নিচে জামাতুল বাগদাদির খিলাফাহ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত যুক্তি নিয়ে শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনি হাফিযাহুল্লাহ-র বক্তব্য এবং তাঁর আলোকে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা তুলে ধরা হল। প্রথমে আমরা শাইখের বক্তব্য উপস্থাপন করবো এবং তারপর তাঁর বক্তব্য, জামাতুল বাগদাদির বক্তব্য এবং আলোচ্য বিষয়ে আহলুস সুন্নাহ-র অবস্থানের আলোকে বর্তমান অবস্থার একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরবো।
জামাতুল বাগদাদির যুক্তিখন্ডনঃ ১
আল-বাগদাদি একজন মুতাঘাল্লিব*
শাইখ আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি
[*তাঘাল্লুব, ইমাম মুতাঘাল্লীব এবং আনুগত্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা, শাইখের বক্তব্যের সমাপ্ত হবার পর সংযুক্ত করা হয়েছে]
যখন বলা হয়েছিল আল-বাগদাদির “খিলাফাহ” মুসলিমদের মধ্যে শূরার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় নি, জবাবে আল-আদনানি বলেছিল “তরবারির অগ্রভাগ দিয়ে জোরপূর্বক আমরা এই খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করেছি”। তাদের [জামাতুল বাগদাদির] প্রশ্ন হল, তারা কতৃত্ব অর্জন করেছে আর শারীয়াহ দ্বারা শাসন করেছে, তাহলে কেন আমরা তাদের আনুগত্য মেনে নিচ্ছি না?
এর জবাব হলঃ
১। আল-বাগদাদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু এলাকা জয় করতে সক্ষম হয়েছে, সকল মুসলিম ভূমি না।
২। আমরা জামাতুল বাগদাদির জিজ্ঞেস করতে চাই, তোমরা কি আল-বাগদাদিকে খালিফাহ মনে করো? নাকি ইমাম মুতাঘাল্লীব [জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী নেতা] মনে করো? যদি সে খালিফাহ হয়ে থাকে, তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মানহাজের উপর নেই। কারণ খিলাফাহ (মুসলিমদের উপর জোর খাঁটিয়ে) প্রতিষ্ঠা করা হয় না।
৩। যদি সে আসলে ইমাম মুতাঘাল্লীব হয়ে থাকে, তাহলে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, আহলুল ‘ইলমের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা বলেছেন মুতাঘাল্লীব ব্যক্তি ফাসেক। ইবন হাজার আল-হায়তামী, আল-সাওয়া’ইক্ব আল মুহরিক্বা [যা শি’আদের যুক্তিখন্ডনের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছিল] কিতাবের ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় বলেছেন:
মুতাঘাল্লীব শাসক একজন ফাসেক ব্যক্তি যাকে শাস্তি দেয়া উচিত। সে যাদের উপর শক্তি অর্জন করেছে তাঁদেরকে নাসীহাহ করা এবং আমর বিল মারুফের কোন যোগ্যতা রাখে না। বরং তাঁকে প্রত্যাখ্যান ও কাবু করা উচিত, এবং তার অন্যায় এবং নিন্দনীয় অবস্থা সম্পর্কে মানুষকে অবশ্যই জানাতে হবে।
যদি তোমরা দাবি করো যে আল-বাগদাদি একজন ইমাম মুতাঘাল্লীব/মুতাঘাল্লীব শাসক, তাহল তোমাদের তার ফাসেকী এবং তার ফাসেক হওয়াকে স্বীকার করে নেয়া উচিত। তোমরা কি এটা স্বীকার করবে? যারাই বলছে এই খিলাফাহ তাঘাল্লুবের [বলপ্রয়োগে কতৃত্ব অর্জন] মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা প্রকৃত পক্ষে এই দাবিই করছে যে আল-বাগদাদি হল এক ফাসেক ব্যক্তি।
৪। আহলুল ‘ইলমের বক্তব্য হল, কোন মুসলিমের উচিত না একজন মুতাঘাল্লীব শাসককে সাথে যুক্ত হওয়া কিম্বা তাকে সমর্থন করা। তাহলে কেন তোমরা আল-বাগদাদীর ভূমিতে মুসলিমদের হিজরত করার জন্য আহবান জানাচ্ছো?
