দ্বীনের ক্ষেত্রে অজুহাত এ এক মারাত্মক ব্যাধি
প্রিয় যুবক ভাই!
অজুহাত! বড্ড একটি বাজে অভ্যাস। উদাসীন লোকদের বেশ প্রিয় একটি স্বভাব। অজুহাত! অলস লোকদের সবচেয়ে পছন্দনীয় একটি শব্দ। দ্বীনি যে কোন বিধান সমাধান না করার ব্যাপারে প্রথম ভূমিকা তারই। দ্বীনি যে কোন বিষয়ে পিছিয়ে থাকার কলকাঠিও তারই।
তার অপকার নামক উপকারের কথা কোন মুমিনবান্দা ভুলতে পারে না। নাফরমান বান্দা তাকে ছাড়তে বেশ বেগ পেতে হয়। সাধারণ মুসলমানদের ব্যাপারে কোন কথায় নেই৷ তাদের রগরেশায় দাপুটে ঘুরে বেড়ায়।
উম্মাহকে ছোট বড় ফজিলত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে সে খুব পারদর্শী। পরাজয়ের গ্লানি টানতে সে খুব দুরদর্শী। চোখের অশ্রু ঝরাতে। শরীরের তাজা রক্ত গড়াতে। পেরেশানি বাড়িয়ে দিতে। লাঞ্চনার অলংকারে অলংকৃত করতে। মুক্তির বাণী থেকে ফিরিয়ে রাখতে সে খুব কৌশলী।
প্রিয় যুবক ভাই!
এত গুণে গুণান্বিত যে তাকে কি করে ভুলা যায়? এত রংয়ের মিলনমেলা যার মাঝে তার কাছ থেকে কি করে দূরে সরা যায়। অজুহাত থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম মানে মুনাফিকদের কাতার থেকে নামটা উঠে গেলো। মুমিনদের কাতারে গিয়ে শামিল হলো। নিজ হাতে নিজ ইচ্ছায় কিভাবে এ উপকারটা করতে পারি? হতেই পারে না।
অজুহাত শয়তানের শলাপরামর্শের প্রথম ভূমিকা। তাদের পাঠ্য সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। কত শয়তান তাতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। কত মানুষ তাদের এ কর্মশালার সদস্য হয়েছে তারও কোন হিসাবই নেই। তাই বলে কি তারা সফল? কক্ষনো না।
আল্লাহ বলেই দিয়েছেন-তুই শয়তান ভুল করাবি? করাতে থাক । আমি আল্লাহ চাওয়া মাত্র আদম সন্তানকে ক্ষমা করে দিবো। সুবহানাল্লাহ!
আরেকটু বলি- অজুহাত! ধূমপান বা মদ্যপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। যাদের ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস আছে তারা একদিন না একদিন এই বদ অভ্যাসটা ছেড়ে দিতে পারে। কিন্তু অজুহাত অভ্যাসটি যার মধ্যে একবার লেগে যায় তার থেকে তা সহজে দূর হয় না। তাদের মনে অজুহাতের শিকড় আঠার মত লেগে থাকে।
ছুটাতে চাইবেন! ছুটাতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। তবে যে কোন জিনিসের বা যে কোন অঙ্গের সাথে কিঞ্চিৎ হলেও তার অংশবিশেষ সাথে লেগে থাকে এটা হলো আঠার ফিতরী গুণ। তেমনিভাবে অজুহাত থেকে সরে আসতে চাইবেন! তাহলে সুখের বড় একটা অংশ তার কাছে জলাঞ্জলি দিয়ে আসতে হবে। সফলতা অর্জনের বড় একটা ভাগ তার কাছে ত্যাগ দিয়ে আসতে হবে।
জানা কথাই বলি- অজুহাত তাবুক যুদ্ধে বেশ কজন সাহাবীকে সাদিকীনদের কাতার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। ফলাফল স্বরুপ আল্লাহ তাদের সংশোধনের ব্যবস্থাও করেছেন। তাদেরকে প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের থেকে কথায় কাজে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। বিশাল দুনিয়া তাদের জন্য সংকীর্ণ করে দিয়েছিলেন। এখানেও আবার কেউ মিথ্যা অজুহাতে পার পেয়েছে। আবার কেউ সত্য উপস্থাপনে শাস্তি ভোগ করেছে।
একটু অজুহাত তাদের কি ভয়াবহ পরিণাম করে দিয়েছে? সামান্য অলসতা তাদের কি এক কঠিন ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে?
