Announcement

Collapse
No announcement yet.

হে শরীফা! শুনে নাও আল্লাহ এবং তার রাসুলের ফয়সালা...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হে শরীফা! শুনে নাও আল্লাহ এবং তার রাসুলের ফয়সালা...

    এই খবরটা তো আশা করি আপনারা সবাই শুনেছেন যে, পাঠ্যপুস্তকে যতটুকুন ইসলাম ছিলো ততটুকুও ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। তার পরিবর্তে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে পশ্চিমা বিষাক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, যার মধ্যে অন্যতম হলো ট্রান্সজেন্ডারিজম।
    .
    NCTB-এর অনুশীলন বইয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শেখানো হয়েছে: আত্মপরিচয় কী? আত্মপরিচয় কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমি নিজেকে যেটা মনে করি, সেটা আমার পরিচয়? নাকি সবাই আমাকে যেটা মনে করে, সেটা আমার পরিচয়?
    .
    এরপর একটা গল্প দেয়া হয়েছে: এক ভাল্লুক জঙ্গল থেকে বেরিয়েছে। মানুষরা দেখে মনে করছে ভাল্লুকটা একটা দাড়িমোছ না চাঁছা শ্রমিক। ভাল্লুক বার বার বলছে সে ভাল্লুক, কিন্তু কেউ মানছে না।
    .
    আমি নিজের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দ্বারা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, এখানে শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে যে, অন্যরা আমাকে কী মনে করলো তা জরুরি না। আমি নিজে আমাকে কী মনে করি, সেটাই আমার পরিচয়!
    .
    ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এই শিক্ষাকেই পূর্ণতা দেয়া হয়েছে সপ্তম শ্রেণীতে এসে,,,,
    .
    সপ্তম শ্রেনীর “ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান” বইয়ের ৫১ পৃষ্ঠা থেকে শুরু হওয়া “শরীফার গল্প” নামক আলোচনাতে শিক্ষার্থীদের মাথায় পশ্চিম থেকে আমদানী করা সমকামী চিন্তাধারা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
    .
    এখানে ইন্টারসেক্স এবং ট্র্যান্স– এ দুই অবস্থানকে এক করে তুলে ধরা হয়েছে।
    .
    ইন্টারসেক্স হল এমন মানুষ যার শারীরিক বা ডিএনএ জনিত কোন ত্রুটি আছে যার কারণে সে তার বিপরীত লিঙ্গের মতো আচরণ করে। (যেমন- নারী হয়ে পুরুষের মতো এবং পুরুষ হয়ে নারীদের মতো) . ট্র্যান্স হল এমন কেউ যার শারীরিক কোন ইস্যু নেই, কিন্তু সে নিজেকে মনে করে নিজের ভিন্ন লিঙ্গের মানুষ। এরা মূলত এক প্রকার সমকামী।
    .
    দেখুন আপনার সন্তানকে কোন বস্তাপচা আবর্জনা গেলানো হচ্ছে!!!
    .
    হাদিসে এসেছে,
    .
    باب نفي أهل المعاصي والمخنثين ابن عباس قال: "لعن النبي صلى الله عليه وسلم المخنثين من الرجال والمترجلات من النساء، وقال: «(أخرجوهم من بيوتكم)» فأخرج النبي صلى الله عليه وسلم فلاناً وأخرج عمر فلانة"
    .
    অর্থ:
    .
    অধ্যায়ঃ কবিরাহ গুনাহগার ও হিজড়াদেরকে দেশান্তর করা।
    .
    ইবন আব্বাস(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ(ﷺ) পুরুষ হিজড়া ও ... লানত (অভিশাপ) করেছেন। এবং বলেছেন, তাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও। নবী(ﷺ) অমুক (হিজড়াকে) বের করে দেন ও উমার(রা.) তমুক (হিজড়াকে) বের করে দেন। [সহীহ বুখারী: ৫৮৮৬ নং হাদিস]
    .
    অন্য হাদিসে এসেছে,
    .
    عن أبي هريرة : أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - أتي بمخنث قد خضب يديه ورجليه فقالوا : ما بال هذا؟ قيل يتشبه بالنساء ، فأمر به فنفي إلى النقيع .অর্থ: আবু হুরায়রা(রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(ﷺ) এর নিকট এক হিজড়াকে আনা হল, যে তার হাত-পায়ে মেহেদী লাগিয়ে ছিল। তারা বলল, এ কী অবস্থা?! বলা হল, সে মেয়েদের সাদৃশ্য অবলম্বন করেছে। অতপর তার ব্যাপারে দেশান্তরের আদেশ দেওয়া হল। তাকে 'নাকী' নামক স্থানে দেশান্তর করা হয়। [ফাতহুল বারী – ইমাম ইবন হাজার আসকালানী, ১৩/১৩৫]
    .
    একইভাবে, আরেক স্থানে এসেছে,
