Announcement

Collapse
No announcement yet.

সঠিক দল চিনার উপায়!!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সঠিক দল চিনার উপায়!!!

    সঠিক দল চিনার উপায়
    আজ আমাদের সমাজে ইসলামী অনেক দল--সংঘঠন রয়েছে যেমন, জমিয়ত, খেলাফত, জামায়াত, চর্মনাই ও মজলিস ইত্যাদি। এখন আমরা কোন্ দলের অনুসরণ করব? কারণ প্রত্যেক দল নিজেদের কে সঠিক মনে করেন। এবং এর জন্য কোরআন হাদিস দিয়ে দলিল পেশ করেন, ও তার বিপরীত দলকে না হক সাব্যস্ত করেন। তাই আমরা কোরআন হাদিস অনুসন্ধান করে দেখব যে, এই ব্যাপারে কোরআন-হাদিস কোনো মূলনীতি বলছে কিনা? বা কোনো গুনাগুন আলোচনা করেছে? তখন আমরা কোরআনে দেখতে পাই যে, এই ব্যাপারে মূলনীতিআকারে কয়েকটি গুণ বর্ননা করেছে। যাদের মাঝে এই গুণগুলো পূর্ণরূপে পাওয়া যাবে, তারাই আমাদের “মুক্বতাদা” বলে বিবেচ্যো হবে। তাই আল্লাহ তায়ালা বলেন।
    يا أيها الذين آمنوا من يرتد منكم عن دينه فسوف يأت الله بقوم يحبهم و يحبونه أذلة على المؤمنين أعزة على الكافرين يجاهدون في سبيل الله و لا يخافون لومة لائم.....الآية
    অর্থ: হে ঈমানদারগণ! (জেনে রেখো) তোমাদের মধ্যে কোনো লোক যদি নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে (মুরতাদ হয়ে) ফিরে আসে (তাতে আল্লাহ তায়ালার কোনো ক্ষতি নেই) তবে আল্লাহ তায়ালা অচিরেই (এখানে) এমন এক সম্প্রদায়ের উত্থান ঘটাবেন যাদের তিনি ভালোবাসবেন, তারাও তাঁকে ভালোবাসবে, (তারা হবে) মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে, কোনো নিন্দুকের নিন্দার তারা ভয় করবে না। (মূলত) এ গুলো হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকেই তিনি তা দান কেরন, আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞার আধার।
    উল্লোখিত আয়াতের মধ্যে ছয়টি গুণের কথা বলা হয়েছে।
    ১. يحبهم আল্লাহ যাদেরকে মহব্বত করবেন।
    ২. يحبونه যারা আল্লাহকে মহব্বত করবেন।
    ৩. أذلة على المؤمنين যারা মুমিনদের প্রতি হবে সদয়।
    ৪. أعزة على الكافرين কাফেরদর প্রতি হবে কঠোর।
    ৫. يجاهدون في سبيل الله যারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করে।
    ৬. لا يخافون لومة لائم যারা ভয় করেনা কোন নিন্দুকের নিন্দা।
    এই ব্যাপারে রাসুল স. ইরশাদ করেন।
    ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠَّﻢ : ﻻ ﺗﺰﺍﻝُ
    ﻃﺎﺋﻔﺔٌ ﻣﻦ ﺃﻣَّﺘﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺤﻖِّ ﻻ ﻳﻀُﺮُّﻫﻢ ﻣﻦ ﻳﺨﺬُﻟُﻬﻢ ﺣﺘَّﻰ ﻳﺄﺗﻲَ ﺃﻣﺮُ ﺍﻟﻠﻪِ
    অর্থ: রাসুল স. বলেন আমার উম্মতের একটি দল আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) অাসা পর্যন্ত হকের উপর থাকবেই কোন অপদস্তকারী তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
    উল্লেখিত হাদিস থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, হক দলটি রাসুল স. এর যামানা থেকে আজ পর্যন্ত ছিলো এবং কিয়ামত পর্যন্ত বাকী থাকবে।
    সুতরাং উপরোল্লেখিত কোরআন ও হাদিসে যে গুণের কথা বলা হয়েছে এ গুলো পূর্ণরূপে যে দলের মাঝে পাওয়া যাবে। তারাই হবে আমাদের প্রকৃত “মুক্বতাদা”। এ বিষয়গুলো লক্ষ করে আমাদের প্রত্যেক কে হক দলকে চিনে তার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন!!!

