Announcement

Collapse
No announcement yet.

ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ২ - চোখে ময়লা জমে থাকা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ২ - চোখে ময়লা জমে থাকা

    ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ২ - চোখে ময়লা জমে থাকা

    আল্লাহ তাআলা আমাদের যত নিয়ামত দান করেছেন ৷ তাঁর মধ্যে চোখ অন্যতম এক নিয়ামত ৷ যাঁর চোখ নেই,সে জানে চোখের মর্ম ৷ আর যাঁর চোখ ছিল,পরে অন্ধ হয়েছে যেকোন কারণে; সে চোখের মর্ম সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারে ৷
    কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখলে বুঝা যায় চোখ না থাকলে সব অন্ধকার ৷
    আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের পূর্ণাঙ্গ দুটি চোখ দিয়েছেন ৷
    আবার চোখের ভিতরে যাতে ধূলোবালি গিয়ে চোখের ক্ষতি না হয়,সেজন্য আল্লাহ তাআলা চোখের উপর নিচে পাতা সেট করে দিয়েছেন এবং চোখ বন্ধ করার সিস্টেম করে দিয়েছেন ৷ সুবহানাল্লাহ

    এজন্য আমাদের উচিত আল্লাহর এ নিয়ামত চোখের শুকরিয়া আদায় করা ৷ শুকরিয়া আদায় শুধু আলহামদুলিল্লাহ বললে হয় না ৷ বরং চোখকে আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যয় করা ৷ চোখ দিয়ে হারাম জিনিস না দেখা,বেগানা মহিলাদের দিকে দৃষ্টিপাত না করা ৷ চোখকে আল্লাহর বৈধ পন্থায় ব্যয় করা ৷ চোখ দিয়ে মা বাবার দিকে নেক নজরে তাকানো,নিজের স্ত্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করা,আল্লাহর কালাম পাঠ করা ইত্যাদি ৷ অর্থ্যাৎ আল্লাহর নিষেধকৃত বিষয়ে চোখ না বুলানো এবং নির্দেশিত বিষয়ে চোখ বুলানো ৷ এমন করলে চোখের শুকরিয়া আদায় করা হবে ৷ আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন ৷

    চোখসহ শরীরের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা ৷ আমি শুধু এর আমানতদার ৷ এগুলোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা আমার কাজ ৷ হাশরের দিন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে ৷ তাই এগুলোর যথাযথো প্রয়োগ করা কাম্য ৷

    কয়েকদিন কোন এক চ্যানেলে দেখলাম, এক ব্যক্তির জন্মের তিনদিন পর চোখ অন্ধ হয়ে যায় ৷ এখন সে যুবক ৷ কিন্তু এ পর্যন্ত দুনিয়ার মুখ দেখেনি ৷ অথচ সে আটাশ পাড়া কুরআন হিফজ করেছে ৷ বাকি দুই পারা অচিরেই হিফজ করবে ৷ ছোটবেলায় তাঁর মা মাদরাসায় দিয়ে আসে ৷ উসতাযগণ অন্ধ ছেলেটিকে একস্ট্রা কেয়ার করে ৷ শুনে শুনে কুরআন পড়া শিখে ও হিফজ করে ৷
    আল্লাহু আকবার কাবিরা!
    ছেলেটি চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে চায় ৷ গরিব হওয়ায় টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারছে না ৷ আল্লাহ সহজ করে দিন ৷
    এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত ৷

    চোখকে সবসময় পরিষ্কার রাখা ৷ বাহিরের ধূলোবালি গিয়ে চোখে জমা হয় ৷ পরে তা ময়লা হয়ে বের হয় ৷
    দেখতে খারাপ লাগে ৷

    ঘুম থেকে উঠে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুআ পাঠ করতেন ৷ এরপর চোখে হাত বুলিয়ে ঘুমের ভাব দূর করতেন ৷ এরপর ফ্রেশ হয়ে সালাত আদায় করতেন ৷ আমাদের এ আমলগুলো করা উচিত ৷

    ফ্রেশ হওয়ার সময় ভালোভাবে চোখ পরিষ্কার করা ৷ যাতে চোখে কোন ময়লা জমে না থাকে ৷ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আগে পবিত্রতা অর্জন করার সময় ভালোভাবে চোখ পরিষ্কার করা ৷ কখনো যদি এমন অনুভব হয় যে,চোখে ময়লা জমে আছে;সাথে সাথেই পরিষ্কার করা ৷

    চোখে ময়লা জমে থাকলে দেখতে খারাপ লাগে ৷ চোখে ময়লা নিয়ে মানুষের সামনে উপবিষ্ট হলে সবাই আপনাকে ঘৃনার চোখে দেখবে ৷

    দারসে,বৈঠকে বা মাজলিসে থাকাকালে আপনার চোখে ময়লা থাকলে অন্যরা আপনার দিকে তাকিয়ে ঘৃনা পাবে ৷ আপনি উসতায বা মুয়াল্লিম হলে তা আরো খারাপ ৷ কারণ মুয়াল্লিম,দায়ি,শিক্ষক যখন কথা বলবে অন্যরা তাকিয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনবে ৷ কিন্তু চোখে যদি ময়লা জমে থাকে তখন অন্যদের আর মনোযোগ থাকবে না ৷ আপনার দিকে তাকাতেই মন চাইবে না ৷ আপনি আপনার গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন ৷ যা কাম্য নয় ৷

    এজন্য আমাদের উচিত,এ বিষয়ে খেয়াল রাখা ৷ আয়না বা মোবাইলের স্কিন দেখে নেয়া ৷ বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে আয়না দেখা ৷ তারপর জনসম্মুখে যাওয়া ৷ ভালোভাবে চোখ পরিষ্কার না করে আলতোভাবে পরিষ্কার করলে এ সমস্যাটা হয় ৷

    আশা করি এ বিষয়টি আমাদের বুঝে এসেছে ৷ আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকবো ৷ আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন ৷

    ইনশাআল্লাহ সামনে এরকম আরো অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো ৷

    অনেকে বলতে পারেন,মনে মনে ভাবতে পারেন যে, এতো ছোটখাট বিষয়ে নিয়ে পোস্ট করাটা কি মুনাসেব!
    আসলে এ ছোটখাট বিষয়গুলো অনেকের নলেজে থাকে না ৷ যদিও এগুলো মানুষের মৌলির গুনাবলীর শামিল ৷ স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই এ লেখা ৷
    নিশ্চয় কাফেরদের মুখোমুখি হওয়ার আগে মুমিনদের কাফেলাকে মুনাফিক ও ভ্রান্তদের থেকে পবিত্র করতে হবে। - শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান হাফিযাহুল্লাহ

  • #2
    নিশ্চয় কাফেরদের মুখোমুখি হওয়ার আগে মুমিনদের কাফেলাকে মুনাফিক ও ভ্রান্তদের থেকে পবিত্র করতে হবে। - শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান হাফিযাহুল্লাহ

    Comment

    Working...
    X