Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইউটিউব ফিতনায় নতুন মোড় তৈরি হচ্ছে || ছোট নয় বরং হাইওয়ে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইউটিউব ফিতনায় নতুন মোড় তৈরি হচ্ছে || ছোট নয় বরং হাইওয়ে



    حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ الأُوَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَ أَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رَضِيَ اللّٰه عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏سَتَكُونُ فِتَنٌ، الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَ الْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَ الْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، وَ مَنْ يُشْرِفْ لَهَا تَسْتَشْرِفْهُ، وَ مَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَعُذْ بِهِ‏"‏‏.‏ (بخاري و مسلم)
    আবদুল আযীয ওয়াইসী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অচিরেই অসংখ্য সর্বগ্রাসী ফিতনা ফাসাদ আসতে থাকবে। ঐ সময় বসা ব্যক্তি দাঁড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে, দাঁড়ানো ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে, চলমান ব্যক্তি ধৌড়াতে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে। যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে চোখ তুলে তাকাবে ফিতনা তাকে গ্রাস করবে। তখন যদি কোনো ব্যক্তি নিরাপদ আশ্রয় পায়, তবে যেন সে সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করে। (বোখারী, মুসলিম)




    حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسٰى الْقَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أُمِّ مَالِكٍ الْبَهْزِيَّةِ قَالَتْ : ذَكَرَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صلى الله عليه وسلم فِتْنَةً فَقَرَّبَهَا قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ مَنْ خَيْرُ النَّاسِ فِيْهَا ؟ قَالَ ‏"‏ رَجُلٌ فِي مَاشِيَتِهِ يُؤَدِّي حَقَّهَا وَ يَعْبُدُ رَبَّهُ وَ رَجُلٌ آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ يُخِيفُ الْعَدُوَّ وَيُخِيفُونَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسٰى وَ فِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ وَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَ قَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ أُمِّ مَالِكٍ الْبَهْزِيَّةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال الشيخ الألباني صحيح
    ইমরান ইবন মূসা কাযযায বাসরী (রহঃ) ........ উম্মে মালেক বাহযিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সমস্ত ফিতনা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করলেন যেগুলো অত্যন্ত নিকটবর্তী। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, তখন সর্বোত্তম ব্যক্তি কে হবেন ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
    ওয়াসাল্লাম বললেন,
    • এক ব্যক্তি হল সে, যে তার পশুপালের মাঝে অবস্থান করবে এবং এগুলোর হক আদায় করবে আর তার রবের ইবাদত করবে।
    • আরেক জন হল সেই ব্যক্তি যে তার ঘোড়ার লাগাম ধরে থাকবে তথা সর্বদা জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকবে এবং আল্লাহ ও নিজের শত্রুদেরকে ভয় দেখাবে আর শত্রুরাও তাকে ভয় দেখাবে।




    নতুন একটি ফেতনা ব্যাপক আকার ধারণ হওয়ার পথে-

    সামাজিক গণমাধ্যম ইউটিউবকে তো আমরা সকলেই চিনি। এই ইউটিউবে মানুষ ভিডিও আপলোড করে, তাতে এড শো করিয়ে বিপুল পরিমাণ হারাম অর্থ উপার্জন করছে। ইউটিউবের দেখা-দেখি ফেইসবুকও এই এড শো করা শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী একেকজন ভিডিও ক্রিয়েটর প্রতি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় বিশ কোটি টাকা ইনকাম করে ও সর্বনিম্ন প্রায় এগারো হাজার টাকা। আপনি গুগলে দেখতে পাবেন ইউটিউবের নিজস্ব ইনকাম ২৮.৮৪ বিলিয়ন; যেখানে বাংলাদেশের ৪.৫ বিলিয়ন প্রয়োজন! এই বিপুল পরিমাণ হারাম অর্থের নেশা মানুষকে প্রতিনিয়তই বিশেষ করে ইউটিউবের দিকে ধাবিত করছে। আপনার কোনো টেলেন্টের প্রয়োজন নেই, ভালো একটা মোবাইল আর আপনি প্রতিদিন যা করেন তা ভিডিও করে আপলোড দিয়ে দিবেন, এতটুকুই যথেষ্ট। এটাকে বলে Vlog Video । ইউটিউব পর্যায়ক্রমে প্রতিটা দেশে ইভেন্ট করছে, এই বিষয়ের প্রতি সাধারণ মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছে। স্কুল-কলেজে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। পাঠ্য-পুস্তকে এই বিষয়গুলো যুক্ত করা হচ্ছে। এমনকি আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন তবে দেখবেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের এই ক্রাইসিস অবস্থায় টিভি চ্যানেলগুলো সাধারণ মানুষকে ফ্রিলেন্সিং করে টাকা উপার্জন করতে ব্যাপক উদ্ভুদ্ধ করছে যা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। আপনি যদি একজন গেইম প্রিয় মানুষও হয়ে থাকেন তবে প্রতিদিন আপনি যা গেইম খেলেন তা রেকর্ড করে আপলোড দিয়ে দিবেন, এটাও যথেষ্ট। এমন করে কন্টেন্টের প্রকারভেদে কোনো শেষ নেই।