  • #2
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ [٥:٥٤]
    হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।

    মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপরোক্ত গুন গুলো অর্জন করা তৌফিক দান করুক আমিন
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      বাংলাদেশে গণতন্ত্রী ইসলামী দাবীদার দলগুলি।
      #জমিয়ত, খেলাফতে মজলিশ, খেলাফতে আন্ধলন, ইসলামী খেলাফত( ছাত্র মোর্চা) ইসলামী আন্ধলন চরমোনায়ের পির সাবের দল, ইসলামী জুট, মুসলিমলীগ, জামাত, নিজামে ইসলামী পার্টি। আরো থাকতে পারে।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
      سورة توبة ٤٦

      Comment


      • #4
        হক দল। দু:খের বিষয়! আজ হকের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত দলগুলোও অন্ধকার রাত্রির মত গাঢ় ফেৎনার অন্ধাকরে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। সিরিয়া!! কত আশা ভরসার কেন্দ্র! কত খাটি মুজাহিদগণের জিহাদ! আল্লাহর নুসরাহ প্রাপ্ত জিহাদ। যখনই একটু আশার আলো অন্তরে জেগে উঠে, তখনই নতুন করে আশা ভঙ্গকারী একটি ফেৎনা গর্জে উঠে। এভাবে কতবার হচ্চে!! শামে কত দল ভেঙ্গে কত দল হচ্ছে?! জাবহাতুন নুসরাহ হতে জাবহাতু ফাতহিশ শাম, তা থেকে তারীরুশ শাম, তারপর এখন আবার নতুন করে কি যেন একটি নাম...ভুলে গেছি। এভাবে একটু উন্নতির দিকে যেতেই আবার বহু পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। অবশেষে সব ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে......।
        Last edited by Taalibul ilm; 03-03-2018, 03:01 PM.

        Comment


        • #5
          Originally posted by ibnul khattab View Post
          হক দল। দু:খের বিষয়! আজ হকের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত দলগুলোও অন্ধকার রাত্রির মত গাঢ় ফেৎনার অন্ধাকরে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। সিরিয়া!! কত আশা ভরসার কেন্দ্র! কত খাটি মুজাহিদগণের জিহাদ! আল্লাহর নুসরাহ প্রাপ্ত জিহাদ। যখনই একটু আশার আলো অন্তরে জেগে উঠে, তখনই নতুন করে আশা ভঙ্গকারী একটি ফেৎনা গর্জে উঠে। এভাবে কতবার হচ্চে!! শামে কত দল ভেঙ্গে কত দল হচ্ছে?! জাবহাতুন নুসরাহ হতে জাবহাতু ফাতহিশ শাম, তা থেকে তারীরুশ শাম, তারপর এখন আবার নতুন করে কি যেন একটি নাম...ভুলে গেছি। এভাবে একটু উন্নতির দিকে যেতেই আবার বহু পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। অবশেষে সব ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে...


          ভাই একথাগুলো ফোরামের বাইরের কথা।
          Last edited by Taalibul ilm; 03-03-2018, 03:02 PM.
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
          سورة توبة ٤٦

          Comment


          • #6
            عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- أَنَّهُ قَالَ : « الْغَزْوُ غَزْوَانِ فَأَمَّا مَنِ ابْتَغَى وَجْهَ اللَّهِ وَأَطَاعَ الإِمَامَ وَأَنْفَقَ الْكَرِيمَةَ وَيَاسَرَ الشَّرِيكَ وَاجْتَنَبَ الْفَسَادَ فَإِنَّ نَوْمَهُ وَنَبْهَهُ أَجْرٌ كُلُّهُ وَأَمَّا مَنْ غَزَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَسُمْعَةً وَعَصَى الإِمَامَ وَأَفْسَدَ فِى الأَرْضِ فَإِنَّهُ لَمْ يَرْجِعْ بِالْكَفَافِ». سنن أبي داود
            মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ থেকে বর্নিত যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যুদ্ধ হলো দুটি যুদ্ধ অতএব যে আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশ করে , আমীরের আনুগত্য করে , এবং সম্মানিত সম্পদ খরচ করে , এবং সাথিদের সাথে সহজ আচরন করে , এবং বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকে , তাঁর নিদ্রা জাগরন সব কিছুই প্রতিদান (যোগ্য)। তবে যে যুদ্ধ করলো দম্ভের সাথে লোকদেখানোর জন্য সুখ্যতি লাভের আশায় আর আমীরের অবাধ্য হলো আর যমিনে বিসৃংখলা সৃষ্টি করলো সে(যা নিয়ে যুদ্ধে শামিল হয়ে ছিল তা)সমান সমান নিয়ে ও ফিরে আসতে পারবে না।

