Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুহাতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে দুটি বিষয়ে ফতোয়া জানতে চাচ্ছি।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুহাতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে দুটি বিষয়ে ফতোয়া জানতে চাচ্ছি।

    মুহাতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে তিনটি বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।সংক্ষিপ্ত জবাব দিলেও হবে।
    ভাই,নিচে যে প্রশ্নগুলো করেছি সেগুলোর প্রায় সবগুলোর ব্যাপারেই কিছু কিছু পড়াশোনা ও চিন্তাফিকির করা হয়েছে।এবং এগুলোর বিষয়ে কিছু দলীল সামনে এসেছে।কিন্তু সিদ্ধান্ত মূলক ফতোয়া দেওয়ার সাহস হচ্ছেনা।এ জন্য আপনি যদি সংক্ষিপ্ত ভাবে হলেও জায়েজ বা নাজায়েজ এতটুকু ফতোয়া বলে দেন তাহলে আমরা সম্পূরক পোস্টে দলীলের তাখরিজ করে দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।জানি আপনি নিশ্চয় ব্যাস্ত আছেন,কিন্তু তারপরও যদি একটু কষ্ট করে প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তরও দেন অনেক ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ। আর যদি বিস্তারিত লেখার সময় পান তাহলে তো আমাদের জন্য আরও উত্তম হবে ইনশাআল্লাহ।
    আসলে আমরা সবাই আপনাকে উদ্দেশ্য করেই প্রশ্ন করি-এমনিতেই হয়তো আপনার অনেক ব্যাস্ততা থাকে, এর মধ্যে আমরা আবার তাড়াহুড়া করি..অথচ আমাদের উচিত ছিল অনুশীলন ও মুতালাআর মাধ্যমে মাসআলার উত্তর খুজে বের করা এবং পৌছে দেওয়া।আল্লাহ আমাদের অক্ষমতাগুলো ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকেও যোগ্য করে দিন।আমীন।

    ১.ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কি এলাকায় পাঠাগার খোলার হুকুম কি?

    ২.কোনো দীনী কাজের ক্ষেত্রে কি মেম্বার চেয়ারম্যানদের সহযোগিতা গ্রহণ করা জায়েজ আছে?

    ৩.অনেক ভাই প্রশ্ন করে থাকেন- যাকাতের সম্পদের ক্ষেত্রে তো তামলিক জরুরী।এখন,যাকাতের অর্থে মুজাহিদদের জন্য যদি অস্ত্র-গাড়ি বা প্রয়োজনীয় সামগ্রি কেনা যাবে কি না?যদি সেগুলো নির্দিষ্ট মুজাহিদের মালিকানায় না দিয়ে তানজিমের সমষ্টিক মালিকানায় রাখা হয়?
    উল্লেখ্য- আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এবং সকল হকপন্হী জিহাদী তানজিমের ব্যাপারে আলহামদুলিল্লাহ এই আস্হা ও সুধারণা পোষণ ও প্রচার করি যে এখানে প্রতিটি পয়সা আমানতের সাথে যথাযথ ভাবে সর্বোত্তম খাতে ব্যায় হয়।কিন্তু শুধু মাসআলা জানার জন্যই প্রশ্নটা করা।কারণ এ প্রশ্ন অনেক ভাই করে থাকেন।যদি এটা জায়েজ না হয়ে থাকে তাহলে তো সরাসরি বলে দিতে পারব এটা নাজায়েজ এবং তানজিম কখনো নাজায়েজ পন্হায় কিছু করেনা।

    মুহতারাম ভাই,জিজ্ঞাসাগুলোর জবাব পেলে খুবই উপকার হবে।আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।

  • #2
    ছোট পোস্ট করার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত।তবে যেহেতু আপাতত এই দুটো প্রশ্ন জানার জন্যই পোস্টটা,তাই এর বেশি বড় করা সম্ভব ছিলনা।
    এ জন্য আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করছি।তবে আগামীতে উত্তরের ভিত্তিতে পোস্টটাতে আরো কিছু আলোচনা যুক্ত করা গেলে এডিট করে বড় করে দিব ইনশাআল্লাহ।

    Comment


    • #3
      আমরাও অপেক্ষায় আছি...'ইলম ও জিহাদ ভাই...
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          প্রিয় ভাই একটু ধৈর্য ধরুন।

          Comment


          • #6
            দ্বীনি কাজে সাহায্য নেওয়া নাজায়েজ হওয়ার কারণ দেখছি না।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              ভাই,সংক্ষিপ্ত হলেও যদি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন তাহলেও চলবে।

