এলজিবিটি (ট্রান্সজেন্ডার-সমকামিতা) ইস্যু নিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষদের কাজ খুব গোছানো। তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।
বন্ধু সোস্যালের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি তারা পাঠ্যপুস্তকে ইস্যুটা ঢোকানোর জন্য দীর্ঘদিন লবিং করেছে। অবশেষে শরিফার গল্পের মাধ্যমে তারা এন্ট্রি নিয়েছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা এদেশে কাজ করছে এটা নিয়ে। আইন করারও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ সেটা প্রতিরোধ করা গেছে।
ব্রাক ইউনিভার্সিটির আন্ডারে একটা স্পেশালাইজড সেন্টার আছে এটা নিয়ে কাজ করার জন্য। একাডেমিক এবং পলিসি লেভেলে কাজ করে। কিভাবে আগালে সমাজে প্রতিক্রিয়া ছাড়া এটাকে নরমালাইজ করা যাবে - তারা সেটার পরিকল্পনা করে।
মিডিয়ার জন্যও বরাদ্দ আছে। তাদেরকে ভিক্টিম দেখিয়ে সিনেমা নাটক বানানো যাতে তাদের প্রতি সমাজের সিম্প্যাথি তৈরি হয়। আপনারা কয়েকটা নাটক ইতিমধ্যে দেখেছেন এটা নিয়ে। দেখেন, যারা আসল যৌন প্রতিবন্ধি তাদের নিয়ে এদের কোন কনসার্ন নাই। তাদের চিকিৎসা মাধ্যমে সমাজে মূল স্রোতে নেয়া পসিবল - বাট এটা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নাই। তারা সব এনার্জি খরচ করে নারী সাজা পুরুষকে নরমালাইজ করতে।
কিছুদিন আগে নেত্র নিউজের রিপোর্ট দেখেছেন। ড. সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে হুমকি দেয়া নারী সাজা পুরুষটা (সাফওয়ান রেবিল) কে তারা বৈষম্যের শিকার, মানে ভিক্টিম হিসাবে পোট্রে করেছে। এটাই তাদের কৌশল।
এই যে নারী সাজা পুরুষটা বিয়ের অধিকার নিয়ে রাস্তায় নামলো, সে কী কোন এজেন্ডা এবং পরামর্শ ছাড়াই এটা করছে? না, বরং পুরো বাম ঘরানা তার সাথে আছে। সামিনা লুৎফাদের মতো সেকু শিক্ষকদের একটা প্রভাবশালী অংশ তাদের সাথে আছে। প্রথমালো গং তাদের এজেন্ডাকে এগিয়ে নিচ্ছে।
আপনার (মডারেট বুদ্ধিজীবী মহল) বলছেন আমাদের প্রতিবাদের কারণে নেগেটিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা ছড়াচ্ছে। এর বাস্তবতা কতটুকু? তারা কি চায় নেগেটিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা ছড়াক? না তারা চায় সফট নরমালাইজেশন। নাটক সিনেমা ও পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে মগজধোলাই করে আগাতে চায়। এজন্য দেখবেন ফেসবুকে এলজি বা সমKa,মিতা ভেঙে না লিখলে রিচ ডাউন করে দেয়। কেন করে? ফেসবুক কি ওদের বিরুদ্ধে? একটু মাথা খাটালে উত্তর পাবেন।
তারা হইচই চায় না, তারা চায় পলিসি লেভেলে কাজ করতে। কারণ বেশি হইচই হলে তাদের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। যেমন হইচই এর কারণে শরিফার গল্প বাদ গেছে, আইন তৈরি হইতে পারে নাই। তাদের কোটা বাদ হচ্ছে।
আমি পশ্চিমা সমাজে এটার বিস্তারের কারণগুলো বিস্তারিত স্টাডি করেছি। তাদের সমাজে এটা মহামারী আকার ধারণ করেছে কেন বলেন তো? আমাদের মেধাবীদের দাবি অনুযায়ী নেগেটিভ মার্কেটিং এর কারণে?
না ভাই।
এখানে কয়েকটা ফ্যাক্টর কাজ করেছে,
১। তারা মিডিয়াকে খুব পরিকল্পিতভাবে ইউজ করেছে। তারা মনে মনে নারী বা পুরুষ হওয়াকে সাহসী মুভ হিসাবে দেখিয়েছে, তাদেরকে হিরো হিসাবে প্রেজেন্ট করেছে। আমাদের মিডিয়াও কাজটা শুরু করেছে বাট সমালোচনার জন্য রাখঢাক করে করছে।
২। স্কুলের সিলেবাসে ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজধোলাই করেছে। বাচ্চারা তাদের মেইন টার্গেট। শরিফার গল্পের টার্গেট কারা ছিলো বলেন তো?
