Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩২ || “ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে একবিংশ শতাব্দীর গণতন্ত্র (সূরা আসরের আলোকে) ” ।। মাওলানা আসেম উমর হাফিজাহুল্লাহ || ১০ম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩২ || “ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে একবিংশ শতাব্দীর গণতন্ত্র (সূরা আসরের আলোকে) ” ।। মাওলানা আসেম উমর হাফিজাহুল্লাহ || ১০ম পর্ব

    আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে
    একবিংশ শতাব্দীর গণতন্ত্র’’

    (সূরা আসরের আলোকে)

    ।।মাওলানা আসেম উমর হাফিজাহুল্লাহ ||
    এর থেকে১০ম পর্ব



    আবূ জাহালের ধর্মনিরপেক্ষ প্রস্তাবনা



    এ সম্পর্কে আরো বলেন, তাঁদের যুগের নির্বোধ ও সকল ধর্মের মাঝে সাম্য ও সহাবস্থানের প্রবক্তারা তাঁদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করেছে; যাঁরা হারাম ও মন্দির, কাবা ও প্রতীমার মাঝে পার্থক্য করাকেও কুফর মনে করে। তাচ্ছিল্যবশত তাঁদেরকে শহরের ফকীহ, সমালোচক, উর্বশী বক্তা ও খোদায়ী সেনাপতি নামে অভিহিত করেছে। তবুও তাঁরা পরিপূর্ণ স্থিরতা ও ধৈর্যের সাথে নিজেদের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। নিঃসন্দেহে এ লোকগুলো আম্বিয়ায়ে কেরাম আ. এর দ্বীনের হেফাযত করেছেন। আজ ইসলাম, খৃষ্টবাদ, ইয়াহুদীবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ ইত্যাদির মাঝে যে পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, এটা তাঁদের সাহসিকতা, দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতারই ফল।

    এখানে কুফর ও হিন্দুত্ববাদের স্বরূপ ও প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করার উদ্দেশ্য হলো, যাতে এটা বোঝার পর এ বিষয়টাও বুঝতে সহজ হয় যে, ধর্মনিরেপক্ষ শাসনব্যবস্থা; যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে গণতন্ত্রের রূপে প্রকাশিত। এটাও প্রকৃতি ও প্রভাবের দিক দিয়ে হিন্দুইজমের মতোই।

    প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তি জানে যে, সেক্যুলারিজম বা গণতন্ত্র আসলে প্রবৃত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত একটা ধর্ম (শাসনব্যবস্থা)। যেখানে প্রভাবশালী শ্রেণীর ইচ্ছাকেই দ্বীন, উপাস্য ও আইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বৈধতা ও অবৈধতা দানের পুরো ক্ষমতা এ শ্রেণীর হাতেই ন্যস্ত থাকে। এর অনুসরণ করা প্রত্যেক অধিবাসীর জন্য আবশ্যক করে দেওয়া হয়।

    তবে প্রভাবশালী শ্রেণীর চাহিদাকে নির্ভরযোগ্য করার জন্য সেটাকে জনগণের রায় ও ইচ্ছা বলে নাম দেওয়া হয়। হিন্দুত্ববাদের মতো গণতন্ত্রের দেবীর কাছেও এ পার্থক্য নেই যে, তাকে কে মান্য করছে- ইয়াহুদী, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, না মুসলমান? সে সবার কাছ থেকে কেবল এটাই চায় যে, সবাই নিজ নিজ ধর্মের উপর থাকুক আর তাকে শুধু আইন প্রণয়নের এখতিয়ার দিলেই হলো। অর্থাৎ জনগণের জীবন পরিচালনার নিয়ম-নীতি প্রবর্তন করার ক্ষমতা- যার দ্বারা যেটা ইচ্ছা মানুষের জন্য বৈধ আর যেটা ইচ্ছা তাদের জন্য অবৈধ ও আইন পরিপন্থী সাব্যস্ত করা যায়।

