Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফিরের রক্ত হালাল না হারাম? জুমহুরের মাযহাব কী??

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফিরের রক্ত হালাল না হারাম? জুমহুরের মাযহাব কী??

    কাফিরের রক্ত হালাল: জুমহুর কর্তৃক প্রত্যাখাত মত

    কাফিরের রক্তের মূলনীতি হল তা হালাল- এটা জুমহুরের (অধিকাংশ 'উলামা`দের) বক্তব্য নয়। জুমহুরের মতে কাফিরের রক্ত যুদ্ধে লিপ্ত হবার আগ পর্যন্ত হালাল হয় না।

    জুমহুরের মাযহাবঃ


    الكافر الأصلي الذي ليس هو من أهل القتال، فإنه لا يقتل عند أكثر العلماء كأبي حنيفة ومالك وأحمد.

    অধিকাংশ উলামা` যেমনঃ আবু হানীফা (রহঃ), মালিক (রহঃ), আহমাদ (রহঃ) এর মতে- মুরতাদ নয় এমন কাফির (কাফির আসলি) যদি যুদ্ধে সম্পৃক্ত (আহলুল ক্বিতাল) না হয়, তবে তাদের হত্যা করা যাবে না।

    সুত্রঃ islamqa.info/ar/107105

    জুমহুরের মাযহাব উল্লেখ করে শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যাহ (রহঃ) তার মাজমু' আল ফাতাওয়া [২০/১০১-১০২] গ্রন্থে লিখেন-

    فَأَبُو حَنِيفَةَ رَأَى أَنَّ الْكُفْرَ مُطْلَقًا إنَّمَا يُقَاتَلُ صَاحِبُهُ لِمُحَارَبَتِهِ فَمَنْ لَا حِرَابَ فِيهِ لَا يُقَاتَلُ وَلِهَذَا يَأْخُذُ الْجِزْيَةَ مِنْ غَيْرِ أَهْلِ الْكِتَابِ الْعَرَبِ وَإِنْ كَانُوا وَثَنِيِّينَ. وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ مَالِكٌ وَأَحْمَد فِي أَحَدِ قَوْلَيْهِ وَمَعَ هَذَا يَجُوزُ الْقَتْلُ تَعْزِيرًا وَسِيَاسَةً فِي مَوَاضِعَ. وَأَمَّا الشَّافِعِيُّ فَعِنْدَهُ نَفْسُ الْكُفْرِ هُوَ الْمُبِيحُ لِلدَّمِ إلَّا أَنَّ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ تُرِكُوا لِكَوْنِهِمْ مَالًا لِلْمُسْلِمِينَ

    ইমাম আবু হানীফার (রহঃ) সিদ্ধান্ত হচ্ছে: কুফরের কারণে তার ধারকের (কাফের) সাথে লড়াই কেবল তখনই হতে পারে, যখন সে লড়াই করবে। আর যে লড়াইয়ে অংশ নিবে না, তার বিরূদ্ধে লড়াই করা যাবে না। আর একারণেই আহলে কিতাব না হয়ে মূর্তিপূজক হওয়া সত্ত্বেও আরবদের কাছ [যুদ্ধ না করে] থেকে জিযিয়া নেয়া হয়েছিল এবং এ বিষয়ে ইমাম মালিক (রহঃ), আহমদ (রহঃ) তার সাথে একমত পোষণ করেছেন (তার দুইমতের একটি অনুযায়ী)। তবে এটা সত্ত্বেও শাস্তি হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে কাফেরকে হত্যা করা কিছু ক্ষেত্রে জায়েয আছে। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মতে স্বয়ং কুফরই রক্ত মুবাহ (হালাল) হওয়ার কারণ। তবে নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় না, কারণ তারা মুসলিমদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে থাকে।

    শায়খুল ইসলাম (রহঃ) অন্যত্র জুমহুরের মাযহাবকেই সঠিক প্রমাণ করে লিখেনঃ

    فإن الأصل أن دم الآدمي معصوم لا يقتل إلا بالحق وليس القتل للكفر من الأمر الذي اتفقت عليه الشرائع ولا أوقات الشريعة الواحدة كالقتل قودا فإنه مما لا تختلف فيه الشرائع ولا العقول

    মূলনীতি হচ্ছে যেকোন আদম সন্তানের রক্ত মা'সুম (অর্থাৎ রক্ত ঝরানো থেকে বিরত থাকতে হবে)। কোন ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা যাবে না। শুধু কুফরের কারণে তাকে হত্যা করা এমন একটি বিষয়, যার ব্যাপারে শরীয়াহর বিধানসমূহ কোন একটি সময়ের জন্যও একমত হয় নি, যেমনটি কিসাস (القَوَدُ القِصاصُ - লিসানুল 'আরব) হিসেবে হত্যা করার ব্যাপারে হয়েছে, এমনকি বিবেকও (আক্বল) এতে একমত হয় না।

    [আস সারিম আল মাসলুল, পৃ. ১০৪]

    ইমাম আস সারাখসী আল হানাফী (রহঃ) (৪৮৩ হি.) লিখেন:

    إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال فإذا زال ذلك بعقد الذمة عاد الحقن الأصلي
    "মৌলিকভাবে একজন মানুষের রক্ত ঝরানো নিষেধ এবং (রক্ত ঝরানোর) বৈধতা কেবল তার যুদ্ধে সম্পৃক্ততার কারণেই হয়। আর যখন এটি (যুদ্ধে সম্পৃক্ততা) যিম্মাহর চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়ে যায়, তার (রক্ত ঝরানোর) নিষেধাজ্ঞা পুনরায় ফিরে আসে।”

    ["আল-মাবসুত", ১০/৮১]

    শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) কাফির নারীদের ব্যাপারে বলেন:

    قتل المرأة لمجرد الكفر لا يجوز ولا نعلم قتل المرأة الكافرة الممسكة عن القتال أبيح في وقت من الأوقات

    "একজন নারীকে কেবল কুফরের কারণে হত্যা করা জায়েয নয়, এবং আমরা এমন কোন সময়ের কথা জানি না যখন যুদ্ধ থেকে বিরত নারী হত্যার বৈধতা দেয়া হয়েছিল"।

    ["আস সারিম আল মাসলুল", পৃ. ১০১]


    হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব আল হিদায়াহ-তে ৩/২৮০-২৮১ আল্লামা মারগিনানী (রহঃ) লিখেন-

