Announcement

Collapse
No announcement yet.

" বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের নতুন ষড়যন্ত্র" সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • " বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের নতুন ষড়যন্ত্র" সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন!

    Home Schooling/ গৃহ পাঠদান এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার সময় চলে এসেছে।যেসকল পিতা-মাতা দ্বীন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন তাদের উচিত Home Schooling এর দিকে মারাত্মক পরিমাণে নজর দেওয়া।আর যে সকল পিতা মাতা দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না তাদের জন্য তাদের সন্তানদের কওমী মাদ্রাসায় জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর দেওয়া অত্যান্ত জরুরী। আর দ্বীন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন এমন পরিবারের দুটি ছেলে হলে প্রথম জনকে কওমী মাদরাসা জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দ্বিতীয় সন্তানকে জেনারেল/ স্কুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে হোম স্কুলিং এর দিকে মারাত্মক পরিমাণে নজর দিতে হবে। স্কুল থেকে একেবারে বিমুখ হয়ে গেলে তো স্কুল থেকে যারাই বের হবে তারাই নাস্তিক হবে।আর মাদ্রাসা বা একমুখী শিক্ষার মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। তাই সবদিক থেকে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। অস্বাভাবিক নয়, যে আপনার একজন সন্তানের দ্বারা তার আশেপাশের বন্ধু ও সহপাঠীদের ভেতর পরিবর্তন হতে পারে। কারণ সত্যর উপস্থিতিই তো পারে মিথ্যা ধোঁয়াশা মিটিয়ে দিতে।

    শিক্ষাব্যবস্থা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না, এই জমিনে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত। আর পরিস্থিতি দিনে দিনে আরো খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। এমনতাবস্থায়, দাওয়াহ ও পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা উচিত। আর হোম স্কুলিং এর ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। এজন্য পিতা-মাতা ও যাদের ছোট ভাই বোন রয়েছে, হোম টিউটর , শিক্ষক, কোচিং ইত্যাদিতে অবস্থানে যারা ভূমিকা পালন করছে তাদের নিজ থেকে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এছাড়া এলাকাভিত্তিক সচেতনতা সৃষ্টি করা উচিত। অনলাইনেও নজর দেওয়া উচিত। আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম, যখন ছোট ভাই আলী বেলাত ফাক্কাল্লাহু আসরাহ যে কিনা তুরস্কের মত সেকুলার , অর্ধনগ্ন ও সেকুলার চিন্তাধারার মত দেশে বড় হয়েছে। তার থেকে যখন তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহর স্পষ্ট ব্যাখা শুনলাম। সত্যিই বিস্মিত হয়েছিলাম।

    যা হোম স্কুলিং এর এক জলন্ত উদাহরণ।যার ব্যাপারে শাইখ আহমেদ মূসা জিবরীল , ড্যানিয়েল হাকিকাতু ইত্যাদি স্কলারগণপূর্বেই বলেছেন।
    ''এই উম্মাহর অবস্থা পরিবর্তন হবে না , যদি না মুসলিমরা সাহাবায়ে কেরাম যা করেছিলেন তার দিকে ফিরে যায়'' - শাইখ আনোয়ার আল আওলাকি রহি.

  • #2
    আল্লাহ তা'আলা সহায় হোন আমিন!

    ------
    কিন্তু হোম স্কুলিং এরও একটা যোগ্যতা লাগে৷ ভাইজান! যে ঘরের সদস্যরা সারাদিন বিভিন্ন সিরিজের ঘোরে বুঁদ হয়ে থাকে। সে ঘড়ের হোম স্কুলিং এ নব্য ধ্বংসাত্মক শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে কম কি আশা করা যায়?!

    ----
    হ্যাঁ সেরা পদক্ষেপ হবে ঐটাই, ক্বওমি মাদ্রাসায়ও জেনারেল বিষয় গুলো সম্পৃক্ত করা। আর আবদ্ধ চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, ফিতনা সম্পর্কেও সচেতন হওয়ার দিকে জোর তাগি দেয়া।

    ---
    হ্যাঁ প্রত্যেক ব্যক্তি যা জানবে, হক্ব হলে হক্ব হিসেবে তা তার পরিচিত মহলে শেয়ার করবে। এভাবে চেইন সিস্টেমে সকলের কাছেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে কেন ভুমিতেই পূর্ণ ফল ততক্ষণ আসবেনা যতক্ষণনা তাতে ইসলামি শারীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ---
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      এক্ষেত্রে বাবা-মাকে অনেক বড় দায়িত্বশীলের ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষা পাঠ্য পুস্তকে যেভাবে যিনা প্রোমোট করা হচ্ছে - বাচ্চাদের স্কুলে দিতেও ১০ বার চিন্তা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের ইসলামিক সমাজ প্রতিষ্ঠার তাওফিক দান করুন। আমিন।