    "আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। কোনো একদিন এক হিজড়াকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলো। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর এ অবস্থা কেন? বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সে নারীর বেশ ধরেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আন-নকী নামক স্থানে নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বললেনঃ সালাত আদায়কারীকে হত্যা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আবূ উসামাহ (রহঃ) বলেন, আন-নাফী‘ হলো মদীনার প্রান্তবর্তী একটি জনপদ, এটা বাকী নয়।" [দারাকুতনী।] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
    .
    হাদিসে আরও এসেছে:
    .
    عن أم سلمة رضي الله عنها : دخل النبي صلى الله عليه و سلم وعندي مخنث فسمعه يقول لعبد الله بن أمية يا عبد الله أرأيت إن فتح الله عليكم الطائف غدا فعليك بابنة غيلان فإنها تقبل بأربع وتدبر بثمان وقال النبي صلى الله عليه و سلم ( لا يدخلن هؤلاء عليكن
    .
    অর্থ: উম্মে সালামা(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী(ﷺ) ঘরে প্রবেশ করলেন যখন আমার কাছে এক হিজড়া বসা ছিল। তিনি সেই হিজড়াকে আব্দুল্লাহ ইবনে উমাইয়াকে বলতে শুনলেন, সে বলল, আব্দুল্লাহ! আগামীকাল যদি আল্লাহ তোমাদেরকে তায়েফের বিজয় দান করে, তবে তুমি গায়লানের কন্যাকে অবশ্যই অর্জন করবে। তার তো সামনে চার ভাজ পড়ে ও পেছনে আট ভাজ পড়ে! (সেই নারীর দেহের চর্বির দিকে ইঙ্গিত করে। সে যুগে আরবরা মোটা নারীদেরকে পরম আকাঙ্খিত বলে মনে করতো)। নবী(ﷺ) (তার থেকে নিজের ঘরবাসীর ফিতনার আশংকা করে বললেন,) এরা যেন তোমাদের কাছে প্রবেশ না করে। [ফাতহুল বারী: ৯/৩৩৩]
    .
    আপনি কী চান আপনার আদরের সন্তান রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং তার সাহাবাদের অপছন্দনীয় বস্তুতে পরিণত হোক? যার উপর আরোপিত হবে দেশান্তরের আদেশ?
    .
    আল্লামা তিবী(র.) বলেছেন,
    .
    المخنث ضربان احدهما من خلق كذلك و لم يتكلف التخلق باخلاق النساء و زيهن و كلامهن و حركاتهن هذا لا ذم عليه و لا اثم و لا عيب و لا عقوبة لانه معذور الثاني من تكلف اخلاق النساء و حركاتهن و هياتهن و كلامهن و زيهن فهذا هو المذموم الذي جاء في الحديث لعنه
    .
    অর্থ: হিজড়া দুই ধরনের। এক প্রকার হল, যারা সেভাবেই জন্মেছে। তারা মহিলাদের মতো চরিত্র, সাজগোজ, কথা বলার ধরণ বা চালচলন নকল করার ক্ষেত্রে কোনরূপ চেষ্টা করে না (স্বাভাবিকভাবে আচরণ করে)। এসব হিজড়াদের কোনো ভৎর্সনা, পাপ, দোষ কিংবা শাস্তি নেই। কেননা তারা তো মাজুর। দ্বিতীয় প্রকার হল, যারা মহিলাদের আখলাক, তাদের চালচলন, তাদের হাবভাব, তাদের মতো কথা বলার ধরণ ও তাদের মতো সাজসজ্জা গ্রহণের চেষ্টা করে। হাদিসে বর্ণিত লানতপ্রাপ্ত ব্যক্তি এরা। [শারহ তিবী: ৮/২৬৭, সুবুলুস সালাম: ২/১৯]
    .
    এই পাঠ্যপুস্তকে আরও বলা হয়েছে, অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করা খারাপ কিছু নয়! কী জঘন্য কথা! রবের বিরুদ্ধে কত সহজেই যুদ্ধ ঘোষণা করা হলো!!? আপনি কী আসলেই চান আপনার সন্তান এসব শিখুক?
    .
    পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    .
    لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
    .
    ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম কাঠামো দিয়ে।’ (সুরা তিন, আয়াত : ০৪)
    .
    অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    .
    فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللّه
    .
    ‘আর তারা আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি করবেই।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১১৯)
    .
    আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন,
    .
    إِن يَدْعُونَ مِن دُونِهِ إِلاَّ إِنَاثًا وَإِن يَدْعُونَ إِلاَّ شَيْطَانًا مَّرِيدًا لَّعَنَهُ اللّهُ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيبًا مَّفْرُوضًا وَلأُضِلَّنَّهُمْ وَلأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الأَنْعَامِ وَلآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللّهِ وَمَن يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّن دُونِ اللّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِينًا
    .
    ‘তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু অবাধ্য শয়তানের পূজা করে। যার প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। শয়তান বলল আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে অবলম্বন করবো। তাদের পথভ্রষ্ট করব, তাদের আশ্বাস দেব; তাদের পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১১৭-১১৯)
    .
    অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
    .
    وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا
    .
    ‘যখন আল্লাহ ও তার রাসুল কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিয়ে দেন, তখন কোনো মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীর সেই ব্যাপারে নিজে ফায়সালা করার কোনো অধিকার নেই। আর যে কেউ আল্লাহ ও তার রাসুলের অবাধ্যতা করে সে সুস্পষ্ট ভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়।’ (সুরা-আহজাব, আয়াত : ৩৬)
    .
    রবের এই সুস্পষ্ট ঘোষণার পরও কোনো বান্দার সৃষ্টির উপর হাত খেলানোর অনুমতি দেয়া কতটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে পারে? লা'নাতুল্লাহ!
    .
    আপনার কী মনে হয়? সন্তানকে জন্ম দিয়ে স্কুলে ঢুকিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ? আর কোনো দায়িত্ব নেই? একজন অভিভাবক হিসেবে আপনার জেনে রাখা উচিত যে আপনার সন্তান আপনার সম্পদ নয়! তার সাথে যা ইচ্ছা তা করা, শিক্ষার নামে যা খুশি তা গেলানো, যে পথে ইচ্ছা সেই পথের গাইড ধরিয়ে দেয়া, এসবের কোনো অধিকার আপনার নেই! আপনার সন্তান আপনার সম্পত্তি নয়, বরং আল্লাহর তরফ থেকে আমানত। আপনার জন্য তাকে সঠিক পথের খোজ দেয়া, সহীহ আকীদা, আমল-আখলাক শেখানো, এসব আপনার দায়িত্ব। এজন্য আপনাকে রবের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ক্যারিয়ার গড়ার নামে তার দ্বীনকে নষ্ট করলে আপনি আল্লাহর দরবারে কখনোই ছাড় পাবেন না। আল্লাহ আপনাকে এজন্য নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন।
    .
    হাদীস শরীফে এসেছে,
    .
    مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ
    .
    অর্থঃ-প্রতিটি শিশুই আল্লাহর ফিতরাহ তথা ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। পরবর্তীতে পিতা-মাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান কিংবা হিন্দু হিসেবে গড়ে তুলে। ( সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
    .
    এই হাদিস থেকে একথা প্রমাণিত হলো যে, আপনার সন্তান কোনো ভুল পথে গেলে তার দায় আপনার উপরও বর্তাবে! সন্তান কী পড়ছে, কী শিখছে, এসব বিষয়ে খোজ খবর রাখা আপনার দায়িত্ব। এজন্য অবশ্যই আপনাকে পাকড়াও করা হবে।
    .
    আপনি কী চান আপনার সন্তান নাস্তিকতার বিষবাষ্পকে অক্সিজেন ভেবে নিজের ভিতরটাকে নষ্ট করুক? তার দ্বীনকে ব্যাকডেটেড ভাবুক? আপনার জান্নাতের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াক?
    .
    ওয়াল্লাহি! বঙ্গদেশীয় উগ্রপন্থী, ইসলামবিরোধী সেক্যুলাররা সিলেবাস থেকে দ্বীনকে তো ঝেড়ে ফেলতে সফল হয়েছে! এখন আমরা কী সফল হবো নিজেদের সন্তানের ঈমানকে বাচাতে? আমরা কী পারবো নিজেদের সন্তানকে অভিশপ্তদের কাতারে সামিল হওয়া থেকে বাচাতে? আমরা কী আসলেই পারবো?
    .
    ওয়াল্লাহি! রবের সেনাও প্রস্তুত, কুফরের সেনাও নিজেদের খোলস থেকে বের হয়ে আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত। এখন আপনার ডিসাইড করতে হবে যে আপনার সন্তান কাদের কাতারে থাকবে?
    .
    একটা শেষ প্রশ্ন করছি, আপনি কী পারবেন শরীফার অভিশপ্ত শরাফত থেকে নিজের সন্তানদের রক্ষা করতে?
    .
    আল্লাহ আমাদের এবং আমাদের উত্তরসূরীদেরকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করুক। আমীন ইয়া রাব্বিল আল-আমীন।
    .
    আখীরুদ্দা'ওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহ।
    Last edited by tahsin muhammad; 01-12-2023, 08:36 PM.

