Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুআমালাত বিষয়ে একটি প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুআমালাত বিষয়ে একটি প্রশ্ন

    আসসালামু আলাইকুম
    মুহতারাম!
    ধরুন! আব্দুল্লাহর একটা শো-রুম বা কোম্পানি আছে, আমি তাকে মাঝে মাঝে গ্রাহক এনে দেই, আমি গ্রাহক এনে দিলে সে ঐ মূল্যই রাখে যেটা গ্রাহক একা আসলে রাখত,কিন্তু এরপরও আমি গ্রাহক এনে দিলে সে ঐ গ্রাহকের লভ্যাংশ থেকে আমাকে কিছু দেয়,এখন আমার জন্য কি এই টাকাটা হালাল হবে???
    সম্পূরক প্রশ্ন,
    গ্রাহক সংগ্রহ করে দেওয়া কি এমন আমল, যার বিনিময়ে পারিশ্রমিক আসতে পারে??
    আর, আমার জানা মতে এমএলএম নাজায়েজ হওয়ার একটা কারণ হলো, তাতে সদস্য সংগ্রহ করে দিলে, আলাদা ভাতা দেয়।
    প্রশ্ন হলো,
    গ্রাহক সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহ করে দেওয়ার মাঝে কি কোনো পার্থক্য আছে??
    থাকলে সেটা কী??

  • #2
    আলেম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

    Comment


    • #3
      উত্তরের অপেক্ষায় আছি

      Comment


      • #4
        আশা করি অভিজ্ঞ ভাইয়েরা আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন, তাই ভাই সবরের সাথে অপেক্ষা করুন...ইনশা আল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          জি ভাই! অপেক্ষা করছি

          Comment


          • #6
            জি ভাই! অপেক্ষা করছি

            Comment


            • #7
              আসসালামু আলাইকুম
              মুহতারাম!
              ধরুন! আব্দুল্লাহর একটা শো-রুম বা কোম্পানি আছে, আমি তাকে মাঝে মাঝে গ্রাহক এনে দেই, আমি গ্রাহক এনে দিলে সে ঐ মূল্যই রাখে যেটা গ্রাহক একা আসলে রাখত,কিন্তু এরপরও আমি গ্রাহক এনে দিলে সে ঐ গ্রাহকের লভ্যাংশ থেকে আমাকে কিছু দেয়,এখন আমার জন্য কি এই টাকাটা হালাল হবে???
              জি ভাই, যদি আপনি উল্লেখযোগ্য কোন কাজের মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করে দেন, -যেমন, আপনি নিজে কষ্ট করে গ্রাহককে তার শো-রুমে নিয়ে গেলেন, - তবে আপনার জন্য সেই কমিশন গ্রহণ করা জায়েয হবে।

              লাজনাতুদ দায়েমার এক ফতোয়ায় এসেছে,
              السؤال الثالث من الفتوى رقم (19912):
              س3: أخذت زبونًا إلى أحد المصانع أو المحلات لشراء بضاعة، فأعطاني صاحب المصنع أو المحل عمولة على الزبون. هل هذا المال حلال (العمولة)؟ وإذا زاد صاحب المصنع مبلغًا معينًا على كل قطعة يأخذها الزبون، وهذه الزيادة آخذها أنا مقابل شراء الزبون لهذه البضاعة، فهل هذا جائز؟ إذا كان غير جائز فما هي العمولة الجائزة؟

              ج3: إذا كان المصنع أو التاجر يعطيك جزءًا من المال على كل سلعة تباع عن طريقك؛ تشجيعًا لك لجهودك في البحث عن الزبائن، وهذا المال لا يزاد في سعر السلعة، وليس في ذلك إضرار بالآخرين ممن يبيع هذه السلعة، حيث إن هذا المصنع أو التاجر يبيعها بسعر كما يبيعها الآخرون - فهذا جائز ولا محذور فيه.
              أما إن كان هذا المال الذي تأخذه من صاحب المصنع أو المحل، يزاد على المشتري في ثمن السلعة، فلا يجوز لك أخذه، ولا يجوز للبائع فعل ذلك؛ لأن في هذا إضرار بالمشتري بزيادة السعر عليه.
              وبالله التوفيق وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم.
              اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء

              অর্থাৎ যদি গ্রাহক সংগ্রক করে দেয়ার জন্য আপনি যে কষ্ট করেছেন, তার পারিশ্রমিক স্বরুপ আপনাকে লভ্যাংশের কিছু অংশ দেয় এবং এতে গ্রাহকের কোন ক্ষতি না হয়, সে বাজারদরেই পণ্য পায়, তবে তা জায়েজ।

