Announcement

Collapse
No announcement yet.

গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || পরিশিষ্ট - নুআইম ইবনে হাম্মাদ ও তাঁর রচিত ‘কিতাবুল ফিতান’ গ্রন্থ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || পরিশিষ্ট - নুআইম ইবনে হাম্মাদ ও তাঁর রচিত ‘কিতাবুল ফিতান’ গ্রন্থ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ

    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ:
    সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা


    মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ​​​



    পরিশিষ্ট

    নুআইম ইবনে হাম্মাদ ও তাঁর রচিত ‘কিতাবুল ফিতান’ গ্রন্থ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা


    গাযওয়ায়ে হিন্দের সংশ্লিষ্ট কিছু হাদীস এককভাবে শুধু নুআইম ইবনে হাম্মাদ তাঁর রচিত ‘কিতাবুল ফিতানে’ বর্ণনা করেছেন। যদিও সে হাদীসগুলোর কোনো কোনোটির সনদ সহীহ এবং অন্য কোনো সহীহ হাদীসের বিপরীতও নয়। তাই নুআইম ইবনে হাম্মাদ (মৃত্যু ২২৮ হি.) ও তাঁর রচিত ‘কিতাবুল ফিতান’ গ্রন্থ সম্পর্কে পৃথকভাবে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা তুলে ধরা হলো-

    নুআইম ইবনে হাম্মাদ (মৃত্যু ২২৮ হি.): প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুহাম্মাদ ইবনে সা‘দ (মৃত্যু ২৩০ হিজরি) বলেন,

    نُعَيْمُ بنُ حمَّادٍ: وَكَانَ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ مِنْ أَهْلِ مَرْو، وَطَلَبَ الحَدِيْثَ طَلَباً كَثِيْراً بِالعِرَاقِ وَالحِجَازِ، ثُمَّ نَزَلَ مِصْرَ، فَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى أُشْخِصَ مِنْهَا فِي خِلاَفَةِ أَبِي إِسْحَاقَ -يَعْنِي: المُعْتَصِمَ- فَسُئِلَ عَنِ القُرْآنِ، فَأَبَى أَنْ يُجِيْبَ فِيْهِ بِشَيْءٍ مِمَّا أَرَادُوهُ عَلَيْهِ، فَحُبِسَ بِسَامَرَّاءَ، فَلَمْ يَزَلْ مَحْبُوساً بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي السِّجْنِ، سَنَةَ ثَمَانٍ وَعِشْرِيْنَ وَمِئَتَيْنِ.

    অর্থ:“নুআইম ইবনে হাম্মাদ খোরাসানের মারও (মার্ভ) এলাকার অধিবাসী ছিলেন। তিনি ইরাক এবং হেজায থেকে অনেক হাদিস সংগ্রহ করেছেন। অতঃপর তিনি মিসর যান। তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন; এক পর্যায় আবু ইসহাক অর্থাৎ মু’তাসিমের খেলাফতকালে তাকে সেখান থেকে বন্দী করে নিয়ে আসা হয়। তাকে কুরআন (সৃষ্ট কি সৃষ্ট না) এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়। প্রশাসনিক লোকজন তার নিকট যেভাবে উত্তর আশা করেছিল তিনি সেভাবে কোনো প্রকার জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তাকে ‘সামাররা’ নামক স্থানে বন্দী করে রাখা হয়। সেখানে তিনি বন্দী অবস্থায় ২২৮ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।” -তবাকাতে ইবনে সাআদ ৫/৪২১, রাবি ৪০৭৮; সিয়ারু আলামিন নুবালা ১০/৬১১, রাবি ২০৯

    হাকাম ইবনুল মুবারক রহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু ২৪০ হি.) বলেন,

    خَرَجَ إِلَى مِصْرَ، فَأَقَامَ بِهَا نَحْوَ نَيِّفٍ وَأَرْبَعِيْنَ سَنَةً، وَكَتَبُوا عَنْهُ بِهَا، وَحُمِلَ إِلَى العِرَاقِ فِي امْتِحَانِ "القُرْآنُ مَخْلُوْقٌ"، مَعَ البُوَيْطِيِّ مُقَيَّدَيْنِ.