  • #2
    বই যারা লিখেছেন তাদের অনেকেই তো হিন্দু ।
    সাথে কিছু সেকুলার মুসলমানও আছে ।

    বাংলাদেশের আকাশে অনেক মেঘ জমেছে ।।।
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

    Comment


    • #3

      [30] فَأَقِم وَجهَكَ لِلدّينِ حَنيفًا ۚ فِطرَتَ اللَّهِ الَّتى فَطَرَ النّاسَ عَلَيها ۚ لا تَبديلَ لِخَلقِ اللَّهِ ۚ ذٰلِكَ الدّينُ القَيِّمُ وَلٰكِنَّ أَكثَرَ النّاسِ لا يَعلَمونَ
      [30] তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেبل معنى ذلك: لا تغيير لخلق الله من البهائم، بأن يخصي الفحول منها.
      * ذكر من قال ذلك:
      حدثنا ابن وكيع، قال: ثنا ابن فضيل، عن مطرف، عن رجل، سأل ابن عباس عن خصاء البهائم، فكرهه، وقال: (لا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللهِ). বরং এর অর্থ হল আল্লাহ তায়ালা পশুপাখিদেরকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে কোন পরিবর্তন সাধন করা যাবে না। )এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে মানুষতো এর এক্ষেত্রে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞার আওতা ভুক্ত। ) অর্থাৎ পুরুষকে খাসি করানো যাবে না এবং এর প্রবক্তা উল্লেখ করেন যে আমাদেরকে ইবনে অকি বলেছেন এবং আমাদেরকে ইবনে ফজল বলেছেন তিনি মুতরাফ থেকে বর্ননা করেন যে তিনি একজন ব্যক্তি থেকে বর্ননা করেন যিনি ইবনে আব্বাসকে খাসি করানোর বরং পারে প্রশ্ন করেন তখন তিনি এটা অপছন্দ করেন এবং বলেন
      لا تبديل لخلق الله
      مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوْتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ فَبَلَغَ ذَلِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِيْ أَسَدٍ يُقَالُ لَهَا أُمُّ يَعْقُوْبَ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَلَغَنِيْ عَنْكَ أَنَّكَ لَعَنْتَ كَيْتَ وَكَيْتَ فَقَالَ وَمَا لِيْ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ هُوَ فِيْ كِتَابِ اللهِ فَقَالَتْ لَقَدْ قَرَأْتُ مَا بَيْنَ اللَّوْحَيْنِ فَمَا وَجَدْتُ فِيْهِ مَا تَقُوْلُ قَالَ لَئِنْ كُنْتِ قَرَأْتِيْهِ لَقَدْ وَجَدْتِيْهِ أَمَا قَرَأْتِ (وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ج وَمَا نَهٰكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ج) قَالَتْ بَلَى قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْهُ قَالَتْ فَإِنِّيْ أَرَى أَهْلَكَ يَفْعَلُوْنَهُ قَالَ فَاذْهَبِيْ فَانْظُرِيْ فَذَهَبَتْ فَنَظَرَتْ فَلَمْ تَرَ مِنْ حَاجَتِهَا شَيْئًا فَقَالَ لَوْ كَانَتْ كَذَلِكَ مَا جَامَعْتُهَا.
      ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ লা’নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকণ করে, নিজ শরীরে উল্কি অংকণ করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভূরু-চুল উপড়িয়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে। এরপর বানী আসাদ গোত্রের উম্মু ইয়াকূব নামের এক মহিলার কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে সে এসে বলল, আমি জানতে পারলাম, আপনি এ ধরনের মহিলাদের প্রতি লা’নত করেছেন। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার প্রতি লা’নাত করেছেন, আল্লাহর কিতাবে যার প্রতি লা’নাত করা হয়েছে, আমি তার প্রতি লা’নাত করব না কেন? তখন মহিলা বলল, আমি দুই ফলকের মাঝে যা আছে তা (পূর্ণ কুরআন) পড়েছি। কিন্তু আপনি যা বলেছেন, তা তো এতে পাইনি।