একটু ভাবুন তো? একটু ফিকির করুন তো? কিছুটা সময় নিয়ে। নির্জন একটা পরিবেশে গিয়ে।
চিন্তা পেরেশানিকে সামান্য সময় হাতে রেখে।
এটাই বাস্তবতা! দ্বীনের ক্ষেত্রে অজুহাত! পারলৌকিক সব নেয়ামত থেকে বঞ্চিত করে। বারাকাহ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। রহমত পাওয়ার নূর হারিয়ে ফেলে। সাহসিকতার গুণ চির বিদায় জানায়। দুর্বলতার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ায়। সফলতার রাস্তাগুলো এক এক করে গুলিয়ে ফেলে। তখনই মানবের জীবনে হতাশা আর নিরাশার বাসা বাঁধে। সাথে সাথে অলসতার ও উদাসীনতার। তখনই শরীয়ত তাকে মুনাফিক বলে আখ্যা দিয়ে থাকে।
প্রিয় যুবক ভাই!
আমরা কি পারিনা অজুহাত না দেখিয়ে দ্বীনের কাজগুলো করে যেতে? সব বাঁধা পেরিয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করে দিতে? শরীরের একটু রক্ত ঝরিয়ে মা-বোনদের জন্য খেলাফতের একটা রাজ্য কায়েম করে দিতে? মনের একটু প্রতিভা ছড়িয়ে যুবকদেরকে শাহাদাতের আশ্রয়তলে জমা করে দিতে?
কেন যুবক ভাই! অজুহাত তো আপনাকে কোনদিন না খাইয়ে রাখেনা। কোনদিন না পড়িয়ে রাখেনা। সুখ-শান্তিতে কোন ফাটল ধরায় না। ঘুরতে ফিরতে কোন সমস্যা করে না। তাহলে কেন বিধানের ক্ষেত্রে এত অজুহাত? এত গড়িমসি? এত পিছুটান?
আজ থেকেই আপনাকে পণ করতে হবে। মনে মনে প্রতিজ্ঞার রশিকে শক্ত হাতে থাবা দিয়ে ধরতে হবে। যেকোন মূল্যে আপনি আপনার কাজগুলো সম্পূর্ণরুপে আঞ্জাম দিবেন। দ্বীনের বিধানগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন। সেটা দ্বীনের হোক বা দুনিয়ার। নিজের হোক বা অপরের। পরিবারের হোক বা উম্মাহর। স্বার্থ থাকুক বা না থাকুক।
কারণ আজকে যদি আপনি কঠিন পরিশ্রম করে কাজগুলো শেষ না করেন। সঠিক সময়ে বিধানগুলো পালন না করেন তাহলে আপনি অনেক পিছিয়ে পড়বেন। শুধু পিছিয়ে না। চোখ মুখ ঝাপসা হয়ে যাবে। উত্তরণের কোন উপায় খোঁজে পাবেন না। সে মনোবলই আপনার ভিতর তৈরি হবে না। যার মাশুল বলেকয়ে দিয়ে না দিয়ে শেষ করা যাবে না।
সুতরাং আপনাকে আমাকে শক্ত মনে প্রতিহত করতে হবে।কিভাবে করবো? স্রষ্টার আনুগত্যের মাত্রা বাড়িয়ে। হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহকে জিন্দা করে। ডুবে যাওয়া বিধানকে উদ্ধার করে। ঘুমন্ত যুবকদের চোখে জিহাদের পানি ছিটিয়ে দিয়ে। নেতিয়ে পড়া বোনদের ইমানকে জাগ্রত করে। মোহরাংকিত যুবকদের কলবকে শানিত করে।
এ অজুহাত শেষ পর্যন্ত মৃত্যু সময় কালিমা না পড়ার অজুহাতও হতে পারে। তখন কি করে আপনি রবের সামনে দাঁড়াবেন? তাঁর হিসাব থেকে কোন উপায়ে পার পাবেন? আছে কোন রব-
দেখিয়ে দিবে মুক্তির পথ? যার অনুস্বরণে করুণ পরিণতি হবে সে শয়তানই বলবে- আমি তোমাদের থেকে মুক্ত। আমি আল্লাহকে ভয় করি।
তখন এ দুঃখের কথা কাকে শুনাবে? এ বেদনার দায়ভার কার উপর বর্তাবে? আফসোসের কোন অন্ত থাকবে না। আপ্লনার কোন শেষ থাকবে না।
দাঁতগুলো হয়ে যাবে কাটার মেশিন। আঙ্গুলগুলো হয়ে যাবে তার মূল পদার্থ।
জাক্কুম ফলের তিক্ত রস পান করতে পারবো তো? পঁচাগলা নাপাক রক্তে পিপাসা মিটাতে পারবে তো ? না- বরং নাড়িভুড়ি ছিঁড়ে বের হয়ে আসবে। সূর্যের প্রচন্ড তাপ সহ্য করতে পারবো তো? মাত্র মাথার এক হাত উপরে। কি যে এক করুণ অবস্থা হবে! মাথার মগজ থেকে নিয়ে পাঁ পর্যন্ত মোমের মত গলেগলে টপটপ করে মাটিতে পড়বে। আহ! কি অসহায়ত্ব না মনে হবে। কি পরিমাণ ধিক্কার না নিজেকে জানাতে হবে। পানাহ চাই প্রভু! পানাহ চাই!
