Announcement

Collapse
No announcement yet.

চিরসত্যটি না বললে দোষমুক্ত হতে পারবেন না কিছুতেই

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চিরসত্যটি না বললে দোষমুক্ত হতে পারবেন না কিছুতেই


    চিরসত্যটি না বললে দোষমুক্ত হতে পারবেন না কিছুতেই


    আলেম উলামারা ইসলামের কথা বলেন। ইসলাম সত্য ধর্ম এবং একমাত্র সত্য ধর্ম। সবই বলেন। কিন্তু যখনই উগ্রবাদের কথা আসে, উলামারা মোড় ঘুরিয়ে বলেন, ইসলামে উগ্রবাদ নেই।


    নাস্তিকরা বলে, ‘সবাই আল্লাহর সৃষ্টি, সবারই বেঁচে থাকার অধিকার আছে। ভিন্ন ধর্মীদের হত্যা করা হবে কেন’?

    তখন উলামারা সুর ঘুরিয়ে বলেন, ইসলামে হত্যা নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম।


    নাস্তিকরা পাল্টা প্রশ্ন করে, তাহলে ইসলামের নামে যে জিহাদ হচ্ছে সেটাকে কি বলবেন?


    উলামারা তখন ঘুরিয়ে বলেন, ইসলামে জিহাদ আছে। তবে হত্যা নেই। যারা হত্যা করছে তারা ইসলাম বুঝে না। জিহাদ বুঝে না।


    এভাবে উলামারা জিহাদের অপব্যাখ্যা করে গা বাঁচাতে চাইছেন। কিন্তু যখন ইসলামের মূলে আঘাত আসে, ঈমানি তাগাদায় উলামারা আর চুপ থাকতে পারেন না।

    যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে যখন কটূক্তি হলো, তারা চুপ থাকতে পারলেন না। দাবি করলেন, কটূক্তিকারীদের ফাঁসি দিতে হবে। কিন্তু তখনই সেই এড়ানো অপবাদটি আবার সামনে চলে আসছে। বলা হচ্ছে, জঙ্গিরাও হত্যা করে, আপনারাও হত্যার কথা বলছেন। তাহলে কি আপনারা এদেশে জঙ্গিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছেন?


    মূর্তি ইস্যুতে ঈমানি তাগাদায়ই উলামারা চুপ থাকতে পারেননি। কিন্তু সেই এড়ানো অপবাদই আবার গায়ে এসে পড়ছে: দেশটাকে আফগানিস্তান বানাতে চাইছেন? তালিবানি মোল্লাতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছেন? মোল্লা উমরের সাম্প্রদায়িকতা কায়েম করতে চাচ্ছেন, যে মোল্লা উমর মূর্তি ভেঙেছিল?


    এভাবে ইসলামের যেকোনো ইস্যু উঠে আসলে উলামারা যখনই কথা বলছেন, তখনই সে জঙ্গিবাদ আর তালেবানির ট্যাগ তাদের উপর এসে পড়ছে; যে জঙ্গিবাদকে তারা এতোদিন ইসলামে নেই বলে আসছিলেন। এভাবে উলামারা এখন পড়েছেন উভয় সংকটে। না পারছেন চুপ থাকতে, আর না পারছেন জঙ্গিবাদের অপবাদ সইতে। না পারছেন আল্লাহ তাআলার কাছে নিজেদের নিষ্কলুষ রাখতে, আর না পারছেন সরকারের কাছে নিরপরাধ থাকতে।


    এ সত্যটিই আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করেছেন,

    {أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا (82)}
    তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ থেকে হতো, তাহলে এর মধ্যে অনেক গরমিল দেখতে পেতো। -নিসা: ৮২



    কুরআনের বিধানকে, কুরআনের নির্দেশকে ঘুরিয়ে নিজেদের সুবিধামতো ব্যাখ্যা করে নিয়েছেন, তাই সীমাহীন অসংগতির মধ্যে পড়ে গেছেন উলামা সমাজ। যে অপবাদ থেকে তারা আজীবন জানেপ্রাণে বাঁচতে চেষ্টা করছেন, সে অপবাদই এসে পড়ছে তাদের উপর। যতই বুঝাতে চাইছেন যে তারা উগ্র না, জঙ্গি না, সাম্প্রদায়িক না- সরকারপক্ষকে কিছুতেই আর মানাতে পারছেন না।


    মুহতারাম উলামায়ে কেরাম, কুরআনের একটি চিরসত্যকে শুধু তুলে ধরুন, সকল গরমিল দূর হয়ে যাবে। তুলে ধরুন, কাফের আল্লাহর দুশমন। তার দুনিয়াতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। একমাত্র যদি মুসলমান হয় কিংবা জিযিয়া দিয়ে নত হয়ে নিম্নশ্রেণীর নাগরিক হিসেবে লাঞ্ছিত অবস্থায় মুসলিমদের অধীনস্থ হয়ে বসবাস করতে চায়, তাহলেই শুধু বাঁচতে পারবে। অন্যথায় তাই করা হবে যা আল্লাহর নির্দেশ,

    {فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ}

    মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর, পাকড়াও কর, অবরোধ কর এবং তাদের (পাকড়াওয়ের) জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে (ওঁৎপেতে) বসে থাক। -তাওবা: ৫


    বলুন: না আছে তোমাদের জানের নিরাপত্তা, না আছে তোমাদের মালের নিরাপত্তা। আমরা তোমাদের হত্যা করবো। বন্দী করবো। গোলাম বাদী বানাবো। যতক্ষণ না আল্লাহর শাসনের সামনে নত হও।


    বলুন, আমরা তালিবানি শাসন কায়েম করতে চাচ্ছি। খিলাফার শাসন কায়েম করতে চাচ্ছি। মূর্তিপূজারি শাসনের অবসান ঘটাতে চাচ্ছি।

