Announcement

Collapse
No announcement yet.

দেশ ও ভাষার জন্য জীবনদান নিয়ে এক লেখার প্রেক্ষিতে মন্তব্য

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দেশ ও ভাষার জন্য জীবনদান নিয়ে এক লেখার প্রেক্ষিতে মন্তব্য

    দেশ ও ভাষার জন্য জীবনদান নিয়ে এক লেখার প্রেক্ষিতে মন্তব্য

    “দেশ ও ভাষার জন্য জীবনদানের মর্যাদা” নামে একটা সংবাদ হয়তো অনেকে দেখেছেন।

    লেখকের পরিচয়ে বলা হয়েছে: মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি। গবেষক, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

    শিরোনাম থেকেই ঘৃণ্য জাতীয়তাবাদের পঁচা গন্ধ আসছে। আর ভিতরে যা আছে তা আরও পঁচা।


    লেখক মদীনা ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন। সে হিসেবে ‘আল মাদানি’। সৌদি আরবের এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে এদেশের অনেকজনই পড়াশুনা শেষে দেশে এসে নিজেদের মানসাব ও যশ-খ্যাতি সংরক্ষণের বিনিময়ে তাগুত সরকারের গদি সুরক্ষার পক্ষে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। তাগুতদের শরয়ী শাসকের লেভেল লাগানো, ওয়াজিবুল ইতাআত সাব্যস্ত করা ইত্যাদি জঘন্য কাজগুলো করে যাচ্ছেন, তাওহিদের স্লোগানবাদি এমন অনেকের কালো চেহারা হয়তো আপনারা চেনেন।


    এ ধরনের তাওহিদবাদিদের পক্ষে এ ধরনের বক্তব্য মোটেই আশ্চর্য কিছু ছিল না। কিন্তু আমাদের শিরোনামের লেখক স্বয়ং নিজে ‘তথাকথিত আহলে হাদীসের আসল রূপ’ নামে কিতাব সংকলন করেছেন। তার থেকে এ ধরনের লেখাতে একটু আশ্চর্য হওয়া যেতো।


    অবশ্য কওমি অঙ্গন থেকে ফরিদ মাসউদের উদ্ভব এবং শোকরানা মাহফিলের ঘটনার পর আর কোনো মহল থেকেই কোনো কিছু আশ্চর্যের নয়।



    বিশেষত লেখকের উপরোক্ত কিতাবে একটা শিরোনাম আছে, ‘জঙ্গিবাদের গোড়ায় আহলে হাদীস কেন?(*)

    টীকাতে লেখা আছে, ‘(*) মুসলমানদেরকে জঙ্গিবাদের অশুভ চক্রান্ত থেকে সতর্ক থাকার লক্ষ্যে এই শিরোনামটি ১৯তম সংস্করণে সংযোজন করা হয়েছে।’ পৃষ্ঠা ৩২


    তখন আর তেমন আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। আজকাল সব মহল এবং সব গবেষক থেকেই সব কিছু সম্ভব হচ্ছে। অসম্ভব হলে শুধু সেটাই, যেটা তাগুতদের গদির বিপক্ষে যাবে।


    যাহোক,
    এ গেল শিরোনাম নিয়ে কথা। ভিতরে তিনি যে অপরাধটা করেছেন, কুফরি জাতীয়তাবাদি এসব চেতনা ও আন্দোলনকে শরয়ী লেবাস পরিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

    তৎকালীন পাকিস্তান উর্দু ভাষাকে কতটুকু বাধ্যতামূলক করতে চেয়েছিল এবং সেটা শরীয়তের বিপরীত কি’না, একটা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের সে অধিকার আছে কি’না- সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। বিশেষত যারা বাধ্যতামূলক করতে চাচ্ছিল, তারাও তাগুতই ছিল এবং তাদের মধ্যেও জাহিলি জাতীয়তাবাদের চেতনা ছিল; তখন আর সেদিকে যাওয়ার তেমন দরকার নেই।

    তবে লক্ষ করার দরকার যেটা, সেটা হলো,

    তৎকালীন ভাষা আন্দোলন কি ইসলামের জন্য হয়েছিল? কিংবা অন্তত ইসলাম অনুমোদন দেয় এ দিকটি বিবেচনা রেখে করা হয়েছিল?