প্রিয় যুবক ভাই!
জীবনে যারা বড় হয়েছে তাদের জীবন সূচিতে অজুহাত বলতে কোন শব্দ ছিলো না। যারা সফল হয়েছে তারা তো অজুহাত নামক শব্দকে ভুলেই বসেছিলো। আর যারা উম্মাহর লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে তারা তো তার মুখে মহর এটে দিয়েছে। তাই তারা সফলতার উচ্চ শীখড়েও পৌঁছেছে।
সুতরাং আমরা যদি শরীয়ার রাজপথের বীর সৈনিক হতে চাই তাহলে খোলাফায়ে রাশিদীনের পথকে গ্রহণ করতে হবে। আশারায়ে মোবাশ্বারার মতকে মাপকাঠি বানাতে হবে। আসহাবে সুফফার জীবন চলাকে জিয়নকাঠি মানতে হবে। তাতেই কায়েম ও কামিয়াবীর রাস্তা। তাতেই সফল ও সফলতার দরজা। মুক্তির অফুরন্ত খাজানা।
প্রিয় যুবক ভাই!
অজুহাত! বড্ড একটি বাজে অভ্যাস। উদাসীন লোকদের বেশ প্রিয় একটি স্বভাব। অজুহাত! অলস লোকদের সবচেয়ে পছন্দনীয় একটি শব্দ। দ্বীনি যে কোন বিধান সমাধান না করার ব্যাপারে প্রথম ভূমিকা তারই। দ্বীনি যে কোন বিষয়ে পিছিয়ে থাকার কলকাঠিও তারই।
তার অপকার নামক উপকারের কথা কোন মুমিনবান্দা ভুলতে পারে না। নাফরমান বান্দা তাকে ছাড়তে বেশ বেগ পেতে হয়। সাধারণ মুসলমানদের ব্যাপারে কোন কথায় নেই৷ তাদের রগরেশায় দাপুটে ঘুরে বেড়ায়।
উম্মাহকে ছোট বড় ফজিলত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে সে খুব পারদর্শী। পরাজয়ের গ্লানি টানতে সে খুব দুরদর্শী। চোখের অশ্রু ঝরাতে। শরীরের তাজা রক্ত গড়াতে। পেরেশানি বাড়িয়ে দিতে। লাঞ্চনার অলংকারে অলংকৃত করতে। মুক্তির বাণী থেকে ফিরিয়ে রাখতে সে খুব কৌশলী।
প্রিয় যুবক ভাই!
এত গুণে গুণান্বিত যে তাকে কি করে ভুলা যায়? এত রংয়ের মিলনমেলা যার মাঝে তার কাছ থেকে কি করে দূরে সরা যায়। অজুহাত থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম মানে মুনাফিকদের কাতার থেকে নামটা উঠে গেলো। মুমিনদের কাতারে গিয়ে শামিল হলো। নিজ হাতে নিজ ইচ্ছায় কিভাবে এ উপকারটা করতে পারি? হতেই পারে না।
অজুহাত শয়তানের শলাপরামর্শের প্রথম ভূমিকা। তাদের পাঠ্য সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। কত শয়তান তাতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। কত মানুষ তাদের এ কর্মশালার সদস্য হয়েছে তারও কোন হিসাবই নেই। তাই বলে কি তারা সফল? কক্ষনো না।
আল্লাহ বলেই দিয়েছেন-তুই শয়তান ভুল করাবি? করাতে থাক । আমি আল্লাহ চাওয়া মাত্র আদম সন্তানকে ক্ষমা করে দিবো। সুবহানাল্লাহ!