বরং সমীচিন হল এটিই যে আল-বাগদাদিকে শক্তিপ্রয়োগে ঐ সব অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করতে হবে যেগুলোর উপর সে সম্পূর্ণ কতৃত্ব অর্জন করে নি। একারণে, শামের দলসমূহকে অবশ্যই বাগদাদিকে প্রতিহত ও বিতাড়িত করতে হবে, কারণ সে একজন ফাসেক ও মুতাঘাল্লীব।
[শাইখের বক্তব্য সমাপ্ত]
_
সম্পূর্ণ লেখাটা পড়তে ক্লিক করুনঃ https://tinyurl.com/jumrf5f
জামাতুল বাগদাদির যুক্তিখন্ডনঃ ১
আল-বাগদাদি একজন মুতাঘাল্লিব*
শাইখ আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি
[*তাঘাল্লুব, ইমাম মুতাঘাল্লীব এবং আনুগত্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা, শাইখের বক্তব্যের সমাপ্ত হবার পর সংযুক্ত করা হয়েছে]
যখন বলা হয়েছিল আল-বাগদাদির “খিলাফাহ” মুসলিমদের মধ্যে শূরার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় নি, জবাবে আল-আদনানি বলেছিল “তরবারির অগ্রভাগ দিয়ে জোরপূর্বক আমরা এই খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করেছি”। তাদের [জামাতুল বাগদাদির] প্রশ্ন হল, তারা কতৃত্ব অর্জন করেছে আর শারীয়াহ দ্বারা শাসন করেছে, তাহলে কেন আমরা তাদের আনুগত্য মেনে নিচ্ছি না?
এর জবাব হলঃ
১। আল-বাগদাদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু এলাকা জয় করতে সক্ষম হয়েছে, সকল মুসলিম ভূমি না।
২। আমরা জামাতুল বাগদাদির জিজ্ঞেস করতে চাই, তোমরা কি আল-বাগদাদিকে খালিফাহ মনে করো? নাকি ইমাম মুতাঘাল্লীব [জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী নেতা] মনে করো? যদি সে খালিফাহ হয়ে থাকে, তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মানহাজের উপর নেই। কারণ খিলাফাহ (মুসলিমদের উপর জোর খাঁটিয়ে) প্রতিষ্ঠা করা হয় না।
৩। যদি সে আসলে ইমাম মুতাঘাল্লীব হয়ে থাকে, তাহলে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, আহলুল ‘ইলমের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা বলেছেন মুতাঘাল্লীব ব্যক্তি ফাসেক। ইবন হাজার আল-হায়তামী, আল-সাওয়া’ইক্ব আল মুহরিক্বা [যা শি’আদের যুক্তিখন্ডনের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছিল] কিতাবের ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় বলেছেন:
মুতাঘাল্লীব শাসক একজন ফাসেক ব্যক্তি যাকে শাস্তি দেয়া উচিত। সে যাদের উপর শক্তি অর্জন করেছে তাঁদেরকে নাসীহাহ করা এবং আমর বিল মারুফের কোন যোগ্যতা রাখে না। বরং তাঁকে প্রত্যাখ্যান ও কাবু করা উচিত, এবং তার অন্যায় এবং নিন্দনীয় অবস্থা সম্পর্কে মানুষকে অবশ্যই জানাতে হবে।
যদি তোমরা দাবি করো যে আল-বাগদাদি একজন ইমাম মুতাঘাল্লীব/মুতাঘাল্লীব শাসক, তাহল তোমাদের তার ফাসেকী এবং তার ফাসেক হওয়াকে স্বীকার করে নেয়া উচিত। তোমরা কি এটা স্বীকার করবে? যারাই বলছে এই খিলাফাহ তাঘাল্লুবের [বলপ্রয়োগে কতৃত্ব অর্জন] মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা প্রকৃত পক্ষে এই দাবিই করছে যে আল-বাগদাদি হল এক ফাসেক ব্যক্তি।
৪। আহলুল ‘ইলমের বক্তব্য হল, কোন মুসলিমের উচিত না একজন মুতাঘাল্লীব শাসককে সাথে যুক্ত হওয়া কিম্বা তাকে সমর্থন করা। তাহলে কেন তোমরা আল-বাগদাদীর ভূমিতে মুসলিমদের হিজরত করার জন্য আহবান জানাচ্ছো?
বরং সমীচিন হল এটিই যে আল-বাগদাদিকে শক্তিপ্রয়োগে ঐ সব অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করতে হবে যেগুলোর উপর সে সম্পূর্ণ কতৃত্ব অর্জন করে নি। একারণে, শামের দলসমূহকে অবশ্যই বাগদাদিকে প্রতিহত ও বিতাড়িত করতে হবে, কারণ সে একজন ফাসেক ও মুতাঘাল্লীব।
[শাইখের বক্তব্য সমাপ্ত]
_
সম্পূর্ণ লেখাটা পড়তে ক্লিক করুনঃ https://tinyurl.com/jumrf5f
Comment