    মুহতারাম উলামায়ে কেরাম, শুধু এ চিরসত্যটি তুলে ধরুন। তাহলে আর কোনো গরমিল থাকবে না।


    কিন্তু দুঃখজনকভাবে ভয়ানক একটি অপরাধ আপনারা করেছেন: কাফেরকে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছেন। কুফরি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হারাম বলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে জিহাদের অপব্যাখ্যা আপনাদের করতে হচ্ছে। না পারছেন আল্লাহকে রাজি করতে, না পারছেন তাগুতের কাছে নির্দোষ থাকতে।

    আল্লাহ তাআলা সত্যই বলেছেন,

    {وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكًا}
    যে আমার উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হয়ে পড়বে সংকীর্ণ। -তোয়াহা: ১২৪

    ***




  • #2
    আহঃ কতইনা উত্তম আলোচনা,
    আল্লাহ্ আলেম উলামাদের সঠিক বুঝ দান করুন
    হক বলার তাওফিক দান করুন,
    হে আল্লাহ্ আমাদের সম্মানিত শায়েখ দ্বিনের জন্য অনেক ইলমি শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন,
    দয়াকরে শায়েখের খেদমতটুক কবুল করুন,
    সর্বদা সুস্থ সবল ও নিরাপদ রাখুন
    আমাদের সকলকে জান্নাতে একত্রিত করুন
    আমিন ইয়া রব্ব।

    Comment


    • #3
      আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় শাইখ আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুক আমিন।
      আপনার ছায়াকে আমাদের উপর দীর্ঘদিন বাকী রাখুক আমীন।
      =====
      সুপ্রিয় শাইখ,একটি মার্কাজ মাদ্রাসা থেকে কয়েকজন আলিমের বক্তব্য না শোনার জন্য বলা হচ্ছে। নাম নিয়ে নিষেধ করে দেওয়া হচ্ছে। মাসিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। যদি এ বিষয়টি নিয়ে একটু কলম ধরতেন!!! জাযাকাল্লাহ।
      আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        Originally posted by Rumman Al Hind View Post
        আহঃ কতইনা উত্তম আলোচনা,
        আল্লাহ্ আলেম উলামাদের সঠিক বুঝ দান করুন
        হক বলার তাওফিক দান করুন,
        হে আল্লাহ্ আমাদের সম্মানিত শায়েখ দ্বিনের জন্য অনেক ইলমি শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন,
        দয়াকরে শায়েখের খেদমতটুক কবুল করুন,
        সর্বদা সুস্থ সবল ও নিরাপদ রাখুন
        আমাদের সকলকে জান্নাতে একত্রিত করুন
        আমিন ইয়া রব্ব।
        আমীন ছুম্মা আমীন
        মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
        লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

        Comment


        • #5
          যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করাতে চায়, পরে দেখা যায়, সেই মানুষগুলিই তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।
          এর বিপরীতে-
          তারা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষকে অসন্তুষ্ট করে, তখন আল্লাহ সেই মানুষগুলিকে তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দেন।
          অতএব, সবসময় আমাদেরকে সর্বাগ্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির দিকটিকে বিবেচনা করতে হবে। চাই মানুষের অবস্থা আমার প্রতি যেমনই হোক।
          আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হক্ব বুঝার, মানার ও বলার হিম্মত দান করুন এবং তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করার তাওফীক দান করুন। আমীন
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            কিন্তু দুঃখজনকভাবে ভয়ানক একটি অপরাধ আপনারা করেছেন: কাফেরকে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছেন। কুফরি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হারাম বলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে জিহাদের অপব্যাখ্যা আপনাদের করতে হচ্ছে। না পারছেন আল্লাহকে রাজি করতে, না পারছেন তাগুতের কাছে নির্দোষ থাকতে।

            এরকম বারবারই হচ্ছে ৷
            আল্লাহ বুঝার এবং আমল করার তাউফিক দিন ৷ আমিন
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              বলুন: না আছে তোমাদের জানের নিরাপত্তা, না আছে তোমাদের মালের নিরাপত্তা। আমরা তোমাদের হত্যা করবো। বন্দী করবো। গোলাম বাদী বানাবো। যতক্ষণ না আল্লাহর শাসনের সামনে নত হও।


              বলুন, আমরা তালিবানি শাসন কায়েম করতে চাচ্ছি। খিলাফার শাসন কায়েম করতে চাচ্ছি। মূর্তিপূজারি শাসনের অবসান ঘটাতে চাচ্ছি।

              দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

              Comment


              • #8
                আল কাউসারের প্রকাশিত বিষয়টি নিয়ে একজন যিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল।
                আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
                  যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করাতে চায়, পরে দেখা যায়, সেই মানুষগুলিই তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।
                  এর বিপরীতে-
                  তারা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষকে অসন্তুষ্ট করে, তখন আল্লাহ সেই মানুষগুলিকে তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দেন।
                  অতএব, সবসময় আমাদেরকে সর্বাগ্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির দিকটিকে বিবেচনা করতে হবে। চাই মানুষের অবস্থা আমার প্রতি যেমনই হোক।
                  আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হক্ব বুঝার, মানার ও বলার হিম্মত দান করুন এবং তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করার তাওফীক দান করুন। আমীন
                  সুবহানআল্লাহ! কতইনা চমৎকার কথা!
                  ওয়াল্লহি জিহাদ যদি উগ্রবাদী হয়,তাহলে আমি উগ্রবাদী।
                  দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ আমাদের আলিম সমাজকে চির সত্যটি বলার তাওফিক দান করুন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X