    ولا يقتلوا امرأة ولا صبيا ولا شيخا فانيا ولا مقعدا ولا أعمى لأن المبيح للقتل عندنا هو الحراب ولا يتحقق منهم ولهذا لا يقتل يابس الشق والمقطوع اليمنى والمقطوع يده ورجله من خلاف والشافعي رحمه الله تعالى يخالفنا في الشيخ الفاني والمقعد والأعمى لأن المبيح عنده الكفر والحجة عليه ما بينا وقد صح أن النبي عليه الصلاة والسلام نهى عن قتل الصبيان والذراري

    "এবং নারী, শিশু, অতিবৃদ্ধ, পঙ্গু, অন্ধকে হত্যা করা যাবে না কেননা আমাদের (হানাফীদের) কাছে হত্যার বৈধতা দাণকারী হচ্ছে যুদ্ধে অংশগ্রহণ, যা এদের মাঝে পাওয়া যায় না। আর একই কারণে একপাশ অচল, ডানহাত কর্তিত, বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কর্তিতদেরও হত্যা করা যাবে না। তবে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মত ভিন্ন। তিনি অতিবৃদ্ধ, পঙ্গু, অন্ধের ব্যাপারে আমাদের সাথে মতবিরোধ করেছেন কেননা তার নিকট হত্যার বৈধতা দাণকারী হচ্ছে কুফর। আর তার বিরূদ্ধে দলীল হচ্ছে নবী সাঃ থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীস যেখানে তিনি নারী-শিশু হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।"

    জমহুরের বক্তব্য পরিত্যাগ করে কাফিরদের রক্তকে হালাল বলা নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক।

    হ্যাঁ, তবে কাফির যদি হারবী হয়, নারী-শিশু না হয় তবে সমস্যা নেই। কিন্তু গুলশান হামলায় ৮/৯ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের রক্ত হালাল ছিল না। সুতরাং এ কেমন বাছ-বিচার! খারেজীরা তো শরীয়াহর তোয়াক্কা করে না, তারা তাদের সুবিধামত ফতোয়া-শপিং করে, তাই বলে আমরা সহীহ মানহাজের দাবীদার হয়েও এমন কথা বলব?

    শায়খ আবু মুহাম্মদ মাকদীসী হাফিযাহুল্লাহ লিখেন,

    فمعلوم انه لا يجوز في ديننا أن يعمد إلى قتل الصبيان والنساء غير المقاتلات ونحوهم، فقد فسر أهل العلم - ومنهم حبر القرآن ابن عباس رضي الله عنه - قوله تعالى: {ولا تعتدوا} بقوله: لا تقتلوا النساء والصبيان والشيخ الكبير

    وروى مسلم في "باب؛ نساء غازيات... والنهي عن قتل أهل الحرب"، عن ابن عباس رضي الله عنه أيضاً قوله: وإن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يقتل الصبيان، فلا تقتل الصبيان إلا أن تكون تعلم ما علم الخضر من الصبي الذي قتل

    وروى الامام أحمد والحاكم والبيهقي وغيرهم عن الأسود بن سريع أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ما بال قوم جاوزهم القتل حتى قتلوا الذرية؟! ألا لا تقتلوا ذرية، ألا لا تقتلوا ذرية

    والأدلة في هذا الباب مشهورة، بل أفتى مالك والأوزاعي بأكثر من هذا فقالوا: (لا يجوز قتل النساء والصبيان بحال، حتى لو تترس أهل الحرب بالنساء والصبيان أو تحصنوا بحصن أو سفينة وجعلوا معهم النساء والصبيان؛ لم يجز رميهم ولا تحريقهم أهـ.

    এটা তো জানা কথা যে আমাদের দ্বীনে যোদ্ধা নয় এমন নারী, শিশু এবং তাদের মত অন্যান্যদের আক্রমণের লক্ষ্য বানানো জায়েয নয়। আহলুল ইলম যেমন হিবরুল কুরআন ইবনু আব্বাস রাঃ (এবং সীমালঙ্ঘন করো না ২:১৯০) এর ব্যাখ্যা করেছেন: নারী, শিশু, অতিবৃদ্ধদের হত্যা করো না।

    সহীহ মুসলিমে ইবনু আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে- রাসুল সাঃ শিশুদের হত্যা করতেন না, তোমরাও শিশুদের হত্যা করো না। তবে খাযির আঃ এর মত যদি তোমাদের (গায়বের) জ্ঞান থেকে থাকে তবে করতে পার। ইমাম আহমদ, হাকিম, বায়হাক্বী এবং অন্যান্যরা আসওয়াদ বিন সারী' থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ "লোকেদের কী হল তারা হত্যার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করছে? সাবধান তোমরা শিশুদের হত্যা করো না। সাবধান তোমরা শিশুদের হত্যা করো না"

    আর এ সংক্রান্ত দলীল-প্রমাণগুলোও মশহুর। বরং ইমাম মালিক, আওযায়ী রহঃ ফতোয়া দিয়েছেন, কোন অবস্থাতেই নারী এবং শিশুদের হত্যা করা জায়েয নয়, এমনকি শত্রু যদি নারী-শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করতে চায়, তবেও নয়। এমনকি যদি তারা নারী এবং শিশু নিয়ে দূর্গে অবস্থান করে কিংবা জাহাজে আরোহণ করে, তবে তাদের উদ্দেশ্যে তীর ছোড়া কিংবা অগ্নিসংযোগ করাও জায়েয নয়।

    কিতাবঃ حسن الرفاقة في أجوبة سؤالات سواقة, পৃষ্ঠাঃ ৩৮।

    কই? শায়খ মাকদীসী তো কাফির তাই রক্ত হালাল, এই যুক্তি দিয়ে নারীদের হত্যার ফতোয়া দিলেন না????

    সমস্ত বিবেচনায় যুদ্ধ ব্যাতিরেকে কাফিরদের রক্ত হালাল গণ্য না করাই শ্রেয়। কারণ ফুকাহাদের নীতি হচ্ছে, কোন বিষয় সম্পর্কে হালাল এবং হারাম দুইটি মতই পাওয়া গেলে, হারামের মতটিই প্রাধাণ্য পাবে, কেননা এটাই নিরাপদ।

  • #2
    মাশাআল্লাহ। চিন্তার খোরাক ও গভীর পর্যালোচনার দাবী রাখে।

    Comment


    • #3


      সংশোধনীঃ-
      অনেক আগে আমি একটু বিস্তারিত পরেছিলাম যে, কাফিরের রক্ত মূলতঃ হালাল। সেখানে আবু মুহাম্মাদ ভাইয়ের কাউল গুলো ও ছিল।কিন্ত আঞ্জেম চৌধুরির লিখাতে রেফারেন্স থাকায় বিষয়গুলো নিয়ে আবারো যাচাই করার প্রয়োজন বোধ হচ্ছে। দেখি ।
      Last edited by Ahmad Faruq M; 07-17-2016, 10:01 PM.

