Announcement

Collapse
No announcement yet.

"দ্বীনের জন্যই আমাদের জীবন।" আমাদের জীবনে এর বাস্তবতা কতটুকু? কিছু প্রশ্ন...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "দ্বীনের জন্যই আমাদের জীবন।" আমাদের জীবনে এর বাস্তবতা কতটুকু? কিছু প্রশ্ন...

    আমাদের সবার জানা কথা যে দ্বীনের জন্যই আমাদের সবার জীবন অর্থাৎ বেঁচে থাকা। এগুলি আমাদের বিশ্বাসেরও অংশ, যা বিশ্বাস করে আমরা মুমিন হয়েছি। এটা মুমিনের ঈমানের অংশ যে, সে এটা বিশ্বাস করবে- দুনিয়ায় অল্প সময়ে পরীক্ষা দিয়ে মূল গন্তব্য আখিরাতে চলে যেতে হবে। দুনিয়ার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আল্লাহ কিছু আমল, করণীয়, বর্জনীয় ইত্যাদি বলে দিয়েছেন। মাকসাদ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা, চিরস্থায়ী ঠিকানা আখিরাতে সুখে থাকা।

    তো দুনিয়ার ছোট কোন কাজ বা ঐচ্ছিক কোন কাজে যেমন সময় বা গুরুত্ব দেই আখিরাতের কাজে এর কতটুকু দিতে পারি??

    সারাজীবন দুনিয়ার জন্য কত সময় ফিকির, মেহনত, আলোচনা ইত্যাদি চলে? আর দ্বীনের জন্য কতটুকু চলে?

    তাহলে আমাদের বিশ্বাস কি শুধু তাত্ত্বিকতার মাঝেই? এভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?

    খাবার খাওয়াকে ভালবাসলেই কি পেট ভরে নাকি মেহনত করে পেটে দিতে হয়? তাহলে দ্বীনকে শুধু মনে মনে ভালবাসলে, মেহনত করে আমল না করলে কীভাবে মুক্তি আশা করা যায়? জিহাদ ও দ্বীন কায়েমের ফরজকে শুধু মুহাব্বাত ও সমর্থন করলেই আদায় হয়ে যাবে?

    সাহাবা রাঃ এর ঈমান-আমল এমন দুনিয়ামূখী ছিল? উনাদের জীবনে আখিরাতের আলোচনা, ফিকির, প্রতিনিয়ত বাস্তব আমল কতটুকু ছিল আর আমাদের কতটুকু? উনাদের পথ ছাড়া সফলতার ভিন্ন পথ আছে কি বা আমরা বিশ্বাস করি? যদি বলি নাই তাহলে তাদের পথে চলি না কেন?

    এ কেমন বিশ্বাস যা আমল করাতে পারে না? দুনিয়ার কেউ যদি সংবাদ দেয় যে, বাইরে বের হলে গ্রেফতার হতে হবে, তাহলে সংবাদদাতাকে বিশ্বাস করলে বাইরে যাওয়া হয় না ও বিপদ থেকে বাঁচা যায়। তাহলে আমরা রাসূলের সংবাদ কেমন বিশ্বাস করি? যে বিশ্বাস দ্বারা আমল করা যায় না?

    আসলে আমাদের সময়ের অনেক বড় এক ফিতনা হল, জড়তা ও শিথিলতা। দ্বীনের ক্ষেত্রে তাত্ত্বিকতার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকা, আর দুনিয়ার সব ক্ষেত্রে বাস্তববাদী হওয়া। তাই আসুক দ্বীন কায়েম সহ সকল দ্বীনী বিষয়ে আমরা সাহাবাদের মত আমলমুখী ও বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর উপর যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য সফলতার অন্য আর কোন রাস্তা খোলা নাই।
    فَلۡيُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشۡرُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا بِٱلۡأٓخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقۡتَلۡ أَوۡ يَغۡلِبۡ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا

    কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জিহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব।(সূরা নিসা, আয়াত ৭৪)

  • #2
    Alhamdulillah

    [প্রিয় মুসা ভাই,এক শব্দের কমেন্ট ফোরামে এলাও না করাই নিয়ম। সামনে থেকে খেয়াল রাখলে ভাল হয়। - মডারেটর]​​​​​​​
    Last edited by Rakibul Hassan; 1 week ago.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ , বারাকাল্লাহু ফীক ওয়া ফী কলামিক, খুব উপকারী একটি পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন ভাই ।
      আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের কাজকে প্রাধান্য দেয়ার তাওফীক দান করুন । আমীন

      Comment


      • #4
        মা শা আল্লাহ
        মা শা আল্লাহ
        মা শা আল্লাহ
        অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। জাযাকাল্লাহু খইরান প্রিয় ভাই! এমন গুরুত্বপূর্ণ রিমাইন্ডারসমূহ নিয়ে আরো আরো লিখার অনুরোধ।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই। নিয়মিত আপনার পোস্ট কামনা করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের কাজকে প্রাধান্য দেয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X