৩। সুশীল সমাজকে এটার পক্ষে এক্টিভিজম করানো। আমাদের সমাজেও এটা শুরু হয়েছে। সামিনা-সলিমুল্লা খানরা এই কাজটা করছে।
প্রিয় (মেধাবী/বুদ্ধিজীবী) ভাই, আপনি যে নেগেটিভ মার্কেটিং দোষ দিয়ে চুপচাপ বসে আছেন - এই গোছানো আয়োজনের কাউন্টার কিভাবে করবেন? আপনার সন্তানের মগজধোলাই যে হচ্ছে, ইসলামপন্থী একটিভিস্টরা এভাবে না দাঁড়ালে আপনি তো জানতেনই না। জানতেন যেদিন আপনার ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে করতো সেদিন।
আজ দেখলাম সমকামি কমিউনিটি ঢাবি শিবিরকে ধন্যবাদ দিচ্ছে রেবিল ইস্যুতে চুপ থাকার জন্য। চুপ থাকা কোন সলুশন না ভাই।
বন্ধু সোস্যালের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি তারা পাঠ্যপুস্তকে ইস্যুটা ঢোকানোর জন্য দীর্ঘদিন লবিং করেছে। অবশেষে শরিফার গল্পের মাধ্যমে তারা এন্ট্রি নিয়েছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা এদেশে কাজ করছে এটা নিয়ে। আইন করারও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ সেটা প্রতিরোধ করা গেছে।
ব্রাক ইউনিভার্সিটির আন্ডারে একটা স্পেশালাইজড সেন্টার আছে এটা নিয়ে কাজ করার জন্য। একাডেমিক এবং পলিসি লেভেলে কাজ করে। কিভাবে আগালে সমাজে প্রতিক্রিয়া ছাড়া এটাকে নরমালাইজ করা যাবে - তারা সেটার পরিকল্পনা করে।
মিডিয়ার জন্যও বরাদ্দ আছে। তাদেরকে ভিক্টিম দেখিয়ে সিনেমা নাটক বানানো যাতে তাদের প্রতি সমাজের সিম্প্যাথি তৈরি হয়। আপনারা কয়েকটা নাটক ইতিমধ্যে দেখেছেন এটা নিয়ে। দেখেন, যারা আসল যৌন প্রতিবন্ধি তাদের নিয়ে এদের কোন কনসার্ন নাই। তাদের চিকিৎসা মাধ্যমে সমাজে মূল স্রোতে নেয়া পসিবল - বাট এটা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নাই। তারা সব এনার্জি খরচ করে নারী সাজা পুরুষকে নরমালাইজ করতে।
কিছুদিন আগে নেত্র নিউজের রিপোর্ট দেখেছেন। ড. সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে হুমকি দেয়া নারী সাজা পুরুষটা (সাফওয়ান রেবিল) কে তারা বৈষম্যের শিকার, মানে ভিক্টিম হিসাবে পোট্রে করেছে। এটাই তাদের কৌশল।
এই যে নারী সাজা পুরুষটা বিয়ের অধিকার নিয়ে রাস্তায় নামলো, সে কী কোন এজেন্ডা এবং পরামর্শ ছাড়াই এটা করছে? না, বরং পুরো বাম ঘরানা তার সাথে আছে। সামিনা লুৎফাদের মতো সেকু শিক্ষকদের একটা প্রভাবশালী অংশ তাদের সাথে আছে। প্রথমালো গং তাদের এজেন্ডাকে এগিয়ে নিচ্ছে।
আপনার (মডারেট বুদ্ধিজীবী মহল) বলছেন আমাদের প্রতিবাদের কারণে নেগেটিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা ছড়াচ্ছে। এর বাস্তবতা কতটুকু? তারা কি চায় নেগেটিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা ছড়াক? না তারা চায় সফট নরমালাইজেশন। নাটক সিনেমা ও পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে মগজধোলাই করে আগাতে চায়। এজন্য দেখবেন ফেসবুকে এলজি বা সমKa,মিতা ভেঙে না লিখলে রিচ ডাউন করে দেয়। কেন করে? ফেসবুক কি ওদের বিরুদ্ধে? একটু মাথা খাটালে উত্তর পাবেন।
তারা হইচই চায় না, তারা চায় পলিসি লেভেলে কাজ করতে। কারণ বেশি হইচই হলে তাদের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। যেমন হইচই এর কারণে শরিফার গল্প বাদ গেছে, আইন তৈরি হইতে পারে নাই। তাদের কোটা বাদ হচ্ছে।
আমি পশ্চিমা সমাজে এটার বিস্তারের কারণগুলো বিস্তারিত স্টাডি করেছি। তাদের সমাজে এটা মহামারী আকার ধারণ করেছে কেন বলেন তো? আমাদের মেধাবীদের দাবি অনুযায়ী নেগেটিভ মার্কেটিং এর কারণে?
না ভাই।
এখানে কয়েকটা ফ্যাক্টর কাজ করেছে,
১। তারা মিডিয়াকে খুব পরিকল্পিতভাবে ইউজ করেছে। তারা মনে মনে নারী বা পুরুষ হওয়াকে সাহসী মুভ হিসাবে দেখিয়েছে, তাদেরকে হিরো হিসাবে প্রেজেন্ট করেছে। আমাদের মিডিয়াও কাজটা শুরু করেছে বাট সমালোচনার জন্য রাখঢাক করে করছে।
২। স্কুলের সিলেবাসে ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজধোলাই করেছে। বাচ্চারা তাদের মেইন টার্গেট। শরিফার গল্পের টার্গেট কারা ছিলো বলেন তো?
৩। সুশীল সমাজকে এটার পক্ষে এক্টিভিজম করানো। আমাদের সমাজেও এটা শুরু হয়েছে। সামিনা-সলিমুল্লা খানরা এই কাজটা করছে।
প্রিয় (মেধাবী/বুদ্ধিজীবী) ভাই, আপনি যে নেগেটিভ মার্কেটিং দোষ দিয়ে চুপচাপ বসে আছেন - এই গোছানো আয়োজনের কাউন্টার কিভাবে করবেন? আপনার সন্তানের মগজধোলাই যে হচ্ছে, ইসলামপন্থী একটিভিস্টরা এভাবে না দাঁড়ালে আপনি তো জানতেনই না। জানতেন যেদিন আপনার ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে করতো সেদিন।
আজ দেখলাম সমকামি কমিউনিটি ঢাবি শিবিরকে ধন্যবাদ দিচ্ছে রেবিল ইস্যুতে চুপ থাকার জন্য। চুপ থাকা কোন সলুশন না ভাই।
~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
Comment