            وعن ابن عمر رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم: (عَلى المَرْءِ المُسْلِم السَّمْعُ والطَّاعَةُ فِيما أَحَبَّ وكِرَهَ، إِلاَّ أنْ يُؤْمَرَ بِمَعْصِيَةٍ فَإذا أُمِر بِمعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلا طاعَةَ) [متفق عليه[
            ইবনে উমর রাঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ননা করেন যেঃ মুসলিম ব্যক্তির কর্তব্য পছন্দনিয় ও অপছন্দ সর্ব বিষয়ে আনুগত্য করা কিন্তু যদি গুনাহের নির্দেশ দেয়া হয়, যদি এমন নির্দেশ দেয়া হয় তখন কোন ধরনের মান্যতা ও আনুগত্য নেই।

            وعن أنس رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (اِسْمَعُوا وأَطِيْعُوا، وإنِ اسْتُعْمِلَ علَيْكُمْ عبْدٌ حبَشىٌّ، كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ ) [رواه البخاري].
            আনাছ রাঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে যদি তোমাদের উপর কোন হাবশি দাস যার মাথা কিশ্মিশের মত তাকে ও আমীর বানিয়ে দেয়া হয় তোমরা শুনো এবং মানো।
            ان بعض الظن اثم...
            কিছু ধারনা পাপ।
            জিনার চার শাক্ষি দাড় করাতে না পাড়লে জিনার মামলা দায়ের কারির উপর হদ্দে কযফ লাগে , এবং কোরানের ভাষায় সে আল্লাহর কাছে ও মিথ্যাবাদী।
            বাস্তবে সচক্ষে কোনথে।পরাধধ দেখেথাকলেও সে যখন জানে চার শাক্ষি ছাড়া বিচার হবেনা , তখন তার জন্য জিনার কথা বলে বিচার দায়ের করা উচিত হয়নি কারন এভাবে অপরাধের চর্চা হবে ঠিক কিন্তু সমাধান হবে না । সমাধান ছাড়া অপরাধের আলোচনাঃ অপরাধের জঘন্যতার উপলব্ধি কমিয়র এটিকে হালকা করে দেয় মানুষ এই ধরনের অপরাধের উপর দুঃসাহসী হয়ে উঠে।

            Comment


            • #7
              কিছু ধারনা পাপ।
              জিনার চার শাক্ষি দাড় করাতে না পাড়লে জিনার মামলা দায়ের কারির উপর হদ্দে কযফ লাগে , এবং কোরানের ভাষায় সে আল্লাহর কাছে ও মিথ্যাবাদী।
              বাস্তবে সচক্ষে কোনথে।পরাধধ দেখেথাকলেও সে যখন জানে চার শাক্ষি ছাড়া বিচার হবেনা , তখন তার জন্য জিনার কথা বলে বিচার দায়ের করা উচিত হয়নি কারন এভাবে অপরাধের চর্চা হবে ঠিক কিন্তু সমাধান হবে না । সমাধান ছাড়া অপরাধের আলোচনাঃ অপরাধের জঘন্যতার উপলব্ধি কমিয়র এটিকে হালকা করে দেয় মানুষ এই ধরনের অপরাধের উপর দুঃসাহসী হয়ে উঠে।
              অত্যন্ত মূল্যবান কথা। কিন্তু এই কথাটা -জিনার চার শাক্ষি দাড় করাতে না পাড়লে জিনার মামলা দায়ের কারির উপর হদ্দে কযফ লাগে , এবং কোরানের ভাষায় সে আল্লাহর কাছে ও মিথ্যাবাদী। আল্লাহর কাছেও মিথ্যাবাদী, এই কথাটার উপর আরেকটা বিষয় তাআরুয হয়ে যায়। তা হল অনেক সাহাবী বিভিন্ন সময় মুনাফিকদের থেকে বিভিন্ন কুফরী শ্রবণ করে তা রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে অভিযোগ করতেন, কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণের অভাবে তা কার্যকর হত না। প্রমাণিত হত না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা. বা কুরআন তো ঐ সকল সাহাবীদেরকে কিছু বলেনি। অর্থাৎ প্রমাণিত না হওয়ার কারণে যদিও বাহ্যিকভাবে অভিযোগকারী সাহাবীই অপমানিত হতেন, কিন্তু আল্লাহর কাছেও মিথ্যাবাদী হওয়ার কথা তো বলেনি।

