Announcement

Collapse
No announcement yet.

আত্মহননের নতুন রূপ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আত্মহননের নতুন রূপ

    'আত্মশুদ্ধি'
    মানে হলো রবের ইবাদাতে আমার নাসফের মন্দ চাহিদার বিরোধিতা করা, একনিষ্ট ভাবে আল্লাহর জন্যেই নিজের সব কিছু নির্ধারণ করে নেওয়া। তাই এপথের শুরুটাই হবে আমি দুনিয়ার মোহ ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে। আমার টার্গেট কেবল পার্থিব জীবনেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। জীবন যাপনের জন্যে আমি আসবাব গ্রহণ করবো, কিন্তু এসব কিছুর পেছনে টার্গেট থাকবে আমার রবের সন্তুষ্টি ও আখিরাতে সফলতা।

    তাই জীবনে প্রয়োজন মেটাতে আমি উপার্জন করবো ঠিক, কিন্তু হারামে হাত দেওয়া যাবে না। আমি রবের নিয়ামত ভোগে বিলাসী হলেও, তা নিয়ে অহংকার করতে আছে কঠিন মানা। আমি ধনে সুখী হলেও গরিবের হক তার কাছে পৌছানোটা রবে আমারই দায়িত্বে, আমি বেঁচে থাকবো সব অনর্থকতা থেকে, জবানে জারী থাকবে সদা ইল্লাল্লাহর যিকির।

    সব ঠিক আছে, আমি যদি এগুলা করতে চাই তাহলে উৎসাহের অভাব থাকবে না জানি।
    এভাবে রবের পথে তুমি চলতে চাও,
    এতো মহৎ কাজ- দেখবে মুশরিকরাও তুমায় বিপদে হাতছানি দিবে, শ্রদ্ধার আতিশয্যে বাসায় দাওয়াত খাওয়াবে, আর পূজুর আগে হয়তু দু'আও চাইবে।

    আর আমরা জানি, যে কাজে কষ্ট বেশি, তার প্রতিদানটাও বেশি হয়, আবার যে কাজে কষ্ট যত বেশি, মানুষ তা থেকে তত বেশি দূরে সরেথাকে।

    বাস্তবতা তাই যদি হয়,
    তাহলে একজন মানুষ, যে আত্মশুদ্ধির পথে সব ক্ষতির ঊর্ধ্ব যা- স্বয়ং তার জীবনটাই বিলিয়ে দেয়, তবে এটা কি সর্বোচ্চের আত্মশুদ্ধি হবে না?
    হয়ে থাকে যদি, তাহলে ক্বিতালের পথে যে আত্মশুদ্ধিটা হয়, আমার তো মনে হয় না, ভিন্ন এমন কোনো খানকা আছে, যেথায় রণাঙ্গনের প্রেক্টিকেলি অর্জন করা আত্মশুদ্ধির চেয়েও উচ্চমানের আত্মশুদ্ধির কেবল সবক দেওয়া হয়।

    সত্য যদি এমনই হয়,
    তাহলে এটা কেমন আত্মশুদ্ধি হবেরে ভাই, যেখানে জিহাদের কোনো অংশ নাই, জিহাদ যেথায় সহিংসবাদ, দীন কায়েমে রাসুল (সা.) এর শেখানো এপথ যেখানে ফিতনার কারণ বলে উল্লেখ পায়।

    উম্মাহর এ দুরদিনে যখন জিহাদ ফরজে 'আইন আমার উপর, তখন আমি আত্মশুদ্ধির এ অচেনা পথে চলে, জানিনা আবার না কোন আত্মহননের পথ ধরলাম, যার পরিণতি ঠেকবে হয়তো শত্রুর অস্ত্রের নিচে প্রাণভিক্ষা চাওয়া পর্যন্ত, (ইতিহাস তো এটাই বলে) নেক সুরতে এটা ইবলিসের ধোঁকা নয়তো আবার!!
    আল্লাহই ভালো জানেন।
    পথপ্রদর্শকের নিকট শঠিক পথ প্রার্থনা করি।

