১) যখন রক্ত সম্পর্কীয় কেউ আপনার সাথে প্রতারণা করবে, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইউসুফ (আঃ) আপন ভাইদের দ্বারা কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন।
২) যখন পিতামাতা আপনার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াবে, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নিজ পিতার দ্বারাই আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন।
৩) যখন ঘোর বিপদে পতিত হয়ে বের হয়ে আসার আর কোন উপয়ান্তর খুঁজে পান না বা আশার শেষ আলোটুকুও দেখতে পান না, তখনও ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইউনুস (আঃ ) মাছের পেটের অন্ধকার প্রকোষ্ঠ থেকেও উদ্ধার হয়েছিলেন।
৪) যখন আপনার বিরুদ্ধে অপবাদ আরোপ করা হবে, আর গুজবে দুনিয়া ছড়িয়ে যাবে, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না, এসবে কান দিবেন না। মনে রাখবেন, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর বিরুদ্ধেও অপবাদ আরোপ করা হয়েছিল।
৫) যখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন, ব্যথায় কাঁতরাতে থাকবেন, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত আইয়ুব (আঃ) আপনার চেয়েও হাজার গুণ বেশী অসুস্থ ছিলেন।
৬) যখন আপনি নির্জন/একাকীত্বে ভোগেন, তখনও ভেঙ্গে পড়বেন না। স্মরণ করুন, হযরত আদম (আঃ) কে, যাকে প্রথমে একাকী সঙ্গীবিহীন সৃষ্টি করা হয়েছিল।
৭) যখন কোন যুক্তি দিয়েই আপনি কোন একটি অবস্থার পেছনের কারণ খুঁজে পাবেন না, তখন কোন প্রশ্ন ব্যতীতই স্মরণ করুন হযরত নুহ (আঃ) এর কথা। যিনি অসময়ে কিস্তি/নৌকা তৈরি করেছিলেন।
৮) যখন আপনি পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সর্বোপরি সারা দুনিয়ার দৃষ্টিতে কৌতুকের পাত্রে পরিণত হবেন, তখ ভেঙ্গে পড়বেন না। স্মরণ করুন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা। যিনি তাঁর আপনজনের হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রেরিত সকল পয়গম্বরগণকেই পরীক্ষায় ফেলেছিলেন এবং তাঁদেরকে উদ্ধার করেছিলেন। এজন্য যে, যাতে করে দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে পরবর্তী উন্মতেরা ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে।
কাজেই ধৈর্য ধরুন! ধৈর্য ধরুন! এবং ধৈর্য ধরুন! আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য ধারণকারীদের সাথেই আছেন’।
সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত
Comment