যারা বলেন গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলছি-
শাব্দিক অর্থে গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের তন্ত্র/বিধান/আইন এবং শাসন। গন অর্থ জনগণ আর আর তন্ত্র অর্থ হচ্ছে বিধান/আইন এবং শাসন। এককথায় জনগণ যেখানে সকল ক্ষমতার উৎস সেটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থায় জনগণই আইন তৈরি করবে এবং জনগণই জনগণের শাসন কার্য পরিচালনা করবে। গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। গণতন্ত্রে জনতার ইচ্ছাই হল আইন এবং শাসন। কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ, কোনটা হালাল, কোনটা হারাম, কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায় এই সবকিছু নির্ধারণ করার একমাত্র উৎস হচ্ছে জনগণের মত বা ইচ্ছা। জনগণ যেটাকে বৈধ মনে করবে সেটাই বৈধ হবে। আর যেটাকে অবৈধ মনে করবে সেটাই অবৈধ হবে। এখানে কুরআন-হাদিস কি বলল সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। নাউজুবিল্লাহ। এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে Parliament can do anything except a man a woman and woman a man.
এ কারণেই গণতন্ত্র সম্পর্কে এ পর্যন্ত যত সংজ্ঞা পাওয়া গেছে তার মধ্যে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞাটাকেই বিশ্ববাসী গণতন্ত্রের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে "Government of the people, by the people and for the people." অর্থাৎ গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের জন্য জনগণ দ্বারা পরিচালিত জনগণের সরকার।
আর এই গণতন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন হচ্ছে মূল এবং একমাত্র পথ। মানবদেহের সঙ্গে মাথার যে সম্পর্ক গণতন্ত্রের সঙ্গে নির্বাচনের সেই সম্পর্ক। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা আর মাথা ছাড়া মানুষ কল্পনা করা সমান কথা। হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি জনগণ কখনোই সরাসরি রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। এত অধিক সংখ্যক লোক কখনোই কোন বিষয়ে তাদের মত প্রকাশপূর্বক স্বল্পতম সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না। এজন্যই গণতন্ত্রের ফাংশানিংয়ের জন্য জনগণের প্রতিনিধি নির্ধারণ করা একান্ত অপরিহার্য। গণতন্ত্রে প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণ তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। প্রতিনিধির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে, শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং প্রতিটা সরকারি কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। জনপ্রতিনিধি ছাড়া গণতন্ত্র হচ্ছে একটি অলীক কল্পনা মাত্র। আর এই প্রতিনিধি নির্ধারণের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ভিন্ন গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নেই। কাজেই যারা বলেন গণতন্ত্র আর নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলব নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের একটা মডেল আবিষ্কার করে দেখান।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকাল আলেম নামধারী/দাবিদার একদল আত্মপ্রবঞ্চক শাইখ গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় এ ধরনের উদ্ভট যুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের লাইফ ব্লাড নির্বাচনকে ইসলামের পোশাক পড়াতে চাইছেন। আত্মপ্রবঞ্চিত এ সকল উলামা/শাইখদের নিকট আমার প্রশ্ন হচ্ছে –
১. নির্বাচন যদি মুসলমানদের নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি হয় তাহলে এই নির্বাচনে কাফের মুশরিক কি ভোট দিতে পারবে ?
২. মুসলিম ভূখন্ডে কাফের মুশরিকদের কোনপ্রকার রাজনৈতিক অধিকার কি শরীয়াহ অনুমোদন করে ?
৩. মুসলিম নেতা নির্বাচনে বা কোন মুসলিম ভূখন্ডে কি কাফের মুশরিক প্রার্থী হতে পারবে ?
৪. এসকল নির্বাচনে নির্বাচিত নেতারা কোন আইনের অধীনে নেতৃত্ব দিবেন ? আল্লাহ তাআলার আইনে নাকি মানুষের আইনে ?
আরোও কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন না করলেই নয় । যেমন ধরুন -
১। কোন মুসলিমের জন্য পদ চেয়ে নেওয়া কি জায়েজ আছে ?
২। কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে অপর মুসলিমের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কি জায়েজ আছে ?
৩। আবার শাসক যদি মুসলিম হয় তাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য নির্বাচন করা কি জায়েজ আছে ?
৪। আর শাসক যদি কাফের হয় তাহলে তাঁর সাথে নির্বাচন করা কি জায়েজ আছে ?