    অর্থ: “তিনি মিশরে চলে যান। সেখানে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর অবস্থান করেন। মিসরের ওলামায়ে কেরাম তার থেকে হাদীস লেখেন। অতঃপর ‘খলকে কুরআনে’র ফিতনার সময় বুওয়াইতির সাথে তাঁকে বন্দী করে ইরাক নিয়ে যাওয়া হয়।” -তাহযীবুল কামাল ৭/৩৫১, রাবি ৭০৪৬; সিয়ারু আলামিন নুবালা ১০/৫৯৯, রাবি ২০৯

    তিনি যেসকল প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন

    তারা হলেন- আবু হামযাহ আসসুক্কারি, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক, ফুযাইল ইবনে ইয়ায, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনাহ, রিশদীন ইবনে সাআদ, হাফস্ ইবনে গিয়াস, ইবনে ওয়াহব, ইয়াহয়া আলকাত্তান, ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, আবু দাউদ তয়ালিসী-সহ খুরাসান, মক্কা-মদীনা, শাম, ইয়ামান ও মিসরের আরো অনেক মুহাদ্দিস থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেন।

    তাঁর থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেসকল মুহাদ্দিস হাদীস বর্ণনা করেছেন

    ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন, ইমাম যুহলী, আবু হাতেম, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযী ও আবু দাউদ-সহ আরো অনেক বিশিষ্ট মুহাদ্দিস তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। -সিয়ারু আলামিন নুবালা ১০/৫৯৫-৫৯৬, রাবি ২০৯; তাহযীবুল কামাল ৭/৩৫০, রাবি ৭০৪৬

    সহীহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমসহ প্রসিদ্ধ ছয়টি হাদীস গ্রন্থে তাঁর বর্ণিত হাদীসের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা -

    ১. ‘সহীহ বুখারি’র সালাত অধ্যায়, ১/৫৬, হাদীস ৩৯০
    ২. ‘সহীহ বুখারি’র ‘কাসামাহ’ অধ্যায়, ১/৫৪৩, হাদীস ৩৭১১
    ৩. ‘সহীহ বুখারি’র নুবুওয়াতের আলামত অধ্যায়, ১/৫২৯, হাদীস ৩৬০০
    ৪. ‘সহিহ মুসলিমে’র মুকাদ্দিমাহ বা ভূমিকা, ১/১৭
    ৫. ইমাম তিরমিযি রহিমাহুল্লাহ তার থেকে ‘সুনানে তিরমিযি’র ‘জিহাদ’ অধ্যায়ে (১/২৯৫, হাদীস ১৬৬৩) হাদিস বর্ণনা করেছেন। উক্ত হাদিস উল্লেখ করে ইমাম তিরমিযি রহিমাহুল্লাহ বলেন,هذا حَدِيْثٌ صَحِيْحٌ غَرِيْبٌ এই হাদিসটি ‘সহিহ গরীব’।
    ৬. ইমাম ইবনে মাজাহ ‘সুনান’ গ্রন্থে (১/১২৭, হাদীস ১৭৭৪) তার থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুছিরী রহিমাহুল্লাহ সে হাদীস সম্পর্কে বলেন, هذَا إِسْنَادٌ صَحِيْحٌ، رِجَالُهُ مَوْثُوْقُوْنَ. (এই হাদিসের সনদ সহিহ এবং বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।) -যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ২৫৭, হাদীস ২৫৭

    নুআইম ইবনে হাম্মাদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নোক্ত কিতাবগুলো দেখা যেতে পারে-