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আমাদেরকে হক দলের সাথে থাকার তৌফিক দান করুন।

                Comment


                • #9
                  ইবনুল খাত্তাব ভাই এর লিখাগুলোতে কোন একটি তানজীমের / অথবা উনি যে তানজীমে কাজ করেন, সেই তানজীমের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে বেশ কিছু আপত্তিজনক কথা রয়েছে। অথচ এতে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ ছাড়া কথা বলা হয়েছে। অথবা কে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তাও পরিষ্কার নয়।

                  এই রকম কথা থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে ঐ তানজীমের উমারাগণকে জানানো উচিত।

                  নিজের পরিচয় গোপন করে, ফোরামে এই রকম কোন কথা লিখার অর্থ ভাল কিছু দাঁড়ায় না। এতে বুঝা যায় যিনি আপত্তি করছেন, তিনি নিজ পরিচয়ে নিজ তানজীমের কাছে এই আপত্তি করার সৎসাহস রাখেন না। তাই পরিচয় গোপন করে এইভাবে ফোরামে লিখতেছেন।

                  অথবা এই আইডিটি হয়তো তানজীমের বাইরের কেউ / জিহাদের শত্রু কেউ ফিতনা তৈরীর জন্য এই কাজ করছে। আল্লাহু আ'লাম।

                  তাই, আপনার উচিত, আপনার অভিযোগগুলো আপনার মাসউল ভাইদেরকে জানানো। ফোরামে এইভাবে বে-নামে এই রকম কিছু লিখা কখনো উচিত না।
                  কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by ibnul khattab View Post
                    হক দল। দু:খের বিষয়! আজ হকের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত দলগুলোও অন্ধকার রাত্রির মত গাঢ় ফেৎনার অন্ধাকরে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। সিরিয়া!! কত আশা ভরসার কেন্দ্র! কত খাটি মুজাহিদগণের জিহাদ! আল্লাহর নুসরাহ প্রাপ্ত জিহাদ। যখনই একটু আশার আলো অন্তরে জেগে উঠে, তখনই নতুন করে আশা ভঙ্গকারী একটি ফেৎনা গর্জে উঠে। এভাবে কতবার হচ্চে!! শামে কত দল ভেঙ্গে কত দল হচ্ছে?! জাবহাতুন নুসরাহ হতে জাবহাতু ফাতহিশ শাম, তা থেকে তারীরুশ শাম, তারপর এখন আবার নতুন করে কি যেন একটি নাম...ভুলে গেছি। এভাবে একটু উন্নতির দিকে যেতেই আবার বহু পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। অবশেষে সব ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে......।
                    #প্রিয় আখি, আমি আমার উপর দায়িত্বশীল, কাজেই আমাকে আমার কৃত কর্মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে।
                    আমি যা পারবো না তা বলেও কোন লাভ নেই।

