Announcement

Collapse
No announcement yet.

যারা বলেন গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলছি-

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যারা বলেন গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলছি-

    যারা বলেন গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলছি-

    শাব্দিক অর্থে গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের তন্ত্র/বিধান/আইন এবং শাসন। গন অর্থ জনগণ আর আর তন্ত্র অর্থ হচ্ছে বিধান/আইন এবং শাসন। এককথায় জনগণ যেখানে সকল ক্ষমতার উৎস সেটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থায় জনগণই আইন তৈরি করবে এবং জনগণই জনগণের শাসন কার্য পরিচালনা করবে। গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। গণতন্ত্রে জনতার ইচ্ছাই হল আইন এবং শাসন। কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ, কোনটা হালাল, কোনটা হারাম, কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায় এই সবকিছু নির্ধারণ করার একমাত্র উৎস হচ্ছে জনগণের মত বা ইচ্ছা। জনগণ যেটাকে বৈধ মনে করবে সেটাই বৈধ হবে। আর যেটাকে অবৈধ মনে করবে সেটাই অবৈধ হবে। এখানে কুরআন-হাদিস কি বলল সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। নাউজুবিল্লাহ। এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে Parliament can do anything except a man a woman and woman a man.

    এ কারণেই গণতন্ত্র সম্পর্কে এ পর্যন্ত যত সংজ্ঞা পাওয়া গেছে তার মধ্যে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞাটাকেই বিশ্ববাসী গণতন্ত্রের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে "Government of the people, by the people and for the people." অর্থাৎ গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের জন্য জনগণ দ্বারা পরিচালিত জনগণের সরকার।

    আর এই গণতন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন হচ্ছে মূল এবং একমাত্র পথ। মানবদেহের সঙ্গে মাথার যে সম্পর্ক গণতন্ত্রের সঙ্গে নির্বাচনের সেই সম্পর্ক। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা আর মাথা ছাড়া মানুষ কল্পনা করা সমান কথা। হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি জনগণ কখনোই সরাসরি রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। এত অধিক সংখ্যক লোক কখনোই কোন বিষয়ে তাদের মত প্রকাশপূর্বক স্বল্পতম সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না। এজন্যই গণতন্ত্রের ফাংশানিংয়ের জন্য জনগণের প্রতিনিধি নির্ধারণ করা একান্ত অপরিহার্য। গণতন্ত্রে প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণ তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। প্রতিনিধির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে, শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং প্রতিটা সরকারি কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। জনপ্রতিনিধি ছাড়া গণতন্ত্র হচ্ছে একটি অলীক কল্পনা মাত্র। আর এই প্রতিনিধি নির্ধারণের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ভিন্ন গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নেই। কাজেই যারা বলেন গণতন্ত্র আর নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলব নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের একটা মডেল আবিষ্কার করে দেখান।

    অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকাল আলেম নামধারী/দাবিদার একদল আত্মপ্রবঞ্চক শাইখ গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় এ ধরনের উদ্ভট যুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের লাইফ ব্লাড নির্বাচনকে ইসলামের পোশাক পড়াতে চাইছেন। আত্মপ্রবঞ্চিত এ সকল উলামা/শাইখদের নিকট আমার প্রশ্ন হচ্ছে –

    ১. নির্বাচন যদি মুসলমানদের নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি হয় তাহলে এই নির্বাচনে কাফের মুশরিক কি ভোট দিতে পারবে ?
    ২. মুসলিম ভূখন্ডে কাফের মুশরিকদের
    কোনপ্রকার রাজনৈতিক অধিকার কি শরীয়াহ অনুমোদন করে ?
    ৩. মুসলিম নেতা নির্বাচনে বা কোন মুসলিম ভূখন্ডে কি কাফের মুশরিক প্রার্থী হতে পারবে ?
    ৪. এসকল নির্বাচনে নির্বাচিত নেতারা কোন আইনের অধীনে নেতৃত্ব দিবেন ? আল্লাহ তাআলার আইনে নাকি মানুষের আইনে ?


    আরোও কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন না করলেই নয় । যেমন ধরুন -

    ১। কোন মুসলিমের জন্য পদ চেয়ে নেওয়া কি জায়েজ আছে ?
    ২। কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে অপর মুসলিমের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কি জায়েজ আছে ?
    ৩। আবার শাসক যদি মুসলিম হয় তাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য নির্বাচন করা কি জায়েজ আছে ?
    ৪। আর শাসক যদি কাফের হয় তাহলে তাঁর সাথে নির্বাচন করা কি জায়েজ আছে ?