    আলজারহু ওয়াত তাদীল, ইবনে আবি হাতেম ৮/৫২৯, রাবি ১৫৪৩২; আলকামেল, ইবনে আদী ৮/২৫৬-২৫৬, রাবি ১৯৫৯; কিতাবুছ্ ছিকাত, ইবনে হিব্বান ৯/২১৯; রাবি ৫০২১; তাহযীবুল কামাল ৭/৩৫০-৩৫৩, রাবি ৭০৪৬; সিয়ারু আলামিন নুবালা ১০/৫৯৫-৬১২, রাবি ২০৯; তাযকিরাতুল হুফফায ২/৬-৭, রাবি ৪২৪; মিযানুল ইতিদাল ৪/২৬৭-২৭০, রাবি ৯১০২; আলমুগনি ফিদ দুআফা ২/৪৬২-৪৬৩, রাবি ৬৬৫৯; ইকমালু তাহযীবিল কামাল, আলাউদ্দীন মুগলতাঈ ৬/৪৩১-৪৩৩, রাবি ৫০২১; আলকাশেফ ৪/৪০০-৪০১, রাবি ৫৮৫৬; আলইবার ফি খবারি মান গবার ১/৪০৫ (২২৯ হিজরি সনের আলোচনা প্রসংগে); তাহযিবুত তাহযিব ১০/৪৬২- ৫৭২, রাবি ৮৪২৮; মুকাদ্দিমা ফাতহুল বারি পৃ. ৫৯৭; আলই’লান বিত-তাওবিখ, হাফেয সাখাবী রহিমাহুল্লাহ পৃ. ১১০; এলাউস সুনান ২১/৩৪; ফিকহু আহলিল ইরাকি ওয়া হাদীসুহুম পৃ.১০৬-১০৭; আলইমামু ইবনে মাজাহ ওয়া কিতাবুহু আসসুনান, আব্দুর রশীদ নোমানী; তাহকীক- আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ পৃ. ৯৭-৯৮


    কিতাবুল ফিতান

    গাযওয়ায়ে হিন্দের বেশ কিছু হাদীস সহীহ সনদ দ্বারা প্রমাণিত। সেগুলো হাদীসের বিভিন্ন ইমামগণ তাঁদের সুপ্রসিদ্ধ হাদীসগ্রন্থসমূহে বর্ণনা করেছেন, যা ইতিপূর্বে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। তবে গাযওয়ায়ে হিন্দের সংশ্লিষ্ট কিছু হাদীস এককভাবে শুধু নুআইম ইবনে হাম্মাদ তাঁর রচিত ‘কিতাবুল ফিতানে’ বর্ণনা করেছেন। যদিও সে হাদীসগুলোর কোনো কোনোটির সনদ সহীহ। এবং অন্য কোনো সহীহ হাদীসের বিপরীতও নয়। কিন্তু উক্ত কিতাব সম্পর্কে ইমাম যাহাবি রহিমাহুল্লাহ ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘সেখানে অনেক আশ্চর্যজনক ও মুনকার হাদীস রয়েছে।’ একথা দ্বারা কেউ কেউ সে কিতাবে উল্লিখিত গাযওয়ায়ে হিন্দের সকল হাদীসের উপর আপত্তি উত্থাপনের চেষ্টা করেন। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। নিম্নে এবিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরা হলো-

    ইমাম যাহাবি তাঁর রচিত সাতটি কিতাব ( ১. ‘আলকাশেফ’ ২. ‘মিযানুল ইতিদাল’ ৩. ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’ ৪. ‘আলমুগনি’ ৫. ‘তারিখুল ইসলাম’ ৬. ‘তাযকিরাতুল হুফফায’ ৭. ‘আলইবার’) এর মধ্যে নুআইম ইবনে হাম্মাদ এর জীবনী আলোচনা করেন। কিন্তু ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’ ব্যতীত অন্য কোনো কিতাবে এমন কথা বলেননি। তবে সেখানে একথা বলে সাথে সাথে ইবনে আদির নিম্নোক্ত কথা বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনে আদি নুআইম ইবনে হাম্মাদ এর সকল হাদীস থেকে তালাশ করে দশটা মুনকার হাদীস পেয়েছেন। সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত মন্তব্য পেশ করে বলেন, এর বাহিরের সকল হাদীস সঠিক হবে। ইমাম যাহাবি রহিমাহুল্লাহ এর সম্পূর্ণ কথা ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’ গ্রন্থ থেকে নিম্নে পেশ করা হলো,

    وَقَدْ صَنَّفَ كِتَابَ (الفِتَنِ)، فَأَتَى فِيْهِ بِعَجَائِبَ وَمَنَاكِيْرَ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ عَقِيْبَ مَا سَاقَ لَهُ مِنَ المَنَاكِيْرِ: وَقَدْ كَانَ أَحَدَ مَنْ يَتَصَلَّبُ فِي السُّنَّةِ، وَمَاتَ فِي مِحْنَةِ القُرْآنِ، فِي الحَبْسِ، وَعَامَّةُ مَا أُنْكِرَ عَلَيْهِ هُوَ مَا ذَكَرْتُهُ، وَأَرْجُو أَنْ يَكُوْنَ بَاقِي حَدِيْثِهِ مُسْتَقِيْماً