      Comment


      • #4
        আন্জেম চৌধুরী লিখেছেন

        “এমনকি যদি তারা নারী এবং শিশু নিয়ে দূর্গে অবস্থান করে কিংবা জাহাজে আরোহণ করে, তবে তাদের উদ্দেশ্যে তীর ছোড়া কিংবা অগ্নিসংযোগ করাও জায়েয নয়।”

        বাহ !! তাহলে তো তায়েফে মিনজানিক ব্যাবহারও জায়েজ হয়নি

        গুলশানে ৮/৯ জন নারী মারা বৈধ হয়নি কিন্তু পুরুষগুলোকে মারা বৈধ হয়েছে। কিন্তু ভাই আন্জেম চৌধুরীর নিকট পুরুষগুলোকে মারাও বৈধ হয়নি।

        ওনি যেসব কথা বলতেছেন এগুলো মানলে আর জিহাদ করতে হবে না হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে।
        Last edited by polashi; 07-16-2016, 09:23 PM.
        কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

        Comment


        • #5
          গুলশান ইস্যুতে আবু আনওয়ার আল হিন্দী ভাই এ পর্যন্ত যা কিছু লিখেছেন সকলকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করব। আল্লাহ তাআলা সকলকে বাড়াবাড়ী ও ছাড়াছাড়ির ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। মধ্যপন্থা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন।
          কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

          Comment


          • #6
            মনে হচ্ছে নবী (সাঃ),সাহাবিদের(রাঃ) জিহাদের কোন হাদিস আন্জেম চৌধুরী জানেনা। বা সে সরকারী আলেমের সদস্য। তার প্রোফাইলটা দেখি তো......
            আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

            Comment


            • #7
              কাফিরের রক্ত হালাল

              কাফিরের রক্ত হালাল হওয়ার ব্যপারে ফুকাহাদের মতঃ


              قال الكاساني: (والأصل فيه: أن كل من كان من أهل القتال: يحلّ قتله سواء قاتل أو لم يقاتل). [بدائع الصنائع 101/7]

              قال الشوكاني: (والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا). [السيل الجرار 369/4]

              وتأمل قول الفاروق عمر لأبي جندل -رضي الله عنهما-: (فإنما هم مشركون، وإنما دم أحدهم: دم كلب!). رواه أحمد والبيهقي.


              قال القرطبي: (والمسلم إذا لقي الكافر ولا عهد له: جاز له قتله).
              [تفسير القرطبي 338/5]

              قال ابن كثير: (قد حكى ابن جرير الإجماع على أن المشرك يجوز قتله إذا لم يكن له أمان وإن أمّ البيت الحرام أو بيت المقدس) [تفسير ابن كثير 6/2]

              (أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم: لم يكن ذلك له أمانا من القتل إذا لم يتقدم له أمان)[تفسير الطبري61/6]بتصرف

              قال الإمام النووي: (وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان) [روضة الطالبين 259/9]

              قال ابن مفلح: (ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير) [المبدع263/8]

              قال الإمام الشافعي: (الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة). [الأم 264/1]

              قال الشوكاني: (أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السبف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…). [السيل الجرار522/4]


              শাইখ হারিস আন-নাজ্জারি তার دروسٌ في التوحيدِ والقتال এর তিন নং দরস الكافرُ المعصومُ الدم অর্থাৎ কাফেরের রক্ত হালাল এখানে লিখেনঃ


              الكفار المحاربون هم الذين ليس لهم مع المسلمين عهد ولا ذمة، فإذا لم يكن بين الكفار وبين المسلمين عهد فهم أهل حرب؛ وإن لم تكن الحرب قائمة، كل من ليس له عهد مع المسلمين من أمان فهو من أهل الحرب مع المسلمين وهذه مسألة إجماعية وليست مسألة اجتهادية أو قول الجمهور بل انعقد الإجماع على هذا كما قال الإمام الطبري رحمه الله في تفسير جامع البيان، قال رحمه الله: "أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم لم يكن ذلك له أمانًا من القتل إذا لم يكن تقدم له عقد ذمة من المسلمين أو أمان" يقول لو أن الكافر اعتصم بجميع أشجار الحرم التي يحرم قطعها لو اعتصم بها جميعًا لم يكن ذلك أمانًا له حتى يعطيه المسلمون الأمان

              আশা করি এখান থেকে নিরেপক্ষ ভাবে আলোচনার খোরাক পাওয়া যাবে।
              মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
              রোম- ৪৭

