Announcement

Collapse
No announcement yet.

কখনো ভেঙ্গে পড়বেন না! ধৈর্য ধরুন!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কখনো ভেঙ্গে পড়বেন না! ধৈর্য ধরুন!!

    কখনো ভেঙ্গে পড়বেন না! ধৈর্য ধরুন!!

    ১) যখন রক্ত সম্পর্কীয় কেউ আপনার সাথে প্রতারণা করবে, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইউসুফ (আঃ) আপন ভাইদের দ্বারা কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন।
    ২) যখন পিতামাতা আপনার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াবে, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নিজ পিতার দ্বারাই আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন।
    ৩) যখন ঘোর বিপদে পতিত হয়ে বের হয়ে আসার আর কোন উপয়ান্তর খুঁজে পান না বা আশার শেষ আলোটুকুও দেখতে পান না, তখনও ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইউনুস (আঃ ) মাছের পেটের অন্ধকার প্রকোষ্ঠ থেকেও উদ্ধার হয়েছিলেন।
    ৪) যখন আপনার বিরুদ্ধে অপবাদ আরোপ করা হবে, আর গুজবে দুনিয়া ছড়িয়ে যাবে, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না, এসবে কান দিবেন না। মনে রাখবেন, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর বিরুদ্ধেও অপবাদ আরোপ করা হয়েছিল।
    ৫) যখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন, ব্যথায় কাঁতরাতে থাকবেন, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত আইয়ুব (আঃ) আপনার চেয়েও হাজার গুণ বেশী অসুস্থ ছিলেন।
    ৬) যখন আপনি নির্জন/একাকীত্বে ভোগেন, তখনও ভেঙ্গে পড়বেন না। স্মরণ করুন, হযরত আদম (আঃ) কে, যাকে প্রথমে একাকী সঙ্গীবিহীন সৃষ্টি করা হয়েছিল।
    ৭) যখন কোন যুক্তি দিয়েই আপনি কোন একটি অবস্থার পেছনের কারণ খুঁজে পাবেন না, তখন কোন প্রশ্ন ব্যতীতই স্মরণ করুন হযরত নুহ (আঃ) এর কথা। যিনি অসময়ে কিস্তি/নৌকা তৈরি করেছিলেন।
    ৮) যখন আপনি পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সর্বোপরি সারা দুনিয়ার দৃষ্টিতে কৌতুকের পাত্রে পরিণত হবেন, তখ ভেঙ্গে পড়বেন না। স্মরণ করুন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা। যিনি তাঁর আপনজনের হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।
    আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রেরিত সকল পয়গম্বরগণকেই পরীক্ষায় ফেলেছিলেন এবং তাঁদেরকে উদ্ধার করেছিলেন। এজন্য যে, যাতে করে দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে পরবর্তী উন্মতেরা ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে।
    কাজেই ধৈর্য ধরুন! ধৈর্য ধরুন! এবং ধৈর্য ধরুন! আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য ধারণকারীদের সাথেই আছেন’।


    সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    • আলহামদু লিল্লাহ, হৃদয়ছোঁয়া লেখা। খুব ভাল লাগল। জাযাকাল্লাহ খইরন কাসিরন সম্মানিত ভাই। আল্লাহ আপনাকে তাঁর দ্বীনের খেদমতের জন্য কবুল করুন ও জান্নাতের সবুজ পাখি হিসাবে কবুল করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।

    সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

    Comment


    • #3
      সত্যি আমি ভাল মানুষদের সন্ধান এই ফোরামের মধ্যে পেলাম।

      Comment


      • #4
        وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ ﴿الأنفال: ٤٦
        “আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে।” -সূরা আনফাল (৮: ৪৬)


        আজ সর্বত্রই জুলুমের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানরা খুন, গুম ও কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী জীবন-যাপন করছে। অন্যদিকে তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা উদ্বিগ্ন ও অস্থিরতায় দিনাতিপাত করছে। মা-বোনদের অশ্রুসজল চোখের দিকে তাকানো যায় না! যন্ত্রনা আর দহনে বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে... এতকিছুর পরেও আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি সুধারণ রাখতে হবে এবং ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
        ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে তাওফীক দিন! যেন আমরা উম্মাহর মা-বোনদের চোখের জল মুছে দিতে পারি। তাদের আহবানে সাড়া দিতে পারি ও জালিমকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারি।
        আর তাদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওফীক দিন! ইনশা আল্লাহ, অচিরেই এই জুলুমের রাজত্ব বিলীন হয়ে যাবে এবং ইসলামী খেলাফাহব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে ও উম্মাহর বিজয় হবে।
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          সকল ভাইদেরকে ধন্যবাদ। জাযাকুমুল্লাহ
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            মুহতারাম ভাই, চমৎকার লেখা। আল্লাহর কাছে কামনা করি- মুহতারাম ভাইয়ের ইলমী-আমলী উন্নতি দান করুন। আমীন

            Comment


            • #7
              দ্বীনদারের বিপদ বেশি
              *
              عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أبِيهِ، قالَ: قُلْتُ: "يا رَسُولَ اللَّهِ، أيُّ النّاسِ أشَدُّ بَلاءً؟ قالَ: الأنْبِياءُ ثُمَّ الأمْثَلُ فالأمْثَلُ، فَيُبْتَلى الرَّجُلُ عَلى حَسَبِ دِينِهِ، فَإنْ كانَ دِينُهُ صُلْبًا اشْتَدَّ بَلاؤُهُ، وإنْ كانَ فِي دِينِهِ رِقَّةٌ ابْتُلِيَ عَلى حَسَبِ دِينِهِ، فَما يَبْرَحُ البَلاءُ بِالعَبْدِ حَتّى يَتْرُكَهُ يَمْشِي عَلى الأرْضِ ما عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ". (سنن الترمذي، ابواب الزهد، باب ما جاء في الصبر علي البلاء)
              *
              "মুসআব ইবনে সাদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোন মানুষ সবচে বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়? তিনি বলেন, "নবীগণ, এরপর তাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যক্তিগণ, এরপর তাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যক্তিগণ। কোনো ব্যক্তিকে তার দ্বীনদারি অনুপাতে পরীক্ষা করা হয়। দ্বীনদারিতে মজবুত হলে পরীক্ষাও কঠিন হয়। দ্বীনদারিতে ঢিলেঢালা হলে পরীক্ষাও তেমনই (হালকা) হয়। এভাবেই বান্দার ওপর বিপদাপদ লেগেই থাকে, অবশেষে তা তাকে এমনভাবে (গুনাহমুক্ত করে) ছাড়ে যে, সে জমিনে চলাফেরা করে, তার কোনো গুনাহই (অবশিষ্ট) থাকে না।" - জামে তিরমিযী : ২৩৯৮, হাদিসের মানঃ সহীহ
              মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
              লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

              Comment


              • #8
                জাজাকাল্লাহ, বারাকাল্লাহ,

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ঘুমন্ত জাতি View Post
                  জাজাকাল্লাহ, বারাকাল্লাহ,
                  আমীন, আমীন, ছুম্মা আমীন। ওয়া ইয়্যাকা
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X