  • #2
    আল্লাহ তা'আলা বলেন , وَٱلَّذِینَ قُتِلُوا۟ فِی سَبِیلِ ٱللَّهِ فَلَن یُضِلَّ أَعۡمَـٰلَهُمۡ
    যারা আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হবে সুনিশ্চিত তাদের আমল বাতিল করা হবে না ।
    سَیَهۡدِیهِمۡ وَیُصۡلِحُ بَالَهُمۡ
    তাদেরকে হেদায়াত দান করবেন , তাদের অন্তর পরিশুদ্ধ করে দিবেন ।
    জালালাইন গ্রন্থকার বলেন , ﴿ويُصْلِح بالهمْ﴾ حالهمْ فِيهِما وما فِي الدُّنْيا لِمَن لَمْ يُقْتَل وأُدْرِجُوا فِي قُتِلُوا تَغْلِيبًا
    তাদের অন্তর পরিশুদ্ধ করে দিবেন অর্থাৎ তাদের হালত পরিশুদ্ধ করে দিবেন । আর দুনিয়াতে যারা শহিদ হবে না তাদেরকেও এই আয়াতের মধ্যে শামিল করা হয়েছে 'তাগ্লিবান' ।
    আয়াতের লম্বা তাফসির করা উদ্যেশ্য নয় , বরং মুফাসসিরিনের ক্বাওল এনে বুঝাতে চাচ্ছি , তারা বলেছেন , আল্লাহ তা'আলা কিতালের পথে যারা আছেন তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে দিবেন । তাদেরকে হেদায়ত দিবেন । তাদের শহিদদেরকেও , জিবিতদেরকেও ।
    সুতরাং , কিতালের পথে আত্মশুদ্ধির দায়িত্ব আল্লাহ তা'আলাই নিয়ে নেন । কিতালই আত্মশুদ্ধির পথ ।
    অন্য আয়াতের আল্লাহ তা'আলা বলেন , والذين جاهدوا فينا لنهدينهم سبلنا যারা আমার রাস্তায় জিহাদ করে তাদেরকে অবশ্যই আমি পথ দেখাব । এখানে পথ দেখানোর ক্ষেত্রে লুগায়ি জিহাদ ও পারিভাষিক জিহাদ ২ টাই শামিল ।
    অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন , رَضُوا۟ بِأَن یَكُونُوا۟ مَعَ ٱلۡخَوَالِفِ وَطُبِعَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ فَهُمۡ لَا یَفۡقَهُونَ তারা (কিতাল থেকে ) পিছনে থাকা লোকদের সাথে থেকে সন্তুষ্ট হয়েছে । ফলে তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে । তারা "বুঝে না / বুঝবে না ' । এই আয়াত থেকেও বুঝা যায় , যদি কিতাল থেকে পিছিয়ে থাকে কেউ তাহলে তার অন্তরে আল্লাহ এমন মোহর মেরে দেন যে , সে আর تفقه في الدين বা দ্বীনের 'ফিক্বহ' অর্জন করতে পারে না ।
    আরেক আয়াতে বলেন , رَضُوا۟ بِأَن یَكُونُوا۟ مَعَ ٱلۡخَوَالِفِ وَطَبَعَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ فَهُمۡ لَا یَعۡلَمُونَ যারা ( কিতাল থেকে ) পিছনে থাকা লোকদের সাথে থেকে সন্তুষ্ট তাদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দেন । ফলে তারা জানে না । অর্থাৎ 'ইলম' অর্জন করতে পারে না । যদিও বাহ্যিক দিক থেকে 'জানা' বা ইলম অর্জন করে তথাপি তা ইলমে নাফে হয় না ।
    উপরুক্ত আয়াতগুলো থেকে সহজেই বুঝে আসে , আত্মশুদ্ধির আসল রাস্তা কিতালেই । ফরজে আইন কিতাল বাদ দিয়ে কখনোই আত্মশুদ্ধি হতে পারে না । বরং তা আত্মহননই হবে ।

    Comment


    • #3
      Originally posted by আবু জাবের View Post
      উপরুক্ত আয়াতগুলো থেকে সহজেই বুঝে আসে , আত্মশুদ্ধির আসল রাস্তা কিতালেই । ফরজে আইন কিতাল বাদ দিয়ে কখনোই আত্মশুদ্ধি হতে পারে না । বরং তা আত্মহননই হবে ।
      জযাকাল্লাহ মুহতারাম,
      আপনার গুরুত্বপূর্ণণ এ মৌলিক আলোচনা সকলের জানা থাকা প্রয়োজন।

      Comment

      Working...
      X