    অতএব, যেমনিভাবে মক্কার পৌত্তলিকরা সর্বশেষ নবী এর সামনে এ উদ্যোগ তুলে ধরেছিল যে, আপনি আপনার দ্বীনের উপর থাকবেন; কিন্তু আমাদের কতক প্রতীমার সত্যতা মেনে নেবেন। অথবা আপনার কিছু বিষয় আমরা মেনে নেব আর আমাদের কিছু বিষয় আপনি মেনে নেবেন। গণতন্ত্রও প্রত্যেক নাগরিক থেকে এতটুকুই চায়

    যে এটা মেনে নেয় তার সাথে গণতন্ত্রের কোনো লড়াই নেই। সে হয় সম্মানিত নাগরিক; চাই সে ইয়াহুদী অথবা খৃষ্টান বা হিন্দু হোক কিংবা চাই সে মুরতাদ হোক বা কট্টর নাস্তিক হোক। এ দেবীর দৃষ্টিতে সবার ধর্ম এক সমান। কেউ না মানলে সে হবে আতঙ্কবাদী এবং রাষ্ট্রের দেবী-মার বাগী বা বিদ্রোহী।

    যাই হোক, মক্কার পৌত্তলিক সর্দাররাও রাসূল এর নিকট এ ধরনের প্রস্তাবনা পেশ করল। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাযিলকৃত ধর্মের অপছন্দকারীদের এ জবাব দিয়ে আশাহত করে দিলেন যে, কিছু ইসলাম আর কিছু কুফরের খড়কুটো কখনো ইসলাম হতে পারে না। এখান থেকে কিছু ওখান থেকে কিছুর এ মিশ্রিত ধর্মটা কুফরই হবে।

    আল্লামা যাফর আহমাদ উসমানী রহ. এলাউস সুনান এ বলেন-
    قلت: وأما محاربة الرعية المسلمة ملكها الكافر بالمقاطعة الجوعية أو المظاهرة العامة فليس لها أصل في الشرع لم يستعملها أسلافنا المقيمون بدار الحرب مع ملكها قط، وإنما أخذها أبناء زماننا من أوربا و يجوز استعمال ما سوى الأول بعد النبذ إليهم على سواء إذا كنا نرجو الشوكة عليهم بذلك، وكان المقصود إعلاء كلمة الله والدعاء إلى الدين، دون إحرار الوطن وإقامة السلطنة الجمهورية المركبة من أعضاء بعضهم مسلمون وبعضهم كفرة مشركون، فإن بذل الجهد لذلك ليس من الجهاد في شيء لخلوه عن غرضه الأصلي وهو إعلاء كلمة الله والدعاء إلى الدين القويم ـ والسلطنة المركبة من الأعضاء المسلمين والكافرين لا يكون سلطنة إسلامية قط، وإنما هي سلطنة الكفر لا سيما إذا كانت الكثرة لهم لا لنا، فإن المركب من الخسيس والشريف خسيس من الطيب والخبيث خبيث ـ


    “আমি বলছি, এমন সাধারণ মুসলমান যাদের শাসক কাফের হয়; তাদের অনশন, হরতাল বা বিক্ষোভ মিছিল করা- শরীয়তে এসবের কোনো হাকীকত নেই। দারুল হরবে অবস্থানকারী আমাদের আসলাফদের কেউ এমন করেননি। আমাদের যমানার লোকেরা এসব ইউরোপ থেকে আমদানি করেছে। তবে অনশন ও হরতাল ব্যতীত বিক্ষোভ মিছিল করা ঐ অবস্থায় জায়েয হবে, যখন তা কাফেরদের সাথে কৃত চুক্তি শেষ করার ঘোষণা দেওয়ার জন্য হয় এবং এ মিছিল বা গণঅভ্যুত্থানের কারণে কাফেরদের উপর বিজয় লাভ করার আশা করা যায়। উপরন্তু এর উদ্দেশ্য আল্লাহর কালিমার বুলন্দি ও কাফেরদেরকে আল্লাহর দ্বীনের প্রতি আহ্বান করা হতে হবে। দেশের স্বাধীনতা বা অন্য গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য হলে হবে না, যার কিছু সদস্য মুসলমান আর কিছু সদস্য কাফের। কারণ তার জন্য চেষ্টা করাকে জিহাদ বলা হবে না। এতে তার উদ্দেশ্য আল্লাহর কালিমার বুলন্দি ও স্পষ্ট দ্বীনের প্রতি দাওয়াত দেওয়া নয়।

