটি দল আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) অাসা পর্যন্ত হকের উপর থাকবেই কোন অপদস্তকারী তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
উল্লেখিত হাদিস থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, হক দলটি রাসুল স. এর যামানা থেকে আজ পর্যন্ত ছিলো এবং কিয়ামত পর্যন্ত বাকী থাকবে।
সুতরাং উপরোল্লেখিত কোরআন ও হাদিসে যে গুণের কথা বলা হয়েছে এ গুলো পূর্ণরূপে যে দলের মাঝে পাওয়া যাবে। তারাই হবে আমাদের প্রকৃত “মুক্বতাদা”। এ বিষয়গুলো লক্ষ করে আমাদের প্রত্যেক কে হক দলকে চিনে তার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন!!!
আজ আমাদের সমাজে ইসলামী অনেক দল--সংঘঠন রয়েছে যেমন, জমিয়ত, খেলাফত, জামায়াত, চর্মনাই ও মজলিস ইত্যাদি। এখন আমরা কোন্ দলের অনুসরণ করব? কারণ প্রত্যেক দল নিজেদের কে সঠিক মনে করেন। এবং এর জন্য কোরআন হাদিস দিয়ে দলিল পেশ করেন, ও তার বিপরীত দলকে না হক সাব্যস্ত করেন। তাই আমরা কোরআন হাদিস অনুসন্ধান করে দেখব যে, এই ব্যাপারে কোরআন-হাদিস কোনো মূলনীতি বলছে কিনা? বা কোনো গুনাগুন আলোচনা করেছে? তখন আমরা কোরআনে দেখতে পাই যে, এই ব্যাপারে মূলনীতিআকারে কয়েকটি গুণ বর্ননা করেছে। যাদের মাঝে এই গুণগুলো পূর্ণরূপে পাওয়া যাবে, তারাই আমাদের “মুক্বতাদা” বলে বিবেচ্যো হবে। তাই আল্লাহ তায়ালা বলেন।
يا أيها الذين آمنوا من يرتد منكم عن دينه فسوف يأت الله بقوم يحبهم و يحبونه أذلة على المؤمنين أعزة على الكافرين يجاهدون في سبيل الله و لا يخافون لومة لائم.....الآية
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! (জেনে রেখো) তোমাদের মধ্যে কোনো লোক যদি নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে (মুরতাদ হয়ে) ফিরে আসে (তাতে আল্লাহ তায়ালার কোনো ক্ষতি নেই) তবে আল্লাহ তায়ালা অচিরেই (এখানে) এমন এক সম্প্রদায়ের উত্থান ঘটাবেন যাদের তিনি ভালোবাসবেন, তারাও তাঁকে ভালোবাসবে, (তারা হবে) মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে, কোনো নিন্দুকের নিন্দার তারা ভয় করবে না। (মূলত) এ গুলো হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকেই তিনি তা দান কেরন, আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞার আধার।
উল্লোখিত আয়াতের মধ্যে ছয়টি গুণের কথা বলা হয়েছে।
১. يحبهم আল্লাহ যাদেরকে মহব্বত করবেন।
২. يحبونه যারা আল্লাহকে মহব্বত করবেন।
৩. أذلة على المؤمنين যারা মুমিনদের প্রতি হবে সদয়।
৪. أعزة على الكافرين কাফেরদর প্রতি হবে কঠোর।
৫. يجاهدون في سبيل الله যারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করে।
৬. لا يخافون لومة لائم যারা ভয় করেনা কোন নিন্দুকের নিন্দা।
এই ব্যাপারে রাসুল স. ইরশাদ করেন।
ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠَّﻢ : ﻻ ﺗﺰﺍﻝُ
ﻃﺎﺋﻔﺔٌ ﻣﻦ ﺃﻣَّﺘﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺤﻖِّ ﻻ ﻳﻀُﺮُّﻫﻢ ﻣﻦ ﻳﺨﺬُﻟُﻬﻢ ﺣﺘَّﻰ ﻳﺄﺗﻲَ ﺃﻣﺮُ ﺍﻟﻠﻪِ
অর্থ: রাসুল স. বলেন আমার উম্মতের একটি দল আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) অাসা পর্যন্ত হকের উপর থাকবেই কোন অপদস্তকারী তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
উল্লেখিত হাদিস থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, হক দলটি রাসুল স. এর যামানা থেকে আজ পর্যন্ত ছিলো এবং কিয়ামত পর্যন্ত বাকী থাকবে।
সুতরাং উপরোল্লেখিত কোরআন ও হাদিসে যে গুণের কথা বলা হয়েছে এ গুলো পূর্ণরূপে যে দলের মাঝে পাওয়া যাবে। তারাই হবে আমাদের প্রকৃত “মুক্বতাদা”। এ বিষয়গুলো লক্ষ করে আমাদের প্রত্যেক কে হক দলকে চিনে তার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন!!!
Comment