              সম্পূরক প্রশ্ন,
              গ্রাহক সংগ্রহ করে দেওয়া কি এমন আমল, যার বিনিময়ে পারিশ্রমিক আসতে পারে??
              যদি গ্রাহক সংগ্রহ করে দেয়ার জন্য আপনাকে উল্লেখযোগ্য কোন কাজ করতে হয়, যেমন আপনি নিজে তাকে দোকানে নিয়ে গেলেন, তবে এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক আসতে পারে, কিন্তু যদি আপনি শুধু তাকে বলে দিলেন, অমুক মার্কেটের অমুক দোকানে যাও, তবে এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেয়া যাবে না।

              ফাতাওয়া শামীতে এসেছে,
              وقال العلامة الحصكفي: (م: 1088ه) : إن دلني على كذا فله كذا فدله فله أجر مثله إن مشى لأجله.
              من دلني على كذا فله كذا فهو باطل ولا أجر لمن دله إلا إذا عين الموضع. اهـ
              وقال الشامي تحتهقوله: إن دلني إلخ) عبارة الأشباه: إن دللتني. وفي البزازية والولوالجية: رجل ضلَّ له شيء فقال: من دلني على كذا فهو على وجهين: إن قال ذلك على سبيل العموم بأن قال: من دلني فالإجارة باطلة؛ لأن الدلالة والإشارة ليست بعمل يستحق به الأجر، وإن قال على سبيل الخصوص بأن قال لرجل بعينه: إن دللتني على كذا فلك كذا إن مشى له فدله فله أجر المثل للمشي لأجله؛ لأن ذلك عمل يستحق بعقد الإجارة إلا أنه غير مقدر بقدر فيجب أجر المثل، وإن دلَّه بغير مشي فهو والأول سواء. اهـ (رد المحتار:9/195، مكتبة الأزهر)

              তবে পারিশ্রমিক হয় শর্ত করলে, আর আপনি যে সূরত বলছেন, তাতে তো শর্ত নেই, তাই সেটা মূলত কমিশন বা পারিশ্রমিক না হয়ে হাদিয়া বা *উপহার হবেই বলে মনে হচ্ছে।

              আর, আমার জানা মতে এমএলএম নাজায়েজ হওয়ার একটা কারণ হলো, তাতে সদস্য সংগ্রহ করে দিলে, আলাদা ভাতা দেয়।
              প্রশ্ন হলো,
              গ্রাহক সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহ করে দেওয়ার মাঝে কি কোনো পার্থক্য আছে??
              থাকলে সেটা কী??
              ভাই, এ দুটোর মাঝে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
              ১.এমএল বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং -এ তো ক্রেতার পণ্য উদ্দেশ্যই হয় না। ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে শুধু মেম্বারশীপের জন্য। তার উদ্দেশ্য থাকে আরো মানুষকে সদস্য বানিয়ে সে লাভবান হবে। তো কখনো সে লাভবান হয়, কখনো হয় না। তাই এটা বাজী ধরার মতো হয়ে গেল।

              ২. এমএল- এ সাধারণত প্রথম দিকের ক্রেতা+মেম্বাররা লাভবান হয়, কিন্তু পরের দিকের ক্রেতা+মেম্বাররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু আমাদের আলোচ্য সূরতে ক্রেতা কোন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। সে বাজারদরেই পণ্য পাচ্ছে।

              ৩. এমএল -এর উপরের লেভেলের মেম্বাররা নিচের লেভেলের প্রতিটি ক্রয়-বিক্রয় হতেও কমিশন পায়। অথচ এক্ষেত্রে তাদের কোন কাজ নেই। তাই তা অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভোগ করার অন্তুর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
              لا تاكلوا اموالكم بينكم بالباطل

              এর ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেছেন, أن يأكله بغير عوض (শর্তযুক্ত আকদে) বিনিময়হীন উপার্জনই হল বাতিল পন্থার উপার্জন। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১৭২)

              হযরত হাসান বসরীসহ অন্যান্য অনেক তাফসীরবিদও আয়াতটির একই ধরনের তাফসীর করেছেন (দ্রষ্টব্য: রূহুল মাআনী ২/৭০, ৫/১৫; তাফসীরুল মানার ৫/৪০)

              আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মাসিক আলকাউসার হতে নিচের প্রবন্ধগুলো পড়তে পারেন,





              https://www.alkawsar.com/bn/article/570/
              الجهاد محك الإيمان

              জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ, আহসানাল জাযা, আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে+আমলে বারাকাহ দান করুন, আমাদেরকে উপকৃত করুন।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ, আদনান মারুফ ভাই খুব সুন্দরভাবে প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন।
                  আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের ইলম ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X