    এর খারাপ প্রভাব অলরেডি সমাজে পড়তে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ বাস্তব জীবনের আকস্মিক ঘটনাগুলো দেখতে বেশ পছন্দ করে থাকে, যেমনঃ একজন পাঁচ তালার উপর থেকে লাফ দিবে, রাস্তার পাশে ঝগড়া, অশ্লীল কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতে-নাতে ধরা... ইত্যাদি। ইদানিং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে এমন করে অভিনয় করে ভিডিও বানাচ্ছে যে সাধারণ মানুষ মনে করছে তা সত্য। একবার চিন্তা করুন ইউটিউব, ফেইসবুক কে না ইউজ করে? এরমধ্য থেকে যদি ১০%-ও নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের Vlog Video বানানো শুরু করে তবে কি দশা হবে? আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে থাকবেন, আপনার অজান্তেই আপনি হারামিদের ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যাবেন। ভিডিও বানানোর জন্য নিজের বউকে দিয়ে কি না করাচ্ছে! ফ্রাংকের নামে মানুষকে যত্রতত্র হেনস্তা করা হচ্ছে। হেনস্তার শিকার হয়ে যখন ভিক্টিম রাগান্বিত হয় তখন বলে ফ্রাংক চলছে, বেস্ ভিক্টিম অনিচ্ছায় একটা মলিন হাসি দিয়ে দিল। কি এক অস্বাস্থ্যকর ভয়ংকর অবস্থা। একটি হিন্দি চ্যানেলে দেখা গেল ভিউ পাওয়ার জন্য ঘরের ভিতরের মা ও মেয়ের মধ্যকার ঝগড়া ভিডিও করে ছোটভাই আপলোড দিয়েছে। ছিহ্ কত নিম্ন পর্যায়ের ঘৃণ্য কাজ।

    যে গোনাহ এতদিন গোপনে বা এক-দু'জনের সামনে করা হতো, এখন সে গোনাই নিজ থেকেই সারা বিশ্বকে দেখাচ্ছে। এমনকি খোঁজে খোঁজে নতুন নতুন গোনাহ আবিষ্কার করছে, যাতে ভিউ হয়। দুনিয়া প্রতিনিয়তই এক অবস্তাব গোলক-ধাঁধাঁর দিকে যাচ্ছে।

    যখনই কোনো ভিডিও ক্রিয়টরের সামনে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় ও এইসব ইনকাম যে হারাম তা বলা হয় তখন বলে, আপনি কি জানেন প্রতিটা ভিডিও বানাতে কত কষ্ট হয়? তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়, যেহেতু এই ইনকামের সাথে কষ্ট জড়িত তাই এই ইনকাম হালাল হয়ে গেছে, তাহলে তো চোরও বলবে আরে মিয়া, চুরি করা কি সহজ কাজ নাকি? চুরি করতে কি কষ্ট হয় না?

    যখন কোনো ব্যক্তি অন্যায় কাজ করে তখন নিজের মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বা অন্যের সামনে উক্ত অন্যায় কাজটিকে যুক্তি-যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কথা রেডি করে তথা দলিল রেডি করে থাকে।

    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

  • #2
    যখনই কোনো ভিডিও ক্রিয়টরের সামনে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় ও এইসব ইনকাম যে হারাম তা বলা হয় তখন বলে, আপনি কি জানেন প্রতিটা ভিডিও বানাতে কত কষ্ট হয়? তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়, যেহেতু এই ইনকামের সাথে কষ্ট জড়িত তাই এই ইনকাম হালাল হয়ে গেছে, তাহলে তো চোরও বলবে আরে মিয়া, চুরি করা কি সহজ কাজ নাকি? চুরি করতে কি কষ্ট হয় না?