    প্রতিটি চক্ষুষ্মান ব্যক্তি বলতে বাধ্য যে, ইসলামের কোনো নাম নিশানাও সেখানে ছিল না। সম্পূর্ণ জাহিলি জাতীয়তাবাদি চেতনা থেকে এ আন্দোলন হয়েছিল।


    জিহাদের মতো পবিত্র ও মহান ইবাদতও যদি কোনো ব্যক্তি জাতীয়তাবাদি চেতনা নিয়ে করে বা লোক দেখানোর জন্য করে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বর্থ্যহীন সিদ্ধান্ত যে, তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; তখন লেখক কি করে বলতে পারলেন,

    ‘মাতৃভাষা নিয়ে এ আন্দোলনেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বীজ বপন হয়েছিল। রচিত হয়েছিল লাল-সবুজের পতাকা। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে তারা শহীদের মর্যাদা পাবেন’
    ।?!


    আরও আশ্চর্যের কথা হলো,
    যারা ভাষা আন্দোলনে নিহতদের শহীদ বলেন – এমনকি হিন্দুদেরকেও তারা এ হুকুমের বাহিরে রেখে কথা বলেন না- তাদের অনেকের কাছে হেফাজতের রাতে মৃত্যুবরণকারী উলামা, তুলাবা ও মুসলিম জনসাধারণ শহীদ নন!

    কেন?
    কারণ, তারা সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে নিহত হয়েছে। তারা বাগি।


    প্রশ্ন হলো,
    তাহলে ভাষা আন্দোলন করেছিল যারা, তারা কি বর্তমান বাংলাদেশের চেয়েও পাঁচ/সাতগুণ বড় একটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায়নি, যে রাষ্ট্রটি- নামে হলেও- ইসলামের জন্য হয়েছিল?

    জাহিলি জাতীয়তাবাদি চেতনা নিয়ে একটা দুনিয়াবি বিষয়ে নিহত হলে শহীদ হবে, আর দ্বীনের জন্য মারা গেলে শহীদ হবে না! বড় অবাক কথা।
    কিন্তু আগেই বলেছি, আজকালকার গবেষকদের কাছ থেকে কোনো কিছুই আর অপ্রত্যাশিত নয়।
    ***

    প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি কথা বলে রাখি, স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপনকে তিনি প্রশংসার দৃষ্টিতে উল্লেখ করেছেন। বলি, আজ যারা জিহাদ করে বাংলাদেশে আযাদির বীজ বপন করতে চাচ্ছেন, সেটা অবৈধ হবে কেন?

    নামে হলেও ইসলামি; সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নতুন রাষ্ট্র জন্ম দিলে যদি প্রশংসনীয় হয়, তাহলে শতভাগ কুফরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিহাদ করে স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করলে কেন নাজায়েয হবে?


    ইসলামের লেবাসধারী যারা ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের আড়তি গেয়ে থাকেন, তাদের কাছে প্রশ্নটা রইল।
    ***



  • #2
    আল্লাহ সম্মানিত ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন ও আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মুহতারাম ভাইয়ের লেখনীর তুলনা হয় না ৷
      আল্লাহ তাআলা ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন ৷ আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        মডারেটর ভাইদের নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ। ভাইয়েরা, ঐ গভেষকের(গবেষকের) সম্পূর্ণ পোস্টটি আমাদের ফোরামে উল্লেখ্য করেন। আর আমাদের আলিমদের ভাইদের কাছেও অনুরোধ ঐ পোস্টটিকে আরো বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার জন্য এবং সাধারণ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য।
        আর প্রিয় ভাইকে[[ ইলম ও জিহাদ]] অসংখ্য ধন্যবাদ।
        اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