      ’আবদুল্লাহ্ বললেন, যদি তুমি কুরআন পড়তে তাহলে অবশ্যই তা পেতে, তুমি কি পড়নি রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। মহিলাটি বলল, হাঁ নিশ্চয়ই পড়েছি। ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তখন মহিলা বলল, আমার মনে হয় আপনার পরিবারও এ কাজ করে তিনি বললেন, তুমি যাও এবং ভালমত দেখে এসো। এরপর মহিলা গেল এবং ভালভাবে দেখে এলো। কিন্তু তার দেখার কিছুই দেখতে পেলো না। তখন ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, যদি আমার স্ত্রী এমন করত, তবে সে আমার সঙ্গে একত্র থাকতে পারত না।
      لعن اللهُ المتشبهين بالنساءِ من الرجالِ والمتشبهاتِ من النساءِ بالرجالِ
      আল্লাহ তায়ালা লায়ানত করেছেন ঐ সকল মহিলাদেরকে যারা পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং আল্লাহ তায়ালা লানত করেছেন ঐ সকল মহিলাদেরকে যারা পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে।حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو السَّوَّاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا يُعْرَفُ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو فَقَالَ ‏"‏ مَلْعُونٌ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْقَتْلَ وَذَكَرَ فِيهِ مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى بَهِيمَةً ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ اقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ وَلاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ غَيْرَ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ ‏.‏ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي حَدِّ اللُّوطِيِّ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنَّ عَلَيْهِ الرَّجْمَ أَحْصَنَ أَوْ لَمْ يُحْصِنْ وَهَذَا قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ مِنْهُمُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَعَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ وَغَيْرُهُمْ قَالُوا حَدُّ اللُّوطِيِّ حَدُّ الزَّانِي وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏
      জাবির ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি শুধু উল্লেখিত সনদসূত্রেই আমরা জেনেছি। এ হাদীসটি আমর ইবনু আবী আমরের সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে মানুষ লুত সম্প্রদায়ের কুকর্ম করে সে অভিশপ্ত।”

      এই বর্ণনায় হত্যা করার’ উল্লেখ নেই। এতে আরো আছেঃ "যে মানুষ পশুর সাথে কুকর্ম করে সেও অভিশপ্ত"। "

      উপরে উল্লেখিত হাদীসটিকে আসিম ইবনু উমার সুহাইল ইবনু আবূ সালিহ-এর সূত্রে, তিনি তার বাবার সূত্রে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “এ কাজের কর্তা ও কর্ম দুজনকেই মেরে ফেল"।

      এ হাদীসের সনদ বিতর্কিত। সুহাইলের সূত্রে এ হাদীসটি আসিম ব্যতীত আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আসিমের স্মরণশক্তি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে সমালোচিত।