              Comment


              • #8
                ঘটনা এই ভাবে সাজিয়ে নিলে সব মিলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
                إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال
                মানুষের মধ্যে বলতে যদিও মুমিন কাফের উভয়কে বুঝায় কিন্তু উদ্দ্যেশ্য হলো এই সমষ্টির মধ্যে একটি,অর্থাৎ মুসলিম, যেমন
                (يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْأِنْسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُم )
                হে জিন ও ইনসান তোমাদের কাছে কি তোমাদের থেকে রাসূল আগমন করেন নি? তোমাদের বলতে এখানে যদিও জিন ইনসান সবাই কে বুঝায় কিন্তু উদ্দ্যেশ্য সমষ্টির একটি অর্থাৎ মানুষ,
                তাহলে অর্থ হলো সাধারন ভাবে মানুষের রক্ত সুরক্ষিত কিন্তু কিতালের দারা এটা অ রক্ষিত হয়ে পড়ে।
                আর এই কিতাল /হিরাব কাফেরের একটি অপরিহার্য্য অনুসংগ
                ولايزالون يقاتلونكم حتى يردوكم عن دينكم
                তারা চিরদিন তোমাদের বিরোদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।অর্থাত কাফের আছে যুদ্ধ আছে,
                فَأَبُو حَنِيفَةَ رَأَى أَنَّ الْكُفْرَ مُطْلَقًا إنَّمَا يُقَاتَلُ صَاحِبُهُ لِمُحَارَبَتِهِ فَمَنْ لَا حِرَابَ فِيهِ لَا يُقَاتَلُ
                কুফরের সংক্রামক ফিতনা যার মধ্যেই থাকবে সেই আহলে হিরাব হত্যার উপযোগি। তবে নারি শিশু বৃদ্ধের মধ্যে ব্যধিটি সাভাবিক ভাবে সংক্রামক হিসেবে গন্য নহে বিধায় হিরাব নেই। এই কারনেই বনুকুরায়যার বালেগ পুরুষ সবাই কে হত্যা করে দেয়া হয়েছে,যদিও বিশ্বাসঘাতকতার দুষ্কর্মটি সরদার দ্বারাই সঙ্ঘটিত হয়েছিল।সে মুহারিব বিল কুওয়্যাহ অর্থাৎ এখন যুদ্ধে তৎপর না থাকলেও তৎপড়তার সক্ষমতা তার মধ্যে বিদ্যমান,আর এই সক্ষমতাটাকেই বলা হয়েছে حِرَاب ) হিরাব , আর যেখানে কৃষক বা বিভিন্নশ্রেনির পেশাদার দের হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে নিষেধ দ্বারা উদ্দেশ্য হয়েছে কৌশলগত নিষেধ যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া এদের হত্যা করে লাভ নেই। ওমর রাজিঃ যিনি কৃষক হত্যার ব্যপারে বলেছেন যে তাদের হত্যাকরা অসমিচিন, তিনিই বলেছেন এদের রক্ত কুকুরের রক্তের ন্যয়, যেমন বর্তমানে কৌশলগত কারনে আল কায়েদার উমারা গন বলেন যে ওমুকদের টর্গেট করা উচিত না, কারন এতে ভুল বুঝা বুঝির সৃষ্টি হবে/ শত্রুর সংখ্যা অনর্থক বাড়ানো হবে ,যার ফলে কুফরের ইমাম বড় শত্রু সুযোগ পেয়ে যাবে, তার উপর চাপ কমে যাবে, ইসলামের বিজয় বিলম্বিত হবে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এমন কৌশল্গত কারনেই মুনাফিকদের হত্যা করেন নি। হুযায়ফা রাঃ কে যখন আবুসুফিয়ানের খবর নিয়ে আসার জন্য পাঠিয়েছেন তাকে হত্যা করতে নিষেধ করে দিয়েছেন।এর অর্থ এটা নয় যে জাসুস হয়ে কাফেরদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে তাদের বড় কাহাকেউ হত্যা করা যাবেনা। বরং সেই সময় তার দ্বারা আবুসুফিয়ান কে বধ করা তখনের জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুনাসিব মনে করেন নি।নারি শিশুর বৃদ্ধের মধ্যে হিরাব বিল কুওয়্যা নেই, এখন যদি বিল ফেয়েল অর্থাৎ যুদ্ধের কোন প্রকার কার্য্যক্রম যেমন সত্রুর পক্ষে সংবাদ সংগ্রহ,উস্কানি প্রদান,কৌশলচিন্তা, জনমত তৈরি,মুসলিমদের দুর্বলতার পয়েন্ট খোজা,তাদের বদনাম ছড়িয়ে ফিল্ড নষ্ট করা, এসব যদি এদের দ্বারা সংঘটিত হয় তাহলে হিরাব বিদ্যমান হয়ে গেল হত্যা করা যাবে, এই কারনে যখমি কাফের যুদ্ধাকে হত্যা করা যায় যদিও তার মধ্যে বর্তমানে যুদ্ধের সক্ষমতা কার্যকর নেই, ওয়াল্লাহু আলাম।
                Last edited by murabit; 07-17-2016, 01:05 AM.

                Comment


                • #9
                  Originally posted by আবু মুহাম্মাদ View Post
                  কাফিরের রক্ত হালাল হওয়ার ব্যপারে ফুকাহাদের মতঃ
                  মাশাআল্লাহ্*, আবু মুহাম্মদ ভাই, যে ক্বওলগুলো এনেছেন, এগুলো এই ব্যাপারে খুবই উপযোগী। ভাই, এগুলোর অনুবাদ করে দিলে সবার জন্য উপকার হবে ইনশাআল্লাহ্*।

                  Comment


                  • #10
                    কাফিরের রক্ত হালাল হওয়ার ব্যপারে ফুকাহাদের মতঃ


                    قال الكاساني: (والأصل فيه: أن كل من كان من أهل القتال: يحلّ قتله سواء قاتل أو لم يقاتل). [بدائع الصنائع 101/7]

                    কাছানি বলেন এই ক্ষেত্রে মূলনীতি হলোঃ (কাফের দের থেকে)যারা যুদ্ধকরার উপযোগি তাদের হত্যা করা বৈধ সে যুদ্ধেরত হোক অথবা যুদ্ধে রত না হোক।বাদায়ে ১০১/৭

                    قال الشوكاني: (والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا). [السيل الجرار 369/4]

                    শাওকানি বলেনঃ মুশরিক চাই যুদ্ধকরুক অথবা যুদ্ধ নাই করুক সে যতক্ষন মুশরিক আছে তার রক্ত ঝরানো বৈধ। আচ্ছআয়লুল জাররার ৩৬৯/৪

                    وتأمل قول الفاروق عمر لأبي جندل -رضي الله عنهما-: (فإنما هم مشركون، وإنما دم أحدهم: دم كلب!). رواه أحمد والبيهقي.
                    আর চিন্তা করো উমার রাজিঃ আবু জান্দাল রাজিঃ কে কী বলেছেন (তারা মুশরিক বৈ তো নয়, আর তাদের যে কারো রক্ত সুধু কুকুরেরে রক্ত।) আহমাদ বায়হাকির রিওয়াত।


                    قال القرطبي: (والمسلم إذا لقي الكافر ولا عهد له: جاز له قتله).
                    [تفسير القرطبي 338/5]
                    আর মুসলিমের যদি সামনে কাফের পড়ে যায় যার সাথে কন চুক্তি নেইঃ তার জন্য জায়েয আছে একে হত্যা করে দেয়া।
                    তাফছীরে কুরতবি ৩৩৮/৫

                    قال ابن كثير: (قد حكى ابن جرير الإجماع على أن المشرك يجوز قتله إذا لم يكن له أمان وإن أمّ البيت الحرام أو بيت المقدس) [تفسير ابن كثير 6/2]
                    ইবনে কাছীর বলেনঃ(ইবনে জারীর ইজমা/ঐক্যমত উল্ল্যেখ করেছেন যে, মুশরিক কে হত্যা করা জায়েযঃযদি তার জন্য নিরা পত্তা চুক্তি নাথাকে, যদিও সে হারাম শরীফ বা বায়তুল মাকদাসে হজ্জের উদ্দ্যশ্যে গমন করে, তাফছীরে ইবনে কাছীর ৬/২।