        Comment


        • #5
          আল্লাহ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন।আমিন।
          দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ,, [[ আল্লাহ, আপনি শাইখকে হায়াতে তয়্যিবাহ দান করুন আমীন ]]
            প্রিয় শাইখ,,[[[ ইলম ও জিহাদ]]] আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বই লিখে দিলে ভালো হয়। আপনার পোস্টগুলো আমাদের জন্য খুবই উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ হেদায়েত। আল্লাহ আপনাদের সাথে আমাদেরও জিহাদের পথে অটল রাখুন, আমীন।
            আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়া-লা আমাদের মাথার তাজ সম্মানিত শায়েখকে উত্তম বিনিময় দান করুন..সর্বদা সুস্থ সবল ও নিরাপদ রাখুন..
              হে আল্লাহ্ গৃহপালিত সরকারি আলিমদের বিষক্ত বক্তব্য থেকে আমাদের ইমান আকিদা হেফাযত করুন..
              আমাদের সম্মানিত হকপন্থি আলিম দ্বারা তাদের সকল অসাড় বক্তব্য খন্ডন করা সহজ করে দিন। আমিন ইয়া রব্ব।

              Comment


              • #8
                জাঝাকাল্লাহ মুহতারাম ভাই। আল্লাহ তায়ালা ভাইদের ইলমে ভরপুর বরকত দান করুন। আমিন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by forsan313 View Post
                  মডারেটর ভাইদের নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ। ভাইয়েরা, ঐ গভেষকের(গবেষকের) সম্পূর্ণ পোস্টটি আমাদের ফোরামে উল্লেখ্য করেন। আর আমাদের আলিমদের ভাইদের কাছেও অনুরোধ ঐ পোস্টটিকে আরো বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার জন্য এবং সাধারণ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য।
                  আর প্রিয় ভাইকে[[ ইলম ও জিহাদ]] অসংখ্য ধন্যবাদ।
                  যাজাকাল্লাহু খাইরান আখি! একদম মনের কথাটি বলেছেন। সহমত ভাই আপনার সাথে।
                  লিল্লাহি তাকবির! আল্লাহু আকবার!!

                  Comment


                  • #10
                    সুপ্রিয় শাইখ[[ ইলম ও জিহাদ]] আমার ঈমানের হালত আপনার কাছে বলার ইচ্ছা করছি।
                    [[ আল্লাহর দেখা আমার উপরে মানুষের দেখার উপরে প্রাধান্য পাচ্ছে না]] ফলে মানুষ দেখলে গোনাহ ছেড়ে দিচ্ছি, কিন্তু আমার রব তো ওনার শান অনুযায়ী আমাকে দেখছেন, কিন্তু আমার উপরে কোন আছর পড়ছে না!!! শাইখ, এক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি??? আমি অনেক দৃঢ়তার সাথে নিয়ত করি গোনাহ করব না, কিন্তু ছাড়তে পারছি না। আমাকে কিছুতেই শয়তান ছেড়ে যাচ্ছে না। শাইখ, আমি আসলেই ফিরে আসতে চাচ্ছি। একই গোনাহ বারবার হয়ে যাচ্ছে!!!
                    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                    Comment


                    • #11
                      প্রিয় শাইখ,,[[ইলম ও জিহাদ]] আমার কমেন্টটি আশাকরি আপনার চোখে পড়েছে!?আশাকরি দিকনির্দেশনামূলক কিছু নাছিহাহ দিবেন। আল্লাহ আপনাদের তাওফিক দান করুন, আমীন।
                      اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by forsan313 View Post
                        প্রিয় শাইখ,,[[ইলম ও জিহাদ]] আমার কমেন্টটি আশাকরি আপনার চোখে পড়েছে!?আশাকরি দিকনির্দেশনামূলক কিছু নাছিহাহ দিবেন। আল্লাহ আপনাদের তাওফিক দান করুন, আমীন।
                        মুহাতারাম ভাইজান!
                        ফোরামের সিনিয়র ভায়েরা অনলাইন অফলাইনে খুব ব্যস্ত থাকেন। তাই আমাদের আবেদন যেন সেদিকে খেয়াল করে হয়। আর তাজকিয়াহ এর জন্য শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ এর বয়ান খুবই মুফিদ। বিশেষকরে "হে যুবক গুনাহ থেকে কিভাবে বাঁচবে " এই বয়ানটি মনযোগ দিয়ে শুনতে পারেন। তাজকিয়াহ এর জন্য এরচেয়ে ভালো কোন নাসিহাহ নাখান্দা বান্দার জানা নেই।
                        আসুন! নববী মানহাযে শান্তির জন্য কাজ করি!!

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ আপনি ইলম ও জিহাদ ভাইকে কবুল করুন ও দ্বীনের খেদমতে নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
                          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                          Comment

                          Working...
                          X