    যখন কোনো ব্যক্তি অন্যায় কাজ করে তখন নিজের মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বা অন্যের সামনে উক্ত অন্যায় কাজটিকে যুক্তি-যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কথা রেডি করে তথা দলিল রেডি করে থাকে।খুব প্রসিদ্ধ একটি যুক্তি । যেহেতু আমরা রিস্ক নিচ্ছি বা কষ্ট করছি , তাই হালাল । এই যুক্তি যেন আমাদের দ্বীনদার ভাইদেরকে গ্রাস না করতে পারে আল্লাহর কাছে পানা চাই ।

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ,, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পোস্ট। এ বিষয়ে আমাদের ভিডিও বানানো প্রয়োজন
      আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নিন আমীন।

      Comment


      • #4
        ভাইকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। খুবই সুন্দর ও যুগোপযোগী পোস্ট, আমাদেরকে ইউটিউবের ফেতনা থেকে হেফাজত করেন।
        Last edited by tahsin muhammad; 11-29-2022, 07:48 PM.

        Comment


        • #5
          এক জরিপে দেখা গিয়েছে হিন্দুস্থানের লোকদের হার্ট অন্যান্য ভৌগলিক অবস্থানে বসবাসরত লোকদের থেকে তুলনামূলক বেশ দুর্বল। করোনার পরের এক সম্প্রিতি জরিপে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র ইন্ডিয়াতেই প্রতিদিন গড়ে ৯০০ জন লোক এমন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে যে হার্ট অ্যাটাক সাধারণত বৃদ্ধকালে হয়ে থাকে। যাদের সকলের বয়সই ৩০-এর নিচে। কম বয়সের মানুষের মাঝে বৃদ্ধ লোকদের গুণ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকগণ এরজন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন-
          • করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া।
          • পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করা। এমনকি তথাকতিত এই উন্নত বিজ্ঞানের যুগে বসবাসরত মানুষগুলো ১৯৯৫ সালের মানুষেরা প্রতিদিন যে পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করত তার চেয়েও বহুগুণ কম প্রোটিন গ্রহণ করছে।
          • ফ্রিজারবেটিভ, প্যাকেটের খাবার খাওয়া।
          • একই স্থানে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা; যেমনঃ ফ্রিলেন্সিং, ব্যংকিং। (একজন মানুষকে সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার অবশ্যই হাঁটতে হয়)
          • রাত জেগে কাজ করা।
          • একই স্থানে দীর্ঘক্ষণ কাজ প্লাস রাত জেগে কাজ করার ফলে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব।
          • এলকোহল গ্রহণ করা। (ইন্ডিয়াতে গত কয়েক বছরে এলকোহল গ্রহণ করা ৫১% বৃদ্ধি পেয়েছে) ... ইত্যাদিসব কারণ।

          ১. বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
          ২. মুখের নীচের চোয়াল ব্যথা করা।
          ৩. অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া।
          ইন্ডিয়াতে এই তিনটি লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তার দেখানোর কথা বলা হয়েছে।


          বি.দ্র. ডাক্তারগণ "রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমিয়ে বরং রাত জেগে কাজ করা ও দীর্ঘক্ষণ কাজ করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা"-কেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু জালেম মুদি সরকার শুধুমাত্র "করোনা ভাইরাস"-কেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার ক্ষমতার ভিত্তি গুজরাটের দাদামশাইদের কোম্পানির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তাই প্যাকেটজাত খাবারকেও করোনার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ এমনটাও বলেছেন "জীবনযাপনের সকল সাধারণ পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একই ব্যক্তি একইসাথে একাধিক চাকুরী ও দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এমনটা সারা পৃথিবীতেই দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে।" তথ্য-প্রযুক্তির যুগে মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে চাকুরী করছে, খাবার অর্ডার করছে ও অনলাইনে অলস সময় কাটাচ্ছে। সিনেমা দেখার জন্যও এখন বের হতে হচ্ছে না। আর ক'দিন পর তো মেটাভার্সের কল্যাণে পতিতালয়েও যেতে হবে না। শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ ধিরে ধিরে কম হতেই চলেছে। যুবকরা একই স্থানে বসে গেইম খেলে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে ও আক্রামণাত্মক সভাবের হয়ে যাচ্ছে। অনলাইন থেকে একজন মানুষ প্রতিদিন যে ব্যাপক পরিমাণ তথ্য গ্রহণ করছে তার সবটুকু ডাটা একজন মানুষ গ্রহণ করতে অক্ষম তাই স্বাভাবিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট হচ্ছে না। বরং ব্যক্তি বিশেষে ৮-১৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরও শরীর ক্লান্তি অনুভব করছে।

          সমস্যার সমাধান আগা ও গোড়া উভয় দিক থেকেই করতে হবে তবে গোড়াকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
          হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