                    (أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم: لم يكن ذلك له أمانا من القتل إذا لم يتقدم له أمان)[تفسير الطبري61/6]بتصرف
                    সবাই ঐক্যমত যে মুশরিক যদি হারাম শরিফের সব গাছের বাকল /লতা পাতা দিয়েও নিজের বাহু,গলা জড়িয়ে রাখেঃ এটা তাকে হত্যা থেকে নিরাপদ করবেনা যদি আগে থেকে নিরাপত্ত্বাচুক্তি নাথাকে। তাফছীরে তাবারি ৬১/৬ ইষৎপরিবর্তিত

                    قال الإمام النووي: (وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان) [روضة الطالبين 259/9]
                    ইমাম নববি বলেনঃ(আর যেসব কাফের দের সাথে সন্ধি বা নিরাপত্ত্বাচুক্তি নেইঃ তাকে হত্যা করলে কোন রক্তমুল্য নেই সে যে ধর্মের অনুসারিই হোক না কেন। রাউজাতুত্তালিবীন ২৫৯/৯

                    قال ابن مفلح: (ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير) [المبدع263/8]

                    ইবনে মুফলিহ রাহঃ বলেন( তাকে হত্যা করার দ্বারা দিয়াত (রক্তপন) বা কাফফারা ওয়াজিব হবেনা - অর্থাৎ কাফের তার আমান (নিরাপত্তা চুক্তি) নেই- কারন তার সাভাবিক ভাবে রক্তবৈধ যেমন শুকর। আল্মুব্দি ২৬৩/৮

                    قال الإمام الشافعي: (الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة). [الأم 264/1]
                    ইমাম শাফেয়ি রাহঃ বলেন মহামহিম আল্লাহ তায়ালা কাফেরের রক্ত ও সম্পদ বৈধ করে দিয়েছেন হ্যাঁ তবে যদি সে জিযয়া দেয় অথবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিরাপত্ত্বা লাভ করে নেয়,(তাহলে সে সেটা পাবে)আলউম্ম ২৬৪/১

                    قال الشوكاني: (أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السبف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…). [السيل الجرار522/4]
                    শাওকানি বলেনঃ কফের দের রক্ত মৌলিক ভাবেই বৈধ যেমন আয়াতুচ্ছায়ফে (নির্দেশ করা হয়েছে), আরযদি তারা যুদ্ধ বাধিয়ে রাখে তাহলে?( আর কী কথা) আচ্ছায়লুল জাররার ৫২২/৪


                    শাইখ হারিস আন-নাজ্জারি তার دروسٌ في التوحيدِ والقتال এর তিন নং দরস الكافرُ المعصومُ الدم অর্থাৎ কাফেরের রক্ত হালাল এখানে লিখেনঃ


                    الكفار المحاربون هم الذين ليس لهم مع المسلمين عهد ولا ذمة، فإذا لم يكن بين الكفار وبين المسلمين عهد فهم أهل حرب؛ وإن لم تكن الحرب قائمة، كل من ليس له عهد مع المسلمين من أمان فهو من أهل الحرب مع المسلمين وهذه مسألة إجماعية وليست مسألة اجتهادية أو قول الجمهور بل انعقد الإجماع على هذا كما قال الإمام الطبري رحمه الله في تفسير جامع البيان، قال رحمه الله: "أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم لم يكن ذلك له أمانًا من القتل إذا لم يكن تقدم له عقد ذمة من المسلمين أو أمان" يقول لو أن الكافر اعتصم بجميع أشجار الحرم التي يحرم قطعها لو اعتصم بها جميعًا لم يكن ذلك أمانًا له حتى يعطيه المسلمون الأمان
                    (মুহারিব) যুদ্ধা কাফের হলো তারা যাদের সাথে মুসলিমদের কোন সন্ধি বা চুক্তি নেই, যদি কাফেরদের মাঝে আর মুসলমানদের মাঝে কোন সন্ধি নাথাকে তাহলে তারা আহলে হারব অর্থাৎ যুদ্ধ উপযোগি যুদ্ধা, যদিও এখন যুদ্ধবেধেগিয়ে না থাকে, যাদের মাঝে আর মুসলিমদের মাঝে কোন নিরা পত্ত্বা সন্ধি নেই তারাই মুসলমানদের জন্য যুদ্ধপোযোগি যুদ্ধা।
                    এটা একটি ইজমায়ি তথা সর্বসম্মত মাসআলা , কোন মতোবিরোধ যুক্ত বা গবেষনাযোগ্য মাসয়ালা নহে ,অথবা জুমহুর তথা বেশি সংখ্যকের অভিমত এমন ও নহে,বরং এর উপর ঐকমত্য সম্পন্ন হয়েছে যেমন ইমাম তাবারি রাহিঃ তাফছীরে জামিউল বায়ানে বলেনঃ সকলেই ঐকমত যে মুশরিক যদি হারাম শরিফের সব গাছের বাকল /লতা পাতা দিয়েও নিজের বাহু,গলা জড়িয়ে রাখেঃ এটা তাকে হত্যা থেকে নিরাপদ করবেনা , আগে থেকে যদি মুসলমানদের পক্ষ থেকে নিরাপত্ত্বাচুক্তি অথবা করারোপের মাধ্যমে নিরাপত্ত্বা না দেয়া থাকে। তিনি বলেন যে কাফের যদি হরমের তাবতঐসব বাকল দ্বারাও নিজেকে জড়িয়ে রাখে যে গুলো কাটা হারাম/ নিষীদ্ধ এই সব গুলোধরেও যদি আশ্রয়ি হয় তবো এটা তার জন্য নিরাপত্ত্বা বিধান করবেনা, যতক্ষন মুসলিমগন তাকে নিরাপত্ত্বা না দিবে।
                    বর্তমান পৃথীবিতে মুজাহিদ দের সাথে কাফের গুষ্ঠির যুদ্ধ উভয় পক্ষ থেকে প্রকাশ্য স্পষ্টঘোষিত ভাবে বিদ্যমান এমন কেহ আছে যে এই যুদ্ধের ব্যপারে বেখবর? এর বেনিফিটের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই?
                    এখন পুরা দুনিয়া দুই ভাগে বিভক্ত ফুস্তাতু ইমান ফুস্তাতু নিফাক্ব , এক পক্ষ মুসলিম মুকাতিল মুজাহিদীন অপর পক্ষ তাদের কে জংগিবাদি আখ্যায়িত করে এদের দমনে সচেষ্ট,এই মুজাহিদীনের সাথে যেসব কাফের দের সন্ধি বা নিরাপত্ত্বাচুক্তি নেই তাদের বেপারে মুজাহিদীনের কোন দায় দায়িত্ব নেই। আবু বাছীর উৎবা রাজিঃ দুই কাফেরের এক কাফের কে হত্যা করে দিয়েছেন, (বুখারি) অথচ সেই কাফের দের সাথে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া ছাল্লামের চুক্তি ছিল, পরবর্তিতে আবুজান্দাল সহ তার বাহিনী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লামের সাথে সন্ধিকৃত কুরায়শদের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, সেই যুদ্ধকে তখন আবুসুফিয়ান ও অন্যান্য কাফের ও অযৌক্তিক বলেনাই।আর এখন কিছু নাম ধারি ... তাগুত মুরতাদ মুজাহিদের শত্রুদের আশ্রিত কাফের দের হত্যার উপর প্রশ্ন তোলে । এটা কি মুর্খতা, অজ্ঞতা না মুনাফেকির কোন প্রকার? আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন, বিশ্বময় এই ইমান কুফরের জিহাদে মুজাহীদ গবেষক উলামায়ে কিরাম যাদের হাতে মুসহাফ-সাইফ, কিতাব-কিতাল, হাদীস-হাদীদ এক সাথে রয়েছে সেই আহলে সুগুর উলামাদের থেকে মাসয়ালা নিতেহবে। যেমনটি বলেছেন ইমাম আহমাদ আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক ,আর যেটি সব ফুকাহায়ে কিরামের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত যে যারা যুগের ঘটনা বলির নেপথ্য জ্ঞান রাখেনা তারা আর মুর্খ সমান। ইবনুল কায়্যিম বলেন তারা মানূষদের বিভ্রান্ত কারি ইমাম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেছেন আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের পরে সবচেয়ে ভয় করি বিভ্রান্ত কারি ইমামদের।কবি ইকবাল বলেন যে তুমাদের কাফেরদের গুলামি শিখায় সে ইমাম নহে।
                    আশা করি এখান থেকে নিরেপক্ষ ভাবে আলোচনার খোরাক পাওয়া যাবে।