    মহান রাব্বুল আলামিন উম্মাহকে এ ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
    এসো জিহাদ শিখি

  • #2
    মাশাআল্লাহ খুবি যুগোপযোগী লিখা । আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সকল মুসলমান ভাইদের এই সকল ফেতনা থেকে হেফাজত করুন , আমীন ।

    Comment


    • #3
      এ সকল শায়খগন গনতন্ত্রকে প্রতিরোধ না করে গনতন্ত্রকে বলবত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

      Comment


      • #4
        জাজাকাল্লাহ ভাই। আপনার লিখনির দ্বারা উপকৃত হলাম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে দ্বীন কায়েমের সঠিক পথ অনুযায়ী পরিচালিত করুন। এবং সকল আহলে ইলম ও দা'য়ী ভাইদের কে আল্লাহ তায়ালা সৎ সাহস ও আল্লাহর কালেমা উঁচু করার জন্যে প্রাণ উৎসর্গ করার তাওফিক দান করুন। আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন।

        Comment


        • #5
          মাশাল্লাহ। উত্তম একটি পোস্ট।
          আল্লাহর নিকট ইসলাম ব্যাতিত কোনো তন্ত্র মন্ত্রের মূল্য নেই।
          গণতন্ত্র একটি ধর্ম ইসলাম একটি ধর্ম। সুতরাং একসাথে দুইটি কোনোদিন সম্ভব নয়।
          ইসলামের কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ গণতন্ত্রের কালিমা লা ইলাহা ইল্লান্নাস। (নাউজুবিল্লাহ)
          সুতরাং আমরা আল্লাহর গোলাম ইসলাম ব্যাতিত কোনো নাপাক ধর্ম তন্ত্র মন্ত্র আমরা মানি না। আর মান্যও করি না আর করব ও না ইনশাআল্লাহু তায়ালা।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ ভাই আল্লাহ তাআলা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন আমীন

            Comment


            • #7
              আমিন । ইয়া রাব্বাল আলামিন।
              এসো জিহাদ শিখি

              Comment


              • #8
                যদিও মেনে নেওয়া হয় যে নির্বাচন আর গনতন্ত্র এক নয় তার পরেও এই নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রকে বহাল রাখা হচ্ছে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার ফলে গনতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করা যাচ্ছে না বরং এখানেও গনতন্ত্রকে বহাল রাখা হচ্ছে তাই এই নির্বাচনটি গনতন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত একটি জিনিস তাই এটি সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
                পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                Comment


                • #9
                  মা শা আল্লাহ।জাযাকাল্লাহ ভাই।
                  আল্লাহ পাক আপনার খেদমতকে কবুল ও মঞ্জুর করুন। আমীন।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল ভাইদের খেদমতকে কবুল ও মঞ্জুর করুন। আমীন।ইয়া রাব্বাল আলামিন।
                    এসো জিহাদ শিখি

                    Comment


                    • #11
                      গণতন্ত্রে জনতার ইচ্ছাই হল আইন এবং শাসন। কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ, কোনটা হালাল, কোনটা হারাম, কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায় এই সবকিছু নির্ধারণ করার একমাত্র উৎস হচ্ছে জনগণের মত বা ইচ্ছা। জনগণ যেটাকে বৈধ মনে করবে সেটাই বৈধ হবে। আর যেটাকে অবৈধ মনে করবে সেটাই অবৈধ হবে। এখানে কুরআন-হাদিস কি বলল সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। নাউজুবিল্লাহ। এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে Parliament can do anything except a man a woman and woman a man.
                      মনে হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার আইন করে ঐ অসাধ্যটাকেও সাধন করে ফেলবে

                      Comment


                      • #12
                        মহান রাব্বুল আলামিন উম্মাহকে এ ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
                        আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

                        Comment


                        • #13
                          "মনে হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার আইন করে ঐ অসাধ্যটাকেও সাধন করে ফেলবে"

                          যে গণতন্ত্র দিয়ে মদ, সুদ, জিনা সহ আল্লাহ তাআলা কর্তৃক হারামকৃত অসংখ্য বিষয়কে হালাল করা হয়েছে সেই গণতন্ত্র দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার হালাল করা তো সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখানে কোন দল ক্ষমতায় এটা কোন বিষয় নয়। কারণ মদ, সুদ, জিনা বিএনপি-জামাত জোট সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও হালাল ছিল।

                          এসো জিহাদ শিখি

                          Comment


                          • #14
                            মুজাহিদ ভাইদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, দল/ সংগঠন ছেড়ে না। অনেক সাথীই প্রথম দিকে খুব গতি নিয়ে কাজ করে। অনেক অনেক আবেগী কথাবার্তা বলে বেড়ায়। যখনই কোন কষ্ট সামনে তখন থেকেই সড়তে শুরু করে। আসলে, এমন সাথী ভাইদের দুই অবস্থা, হয়ত ত্বাগুতের ভয়ের কারণে এমনটা করে, ২য়ত হচ্ছে শুরু থেকেই ( জিহাদ) কাজ না বুঝা। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আমিন। ভাইয়েরা, ত্বালিবান মুজাহিদ ভাইয়েরা,আমাদের জন্য মিছাল হতে পারে। তারা ন্যাটো ইউএস,পাকিস্তান, দেশিয় ত্বাগুতদের মুকাবলা করেছেন। চিন্তা করুন একবার এর তুলনায় বাংলাদেশের আর্মি থেকে আনছার পর্যন্ত কিছুই না। কী পরিমাণ নির্যাতন ত্বালিব ভাইদের উপর গেছে। ভাইয়েরা, মৃত্যু সুনিশ্চিত, জিহাদ ছেড়ে চলে গেলেও কিন্তু মরতে হবে।
                            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-26-2024, 09:59 AM.

                            Comment

                            Working...
                            X