স্কুল-কলেজের সরকারী সিলেবাসভুক্ত বইগুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা ও আন্তরিক নিবেদন নিয়ে ধারাবাহিক প্রকাশনাঃ- সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৮ ।
প্রিয় পাঠক! সহশিক্ষা এবং পর্দাহীনতার বিষয়গুলো বারবার ঘুরেঘুরে প্রতিটি বইতেই একইরকমভাবে আসার কারণে এবিষয়ে নতুন করে আর কিছু লিখিনি। তবে অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে লেখা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আর তাই এখানে সহশিক্ষা এবং পর্দাহীনতা সম্পর্কে পূর্বের পর্বগুলোর নির্বাচিত কিছু অংশ পাঠকের সমীপে কপি করে দিয়েছি এবং সাথে আরো নতুন দু'একটি বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছি।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামের অকাট্য বিধান পর্দার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে তারা এই বিদ্বেষ প্রকাশ করেছে। তাদের চোখে-মুখে, কাজে-কর্মে এই সুস্পষ্ট বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা আলে ইমরানের ১১৮ নং আয়াতে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا بِطَانَةً مِّن دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًا وَدُّوا مَا عَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ الْبَغْضَاءُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ وَمَا تُخْفِي صُدُورُهُمْ أَكْبَرُ ۚ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْآيَاتِ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারী পাঠ্যবই। তুমুল ইসলাম বিদ্বেষের অপর এক নাম। এই সিরিজের প্রতিটি পর্বে শিক্ষা কারিকুলাম ও সরকারী পাঠ্যবইগুলোর বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গতানুগতিক আলোচনার বাইরে গিয়ে বইগুলোর সঠিক-ভুল তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সবাই যেভাবে লেখে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করেছে। শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি ইস্যু নিয়েই লেখা হয়নি। বরং বইয়ের যেই যেই বিষয়ই ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে সব বিষয়েই লেখা হচ্ছে। আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা। প্রিয় পাঠক! আপনার সার্বিক সহায়তা কামনা করি। সকলে যার যার স্থান থেকে সিরিজটিকে বেশি বেশি প্রচার করার চেষ্টা করি। হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় তাওহীদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে দেই; বাংলার আনাচে কানাচে!
কেউ হয়ত মনে করতে পারেন, যে এসব বিষয় নিয়ে লিখে লাভ কী? আমি বলব, লাভ অবশ্যই আছে। দেখুন, আমরা বিভিন্ন পোস্ট লেখতেছি, আন্দোলন করতেছি, কর্মসূচি ঘোষণা করছি। বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও ক্যাম্পেইনও করতেছি । কিন্তু ফল কই? ফলাফল নাই। যা একটু সুফল পাওয়া যায়, সেটাও সরকারই ভোগ করে শেষ পর্যন্ত। আমাদের আন্দোলনের কোনো স্থিতিই নাই। কেন? আমরা কি কখনো চিন্তাও করেছি, এগুলোর পেছনে কারণগুলো কি কি?
আমি মনে করি কারণগুলোর একটি হলো, আমরা সরকারের শাসনব্যবস্থার মিথ্যা বুঝি। কিন্তু নিজেরা এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা বা কার্যকরি কোনো অবস্থান নিতে পারিনা । কারণ আমরা মাঝে মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো ছেড়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এবং আমরা একটি ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ থাকতেছি না। বরং সরকার যখনই আমাদের সামনে যেই ইস্যু নিয়ে আসতেছে আমরা সেটাতেই মেতে উঠতেছি। এভাবে আমাদের আন্দোলনের কোনো স্থিতি থাকতেছে না। তাই আমাদের উচিত গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে সেগুলোর চারপাশে জনতাকে একত্রিত করা, সংগঠিত করা। একমাত্র এভাবেই আমাদের আন্দোলন সফলতা পেতে পারে। এবং আমরা ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করতে পারি। আর সে লক্ষ্যের ক্ষুদ্র একটি প্রচেষ্টা হিসেবেই আমাদের এই পথচলা। আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা।