                    Comment


                    • #11
                      ভাই আপনার কথাগুলো ভাবনা জোগায় ...!!! কিন্তু ভাই নিচের বক্তব্য এর ব্যপারে কি মতামত আপনার...??
                      “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন –
                      .
                      সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সকল সীমালঙ্ঘনের (হুরুমাত) জন্য রয়েছে ক্বিসাসের নীতি। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালঙ্ঘন কর, যেমন সীমালঙ্ঘন তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা মুত্তাক্বী, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। [আল-বাকারা, ১৯৪]

                      যদি কাফিররা আমাদের জনগণকে কোন বাছবিচার ছাড়া হত্যা করা নিজেদের জন্য বৈধ পরিগনিত করে নেয়, যদি তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করে, যদি তারা যুদ্ধের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে তবে তাদেরকে একই ভাবে হামলা করা হবে, যেভাবে তারা হত্যা করে, সেভাবে তাদের হত্যা করা হবে, যেভাবে তারা বন্দী করে সেভাবে তাদের বন্দী করা হবে এবং আমরা সীমালঙ্ঘনকারী হবো না। কারন আগ্রাসনকারীর আগ্রাসনের জবাব দেয়া সীমালঙ্ঘন না।
                      এ ব্যাপারে বিখ্যাত আলিম শায়েখ সালেহ আল উসাইমীনের বক্তব্য দেখুন –

                      .
                      অতএব প্রথমত শারীয়াহগত অবস্থান থেকে সীমালঙ্ঘনকারী কাফির ক্বওমকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়াহ বৈধ।
                      Reference : জংগীর সাথে কথোপকথন ’’

                      “লক্ষ্য করবেন, ‘শত্রুরা আমাদের সাথে যে আচরণ করবে আমরাও সে আচরন করব’, এই ব্যাপারে এখনো আমি কোন দালিল উপস্থাপন করিনি। পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিমদের উপর যে হামলা চালিয়েছে এই দালিল নিয়ে আসলে তাদের জনসাধারনের পক্ষে যারা আজ তর্ক করছে তাদের কথা বলার কোনো সুযোগই থাকবে না।
                      Reference : মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত দেশসমূহের জনসাধারণকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো: শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ)”

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Zakaria Abdullah View Post
                        মাশাআল্লাহ্*, আবু মুহাম্মদ ভাই, যে ক্বওলগুলো এনেছেন, এগুলো এই ব্যাপারে খুবই উপযোগী। ভাই, এগুলোর অনুবাদ করে দিলে সবার জন্য উপকার হবে ইনশাআল্লাহ্*।
                        জি ভাই ! অনুবাদ করে দেওয়ার অনুরোধ রইল.............

                        Comment


                        • #13
                          قال الكاساني: (والأصل فيه: أن كل من كان من أهل القتال: يحلّ قتله سواء قاتل أو لم يقاتل). [بدائع الصنائع
                          101/7]

                          কাছানি বলেন এই ক্ষেত্রে মূলনীতি হলোঃ (কাফের দের থেকে)যারা যুদ্ধকরার উপযোগি তাদের হত্যা করা বৈধ সে যুদ্ধেরত হোক অথবা যুদ্ধে রত না হোক।বাদায়ে ৭/১০১
                          আল্লামা কাসানী রহঃ হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত আলেম। তার লিখিত বাদাই’উস সনাই’ কিতাবটি ফিক্বহে হানাফীর প্রখ্যাত রেফারেন্স বই। তিনি তার বইয়ে ইমাম আবু হানীফার মাযহাব ব্যাখ্যা ও দলীলসহ প্রমান করেছেন। আমার মূল পোস্টের শুরুই হয়েছে আবু হানীফার বক্তব্য দিয়ে যে – একজন কাফিরের রক্ত বৈধ হওয়ার জন্য তার ক্বওমের মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হওয়া জরুরী। কারণ তখন তাকে হারবী গণ্য করা হবে এবং বালেগ পুরুষ হারবী কাফেরের রক্ত হালাল।

                          এখন, আল্লামা আল-কাসানীর উপরের যে বক্তব্য আমাদের এই ভাই ইলমের খিয়ানত করে উল্লেখ করলেন, সেটা কি আল্লামা আল-কাসানী সাধারণভাবে সমস্ত কাফেরদের ব্যাপারে বলেছেন নাকি কেবল হারবী কাফেরদের ব্যাপারে বলেছেন?