      অভিজ্ঞ আলিমদের মধ্যে লাওয়াতাতকারীর (সমকামীর) শাস্তির ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সমকামীকে রজম (পাথর মেরে হত্যা) করতে হবে, সে বিবাহিত বা অবিবাহিত যাই হোক। এই মত প্রকাশ করেছেন ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। আতা ইবনু আবূ রাবাহ প্রমুখ বলেছেন, সমকামীর শাস্তি যিনাকারীর শাস্তির মতই। এই মত সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসীদের। সুতরাং মানুষ ধীরে ধীরে রবের দিকে এগুচ্ছে এটা তারা টের করতেও পাড়ছেনা । কারণ আল্লাহ বলেন
      [19] لَتَركَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
      [19] নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        Originally posted by mahmud123 View Post
        [30] فَأَقِم وَجهَكَ لِلدّينِ حَنيفًا ۚ فِطرَتَ اللَّهِ الَّتى فَطَرَ النّاسَ عَلَيها ۚ لا تَبديلَ لِخَلقِ اللَّهِ ۚ ذٰلِكَ الدّينُ القَيِّمُ وَلٰكِنَّ أَكثَرَ النّاسِ لا يَعلَمونَ
        [30] তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেبل معنى ذلك: لا تغيير لخلق الله من البهائم، بأن يخصي الفحول منها.
        * ذكر من قال ذلك:
        حدثنا ابن وكيع، قال: ثنا ابن فضيل، عن مطرف، عن رجل، سأل ابن عباس عن خصاء البهائم، فكرهه، وقال: (لا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللهِ). বরং এর অর্থ হল আল্লাহ তায়ালা পশুপাখিদেরকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে কোন পরিবর্তন সাধন করা যাবে না। )এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে মানুষতো এর এক্ষেত্রে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞার আওতা ভুক্ত। ) অর্থাৎ পুরুষকে খাসি করানো যাবে না এবং এর প্রবক্তা উল্লেখ করেন যে আমাদেরকে ইবনে অকি বলেছেন এবং আমাদেরকে ইবনে ফজল বলেছেন তিনি মুতরাফ থেকে বর্ননা করেন যে তিনি একজন ব্যক্তি থেকে বর্ননা করেন যিনি ইবনে আব্বাসকে খাসি করানোর বরং পারে প্রশ্ন করেন তখন তিনি এটা অপছন্দ করেন এবং বলেন
        لا تبديل لخلق الله
        مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوْتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ فَبَلَغَ ذَلِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِيْ أَسَدٍ يُقَالُ لَهَا أُمُّ يَعْقُوْبَ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَلَغَنِيْ عَنْكَ أَنَّكَ لَعَنْتَ كَيْتَ وَكَيْتَ فَقَالَ وَمَا لِيْ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ هُوَ فِيْ كِتَابِ اللهِ فَقَالَتْ لَقَدْ قَرَأْتُ مَا بَيْنَ اللَّوْحَيْنِ فَمَا وَجَدْتُ فِيْهِ مَا تَقُوْلُ قَالَ لَئِنْ كُنْتِ قَرَأْتِيْهِ لَقَدْ وَجَدْتِيْهِ أَمَا قَرَأْتِ (وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ج وَمَا نَهٰكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ج) قَالَتْ بَلَى قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْهُ قَالَتْ فَإِنِّيْ أَرَى أَهْلَكَ يَفْعَلُوْنَهُ قَالَ فَاذْهَبِيْ فَانْظُرِيْ فَذَهَبَتْ فَنَظَرَتْ فَلَمْ تَرَ مِنْ حَاجَتِهَا شَيْئًا فَقَالَ لَوْ كَانَتْ كَذَلِكَ مَا جَامَعْتُهَا.
        ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ লা’নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকণ করে, নিজ শরীরে উল্কি অংকণ করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভূরু-চুল উপড়িয়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে। এরপর বানী আসাদ গোত্রের উম্মু ইয়াকূব নামের এক মহিলার কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে সে এসে বলল, আমি জানতে পারলাম, আপনি এ ধরনের মহিলাদের প্রতি লা’নত করেছেন। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার প্রতি লা’নাত করেছেন, আল্লাহর কিতাবে যার প্রতি লা’নাত করা হয়েছে, আমি তার প্রতি লা’নাত করব না কেন? তখন মহিলা বলল, আমি দুই ফলকের মাঝে যা আছে তা (পূর্ণ কুরআন) পড়েছি। কিন্তু আপনি যা বলেছেন, তা তো এতে পাইনি।

