Announcement

Collapse
No announcement yet.

দেওবন্দিদেরকে জাহমিয়্যাহ মনে করে আইএস

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দেওবন্দিদেরকে জাহমিয়্যাহ মনে করে আইএস

    আইএসের অফিসিয়াল অনলাইন ম্যাগাজিন ‘দাবিক’ এর ১২তম সংস্করণে বাংলাদেশ নিয়ে ৫ পৃষ্ঠার নিবন্ধের শিরোনাম হচ্ছে ‘দ্য রিভাইভ অব জিহাদ ইন বেঙ্গল’। লেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবু আবদির রহমান আল-বাঙালি

    # এই সংস্করণে আইএস আমাদের প্রিয় দেওবন্দি আলেমদের ও অনুসারীদের জাহমিয়্যাহ মতবাদের অনুসারী বলেছে। (১) (২)
    # এই সংস্করণে আইএস আমাদের প্রিয় তালেবান ও আল-কায়দার ভাইদের অজ্ঞ মানুষ বলেছে এবং আল-কায়দাকে অনুসরণ করা অস্বীকার করেছে। (৩)
    # তারা শায়খ আবদুর রহমানকে 'মুজাহিদ' বলেছে এবং আমরাও শায়খ আবদুর রহমানকে 'মুজাহিদ' বলে থাকি। (৪)
    # তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে আইএস আখ্যা দিয়েছে ‘মুরতাদ’ হিসেবে। (৫)
    # এই প্রবন্ধে তারা মাজহাব এর গুরুত্ব না দিয়ে তারা সালাফী মতবাদকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। (৬)
    # আওয়ামী লীগকে আইএস আখ্যা দিয়েছে ‘মুরতাদ’ ও তাগূত হিসেবে। (৭)


    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    (১) জাহমিয়্যাহ; যারা আল্লাহর নাম সমূহ ও গুণাবলীর সবগুলিকেই অস্বীকার করে। ইবনুল মুবারাক, আহমাদ বিন হাম্বল, ইসহাক্ব এবং ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, জাহমিয়াদের সকল দলই আল্লাহর ছিফাতকে অস্বীকার করে।[মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/২২৯ পৃঃ] শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, সালাফে ছালেহীনের নিকট আল্লাহর ছিফাতকে অস্বীকারকারীরা হ’ল জাহমিয়্যাহ।[মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৩৪৯ পৃঃ]

    (২) the Deobandis who adopt the creed of the Jahmiyyah. (IS dabiq 12 edition, page-39)

    (৩) The mujāhidīn realized that the unity of the Ummah could only happen through a leader with true authority, not an unwise man in some unknown hiding place releasing outdated video messages with pledges of allegiance to a dead man and scolding others for not doing the same! (IS dabiq 12 edition, page-40)
    --------------
    The mujāhidīn of Bengal realized that there was no room for blind partisanship towards any organization once the Khilāfah had been declared and that there was no longer legitimacy for any independent jihād organization, whether “Jamā’atul Mujāhidīn,” “Al-Qā’idah,” or any other group. (IS dabiq 12 edition, page-39)

    (৪) The mujāhid, Shaykh Abdur Rahmān (may Allah accept him), head of Jamā’atul Mujāhidīn
    (dabiq 12 edition, page-38)

    (৫) The former government, which consisted mainly of a coalition of murtaddīn from both the “Bangladesh Nationalist Party” (BNP) and “Jamaat-e-Islami Bangladesh” (IS dabiq 12 edition, page-38)

    (৬) The jihād claimants alleged that causing division within the “Ummah” over “minor” issues would divide and weaken the “Muslims” in front of the atheists. Similarly, they claimed that the mujāhidīn should perform prayer according to the Hanafī madhhab even if doing so entailed abandoning mutawātir sunan. They justified this with a principle they had innovated, that the madhhab of the mujāhidīn was to perform prayer according to the custom of the local people, as if the madhhab of the mujāhid should be different from that of the Salaf! These jihād claimants demanded that the various jihād groups in Bengal give preference to maintaining “popular support” and pleasing deviant “scholars” over the Qur’ān and the Sunnah, otherwise the “jihād movement” would get “crushed” by the martyrdom of leadership having no “popular support” as they claimed had happened in the past with Jamā’atul Mujāhidīn. (IS dabiq 12 edition, page-39)

    (৭) the tāghūt government of the “Awami League.” (IS dabiq 12 edition, page-39)

    সকল প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য। মহান আল্লাহ্* তায়ালা আমাদের সবাইকে হিদায়াত দান করুন। সরল পথে চলার শক্তি দান করুন। মহান আল্লাহ্* তায়ালা তার সকল মুমিন ও মুজাহিদ বান্দাদের হাতকে শক্তিশালী করুন এবং পা কে দৃঢ়পদ রাখুন। মহান আল্লাহ্* তায়ালা আমাদেরকে সকল প্রকার ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
    Last edited by power; 11-21-2015, 12:41 AM.
    যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। (১১০ঃ১-৩)

  • #2
    আওয়ামী লীগ এর নেতৃস্থানীয়দেরকে হক্বপথী মুজাহিদ আলেমরাও মুরতাদ ও তাগুত মনে করেন।

    তবে আওয়ামী লীগ এর প্রত্যেক সদস্য / সমর্থককে তারা তাকফীর করেন না বলেই আমার মনে হয়েছে। আল্লাহু আ'লাম।
    কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