                          আসুন দেখা যাক, আল্লামা আল-কাসানী প্রকৃতপক্ষে কী লিখেছিলেন। তিনি তার কিতাবের ৭/১০১ এ তিনি লিখেছেন -

                          فَنَقُولُ: الْحَالُ لَا يَخْلُو إمَّا أَنْ يَكُونَ حَالَ الْقِتَالِ، أَوْ حَالَ مَا بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنْ الْقِتَالِ، وَهِيَ مَا بَعْدَ الْأَخْذِ وَالْأَسْرِ، أَمَّا حَالَ الْقِتَالِ فَلَا يَحِلُّ فِيهَا قَتْلُ امْرَأَةٍ وَلَا صَبِيٍّ، وَلَا شَيْخٍ فَانٍ، وَلَا مُقْعَدٍ وَلَا يَابِسِ الشِّقِّ، وَلَا أَعْمَى، وَلَا مَقْطُوعِ الْيَدِ وَالرِّجْلِ مِنْ خِلَافٍ، وَلَا مَقْطُوعِ الْيَدِ الْيُمْنَى، وَلَا مَعْتُوهٍ، وَلَا رَاهِبٍ فِي صَوْمَعَةٍ، وَلَا سَائِحٍ فِي الْجِبَالِ لَا يُخَالِطُ النَّاسَ، وَقَوْمٍ فِي دَارٍ أَوْ كَنِيسَةٍ تَرَهَّبُوا وَطَبَقَ عَلَيْهِمْ الْبَابُ ... وَلِأَنَّ هَؤُلَاءِ لَيْسُوا مِنْ أَهْلِ الْقِتَالِ ... وَالْأَصْلُ فِيهِ أَنَّ كُلَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْقِتَالِ يَحِلُّ قَتْلُهُ، سَوَاءٌ قَاتَلَ أَوْ لَمْ يُقَاتِلْ، وَكُلُّ مَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْ أَهْلِ الْقِتَالِ لَا يَحِلُّ قَتْلُهُ

                          আমরা বলিঃ পরিস্থিতি হয়ত যুদ্ধকালীন হবে অথবা আটক ও বন্দীর পর যুদ্ধপরবর্তী পরিস্থিতি হবে, এর বাইরে পরিস্থিতি হতে পারে না। যদি পরিস্থিতি যুদ্ধকালীন হয়, তবে এ পরিস্থিতে (১) নারী, (২) শিশু, (৩) অতিবৃদ্ধ, (৪) পঙ্গু, (৫) পক্ষাঘাতগ্রস্ত, (৬) অন্ধ, (৭) বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কর্তিত, (৮) ডানহাত কর্তিত, (৯) পাগল, (১০) গীর্জাতে অবস্থানরত সন্ন্যাসী, (১১) মানুষ থেকে বিচ্ছিন হয়ে পাহাড়ে ভ্রমণকারী পর্যটক, (১২) কোন ঘর কিংবা উপসনালয়ে দরজা বন্ধ করে অবস্থানরত দুনিয়াত্যাগীদের হত্যা করা বৈধ নয়। কেননা তারা আহলে ক্বিতাল (যুদ্ধক্ষম) নয় ... আর এক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে যারাই আহলে ক্বিতাল তাদের হত্যা করা বৈধ, চাই সে যুদ্ধ করুক কিংবা না করুক।

                          আমাদের এই ভাই উনার পুরো বক্তব্য না দিয়ে, সুবিধামত শেষ বাক্যটুকু উল্লেখ করে বাকিগুলো গায়েব করে দিয়েছেন! আল্লামা আল কাসানী (রহঃ) এর বক্তব্যের প্রথম বাক্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে উনি যুদ্ধরত কাফেরদের ব্যাপারে এই মূলনীতি উল্লেখ করেছেন।

                          আচ্ছা, কেবলমাত্র কুফরের কারণে কাফেরের রক্ত যদি হালাল হয়, তাহলে উপরে উল্লিখিত ১২ ক্যাটাগরির লোকদের হত্যা হারাম কেন বলা হয়েছে?

                          এখন নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে, কেবলমাত্র ঐসমস্ত হারবী কাফের যারা উপরের ১২ ক্যাটাগরিতে নেই, কেবল তাদেরই রক্ত বৈধ। আর বাকীদের রক্ত বিনা কারণে ঝরানো কবীরা গুনাহ।

                          وتأمل قول الفاروق عمر لأبي جندل -رضي الله عنهما-: (فإنما هم مشركون، وإنما دم أحدهم: دم كلب!). رواه أحمد والبيهقي.
                          আর চিন্তা করো উমার রাজিঃ আবু জান্দাল রাজিঃ কে কী বলেছেন (তারা মুশরিক বৈ তো নয়, আর তাদের যে কারো রক্ত সুধু কুকুরেরে রক্ত।) আহমাদ বায়হাকির রিওয়াত।
                          আপনি মুসনাদ আহমাদের ১৮৯১১ নং এবং সুনান আল বায়হাক্বীর ১৮৮৩১ নং হাদীস উল্লেখ করেছেন। এই হাদীস দলীলযোগ্য নয়, কারণ এর সনদে মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক আছেন, যিনি মুদাল্লিস। যদি তর্কের খাতিরে এই হাদীস সহীহ মেনে নেওয়াও হয়, তারপরেও এই হাদীস দ্বারা কেবল হারবী কাফের হত্যা বৈধ হওয়া বোঝা যায়। কারণ আবু জান্দাল রাঃ মক্কার মুশরিকদের হত্যা করেছিলেন, যারা হারবী কুফফার। তাই এই হাদীস দ্বারা সাধারণভাবে কাফেরের রক্ত হালাল হওয়া প্রমাণিত হয় না।

                          এরপর আপনি যেই ফুকাহাদের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন, সেগুলো আমিও অস্বীকার করি না। আমি তো বলেছিই অনেক আলেম জমহুরের মতের বিরোধিতা করেছেন। যেমনঃ ইমাম শাফেয়ী। আপনি যেই ফুকাহাদের মত নকল করলেন, তাদের বেশীরভাগই শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী। যেমনঃ ইমাম নববী, ইমাম আত-তাবারী। কিন্তু আপনি শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যাহর রহঃ বক্তব্য উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেছেন,

                          وليس القتل للكفر من الأمر الذي اتفقت عليه الشرائع ولا أوقات الشريعة الواحدة

                          শুধু কুফরের কারণে তাকে হত্যা করা এমন একটি বিষয়, যার ব্যাপারে শরীয়াহর বিধানসমূহ কোন একটি সময়ের জন্যও একমত হয় নি। (আস সরিম আল মাসলুল পৃ. ১০৪)
                          Last edited by Anjem Chowdhury; 07-18-2016, 12:11 PM.