              Comment


              • #8
                Originally posted by ubada ibnus samit View Post
                মুহাতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কাছে তিনটি বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।সংক্ষিপ্ত জবাব দিলেও হবে।
                ....
                মুহতারাম ভাই,জিজ্ঞাসাগুলোর জবাব পেলে খুবই উপকার হবে।আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।
                মুহতারাম ভাই, প্রথম দু’টি প্রশ্নের উত্তর আপনি ইস্তিফতা করে সরাসরি মুজাহিদ উলামায়ে কেরাম থেকে জেনে নিন।

                আর যাকাতের ব্যাপারে কথা হল, হানাফি মাযহাব মতে যাকাত আদায়ের জন্য তামলিক জরুরী। তামলিক ছাড়া যাকাত আদায় হয় না। তাই গরীব কোন মুজাহিদকে মালিক বানিয়ে দেয়া ছাড়া যাকাত আদায হবে না। যাকাতের টাকা দিয়ে সরাসরি যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা যাবে না। অন্যান্য মাযহাবে এ ব্যাপারে সুযোগ থাকলেও হানাফি মাযহাবে সুযোগ নেই। তাই আমরা যা করতে পারি, আমাদের যাকাতের টাকা আমরা তানজীমে দিয়ে দেব। তানজীম সেটা যথাযথ খাতে খরচ করবে। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post


                  মুহতারাম ভাই, প্রথম দু’টি প্রশ্নের উত্তর আপনি ইস্তিফতা করে সরাসরি মুজাহিদ উলামায়ে কেরাম থেকে জেনে নিন।


                  ভাই! মুজাহিদ আলেম তো আপনিই। আর মুজাহিদ আলেমদের নিকট সরাসরি ইস্তেফতা করা তো সহজ নয়। তাহলে কি মুজাহিদ ছাড়া স্বাভাবিক আলেমদের থেকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে নেওয়ার কথা বলা আপনার উদ্দেশ্য ছিল?

                  আসলে বর্তমান সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও সরকারী আলেম তৈরী করার একটি মাধ্যম বানিয়েছে।
                  তো এদের থেকে সাহায্য নেওয়া, চ্যায়ারম্যান, মেম্বার থেকে সাহায্য নেওয়া এবং এ ধরণের অন্য কারো থেকে সাহায্য নেওয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি বা ভিত্তি হল: মুসলমানদের আধিপত্য ও একচ্ছত্র ক্ষমতা অক্ষুণ্য থাকা এবং কাফেরদের কোন ধরণের প্রভাব তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকা। আপনি মুফতি শফী সাহেবের জাওয়াহিরুল ফিকহ কিতাবে এ ধরণের একটি আলোচনা পাবেন। হিন্দুদের সাথে মিলে অখণ্ড ভারতের আন্দোলন করার ব্যাপারে আলোচনাটি আছে।

                  তো এটি আসলে হালাল-হারামের ক্ষেত্রে অকাট্য নয়। সংশ্লিষ্ট লোকদের ইজতিহাদের বিষয়। তবে এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সুরত এমন আছে, যেগুলো হারাম হওয়া, এমনকি ক্ষেত্র বিশেষ কুফর হওয়া সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ়।

                  তো আপনার আলোচ্য সূরতে চ্যায়ারম্যান থেকে সাহায্য গ্রহণ না করা উচিত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও। এটা গ্রহণ করা মন্দ কাজ হবে। আর মেম্বার যদি বর্তমান সামাজিকভাবে ভালমানুষ, ধার্মিক এবং ইসলামের প্রতি অনুগত ও বিনয়ী হয়, (মেম্বার তো একেবারে সাধারণ লোকও হয়। তো এদের মধ্যে দু’একজনকে এরকমও দেখা যায়) সেক্ষেত্রে তার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অন্যথায় তার থেকেও সাহায্য গ্রহণ না করা উচিত।
                  [প্রশ্নকারী ভাই! কিছু মনে করবেন না, ওপেন ফোরামে দিযেছেন বিধায় আমি আমার মতামতটি ব্যক্ত করলাম।)

                  সাধারণ ইফতা বিভাগগুলোর নিকট প্রশ্ন করলে প্রায় সব জায়াগায়ই জায়েয বলে উত্তর পাবেন মনে হয়। তবে তাদের তো গায়রত নেই। ফাসিক/ফুজ্জার, কুফ্ফার, এমনকি ইসলামের নিকৃষ্ট দুশমনদেরকেও সালাম দেয়, প্রশংসা করে, তাদের সম্মানে দাড়িয়ে যায়, সবার মধ্যে সম্মানিত স্থানে বসায়, তাদের সামনে নিজেদেরকে বিনয়ী হিসাবে প্রদর্শন করে, তাদের তোষামোদ করে।

                  Comment

                  Working...
                  X