কখনো কখনো কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । আবার কখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও গুরুত্বহীন হয়ে যায়। এগুলো মিডিয়ার প্রচারণা এবং মানুষের মেজায - রুচি অভিরুচির কারণে হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত মানুষ যে বিষয়গুলো সহজে বুঝবে, সরকারের যেই যেই অপরাধগুলো মানুষের নিকট স্পষ্ট, সেই ইস্যুগুলোর চারপাশেই মানুষকে একত্রিত করা। মানুষকে এমন যুক্তির মাধ্যমেই বুঝানো, যেগুলো তারা সহজেই বুঝে। এমন দলীল - প্রমাণের মাধ্যমেই বুঝানো, যে দলীল - প্রমাণগুলো জনসাধারণের নিকট আগে থেকেই স্পষ্ট। আপাতত আমাদের কার্যপদ্ধতি এমনই হোক। আর বলা বাহুল্য, সরকারের এমন অপরাধনামার লিস্টটা অনেক দীর্ঘ। সুতরাং কুফুরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মিডিয়ার প্রচারণার অংশ হিসেবে আপনিও একটি টপিক বেছে নিন। এই প্ল্যাটফর্মে আপনাকেও স্বাগতম।
-----------
তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান বই। এই বইটিতেও ছোট বয়স থেকেই ছেলেমেয়েদের ওপেন পর্দাহীন পরিবেশে বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে । যেখানে দেখানো হচ্ছে, ছেলেমেয়েরা একসাথে জোড়ায় জোড়ায় পড়ালেখা করছে এবং ছেলে + মেয়ে একে অপরকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় বুঝার চেষ্টা করতেছে। শুধু ছেলে - ছেলেও না। এবং শুধু মেয়ে - মেয়েও না। বরং প্রত্যেকেই বসে আছে তার বিপরীত লিঙ্গের সাথে । অথচ ছেলে মেয়েদেরকে ছোটকাল থেকেই পর্দানুরাগী করে বড় করে তোলার নির্দেশ ইসলামে দেওয়া হয়েছে। বইয়ে যা দেখানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক। ইসলামে এর কোনো স্থান নেই । ছেলে মেয়ে কখনোই একসাথে বসে পড়তে এবং লিখতে পারে না। বরং তারা আলাদা আলাদা বসবে, আলাদা আলাদা লিখবে। ছেলেরা ছেলেদের সাথে আর মেয়েরা মেয়েদের সাথে। এভাবেই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব। সুতরাং আমরা ছেলে মেয়ে কখনো একসাথে বসব না। যেখানে ছেলেমেয়ে পর্দাহীনভাবে পড়ালেখা করে; সেখানে আমরা পড়তেও যাব না। কারণ এভাবে ছেলেমেয়ে একসাথে বসে পড়ালেখা করা হারাম। এটা ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই আমরা এজাতীয় হারাম কাজ থেকে বিরত থাকব।
ছোট্ট একটা বইয়ে কোন্ জায়গায় তারা তাদের কূটিল ষড়যন্ত্র করেনি। প্রতিটা ছত্রে ছত্রে পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় তাদের ইসলাম বিদ্বেষ ফুটে উঠেছে। যেন ইসলামের প্রতি তাদের জমে থাকা সকল ক্ষোভ ঝাড়তে চাইছে আমাদের কোমলমতি শিশুদের মস্তিষ্কের উপরে! হায় আফসোস! এমন দিনও আমাদের দেখতে হলো।
বইয়ের শুরুর দিকে প্রচ্ছদে ছেলেমেয়ে জোড়ায় জোড়ায় যে বসে বসে বিজ্ঞানের পাঠ নিচ্ছে; ইসলাম মনে করে এমনটা করা উচিত না। বরং ছেলে মেয়ে ছোট হোক বা বড় হোক সবসময় আলাদা আলাদা থাকবে। কখনোই তাদের মধ্যে ফ্রী-মিক্সিং হতে পারবে না। ছেলে এবং মেয়েদেরকে একত্রে মেলামেশা করতে দেওয়া যাবে না। হোক না দুষ্টুমির ছলে অথবা খেলতে গিয়ে অথবা কোনো পড়া বুঝতে গিয়ে। এবিষয়টা আমাদের সকলেরই ভালোভাবে খেয়াল রাখা উচিত এবং অন্যদেরকেও এবিষয়ে সতর্ক করা উচিত। কারণ আমরা মুসলিম। আমরা ফ্রী-মিক্সিংকে ঘৃণা করি। অথচ পুরো বইটিতে শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশ্নোত্তরভিত্তিক কিছু আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে দুটি চরিত্র আনা হয়েছে। ছেলে এবং মেয়ে! জোড়ায় জোড়ায়। ছেলেটি বিভিন্ন প্রশ্ন করছে এবং মেয়েটি উত্তর দিচ্ছে।
আপনার ধারণা কি, এই বিষয়গুলো কি শুধুই কিছু ছবি? না ভাই, এগুলো শুধু কিছু ছবি না। এগুলো আমাদের শিশুদের কোমল মনে গভীর রেখাপাত করে। এগুলো হলো কাফেরদের আদর্শ এবং গুনাহের কাজের সাথে কমলমতি শিশুদের ভালোবাসা তৈরি করে দেওয়া। ফলে তারা কাফের এবং তাদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং পরবর্তীতে সে তাদের ধর্ম গ্রহণ করবে। অথবা ইসলাম কাফেরদের সাথে যে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বা গুনাহের প্রতি যে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তা অস্বীকার করে বসবে।