আরেকটু বলি- অজুহাত! ধূমপান বা মদ্যপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। যাদের ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস আছে তারা একদিন না একদিন এই বদ অভ্যাসটা ছেড়ে দিতে পারে। কিন্তু অজুহাত অভ্যাসটি যার মধ্যে একবার লেগে যায় তার থেকে তা সহজে দূর হয় না। তাদের মনে অজুহাতের শিকড় আঠার মত লেগে থাকে।
ছুটাতে চাইবেন! ছুটাতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। তবে যে কোন জিনিসের বা যে কোন অঙ্গের সাথে কিঞ্চিৎ হলেও তার অংশবিশেষ সাথে লেগে থাকে এটা হলো আঠার ফিতরী গুণ। তেমনিভাবে অজুহাত থেকে সরে আসতে চাইবেন! তাহলে সুখের বড় একটা অংশ তার কাছে জলাঞ্জলি দিয়ে আসতে হবে। সফলতা অর্জনের বড় একটা ভাগ তার কাছে ত্যাগ দিয়ে আসতে হবে।
জানা কথাই বলি- অজুহাত তাবুক যুদ্ধে বেশ কজন সাহাবীকে সাদিকীনদের কাতার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। ফলাফল স্বরুপ আল্লাহ তাদের সংশোধনের ব্যবস্থাও করেছেন। তাদেরকে প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের থেকে কথায় কাজে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। বিশাল দুনিয়া তাদের জন্য সংকীর্ণ করে দিয়েছিলেন। এখানেও আবার কেউ মিথ্যা অজুহাতে পার পেয়েছে। আবার কেউ সত্য উপস্থাপনে শাস্তি ভোগ করেছে।
একটু অজুহাত তাদের কি ভয়াবহ পরিণাম করে দিয়েছে? সামান্য অলসতা তাদের কি এক কঠিন ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে?
একটু ভাবুন তো? একটু ফিকির করুন তো? কিছুটা সময় নিয়ে। নির্জন একটা পরিবেশে গিয়ে।
চিন্তা পেরেশানিকে সামান্য সময় হাতে রেখে।
এটাই বাস্তবতা! দ্বীনের ক্ষেত্রে অজুহাত! পারলৌকিক সব নেয়ামত থেকে বঞ্চিত করে। বারাকাহ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। রহমত পাওয়ার নূর হারিয়ে ফেলে। সাহসিকতার গুণ চির বিদায় জানায়। দুর্বলতার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ায়। সফলতার রাস্তাগুলো এক এক করে গুলিয়ে ফেলে। তখনই মানবের জীবনে হতাশা আর নিরাশার বাসা বাঁধে। সাথে সাথে অলসতার ও উদাসীনতার। তখনই শরীয়ত তাকে মুনাফিক বলে আখ্যা দিয়ে থাকে।
প্রিয় যুবক ভাই!
আমরা কি পারিনা অজুহাত না দেখিয়ে দ্বীনের কাজগুলো করে যেতে? সব বাঁধা পেরিয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করে দিতে? শরীরের একটু রক্ত ঝরিয়ে মা-বোনদের জন্য খেলাফতের একটা রাজ্য কায়েম করে দিতে? মনের একটু প্রতিভা ছড়িয়ে যুবকদেরকে শাহাদাতের আশ্রয়তলে জমা করে দিতে?
কেন যুবক ভাই! অজুহাত তো আপনাকে কোনদিন না খাইয়ে রাখেনা। কোনদিন না পড়িয়ে রাখেনা। সুখ-শান্তিতে কোন ফাটল ধরায় না। ঘুরতে ফিরতে কোন সমস্যা করে না। তাহলে কেন বিধানের ক্ষেত্রে এত অজুহাত? এত গড়িমসি? এত পিছুটান?