        ’আবদুল্লাহ্ বললেন, যদি তুমি কুরআন পড়তে তাহলে অবশ্যই তা পেতে, তুমি কি পড়নি রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। মহিলাটি বলল, হাঁ নিশ্চয়ই পড়েছি। ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তখন মহিলা বলল, আমার মনে হয় আপনার পরিবারও এ কাজ করে তিনি বললেন, তুমি যাও এবং ভালমত দেখে এসো। এরপর মহিলা গেল এবং ভালভাবে দেখে এলো। কিন্তু তার দেখার কিছুই দেখতে পেলো না। তখন ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন, যদি আমার স্ত্রী এমন করত, তবে সে আমার সঙ্গে একত্র থাকতে পারত না।
        لعن اللهُ المتشبهين بالنساءِ من الرجالِ والمتشبهاتِ من النساءِ بالرجالِ
        আল্লাহ তায়ালা লায়ানত করেছেন ঐ সকল মহিলাদেরকে যারা পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং আল্লাহ তায়ালা লানত করেছেন ঐ সকল মহিলাদেরকে যারা পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে।حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو السَّوَّاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا يُعْرَفُ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو فَقَالَ ‏"‏ مَلْعُونٌ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْقَتْلَ وَذَكَرَ فِيهِ مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى بَهِيمَةً ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ اقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ وَلاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ غَيْرَ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ ‏.‏ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي حَدِّ اللُّوطِيِّ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنَّ عَلَيْهِ الرَّجْمَ أَحْصَنَ أَوْ لَمْ يُحْصِنْ وَهَذَا قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ مِنْهُمُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَعَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ وَغَيْرُهُمْ قَالُوا حَدُّ اللُّوطِيِّ حَدُّ الزَّانِي وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏
        জাবির ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি শুধু উল্লেখিত সনদসূত্রেই আমরা জেনেছি। এ হাদীসটি আমর ইবনু আবী আমরের সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে মানুষ লুত সম্প্রদায়ের কুকর্ম করে সে অভিশপ্ত।”

        এই বর্ণনায় হত্যা করার’ উল্লেখ নেই। এতে আরো আছেঃ "যে মানুষ পশুর সাথে কুকর্ম করে সেও অভিশপ্ত"। "

        উপরে উল্লেখিত হাদীসটিকে আসিম ইবনু উমার সুহাইল ইবনু আবূ সালিহ-এর সূত্রে, তিনি তার বাবার সূত্রে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “এ কাজের কর্তা ও কর্ম দুজনকেই মেরে ফেল"।

        এ হাদীসের সনদ বিতর্কিত। সুহাইলের সূত্রে এ হাদীসটি আসিম ব্যতীত আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আসিমের স্মরণশক্তি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে সমালোচিত।

        অভিজ্ঞ আলিমদের মধ্যে লাওয়াতাতকারীর (সমকামীর) শাস্তির ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সমকামীকে রজম (পাথর মেরে হত্যা) করতে হবে, সে বিবাহিত বা অবিবাহিত যাই হোক। এই মত প্রকাশ করেছেন ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। আতা ইবনু আবূ রাবাহ প্রমুখ বলেছেন, সমকামীর শাস্তি যিনাকারীর শাস্তির মতই। এই মত সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসীদের। সুতরাং মানুষ ধীরে ধীরে রবের দিকে এগুচ্ছে এটা তারা টের করতেও পাড়ছেনা । কারণ আল্লাহ বলেন
        [19] لَتَركَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
        [19] নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে।
        আস সালামু আলাইকুম। সম্পূর্ণ লিখাটার লিংক দিতে পারবেন? অগ্রীম জাযাকাল্লাহ্

        Comment

        Working...
        X