কারণ বাচ্চারা যে কোনো বিষয়ে দ্রুত প্রভাবিত হয়। তারা যা দেখে তার মতো হতে চায়। যেভাবে দেখে সেভাবে করতে চায়। অন্তত বিষয়টা তাদের নিকট স্বাভাবিক হয়ে যায়। এভাবে স্লো পয়জনিং এর মাধ্যমে আজ আমাদেরকে ও আমাদের সন্তানদেরকে কোনো একটা পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে । আমাদের মাইন্ড সেটাপ তারা করে দিচ্ছে। এভাবে তারা আমাদের বাচ্চাগুলোকেও তাদের মতো করেই তাদের অশ্লীল মতাদর্শে বড় করে তুলতে চায়। চিন্তা করুন, কী সুগভীর ষড়যন্ত্র! এগুলো তো শুরুর দিকের কিছু দৃশ্য। এবার আমরা আরেকটু সামনে যাই।
আসলে সহশিক্ষা জিনিসটা কখনোই ভালো ছিল না। এখনোও ভালো না। এটা গর্হিত একটা কাজ। এটা খারাপ কাজ। এটা হারাম কাজ। এটা বর্জনীয়। এটা নোংরা। কিন্তু আগের সাথে এখনকার পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, আগে খারাপ সহশিক্ষাকে খারাপই মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে সেটাকে আধুনিকতা মনে করা হয়। আমরা দেখেছি, ইসলামের বিপরীতের সব আধুনিকতাই মূলত সত্যিকার অর্থে দুর্গন্ধযুক্ত পঙ্কিলতা দিয়ে ভরা। সমাজের ৫০% বা তার চেয়েও বেশি যেনা হচ্ছে আজ এই পর্দাহীনতা এবং সহশিক্ষার ভয়ঙ্কর অভিশাপে। সুতরাং হে মুসলিম, সহশিক্ষাকে বয়কট করুন। যে শিক্ষাব্যবস্থা সহশিক্ষাকে প্রমোট করে তাকেও বয়কট করুন। নিজের দ্বীন - ঈমানের স্বার্থেই এটি করুন। সহশিক্ষা সম্পর্কে আরো জানতে এই লিঙ্কটি ভিজিট করতে পারেন।
প্রযুক্তি বিষয়ে শেখাতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের শেখানো হচ্ছে; আমি টেলিভিশন চালাতে পারছি না কেন? আমি মোবাইল চালাতে পারছি না কেন? আমি গান শুনতে চাই। টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা গান শুনি। শক্তির অপচয়রোধ সম্পর্কে শেখাতে গিয়ে শেখানো হচ্ছে; টিভি দেখা শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা। আসলে সন্তানদেরকে টেলিভিশন মোবাইল ফোন ইত্যাদি প্রযুক্তির মাধ্যমে গান শোনানো আর গান শেখানো-ই কি এই শিক্ষাব্যবস্থার মিশন ও ভিশন? এই শিক্ষাব্যবস্থার কারিগররা আসলে কী করতে চায়? তাদের উদ্দেশ্য কী? হে মুসলিম! এই শিক্ষাব্যবস্থার কারিগরদেরকে আপনার সন্তানের জন্য দরদী ভাববেন না। বরং প্রকৃতপক্ষে তারা তো আপনার সন্তানকে নাস্তিক-মুরতাদ, লম্পট এবং খোদাদ্রোহী-ই বানাতে চায়! এটাই তাদের উদ্দেশ্য। এখনও কি আপনি সতর্ক হবেন না?
সামনে তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১২২ নম্বর পৃষ্ঠায় তারা শেখাচ্ছে। আমরা তথ্য আদান-প্রদানের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছি। কম্পিউটার তেমনি একটি প্রযুক্তি। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন কাজ যেমন, কথা বলা, গান শোনা, ছবি আঁকা, নাটক বা সিনেমা দেখা, হিসাবনিকাশ, অনলাইনে ক্লাস ইত্যাদি করে থাকি। ও, তাহলে আমরা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গান শুনি, ছবি আঁকি, নাটক বা সিনেমাও দেখি? আমাদের পাঠ্যবই আমাদেরকে এটা শেখাচ্ছে? একেমন পাঠ্যবই, একেমন পাঠ?
সামনে বইটির ১২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, ১১-১১ করে দুটি দলে মোট ২২ জন ছেলেমেয়ে শিক্ষার্থী একটি ফুটবল নিয়ে স্কুলমাঠে অপেক্ষমাণ। ছেলেমেয়ে টিম গঠন করে খেলবে! ছেলেরা এবং মেয়েরা। ফুটবল খেলবে! হে ভাই, পাঠ্যবইয়ে এগুলো আসলে কী শেখানো হচ্ছে? আপনি কি এখনো এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন না?
হে মুসলিম! আপনার প্রজন্মের ভাগ্য আপনার হাতেই। আপনার ছেলে ফুটবল খেলতে গিয়ে অপর মেয়ের সাথে ধাক্কা খাবে; আপনার অনুভুতি তখন কেমন হবে? আপনার ছেলের মধ্যে কি কোনো অশ্লীল শিহরণ সৃষ্টি হবে না? ঠিক আপনার মেয়ের কথা চিন্তা করুন, আপনার মেয়ে স্কুলে গিয়ে অপর ছেলের সাথে ঘষাঘষি করে ফুটবল খেলবে; হে মুসলিম আপনার তখন কেমন লাগবে? আপনি কি আপনার মেয়েকে অপর ছেলের সাথে এভাবে অশ্লীলভাবে খেলার অনুমতি দিবেন? তাহলে এখনো কেন এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছো না? এই দৃশ্যগুলো বইটির ১২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় আছে।
- এই ভূমিতে কি চক্ষুষ্মান একজন ব্যক্তিও নেই? সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৭ ।
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196978
Comment