    অর্থ: “তিনি ‘কিতাবুল ফিতান’ রচনা করেছেন। তাতে বেশ কিছু আশ্চর্যজনক ও মুনকার ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনে আদি তার বেশ কিছু মুনকার উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন সুন্নাহর ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। তিনি খলকে কুরআনের মাসআলায় নির্যাতিত হয়ে বন্দী অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। সাধারণত তার যেসকল হাদীসের উপর আপত্তি করা হয় সেগুলো আমি উল্লেখ করলাম। সুতরাং আমি আশা করি তার বর্ণনাকৃত অবশিষ্ট হাদীস নির্ভরযোগ্য।” -সিয়ারু আলামিন নুবালা ১০/৬০৯-৬১০

    ইবনে আদির চিহ্নিত সে সকল হাদীসের মধ্যে আমাদের এ প্রবন্ধে উল্লিখিত গাযওয়ায়ে হিন্দ সংক্রান্ত কোনো হাদীস আসেনি। সুতরাং ইমাম যাহাবি রহিমাহুল্লাহ এর উক্ত কথার কারণে গাযওয়ায়ে হিন্দের হাদীসের উপর আপত্তির সুযোগ নেই। বিশেষত যে হাদীসগুলো সনদের দিক থেকে সহীহ হিসেবে সাব্যস্ত।[1]

    মাসলামা ইবনে কাসেমও নুআইম ইবনে হাম্মাদের বিষয়ে একটি কথা বলেছেন। তবে সেটা সরাসরি গাযওয়ায়ে হিন্দ সম্পর্কিত নয়। সেটি হল, শেষ জামানায় সংঘটিতব্য মহা-যুদ্ধ সংক্রান্ত। তার হুবহু বক্তব্য নিচে উল্লেখ করা হল,

    মাসলামা ইবনে কাসেম বলেন, لَهُ أَحَادِيْثُ مُنْكَرَةٌ فِيْ الْمَلَاحِمِ اِنْفَرَدَ بِهَا (তিনি শেষ জামানায় সংঘটিতব্য মহা-যুদ্ধ সংক্রান্ত বেশ কিছু মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন, যা অন্য কেউ বর্ণনা করেনি।) -তাহযিবুত তাহযিব ১০/৫৭১

    তার কথার ক্ষেত্রেও নুআইম ইবনে হাম্মাদের বিষয়ে ইবনে আদির চুড়ান্ত ফায়সালার কথা (যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ইমাম মিযযি, যাহাবি ও ইবনে হাজার যাকে সঠিক বলে মেনে নিয়েছেন) স্মরণ করা যেতে পারে। -সিয়ারু আলামিন নুবালা ১০/৬০৯-৬১০; তাহযীবুল কামাল ৭/৩৫০-৩৫৩, রাবি ৭০৪৬; মুকাদ্দিমা ফাতহুল বারি পৃ. ৫৯৭
    উল্লেখ্য, নুআইম ইবনে হাম্মাদ সম্পর্কে প্রবন্ধকারের বিস্তারিত একটি পুস্তিকা রয়েছে। সেখান থেকে সংক্ষেপে কিছু কথা এখানে তুলে ধরা হল। ‘ফিতান’ সংক্রান্ত গ্রন্থসমূহ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছা আছে। সেখানে নুআইম বিন হাম্মাদ সম্পর্কিত বিস্তারিত সে প্রবন্ধটি তুলে ধরার ইচ্ছা আছে।



    Collected‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬

    (চলবে, ইনশা আল্লাহ)​​​​​​
    [1]. একটি ভুল ধারণার অপনোদন

    একজন হাদীস চর্চাকারীর কোন ধরনের কিতাবের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত অথচ সে কোন ধরনের কিতাবের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে, এ ব্যাপারে খতীব বাগদাদী রহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু ৪৬৩ হি.) এর বক্তব্যের সমর্থনে ইবনে রজব হাম্বলী রহিমাহুল্লাহ ( মৃত্যু ৭৯৫ হি.) বলেন,

    وَهَذَا الَّذِيْ ذَكَرَهُ الْخَطِيْبُ حَقٌّ، وَنَجِدُ كَثِيْراً مِمَّنْ يُنْتَسَبُ إِلَى الْحدِيْثِ لَا يَعْتَنِيْ بِالْأُصُوْلِ الصِّحَاحِ كَالْكُتُبِ السِّتَّةِ وَنَحْوِهَا، وَيَعْتَنِيْ بَالْأَجْزَاءِ الْغَرِيْبَةِ وَبِمِثْلِ مُسْنَدِ الْبَزَّارِ وَمَعَاجِمِ الطَّبَرَانِيِّ، أَوْ أَفْرَادِ الدَّارَقُطْنِيْ، وَهِيَ مَجْمَعُ الْغَرَائِبِ وَالْمَنَاكِيْرِ .