    Comment


    • #3
      আমরা বংলাদেশের সাধারন মুসলমান কে তাকফির করি না। তদের মধ্যে গনতন্ত্রের ব্যাপারে অজ্ঞতা রয়েছে।
      যখন কিনা এই ব্যাপারে উলামারা হক বয়ান করছেন না , তখন তাদের এই অজ্ঞতার অজর গ্রহন করার প্রয়োজনীয়ত আরো বেড়ে যায়।
      তাই জামাতে ইসলামের সাধারন সদস্যদেরকে আমরা মুসলমান মনে করি, যদিও তাদের লিডারদের মধ্যে কিছু ভ্রান্তি রয়েছে।
      তাকফীরের ব্যাপারে যুগে যুগে আহলে সুন্নহরাই সতর্কতা অবলম্বন করে থকে। আর খারেজীর তাকফির করাকে মামুলি ব্যাপারে মনে করে ধালাও ভাবে মুসলিম জনগনকে তাকফীর করে থকে।
      আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই ফিতনা থেকে রক্ষা করুন।

      Comment


      • #4
        আসসালাম, আমার একটা প্রশ্ন ছিল।
        শিবিরের এক ভাই বলল তারা জিহাদ কে দাওয়াতের একটা অংশ মনে করে। যুদ্ধ ব্যাপারটা কে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে। যুদ্ধ' এবং 'জিহাদ' সমার্থক নয়। 'যুদ্ধ' (হারব, কিতাল, war)। মারামারি, কাটাকাটি জিহাদ নয়...মানে সশস্র যুদ্ধ জিহাদ নয়। জিহাদ হচ্ছে ভালো কাজের আদেশ, মন্দ কাজের নিষেদের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করা। আমি মডারেট মুসলিম, সঠিক জানি না, তবে এটা জানি কোরআনে জিহাদ কথাটা সরাসরি এসেছে, তাই এ সম্বন্ধে তাকে কিছু বলতে পারিনি।
        জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। জাযাকাল্লাহ।

        Comment


        • #5
          অবশেষে আইএসের খারেজী ধ্যান ধারানা সকলের সামনে প্রকাশ হয় গেলো। তারা সাধারণ মুসলিমদের ব্যাপকভাবে কাফের আখ্যায়িত করে। যেমন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর সকল সদস্যকে। এই দাবিক ম্যাগাজিনে সাধারণ মুসলিমদের কাফের আখ্যাদানের মাধ্যমে তাদের খারেজী চিন্তাধারা ও কর্মকান্ড সকলের সামনে স্পষ্ট হলো আরো একবার।
          এই হলো আইএসের তাকফীরি মতবাদ।

          তারা বললো যে এ অঞ্চলের মুজাহিদিনরা জনপ্রিয়তার জন্য সালাফের পথ ছেড়ে হানাফী মাযহাব গ্রহণ করছে এবং এজন্য তারা মুতাওয়াতের সুন্নাহকে পরিত্যাগ করেছে--
          এখানে তারা হানাফী মাযহাব গ্রহণ করাকে সালাফের পথ ছেড়ে দেয়া এবং মুতওয়াতির সুন্নাহকে পরিত্যাগ করা বললো। তার মানে তারা মাযহাব গ্রহণ করাকে পথ ভ্রষ্টতা এবং মুতাওয়াতির সুন্নাহ পরিত্যাগ করা হিসেবে বলে থাকে।

          প্রিয় ভাই! আপনারা জানেন যে, ইসলামের গৌরবময় দীর্ঘ ১২০০ বছরের উমাইয়া ও উসমানী শাসন মাযহাব অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে। এ সময়ের সকল মুসলিম শাসক, আলেম-উলামা, উম্মাহর শ্রেষ্ঠ মনীষীগণ এবং সাধারণ মুসলিম জনগণ মাযহাব অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে। তাহলে কি এই খারেজীরা ১২০০ বছরেরর সকল মুসলমানদেরকে, মুসলমানদের সম্মানিত আলেম ও ইমামদেরকে পথভ্রষ্ট মনে করে?

          قال شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله: "الخوارج دينهم المعظم مفارقة جماعة المسلمين، واستحلال دمائهم وأموالهم". مجموع الفتاوى
          শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়াহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, খারেজীদের বড় ধর্ম হলো মুসলমানদের জামায়াতে বিভক্তি সৃষ্টি করা। এবং মুসলমানদের রক্ত (প্রবাহিত করা) ও সম্পদ (গ্রাসা করাকে) হালাল মনে করা।

          শেষ বিচারের দিন সকলে তার উপযুক্ত জাযা পাবে।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ

            Comment


            • #7
              Black Flag ভাই,

              শরিয়ত প্রনেতারা জিহাদের অর্থ করেছেন কিতাল। যেটার ব্যপারে কুরান-হাদিসের অসঙ্খ দলিল রয়েছে। এই অর্থ ছাড়া অন্য কিছু নেয়াতে ঈমানের মধ্যে ঘাটতি চলে আসবে।

              জিহাদ কে দাওয়াতের একটা অংশ মনে করা ভূলঃ কেননা অনেক জিহাদ দাওয়াত ছাড়াই হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর নবীর শেষ সময়কার দাওয়াত যা একমাত্র পালন যোগ্য তা জিহাদের নিয়ত ছাড়া হয়নি।

              যাই হোক, কিতাল বর্তমানে মৌলিক ফরজে আইন। কোন ভাবেই তা ছাড়া যাবে না।

              Comment


              • #8
                jajakallah vai

                Comment

                Working...
                X