                          Comment


                          • #14
                            আন্জেম চৌধুরী লিখেছেন

                            “এমনকি যদি তারা নারী এবং শিশু নিয়ে দূর্গে অবস্থান করে কিংবা জাহাজে আরোহণ করে, তবে তাদের উদ্দেশ্যে তীর ছোড়া কিংবা অগ্নিসংযোগ করাও জায়েয নয়।”

                            বাহ !! তাহলে তো তায়েফে মিনজানিক ব্যাবহারও জায়েজ হয়নি
                            =
                            জনাব। এটা আঞ্জেম চৌধুরীর কথা না। ইনসাফ বজায় রেখে কথা বলুন। ডাকাত সেজে বসবেন না। এটি শায়খ মাকদিসী হাঃ এর “হুসনুর রিফাক্বাহ” ৩৮ পৃষ্ঠা থেকে অনুবাদ করেছি কেবল। তার উপর এটা শায়খ মাকদিসীর বক্তব্যও নয়। এটা ইমাম মালিক এবং ইমাম আওযা’য়ী রহঃ এরও ফাতওয়া। আপনি শায়খ মাকদিসীকে চেনেন না, সেটা মানা যায়। কিন্তু ইমাম মালিকের নামও শোনেন নি, এটা তো বড় আশ্চর্য কথা! আর শায়খ মাকদিসীর এই বক্তব্য পড়ার আগ পর্যন্ত আমার এই ফাতওয়ার কথা জানা ছিল না।

                            গুলশানে ৮/৯ জন নারী মারা বৈধ হয়নি কিন্তু পুরুষগুলোকে মারা বৈধ হয়েছে। কিন্তু ভাই আন্জেম চৌধুরীর নিকট পুরুষগুলোকে মারাও বৈধ হয়নি।
                            =
                            গুলশানে পুরুষগুলোর হত্যা বৈধ বলেই আঞ্জেম চৌধুরী মত দিয়েছেন। তাদের হত্যা বৈধ হওয়াত কারণ কেবল কুফর নয়। বরং কুফরের সাথে দারুল হারবের যুদ্ধক্ষম পুরুষ নাগরিক হওয়ার কারণেই তাদের হত্যা বৈধ। তবে শর্ত হচ্ছে, তাদের কোন আমান না থাকতে হবে।

                            ওনি যেসব কথা বলতেছেন এগুলো মানলে আর জিহাদ করতে হবে না হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে।
                            =
                            সাহাবায়ে কেরাম কি শরীয়ত মেনে জিহাদ করতেন না? আপনি কি তাদের চাইতে বড় মুজাহিদ সাঁজতে চান। দয়া করে, তানযীম আল ক্বায়েদার আমীরদের বক্তব্য শুনুন। আপনাদের জন্য ভাইয়েরা এত্ত কষ্ট করে বাংলা অনুবাদ করেন, আর আপনারা পড়েও দেখেন না। মাওলানা আসেম ওমর এর “শরীয়ত ব্যাতিরেকে যুদ্ধ ফিতনা ব্যাতীত কিছু নয়” বিবৃতিটি মনোযোগ পড়ার অনুরোধ করব।
                            Last edited by Anjem Chowdhury; 07-19-2016, 11:00 PM.

                            Comment


                            • #15
                              ঘটনা এই ভাবে সাজিয়ে নিলে সব মিলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
                              إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال
                              মানুষের মধ্যে বলতে যদিও মুমিন কাফের উভয়কে বুঝায় কিন্তু উদ্দ্যেশ্য হলো এই সমষ্টির মধ্যে একটি, অর্থাৎ মুসলিম, যেমন
                              (يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْأِنْسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُم )
                              হে জিন ও ইনসান তোমাদের কাছে কি তোমাদের থেকে রাসূল আগমন করেন নি? তোমাদের বলতে এখানে যদিও জিন ইনসান সবাই কে বুঝায় কিন্তু উদ্দ্যেশ্য সমষ্টির একটি অর্থাৎ মানুষ,
                              তাহলে অর্থ হলো সাধারন ভাবে মানুষের রক্ত সুরক্ষিত কিন্তু কিতালের দারা এটা অ রক্ষিত হয়ে পড়ে।
                              হা হা হা!!!!

                              আপনি ভাই কী দলিল দিলেন?

                              হে জিন ও ইনসান তোমাদের কাছে কি তোমাদের থেকে রাসূল আগমন করেন নি? তোমাদের বলতে এখানে যদিও জিন ইনসান সবাই কে বুঝায় কিন্তু উদ্দ্যেশ্য সমষ্টির একটি অর্থাৎ মানুষ।
                              হা হা।

                              আচ্ছা, ভাই!! উদ্দেশ্য যদি শুধু মানুষই হয়, তাহলে আল্লাহ হে জ্বিন বলছেন কেন?? নাউযুবিল্লাহ। আপনার কথা মানতে গেলে ধরে নিতে হবে, আল্লাহ উদ্দেশ্য ছাড়াই হে জ্বিন বলেছেন। নাউযুবিল্লাহ। আপনার ধারণা জিনদের কাছে কোন রাসুল আসে নি? দয়া করে "সুরা জিন" এর তাফসীর পড়ে নিবেন।

                              আল্লামা সারখসী স্পষ্ট বলেছেন
                              والأصل إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال فإذا زال ذلك بعقد الذمة عاد الحقن الأصلي

                              "মৌলিকভাবে একজন মানুষের রক্ত ঝরানো নিষেধ এবং বৈধতা কেবল তার যুদ্ধে সম্পৃক্ততার কারণেই হয়। আর যখন এটি যিম্মাহর চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়ে যায়, মৌলিক নিষেধাজ্ঞা পুনরায় ফিরে আসে।

                              ["আল-মাবসুত", ১০/৮১]

                              এখানে উদ্দেশ্য যদি কাফির না হলে যিম্মাহর চুক্তি কীভাবে হবে? যিম্মাহর চুক্তি কি মুসলিমদের সাথে হয়??? আজীব।
                              Last edited by Anjem Chowdhury; 07-18-2016, 12:57 PM.

                              Comment

                              Working...
                              X