حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ الأُوَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَ أَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رَضِيَ اللّٰه عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ صلى الله عليه وسلم "سَتَكُونُ فِتَنٌ، الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَ الْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَ الْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، وَ مَنْ يُشْرِفْ لَهَا تَسْتَشْرِفْهُ، وَ مَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَعُذْ بِهِ". (بخاري و مسلم)
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسٰى الْقَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أُمِّ مَالِكٍ الْبَهْزِيَّةِ قَالَتْ : ذَكَرَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صلى الله عليه وسلم فِتْنَةً فَقَرَّبَهَا قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ مَنْ خَيْرُ النَّاسِ فِيْهَا ؟ قَالَ " رَجُلٌ فِي مَاشِيَتِهِ يُؤَدِّي حَقَّهَا وَ يَعْبُدُ رَبَّهُ وَ رَجُلٌ آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ يُخِيفُ الْعَدُوَّ وَيُخِيفُونَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسٰى وَ فِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ وَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَ قَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ أُمِّ مَالِكٍ الْبَهْزِيَّةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قال الشيخ الألباني صحيح
ইমরান ইবন মূসা কাযযায বাসরী (রহঃ) ........ উম্মে মালেক বাহযিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সমস্ত ফিতনা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করলেন যেগুলো অত্যন্ত নিকটবর্তী। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, তখন সর্বোত্তম ব্যক্তি কে হবেন ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বললেন,
- এক ব্যক্তি হল সে, যে তার পশুপালের মাঝে অবস্থান করবে এবং এগুলোর হক আদায় করবে আর তার রবের ইবাদত করবে।
- আরেক জন হল সেই ব্যক্তি যে তার ঘোড়ার লাগাম ধরে থাকবে তথা সর্বদা জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকবে এবং আল্লাহ ও নিজের শত্রুদেরকে ভয় দেখাবে আর শত্রুরাও তাকে ভয় দেখাবে।
নতুন একটি ফেতনা ব্যাপক আকার ধারণ হওয়ার পথে-
সামাজিক গণমাধ্যম ইউটিউবকে তো আমরা সকলেই চিনি। এই ইউটিউবে মানুষ ভিডিও আপলোড করে, তাতে এড শো করিয়ে বিপুল পরিমাণ হারাম অর্থ উপার্জন করছে। ইউটিউবের দেখা-দেখি ফেইসবুকও এই এড শো করা শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী একেকজন ভিডিও ক্রিয়েটর প্রতি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় বিশ কোটি টাকা ইনকাম করে ও সর্বনিম্ন প্রায় এগারো হাজার টাকা। আপনি গুগলে দেখতে পাবেন ইউটিউবের নিজস্ব ইনকাম ২৮.৮৪ বিলিয়ন; যেখানে বাংলাদেশের ৪.৫ বিলিয়ন প্রয়োজন! এই বিপুল পরিমাণ হারাম অর্থের নেশা মানুষকে প্রতিনিয়তই বিশেষ করে ইউটিউবের দিকে ধাবিত করছে। আপনার কোনো টেলেন্টের প্রয়োজন নেই, ভালো একটা মোবাইল আর আপনি প্রতিদিন যা করেন তা ভিডিও করে আপলোড দিয়ে দিবেন, এতটুকুই যথেষ্ট। এটাকে বলে Vlog Video । ইউটিউব পর্যায়ক্রমে প্রতিটা দেশে ইভেন্ট করছে, এই বিষয়ের প্রতি সাধারণ মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছে। স্কুল-কলেজে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। পাঠ্য-পুস্তকে এই বিষয়গুলো যুক্ত করা হচ্ছে। এমনকি আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন তবে দেখবেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের এই ক্রাইসিস অবস্থায় টিভি চ্যানেলগুলো সাধারণ মানুষকে ফ্রিলেন্সিং করে টাকা উপার্জন করতে ব্যাপক উদ্ভুদ্ধ করছে যা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। আপনি যদি একজন গেইম প্রিয় মানুষও হয়ে থাকেন তবে প্রতিদিন আপনি যা গেইম খেলেন তা রেকর্ড করে আপলোড দিয়ে দিবেন, এটাও যথেষ্ট। এমন করে কন্টেন্টের প্রকারভেদে কোনো শেষ নেই।
এর খারাপ প্রভাব অলরেডি সমাজে পড়তে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ বাস্তব জীবনের আকস্মিক ঘটনাগুলো দেখতে বেশ পছন্দ করে থাকে, যেমনঃ একজন পাঁচ তালার উপর থেকে লাফ দিবে, রাস্তার পাশে ঝগড়া, অশ্লীল কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতে-নাতে ধরা... ইত্যাদি। ইদানিং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে এমন করে অভিনয় করে ভিডিও বানাচ্ছে যে সাধারণ মানুষ মনে করছে তা সত্য। একবার চিন্তা করুন ইউটিউব, ফেইসবুক কে না ইউজ করে? এরমধ্য থেকে যদি ১০%-ও নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের Vlog Video বানানো শুরু করে তবে কি দশা হবে? আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে থাকবেন, আপনার অজান্তেই আপনি হারামিদের ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যাবেন। ভিডিও বানানোর জন্য নিজের বউকে দিয়ে কি না করাচ্ছে! ফ্রাংকের নামে মানুষকে যত্রতত্র হেনস্তা করা হচ্ছে। হেনস্তার শিকার হয়ে যখন ভিক্টিম রাগান্বিত হয় তখন বলে ফ্রাংক চলছে, বেস্ ভিক্টিম অনিচ্ছায় একটা মলিন হাসি দিয়ে দিল। কি এক অস্বাস্থ্যকর ভয়ংকর অবস্থা। একটি হিন্দি চ্যানেলে দেখা গেল ভিউ পাওয়ার জন্য ঘরের ভিতরের মা ও মেয়ের মধ্যকার ঝগড়া ভিডিও করে ছোটভাই আপলোড দিয়েছে। ছিহ্ কত নিম্ন পর্যায়ের ঘৃণ্য কাজ।
যে গোনাহ এতদিন গোপনে বা এক-দু'জনের সামনে করা হতো, এখন সে গোনাই নিজ থেকেই সারা বিশ্বকে দেখাচ্ছে। এমনকি খোঁজে খোঁজে নতুন নতুন গোনাহ আবিষ্কার করছে, যাতে ভিউ হয়। দুনিয়া প্রতিনিয়তই এক অবস্তাব গোলক-ধাঁধাঁর দিকে যাচ্ছে।
যখনই কোনো ভিডিও ক্রিয়টরের সামনে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় ও এইসব ইনকাম যে হারাম তা বলা হয় তখন বলে, আপনি কি জানেন প্রতিটা ভিডিও বানাতে কত কষ্ট হয়? তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়, যেহেতু এই ইনকামের সাথে কষ্ট জড়িত তাই এই ইনকাম হালাল হয়ে গেছে, তাহলে তো চোরও বলবে আরে মিয়া, চুরি করা কি সহজ কাজ নাকি? চুরি করতে কি কষ্ট হয় না?
যখন কোনো ব্যক্তি অন্যায় কাজ করে তখন নিজের মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বা অন্যের সামনে উক্ত অন্যায় কাজটিকে যুক্তি-যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কথা রেডি করে তথা দলিল রেডি করে থাকে।
Comment