    আর এমন সরকার, যা মুসলমান ও কাফের সাংসদ নিয়ে গঠিত, এটা কখনো ইসলামী রাষ্ট্র হতে পারে নানিঃসন্দেহে এটা কুফরী রাষ্ট্রই হবে। বিশেষ করে, যখন তার অধিকাংশ সদস্য কাফের হয়। কারণ নিকৃষ্ট ও উৎকৃষ্টের মিশেলে গঠিত বস্তু নিকৃষ্টই হয় এবং পবিত্র ও অপবিত্রের মিশ্রণে গঠিত বস্তু অপবিত্রই হয়।”

    আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী রহ. ‘দ্বীনে হক্ব ওয়া উলামায়ে রব্বানী’তে বলেন, “শিরক একটা স্বতন্ত্র ধর্ম ও পরিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা (এ পরিপূর্ণতা মানবগড়া, যাতে শান্তি-সফলতার লেশমাত্রও নেই)। শিরক ও আল্লাহর ধর্ম কোনো শরীরে, কোনো মন-মানসিকতায় বা কোনো ভূখণ্ডে একসাথে জমা হওয়া সম্ভব নয়। এ গাইরে ইলাহী ধর্ম শরীরে ও মনে এবং এর বাহিরে এতটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত হয়, যতটা আল্লাহর ধর্মের জন্য মোটামুটি দরকার হয়।”

    একই পৃষ্টায় কয়েক লাইন পর তিনি বলেন, “এজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত জমিন থেকে শিরকের সকল শাখা এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শিকড় উপড়ে ফেলা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর দ্বীনের চারা লাগানো সম্ভব হবে না। কারণ এ চারা এমন জমিনে শিকড় গাড়ে না, যেখানে অন্য কোনো গাছের শিকড় বা বীজ থাকে। তার ডালপালা তখনই আসমানের সাথে কথা বলে এবং তখনই ফল-ফুল দেয়, যখন তার ভিত্তি ও শিকড় গভীর ও শক্ত হয়।”

    পরের পৃষ্ঠায় তিনি বলেন, “সুতরাং যে সকল ব্যক্তি আল্লাহর দ্বীনের স্বভাব ও স্বরূপ সম্পর্কে অবগত, তারা তাকে কোনো জায়গায় কায়েম করার জন্য সে জায়গাকে পরিপূর্ণরূপে পরিষ্কার, সমান ও উপযোগী করে নেয়। শিরক ও জাহিলিয়্যাতের সকল শিকড় খুঁজে খুঁজে বের করে দেয়। একটা একটা করে শিরক ও জাহিলিয়্যাতের বীজ উপড়ে ফেলে দিয়ে পুরো জমিনকেই একেবারে ওলট-পালট করে দেয়

    সামনে গিয়ে তিনি কুফরের সংজ্ঞা দিয়ে বলেন, “কুফর হলো আল্লাহর দ্বীন ও তাঁর শরীয়তকে অস্বীকার করা। এ অস্বীকার করা মানে হলো: তাঁর হুকুমতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, তাঁর আহকাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া; চাই সেটা যে কোনো উপায়েই হোক বা যে কোনো আলামত দ্বারা প্রকাশিত হোক। কুফরের এ সংজ্ঞা ঐসব লোকদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে নিচ্ছে, যারা কোনো হুকুমকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এর বিধান জানার পরও মান্য করে না বা মৌখিকভাবে স্পষ্ট অস্বীকার না করলেও ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিরোধিতা করে। এ ধরনের লোক চাই অন্যান্য আহকামের যতই পাবন্দি করুক না কেন, কুফরের গন্ডি থেকে বাহিরে নয়। আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদীদের সম্বোধন করে ইরশাদ করেছেন-

    أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَن يَفْعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰ أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ﴿البقرة: ٨٥﴾


    “তবে কি তোমরা গ্রন্থের (তাওরাতের) কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।” (সূরা বাকারাহ : ৮৫)

    কেবলমাত্র আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌম ক্ষমতা স্বীকার করে নিলে স্বাভাবিকভাবে প্রভুত্ব ও হাকিমিয়্যাত (আইন ও বিধান প্রণয়নের অধিকার) এর দাবিদারদের প্রভুত্ব ও হাকিমিয়্যাতের অস্বীকার হয়ে যায়। কিন্তু যে সকল লোক বাতিল প্রভুদের প্রভুত্ব ও হাকিমিয়্যাতের (আইন ও বিধান প্রণয়নের অধিকার) স্পষ্ট অস্বীকার করতে প্রস্তুত নয় বা তারা এ কেবলার দিকে মুখ তো ফিরিয়ে নিয়েছে; তবে অন্য কেবলার দিকে তাদের পিঠ যায় না অর্থাৎ তা থেকে পরিপূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি এবং তারা কখনো কখনো এর উপর আমল করে, আবার প্রয়োজন পড়লে ওটার উপরও আমল করে- প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলামের আওতাভুক্ত নয়। ঈমান বিল্লাহ তথা আল্লাহর উপর ঈমান আনার জন্য কুফর বিত-তাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা আবশ্যক।”

    কিছুদূর গিয়ে তিনি বলেন, “এজন্য কুরআন এ ধরনের মানুষের ঈমানের দাবিকে মেনে নেয়নি, যারা গাইরে ইলাহী বিধি-বিধান এবং তার প্রবক্তা ও কেন্দ্রের প্রতি ঝুঁকে থাকে এবং তাদেরকে নিজের বিচারক ও ফায়সালাকারী স্বীকার করে। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

    أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَن يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيدًا ﴿النساء: ٦٠﴾


    “আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে শয়তানের দিকে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।” (সূরা নিসা : ৬০)

    মুফতী মুখতার উদ্দীন শাহ সাহেব স্বীয় কিতাব ‘ইসলামী আকাঈদ ওয়া নাযারিয়্যাত’ এ লিখেন- বিরোধী বিধি-বিধান ও গাইরুল্লাহর ইবাদত থেকে অসন্তুষ্টি:

    “এ মহান কালিমার মধ্যে এ কথার ওয়াদাও রয়েছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করব না। যে কানুন ও বিধান আল্লাহর কানুনের পরিপন্থী হবে বা রাসূল থেকে প্রমাণিত পদ্ধতির সাথে সাংঘর্ষিক হবে, তার অস্বীকার করব।” ১২ নং পৃষ্ঠায় সূরা নিসার ৬০ নং আয়াতের অনুবাদে ব্র্যাকেটের ভিতরে লিখেন- “কেননা, আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর রাসূল এর উপর ঈমান আনার জন্য আবশ্যক হলো, তাগুতকে অস্বীকার করা। তাগুতকে অস্বীকার করা ছাড়া ঈমানও গ্রহণযোগ্য নয় এবং খালেছ ইবাদতও সম্ভব নয়। কিন্তু এই দুর্বল ও মস্তিষ্ক-ঢিলাগোষ্ঠী উভয়টাকে জমা করতে চায়; অথচ এটা একটা শয়তানি চাল।”

    পরের পৃষ্ঠায় লিখেন, এ আয়াতসমূহ থেকে স্পষ্টত: প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল এর উপর ঈমান আনার জন্য তাগুত তথা দ্বীন ইসলামের পরিপন্থী আইন-কানুনকে অস্বীকার করা আবশ্যক।




    আরও পড়ুন
    ৯ম পর্ব ------------------------------------------------------------------------------------------------- ১১তম পর্ব

    Last edited by tahsin muhammad; 4 days ago.
Working...
X