আজ থেকেই আপনাকে পণ করতে হবে। মনে মনে প্রতিজ্ঞার রশিকে শক্ত হাতে থাবা দিয়ে ধরতে হবে। যেকোন মূল্যে আপনি আপনার কাজগুলো সম্পূর্ণরুপে আঞ্জাম দিবেন। দ্বীনের বিধানগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন। সেটা দ্বীনের হোক বা দুনিয়ার। নিজের হোক বা অপরের। পরিবারের হোক বা উম্মাহর। স্বার্থ থাকুক বা না থাকুক।
কারণ আজকে যদি আপনি কঠিন পরিশ্রম করে কাজগুলো শেষ না করেন। সঠিক সময়ে বিধানগুলো পালন না করেন তাহলে আপনি অনেক পিছিয়ে পড়বেন। শুধু পিছিয়ে না। চোখ মুখ ঝাপসা হয়ে যাবে। উত্তরণের কোন উপায় খোঁজে পাবেন না। সে মনোবলই আপনার ভিতর তৈরি হবে না। যার মাশুল বলেকয়ে দিয়ে না দিয়ে শেষ করা যাবে না।
সুতরাং আপনাকে আমাকে শক্ত মনে প্রতিহত করতে হবে।কিভাবে করবো? স্রষ্টার আনুগত্যের মাত্রা বাড়িয়ে। হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহকে জিন্দা করে। ডুবে যাওয়া বিধানকে উদ্ধার করে। ঘুমন্ত যুবকদের চোখে জিহাদের পানি ছিটিয়ে দিয়ে। নেতিয়ে পড়া বোনদের ইমানকে জাগ্রত করে। মোহরাংকিত যুবকদের কলবকে শানিত করে।
এ অজুহাত শেষ পর্যন্ত মৃত্যু সময় কালিমা না পড়ার অজুহাতও হতে পারে। তখন কি করে আপনি রবের সামনে দাঁড়াবেন? তাঁর হিসাব থেকে কোন উপায়ে পার পাবেন? আছে কোন রব-
দেখিয়ে দিবে মুক্তির পথ? যার অনুস্বরণে করুণ পরিণতি হবে সে শয়তানই বলবে- আমি তোমাদের থেকে মুক্ত। আমি আল্লাহকে ভয় করি।
তখন এ দুঃখের কথা কাকে শুনাবে? এ বেদনার দায়ভার কার উপর বর্তাবে? আফসোসের কোন অন্ত থাকবে না। আপ্লনার কোন শেষ থাকবে না।
দাঁতগুলো হয়ে যাবে কাটার মেশিন। আঙ্গুলগুলো হয়ে যাবে তার মূল পদার্থ।
জাক্কুম ফলের তিক্ত রস পান করতে পারবো তো? পঁচাগলা নাপাক রক্তে পিপাসা মিটাতে পারবে তো ? না- বরং নাড়িভুড়ি ছিঁড়ে বের হয়ে আসবে। সূর্যের প্রচন্ড তাপ সহ্য করতে পারবো তো? মাত্র মাথার এক হাত উপরে। কি যে এক করুণ অবস্থা হবে! মাথার মগজ থেকে নিয়ে পাঁ পর্যন্ত মোমের মত গলেগলে টপটপ করে মাটিতে পড়বে। আহ! কি অসহায়ত্ব না মনে হবে। কি পরিমাণ ধিক্কার না নিজেকে জানাতে হবে। পানাহ চাই প্রভু! পানাহ চাই!
প্রিয় যুবক ভাই!
জীবনে যারা বড় হয়েছে তাদের জীবন সূচিতে অজুহাত বলতে কোন শব্দ ছিলো না। যারা সফল হয়েছে তারা তো অজুহাত নামক শব্দকে ভুলেই বসেছিলো। আর যারা উম্মাহর লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে তারা তো তার মুখে মহর এটে দিয়েছে। তাই তারা সফলতার উচ্চ শীখড়েও পৌঁছেছে।
সুতরাং আমরা যদি শরীয়ার রাজপথের বীর সৈনিক হতে চাই তাহলে খোলাফায়ে রাশিদীনের পথকে গ্রহণ করতে হবে। আশারায়ে মোবাশ্বারার মতকে মাপকাঠি বানাতে হবে। আসহাবে সুফফার জীবন চলাকে জিয়নকাঠি মানতে হবে। তাতেই কায়েম ও কামিয়াবীর রাস্তা। তাতেই সফল ও সফলতার দরজা। মুক্তির অফুরন্ত খাজানা।
Comment