Announcement

Collapse
No announcement yet.

সমকামিতা খুবই মারাত্মক গোনাহের কাজ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সমকামিতা খুবই মারাত্মক গোনাহের কাজ

    সমকামিতা খুবই মারাত্মক গোনাহের কাজ

    পশ্চিমা বিশ্বে সমকামিতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রমোট করা হচ্ছে। আর এই জগণ্য গোনাহের কাজকে বিভিন্নভাবে মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রয়াস চালানো হচ্ছে। অথচ কোন সুস্থ রুবিবোধসম্পন্ন মানুষের পক্ষে এগুলোকে প্রমোট করার কোন সুযোগ নেই। অধিকন্তু আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক হাদীসে এই ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক করে গেছেন। তথাপিও বুঝে বা না বুঝে, দুনিয়ার ক্যারিয়ার ও অর্থের লোভে অনেক নামধারী মুসলিম তরুণ-তরুণী সে পথে পা বাড়াচ্ছে। অবশেষে দ্বীন-দুনিয়া হারিয়ে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে দ্বীনের প্রকৃত বুঝ দান করুন। দ্বীনে হানিফে পুরোপুরিভাবে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন

    প্রিয় পাঠক! এ সংক্রান্ত কিছু হাদীস নিচে দেওয়া হলো। আমরা যারা পারি স্যোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারি। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

    عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِِذَا اسْتَحَلَّتْ أُمَّتِي خَمْسًا فَعَلَيْهِمُ الدَّمَارُ، إِِذَا ظَهَرَ التَّلَاعُنُ، وَشَرِبُوا الْخُمُورَ، وَلَبِسُوا الْحَرِيرَ، وَاتَّخِذُوا الْقِيَانَ، وَاكْتَفَى الرِّجَالُ بِالرِّجَالِ، وَالنِّسَاءُ بِالنِّسَاءِ

    হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন আমার উম্মত ৫টি বস্তুকে হালাল মনে করতে থাকবে। তখন তাদের উপর ধ্বংস নেমে আসবে। একে অন্যের উপর লা’নত করা ব্যাপক হবে, মদ পান করতে থাকবে, রেশম পরিধান করতে থাকেব, গায়িকা রাখতে শুরু করবে। পুরুষ পুরুষের সাথে এবং নারীরা নারীদের সাথে থাকাকেই যথেষ্ট মনে করতে থাকবে। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৮৬]

    عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ رَفَعَهُ قَالَ: ” سِحَاقُ النِّسَاءِ زِنًا بَيْنَهُنَّ

    হযরত ওয়াছিলা বিন আসক্বাহ মারফূ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, মহিলাদের পারস্পরিক সমকামিতা তাদের মধ্যকার যিনা। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৮২, মুসনাদে আবু ইয়ালা মুসিলী, হাদীস নং-৭৪৯১]

    عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِذَا أَتَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ فَهُمَا زَانِيَانِ، وَإِذَا أَتَتِ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ فَهُمَا زَانِيَانِ “

    হযরত আবূ মূসা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন কোন পুরুষ পুরুষের কাছে এবং কোন নারী আরেক নারীর কাছে (যৌন কামনা পূর্ণ করতে) আসে, তখন এরা উভয়ে যিনাকারী হয়। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৭৫]

    হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

    مَلْعُونٌ مَلْعُونٌ مَلْعُونٌ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ،

    ঐ ব্যক্তি অভিশপ্ত, অভিশপ্ত, অভিশপ্ত যে কওমে লূতের আমল তথা সমকামিতা করে। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৮৯]

    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ، لَا تَنْقَضِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَتَّى يَقَعَ بِهُمُ الْخَسْفُ وَالْمَسْخُ وَالْقَذْفُ» قَالُوا: وَمَتَى ذَلِكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي؟ قَالَ: «إِذَا رَأَيْتَ النِّسَاءَ قَدْ رَكِبْنَ السُّرُوجَ، وَكَثُرَتِ الْقَيْنَاتُ، وَشُهِدَ شَهَادَاتُ الزُّورِ، وَشَرِبَ الْمُسْلِمُونَ فِي آنِيَةِ أَهْلِ الشِّرْكِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَاسْتَغْنَى الرِّجَالُ بِالرِّجَالِ، وَالنِّسَاءُ بِالنِّسَاءِ فَاسْتَدْفِرُوا وَاسْتَعِدُّوا»

    হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:ঐ সত্তার কসম! যিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। এই দুনিয়া ততক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংস হবে না, যতক্ষণ না লোকদের মাঝে ধ্বস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বৃষ্টি পাওয়া যাবে। লোকেরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান! এসব কখন ঘটবে? নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন তোমরা মহিলাদের দেখবে যে, তারা (ঘোড়ার) জিন ধরে সাওয়ারীতে আরোহন করছে (মহিলারা ড্রাইভিং করছে), গায়িকার সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে, মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়া শুরু হয়েছে, মুসলমানরা মুশরিকদের পাত্র তথা স্বর্ণ রূপার পাত্রে পান করছে, পুরুষের মাধ্যমে (নারী থেকে) এবং নারী আরেক নারীর মাধ্যমে (পুরুষ থেকে যৌনতা বিষয়ে) অমুখাপেক্ষী হয়ে যাচ্ছে। তখন তোমরা প্রস্তুত হয়ে যাও। [মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৮৩৪৯]

    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: ” لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَسَافَدَ النَّاسُ فِي الطُّرُقِ كَمَا يَتَسَافَدُ الدَّوَابُّ، يَسْتَغْنِي الرِّجَالُ بِالرِّجَالِ، وَالنِّسَاءُ بِالنِّسَاءِ، أَتَدْرُونَ مَا التَّسَاحُقُ؟ قَالُوا: لَا، قَالَ: تَرْكَبُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ ثُمَّ تَسْحَقُهَا “

    হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন, কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না মানুষ পশুর মত রাস্তায় যৌনকাজে লিপ্ত হবে। পুরুষ পুরুষের মাধ্যমে (নারী থেকে) এবং নারী নারীদের মাধ্যমে (পুরুষ থেকে যৌনকর্ম বিষয়ে) অমুখাপেক্ষী হয়ে যাবে। তোমরা কি জানো “তাছাহুক” কী? তারা বললেন, না। জবাবে আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন,এক নারী আরেক নারীর উপরে উঠবে এবং তার সাথে ‘ছাহহাক’ তথা কামনা পূর্ণ করবে। [আলফিতান লিনুআঈম বিন হাম্মাদ, বর্ণনা নং-১৭৯৪]

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে হেফাযত করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে হেফাযত করুন। আমীন

    Comment


    • #3
      Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
      আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে হেফাযত করুন। আমীন
      ছুম্মা আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
        আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে হেফাযত করুন। আমীন
        আমীন ইয়া রব্ব

        Comment


        • #5
          যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে
          -
          ইলম ও জিহাদ
          ------------
          ৪. সমকামী, যখন সে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।
          ৫. পশুর সাথে সঙ্গমকারী, যখন সে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।
          ৬. যে ব্যক্তি তার মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গম করে।
          -----------
          https://dawahilallah.com/forum/%E0%A...A7%8D%E0%A6%AC

          Comment


          • #6
            Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
            যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে
            -
            ইলম ও জিহাদ

            https://dawahilallah.com/forum/%E0%A...A7%8D%E0%A6%AC
            জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              হদ কায়েম করার জন্যে ইসলামি হুকুমত থাকা জরুরি। ইসলামি শরিয়ত কায়েম থাকলে এই বিকৃতি আসে না। এই বিকৃতির ব্যাপক প্রচলন থাকলে ঐ অভিশপ্ত কওম শরীয়তের নেয়ামত থেকে মাহরুম থাকতে বাধ্য। হাইব্রিড মুরগী, হাইব্রিড সমস্ত খাদ্য সামগ্রীতে ব্যাপক পরিমাণে এই সব বিকৃতির প্রভাবক উপাদান দেয়া থাকে। তবে আল্লাহ মুসা (আঃ) র কওমকে ফেরাউনের কওমের উপর নাযিল ১০ টা আজাব থেকে যে আমলের উসিলায় রক্ষা করেছিলেন এখনকার উম্মতে মুহাম্মদি একই আমলের মাধ্যমে এই সমস্ত বিষাক্ত উপাদান থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
              দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যাক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

              Comment


              • #8
                Originally posted by গোলাম-ঈ-রব্বানি View Post
                হদ কায়েম করার জন্যে ইসলামি হুকুমত থাকা জরুরি। ইসলামি শরিয়ত কায়েম থাকলে এই বিকৃতি আসে না। এই বিকৃতির ব্যাপক প্রচলন থাকলে ঐ অভিশপ্ত কওম শরীয়তের নেয়ামত থেকে মাহরুম থাকতে বাধ্য। হাইব্রিড মুরগী, হাইব্রিড সমস্ত খাদ্য সামগ্রীতে ব্যাপক পরিমাণে এই সব বিকৃতির প্রভাবক উপাদান দেয়া থাকে। তবে আল্লাহ মুসা (আঃ) র কওমকে ফেরাউনের কওমের উপর নাযিল ১০ টা আজাব থেকে যে আমলের উসিলায় রক্ষা করেছিলেন এখনকার উম্মতে মুহাম্মদি একই আমলের মাধ্যমে এই সমস্ত বিষাক্ত উপাদান থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
                কোন আমলের উসিলায় রক্ষা করেছিলেন ভাই? একটু জানালে ভালো হয়।

                Comment

                Working...
                X