মহান রাব্বুল আলামিন উম্মাহকে এ ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
শাব্দিক অর্থে গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের তন্ত্র/বিধান/আইন এবং শাসন। গন অর্থ জনগণ আর আর তন্ত্র অর্থ হচ্ছে বিধান/আইন এবং শাসন। এককথায় জনগণ যেখানে সকল ক্ষমতার উৎস সেটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থায় জনগণই আইন তৈরি করবে এবং জনগণই জনগণের শাসন কার্য পরিচালনা করবে। গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। গণতন্ত্রে জনতার ইচ্ছাই হল আইন এবং শাসন। কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ, কোনটা হালাল, কোনটা হারাম, কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায় এই সবকিছু নির্ধারণ করার একমাত্র উৎস হচ্ছে জনগণের মত বা ইচ্ছা। জনগণ যেটাকে বৈধ মনে করবে সেটাই বৈধ হবে। আর যেটাকে অবৈধ মনে করবে সেটাই অবৈধ হবে। এখানে কুরআন-হাদিস কি বলল সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। নাউজুবিল্লাহ। এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে Parliament can do anything except a man a woman and woman a man.
এ কারণেই গণতন্ত্র সম্পর্কে এ পর্যন্ত যত সংজ্ঞা পাওয়া গেছে তার মধ্যে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞাটাকেই বিশ্ববাসী গণতন্ত্রের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে "Government of the people, by the people and for the people." অর্থাৎ গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের জন্য জনগণ দ্বারা পরিচালিত জনগণের সরকার।
আর এই গণতন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন হচ্ছে মূল এবং একমাত্র পথ। মানবদেহের সঙ্গে মাথার যে সম্পর্ক গণতন্ত্রের সঙ্গে নির্বাচনের সেই সম্পর্ক। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা আর মাথা ছাড়া মানুষ কল্পনা করা সমান কথা। হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি জনগণ কখনোই সরাসরি রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। এত অধিক সংখ্যক লোক কখনোই কোন বিষয়ে তাদের মত প্রকাশপূর্বক স্বল্পতম সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না। এজন্যই গণতন্ত্রের ফাংশানিংয়ের জন্য জনগণের প্রতিনিধি নির্ধারণ করা একান্ত অপরিহার্য। গণতন্ত্রে প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণ তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। প্রতিনিধির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে, শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং প্রতিটা সরকারি কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। জনপ্রতিনিধি ছাড়া গণতন্ত্র হচ্ছে একটি অলীক কল্পনা মাত্র। আর এই প্রতিনিধি নির্ধারণের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ভিন্ন গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নেই। কাজেই যারা বলেন গণতন্ত্র আর নির্বাচন এক জিনিস নয় তাদেরকে বলব নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের একটা মডেল আবিষ্কার করে দেখান।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকাল আলেম নামধারী/দাবিদার একদল আত্মপ্রবঞ্চক শাইখ গণতন্ত্র এবং নির্বাচন এক জিনিস নয় এ ধরনের উদ্ভট যুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের লাইফ ব্লাড নির্বাচনকে ইসলামের পোশাক পড়াতে চাইছেন। আত্মপ্রবঞ্চিত এ সকল উলামা/শাইখদের নিকট আমার প্রশ্ন হচ্ছে –
১. নির্বাচন যদি মুসলমানদের নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি হয় তাহলে এই নির্বাচনে কাফের মুশরিক কি ভোট দিতে পারবে ?
২. মুসলিম ভূখন্ডে কাফের মুশরিকদের কোনপ্রকার রাজনৈতিক অধিকার কি শরীয়াহ অনুমোদন করে ?
৩. মুসলিম নেতা নির্বাচনে বা কোন মুসলিম ভূখন্ডে কি কাফের মুশরিক প্রার্থী হতে পারবে ?
৪. এসকল নির্বাচনে নির্বাচিত নেতারা কোন আইনের অধীনে নেতৃত্ব দিবেন ? আল্লাহ তাআলার আইনে নাকি মানুষের আইনে ?
আরোও কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন না করলেই নয় । যেমন ধরুন -
১। কোন মুসলিমের জন্য পদ চেয়ে নেওয়া কি জায়েজ আছে ?
২। কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে অপর মুসলিমের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কি জায়েজ আছে ?
৩। আবার শাসক যদি মুসলিম হয় তাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য নির্বাচন করা কি জায়েজ আছে ?
৪। আর শাসক যদি কাফের হয় তাহলে তাঁর সাথে নির্বাচন করা কি জায়েজ আছে ?
মহান রাব্বুল আলামিন উম্মাহকে এ ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
Comment