          Comment


          • #6
            ফুডপান্ডা একটি প্রাইভেট কোম্পানি হয়েও ৩০ মিনিটে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছাতে পারে, আর সরকার সরকারি খরচে সাধারণ মানুষের হক্বগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছাবে তো দূরের কথা পরিপূর্ণভাবে প্রতিটি ইউনিয়নেই পাঠাতে পারে না।

            একজন লোক একটি হাই লেভেলের শপিংমলে ঢুকে দেখে মাছের বাজারের মত ভিড় তাই সে তার সাথের বন্ধুকে বলল দেখ আমাদের দেশের মানুষগুলো প্রতিনিয়তই ধনী হয়েই যাচ্ছে। সরকার কত সুন্দর ভাবে দেশ চালাচ্ছে। তার বন্ধু বলল তুই কি জানিস আমাদের দেশে খাওয়ার অভাবে প্রতিদিন শিশুই মারা যায় ৪৫০০ টি, যাদের বয়স ৫ বছরেরও কম।
            -গল্পটি ইন্ডিয়ার। আপনি গুগলে "How many people die every day in India due to lack of food" সার্চ করলেই পেয়ে যাবেনঃ

            Moreover, the most alarming figure revealed is that approximately 4500 children die every day under the age of five years in the country due to hunger and malnutrition, amounting to over three lakh deaths every year, owing to hunger, of children alone.
            ২০ জানু, ২০২২
            ক্যামেরার পিছনের গল্পগুলোও খুঁঝতে হয়।
            এমনতো নয় ক্যামেরার আড়ালে সকল গরীব লোককে এভাবেই মেরে ফেলা হবে আর পৃথিবীকে বলা হবে "এই দেখো আমাদের দেশের সকলেই কোটিপতি!''
            হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

            Comment


            • #7
              রকমারির সোহাগ ভাইকে হয়ত আমরা সকলেই চিনি। আমি তাকে কম-বেশি এমন কথা বলতে শোনেছিলাম- প্রতিটা বস্তুরই পজেটিভ ও নেগেটিভ উভয় সাইডই হয়ে থাকে। এই যে আমরা বলি আমার ব্যবসায় লোকশান হয়েছে। যেহেতু আমার লোকশান হয়েছে তার মানে কারো না কারো অবশ্যই লাভ হয়েছে! কারও লাভ হবে আর কারও লোকশান হবে এটাই নিয়ম। কারও লাভ হবে আর কারও ক্ষতি হবে এটাই নিয়ম।

              আচ্ছা এই যে ইন্ডিয়াতে প্রতিদিন ৪৫০০ শিশু না খেয়ে মারা যাচ্ছে এটা যে ক্ষতি তা আমরা সকলেই বুঝতে পারছি তাই না? তো এখন তো প্রশ্ন আসে যেহেতু ক্ষতি হচ্ছে সেহেতু কারও না কারও অবশ্যই লাভ হচ্ছে! প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কার্ লাভ হচ্ছে?

              এমন তো নয় তথাকতিত গণতন্ত্রের ছায়ায় কর্পোরেট দুনিয়ার পদতলে পিষ্ট হচ্ছে এই গরীব শ্রেণী। আর এই দৃশ্যকে আড়াল করতে মাঝে মধ্যে এক-দুই টাকার খাবার ও চিকিৎসা বিতরন। ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে এসেছে কারখানা থেকে যে বর্জ্য নদীর পাতিতে এসে মিশছে তাতে যারা গোসল করছে তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু সরকার তো কর্পোরেটদের জন্যই! সুতরাং কথা কইতে মানা!
              A study shows industrial pollution contains dioxin, nitrogen dioxin, furan and benzene which are highly toxic and can cause reproductive and developmental problems, damage the immune system, interfere with hormones and also cause cancer.
              ৩ ফেব, ২০১৯ (ওভাপঅল)
              প্রশ্ন করার সময় এসেছেঃ যেহেতু আমার-আপনার ক্ষতি হচ্ছে, সেহেতু লাভবান কে হচ্ছে?
              হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

              Comment


              • #8
                ভয়ংকর এক ফিৎনাহ, দেখে যাচ্ছে স্বামীস্ত্রী দুজনই ব্লগ ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব ডালছে! পরিবারের দৈনন্দিন কাজের বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট আকাড়ে বানিয়েও ইউটিউবে আপলোড দিচ্ছে। একজন মুসলিম নারীর উপর পর্দা করা কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো, সেটা ভুলে গিয়ে তারা আগ বাড়িয়ে নিজেদের বিশ্বের সামনে স্যালিব্রেটি হওয়ার মিথ্যা আশায় বিভিন্ন রঙ বেরং্যের ভিডিও আপলোড দিচ্ছে। আসতাগফিরুল্লাহ।
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment

                Working...
                X