    অর্থ: “খতীবে বাগদাদী রহিমাহুল্লাহ যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা সত্য। হাদীসের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন অনেককেই আমরা দেখতে পাই যে, তাঁরা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ ও হাদীসের অন্যান্য মৌলিক (ও প্রসিদ্ধ) গ্রন্থসমূহের প্রতি গুরুত্ব দেন না। বরং তারা বিভিন্ন অপরিচিত (ও অপ্রসিদ্ধ) হাদীসগ্রন্থ, মুসনাদে বায্যার, ত্ববরানীর মু‘জামসমূহ ও দারাকুত্বনীর ‘আফরাদ’ এর মতো কিতাবসমূহের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অথচ এসকল গ্রন্থ গারাইব (অপরিচিত) ও মুনকার বর্ণনায় পরিপূর্ণ।” -শারহু ইলালিত তিরমিযি, তাহকীক- হাম্মাম সাঈদ ২/৬২৪

    মন্তব্য:
    অথচ এসকল কিতাব থেকে যথাযথ উসূলের আলোকে যুগে যুগে সকল মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ সহীহ হাদীস গ্রহণ করেছেন। সেখানে গারাইব ও মুনকার থাকার কারণে পুরো কিতাবগুলোকে কেউ বাদ দেননি। অনুরূপভাবে নুআইম ইবনে হাম্মাদের ‘কিতাবুল ফিতান’ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য হবে।
    “ধৈর্যশীল, সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”
    -শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ

  • #2
    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || ভূমিকা || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ​​
    -
    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || প্রথম অংশ - প্রথম হাদীস || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ
    -
    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || প্রথম অংশ - দ্বিতীয় ও তৃতীয় হাদীস || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ
    -
    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || প্রথম অংশ - চতুর্থ হাদীস || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ
    -
    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || দ্বিতীয় অংশ - পঞ্চম হাদীস || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ
    -
    গাযওয়ায়ে হিন্দ বিষয়ক হাদীসসমূহ: সনদ বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা || তৃতীয় অংশ - গাযওয়ায়ে হিন্দ কি সংঘটিত হয়ে গেছে, না, শেষ জামানায় হবে? || মুফতি আবু আসেম নাবিল হাফিযাহুল্লাহ
    “ধৈর্যশীল, সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”
    -শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      অর্থ: “খতীবে বাগদাদী রহিমাহুল্লাহ যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা সত্য। হাদীসের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন অনেককেই আমরা দেখতে পাই যে, তাঁরা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ ও হাদীসের অন্যান্য মৌলিক (ও প্রসিদ্ধ) গ্রন্থসমূহের প্রতি গুরুত্ব দেন না। বরং তারা বিভিন্ন অপরিচিত (ও অপ্রসিদ্ধ) হাদীসগ্রন্থ, মুসনাদে বায্যার, ত্ববরানীর মু‘জামসমূহ ও দারাকুত্বনীর ‘আফরাদ’ এর মতো কিতাবসমূহের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অথচ এসকল গ্রন্থ গারাইব (অপরিচিত) ও মুনকার বর্ণনায় পরিপূর্ণ।” -শারহু ইলালিত তিরমিযি, তাহকীক- হাম্মাম সাঈদ ২/৬২৪


      মন্তব্য:
      অথচ এসকল কিতাব থেকে যথাযথ উসূলের আলোকে যুগে যুগে সকল মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ সহীহ হাদীস গ্রহণ করেছেন। সেখানে গারাইব ও মুনকার থাকার কারণে পুরো কিতাবগুলোকে কেউ বাদ দেননি। অনুরূপভাবে নুআইম ইবনে হাম্মাদের ‘কিতাবুল ফিতান’ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য হবে।

      সুন্দর আলোচনা

      Comment

      Working...
      X