      Comment


      • #4
        বাচ্চারা আলটিমেটলি জনবিচ্ছিন্ন হোম স্কুলিং মেনে নিবে না। তারা আশেপাশে সমবয়স্ক অধিকংশের অনুসারী হয়ে যাবে। ইসলামী শিক্ষা মাথায় থাকবে কিন্তু প্রোয়োগে থাকবেনা। সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অনেক অঞ্চলের মানুষ শেষ সম্বল হিসেবে তাদের বাচাদের গোপনে (এমন কি মায়ের আড়ালে) পুরা কোরআন মুখস্ত করাতো - জিন্দেগি তাদের নাস্তিক কমিওনিষ্টরই যাপন করতে হোত। আমরা এখনো যদি সার্বিক জিহাদে না এগিয়ে যাই - আমাদের উপমহাদেশের জিহাদি গাইড লাইন অনুযায়ী এখনো যদি আমরা সাপের মাথাগুলোকে না থ্যাতলা করে দেই ; কুফ্‌ফারদের এদেশি ইসলামের গোড়া কাটা তাদের স্যোসাল ইঙ্গিনিয়ারিং এর থিউরি মত চলতেই থাকবে। এক সময় আসবে যখন চিনের ৫০/৬০/৭০ সালের মত ছেলে মা কে তাগুতের হাতে ধরিয়ে দেবে। মেয়ে বাবাকে শ্রম শিবিরে পাঠাবে। কারন এই মা, এই বাবা তাদের সুখের সমাজের আকিদার উপর পুরো-পুরি বিশ্বাসী না। (তাদের মত)। যে বাচ্চা কৌশরেই অবাদ যৌনতায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে- তাদের কোন নৈতিকতা থাকবে না। না তারা নৈতিকতার উপর কখনো উঠতে পারবে! এ শিক্ষা ব্যাবস্হায় বেড়ে উঠা এক জন ছেলে কিংবা মেয়ে এ ব্যাবস্হার সবচেয়ে বড় রক্ষক হবে। এ জন্যেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে এক বিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়া হচ্ছে। তাতারিদের আক্রমণের পরও উম্মাহ উঠে দাড়াতে পেড়েছিল। কারন মা - জাতি ইসলাম ধরে রেখেছিল। এবারের আক্রমণের ডিজাইন করা হয়েছে মুসলমান মা-দের ফোকাসে রেখে।
        দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যাক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

        Comment


        • #5
          আমাদের এদেশের মুসলিমদের মধ্যে যোগ্য কাউকে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি এই পাঠ্যবইগুলোর মত দ্বীন এবং দুনিয়ার চাহিদা পূরণ করবে এমন বিকল্প পাঠ্যবই প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়তে। যাতে যারা হোম স্কুলিং করতে চায়, তাদের জন্য বাচ্চাদের সময়োপযোগী পড়াশোনা নিশ্চিত করা যায় ইনশাআল্লাহ।

          Comment


          • #6
            কুফ্‌ফাররা তাদের নোংরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মুসলমানদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সামগ্রিক ভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। আমাদের নওজোয়ান প্রজন্মকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে কুফরের অন্ধকার গহবর তলে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আস্তে আস্তে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বীনের উপর চলা কঠিন থেকে কঠিনতর করে তোলা হচ্ছে।

            আমাদের মুসলমান ভাই এবং বোনেরা যারা এখনো আল্লাহর রহমতে হক আর বাতিল চিনতে পারছেন; তাদের আদরের সন্তানদের হক আর বাতিল চেনাতে প্রাণান্ত চেষ্টা করতে হচ্ছে।

            আধুনিকতা নামের বিষাক্ত নেশায় আচ্ছন্ন পরিবারের আত্মভুলা কিশোর বয়সী ছেলে এবং মেয়েদের না-পাক জীবন ব‍্যবস্থা, আমাদের কোমলমতি সন্তানদের সামনে বার বার প্রলোভন দেখাচ্ছে ইন্দ্রিয় পরায়নতার।

            সেকুলার - তাগুত আর কুফ্‌ফারদের এ পরিকল্পনা আমাদের সন্তানদের উপর কিছু বছর চালাতে পারলে আমাদের সন্তানরা তাদের (সেকুলার - তাগুত আর কুফ্‌ফারদের) চোখে আমাদের দেখবে।

            এ অবস্থায় আমরা বিবেচনা করতে পারিঃ
            (১) আমাদের ঘরের সমস্ত ব‍্যবস্থা পুরোপুরি দ্বীনের উপরে নিয়ে আসতে হবে।
            (২) আমাদের আসা-যাওয়া পুরোপুরি দ্বীনদার ঘর গুলোর সাথে হবে।
            (৩) আমাদের সন্তানদের খেলা-ধুলা , গল্প বলার সাথি দ্বীনদার ঘরের সন্তান হতে হবে
            (৪) সন্তানদের সাথে কথা বলতে হবে - তারা যেন নির্ভয়ে - নিশ্চিন্তে তাদের সাথিদের গল্প গুলো আমাদের বলে।
            (৫) মহব্বতের সাথে - (সন্তানদের) সম্মান বজায় রেখে তাদের বুঝাতে হবে ইসলামের আকিদা সামনে রেখে।

            ঘর মায়া - মহব্বতের জায়গা। আমরা অনেকে বাহিরের (ফ্রাস্টেশন) ঘরে নিয়ে আসি। সন্তানদের সাথে আমাদের সম্পর্কের দূরত্বকে পুজি করে কুফ্‌ফাররা আমাদের সন্তানদের আমাদের কাছ থেকে সরিয়ে - তাদের অন্ধকার আদর্শ রঙ্গিন মোড়কে ঢেলে দেয়।

            মুসলিম জনপদ গুলোর হেফাজতে আমাদের সবার প্রচেষ্টা আল্লাহ কবুল করলেই একমাত্র সফল হতে পারে।
            Last edited by Rakibul Hassan; 02-24-2024, 03:05 PM.

            Comment

            Working...
            X