                    Comment


                    • #11
                      তখন তার জন্য জিনার কথা বলে বিচার দায়ের করা উচিত হয়নি কারন এভাবে অপরাধের চর্চা হবে ঠিক কিন্তু সমাধান হবে না
                      জিনার কথা না বলে যদি আপত্তি কর অবস্থায় তাকে/তাদেরকে দেখেছে এমন অভিযোগ করে তখন তাদের উপর জিনার হদ্দ বাস্তবায়ন হবে না ঠিকই কিন্তু বিচারক নিজের দুর্দর্শিতার দ্বারা তাদের উপর উপযোক্ত তাযীর প্রতিষ্ঠা করবে যাতে অপরাধের পথ রুদ্ধহয়। সে ও হদ্দে কযফের সন্মোখিন হবে না, কারন সে যথাযথ বুদ্ধিমত্তা এবং শরিয়তের বিচার ব্যবস্থার সঠিক অবগতি ও জ্ঞানের সাথেই পদক্ষেপ গ্রহন করেছে ।
                      সাহাবি কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবগত করা এটি উপযুক্ত স্থানেই যথার্থ সমাধানের অন্বেষণ বটে। সেখানে কোন নির্বুদ্ধিতা অজ্ঞতা হঠকারিতা ... এসব নেই তাহলে দুটি এক হলো কী করে?
                      এখানে সে নিশ্চিত জানে/জানা থাকা কর্তব্য যে এ অভিযোগে জিনার বিচার হবে না, তার পরো জিনার অভিযোগ করা এর বাহ্যিক অর্থ হলো সে জিনার পথ রুদ্ধ করতে চায়, আসলে এভাবে রুদ্ধ হবেনা বরং অপরাধের জঘন্যতার উপলব্ধি হ্রাস পাবে। তাহলে সে কাজ করেছে অপরাধ বিস্তারে সহায়তার আর ভান ধরেছে অপরাধ রুদ্ধ করার প্রচেষ্টার , এই কারনে সে আল্লাহর নিকট ও মিথ্যাবাদি
                      {لَوْلَا جَاءُوا عَلَيْهِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاءِ فَأُولَئِكَ عِنْدَ اللَّهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ} [النور: 13]
                      কেন এর উপর তারা চার শাক্ষি আনছেনা , যখন শাক্ষি আনতে পারছেনা আল্লাহ তায়ালার নিকট তারাই মিথাবাদি।
                      কোথায় অস্পষ্টতা লিখবেন ইনশ...।

                      Comment


                      • #12
                        চার শাক্ষি ছাড়া যিনার বিচার চাওয়া হলো নিজেকে মুফসিদ বানিয়ে ইসলাহের ভনিতা দেখানো। কারন এভাবে যিনার বিচার হবেনা এটা জানা থাকার পরো যখন সে জিনার বিচার দাবি করলো এর দ্বারা অপরাধের প্রতিকার যেখানে নেই সেখানে অপরাধের চর্চা করলো , এই ভাবে অপরাধের জঘন্যতা মানুষের মন থেকে উঠে যাবে , অপরাধের প্রতি দুঃসাহসী হয়ে উঠবে।
                        আর সাহাবি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নালিশ করা এটি বিষয়টিকে প্রতিকারের যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা , দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক ।
                        এখানে এমন অস্পষ্ট ভাবে কোন তানযীমের বিশৃঙ্খলার আলোচনা হলে মনে হবে যে এই তানযীমের মধ্যে কোন ঝামেলা আছে, তখন শয়তান জামাতের মজবুতির মধে ফাটলের চেষ্টা করতে পাড়ে। এটা ও প্রতিকার হবেনা যেখানে সেখানে অপরাধের আলোচনার মত হয়ে যাচ্ছে। ওয়াল্লাহু আলাম।

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।আমিন।
                          দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

                          Comment


                          • #14
                            যারা আমার ভুল ধরেছেন এবং আমাকে সংশোধন করে দিয়েছেন, আমি তাদের কথাগুলো গ্রহণ করলাম। আসলে তাদের কথাগুলোই সঠিক। আমার বুঝ ভুল ছিল। তবে ভাইয়েরা! আমার উদ্দেশ্য ভালই ছিল। তাই কেউ অযথা আমাকে আই. এস, তাগুতের চর, আঞ্জেম চৌধুরী ইত্যাদি বলে দেওয়ার মত তাকফীরী মনোভাব প্রকাশ করবেন না।


                            অনেক দিন যাবত ফোরামে মডারেটর ওমর আব্দুর রহমান ভাই ও একই সাথে আব্দুল্লাহ ইয়াফুর ভাইকে দেখতেছি না। আব্দুল্লাহ ইয়াফুর ভাইকে অনেক মিস করছি.. ভাই যদি থাকেন, তাহলে আমাদেরকে একটু বরকত দিলে কতই না ভাল হত!!

                            ব্যক্তিগতভাবে কারো কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ বা শক্তিশালী আলামত থাকতে পারে, যা অন্যদের জানা নেই, কারণ ঘটনা তাদের সাথে নয়। তাই অন্যকে আন্দাজে ধারণা করার অভিযোগ করে নিজেই আরেকজনকে অনর্থক কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকি... ফোরামে বলার নেক মাকসাদও থাকতে পারে। যদিও কখনো হিতে বিপরীত হয়ে যায়... সেটা আরেক জিনিস..

                            Comment

                            Working...
                            X