Announcement

Collapse
No announcement yet.

এলজিবিটি (ট্রান্সজেন্ডার-সমকামিতা) ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এলজিবিটি (ট্রান্সজেন্ডার-সমকামিতা) ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গ

    এলজিবিটি (ট্রান্সজেন্ডার-সমকামিতা) ইস্যু নিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষদের কাজ খুব গোছানো। তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।

    বন্ধু সোস্যালের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি তারা পাঠ্যপুস্তকে ইস্যুটা ঢোকানোর জন্য দীর্ঘদিন লবিং করেছে। অবশেষে শরিফার গল্পের মাধ্যমে তারা এন্ট্রি নিয়েছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা এদেশে কাজ করছে এটা নিয়ে। আইন করারও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ সেটা প্রতিরোধ করা গেছে।

    ব্রাক ইউনিভার্সিটির আন্ডারে একটা স্পেশালাইজড সেন্টার আছে এটা নিয়ে কাজ করার জন্য। একাডেমিক এবং পলিসি লেভেলে কাজ করে। কিভাবে আগালে সমাজে প্রতিক্রিয়া ছাড়া এটাকে নরমালাইজ করা যাবে - তারা সেটার পরিকল্পনা করে।

    মিডিয়ার জন্যও বরাদ্দ আছে। তাদেরকে ভিক্টিম দেখিয়ে সিনেমা নাটক বানানো যাতে তাদের প্রতি সমাজের সিম্প্যাথি তৈরি হয়। আপনারা কয়েকটা নাটক ইতিমধ্যে দেখেছেন এটা নিয়ে। দেখেন, যারা আসল যৌন প্রতিবন্ধি তাদের নিয়ে এদের কোন কনসার্ন নাই। তাদের চিকিৎসা মাধ্যমে সমাজে মূল স্রোতে নেয়া পসিবল - বাট এটা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নাই। তারা সব এনার্জি খরচ করে নারী সাজা পুরুষকে নরমালাইজ করতে।

    কিছুদিন আগে নেত্র নিউজের রিপোর্ট দেখেছেন। ড. সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে হুমকি দেয়া নারী সাজা পুরুষটা (সাফওয়ান রেবিল) কে তারা বৈষম্যের শিকার, মানে ভিক্টিম হিসাবে পোট্রে করেছে। এটাই তাদের কৌশল।

    এই যে নারী সাজা পুরুষটা বিয়ের অধিকার নিয়ে রাস্তায় নামলো, সে কী কোন এজেন্ডা এবং পরামর্শ ছাড়াই এটা করছে? না, বরং পুরো বাম ঘরানা তার সাথে আছে। সামিনা লুৎফাদের মতো সেকু শিক্ষকদের একটা প্রভাবশালী অংশ তাদের সাথে আছে। প্রথমালো গং তাদের এজেন্ডাকে এগিয়ে নিচ্ছে।

    আপনার (মডারেট বুদ্ধিজীবী মহল)
    বলছেন আমাদের প্রতিবাদের কারণে নেগেটিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা ছড়াচ্ছে। এর বাস্তবতা কতটুকু? তারা কি চায় নেগেটিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটা ছড়াক? না তারা চায় সফট নরমালাইজেশন। নাটক সিনেমা ও পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে মগজধোলাই করে আগাতে চায়। এজন্য দেখবেন ফেসবুকে এলজি বা সমKa,মিতা ভেঙে না লিখলে রিচ ডাউন করে দেয়। কেন করে? ফেসবুক কি ওদের বিরুদ্ধে? একটু মাথা খাটালে উত্তর পাবেন।

    তারা হইচই চায় না, তারা চায় পলিসি লেভেলে কাজ করতে। কারণ বেশি হইচই হলে তাদের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। যেমন হইচই এর কারণে শরিফার গল্প বাদ গেছে, আইন তৈরি হইতে পারে নাই। তাদের কোটা বাদ হচ্ছে।

    আমি পশ্চিমা সমাজে এটার বিস্তারের কারণগুলো বিস্তারিত স্টাডি করেছি। তাদের সমাজে এটা মহামারী আকার ধারণ করেছে কেন বলেন তো? আমাদের মেধাবীদের দাবি অনুযায়ী নেগেটিভ মার্কেটিং এর কারণে?
    না ভাই।

    এখানে কয়েকটা ফ্যাক্টর কাজ করেছে,

    ১। তারা মিডিয়াকে খুব পরিকল্পিতভাবে ইউজ করেছে। তারা মনে মনে নারী বা পুরুষ হওয়াকে সাহসী মুভ হিসাবে দেখিয়েছে, তাদেরকে হিরো হিসাবে প্রেজেন্ট করেছে। আমাদের মিডিয়াও কাজটা শুরু করেছে বাট সমালোচনার জন্য রাখঢাক করে করছে।

    ২। স্কুলের সিলেবাসে ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজধোলাই করেছে। বাচ্চারা তাদের মেইন টার্গেট। শরিফার গল্পের টার্গেট কারা ছিলো বলেন তো?

    ৩। সুশীল সমাজকে এটার পক্ষে এক্টিভিজম করানো। আমাদের সমাজেও এটা শুরু হয়েছে। সামিনা-সলিমুল্লা খানরা এই কাজটা করছে।

    প্রিয় (মেধাবী/বুদ্ধিজীবী) ভাই, আপনি যে নেগেটিভ মার্কেটিং দোষ দিয়ে চুপচাপ বসে আছেন - এই গোছানো আয়োজনের কাউন্টার কিভাবে করবেন? আপনার সন্তানের মগজধোলাই যে হচ্ছে, ইসলামপন্থী একটিভিস্টরা এভাবে না দাঁড়ালে আপনি তো জানতেনই না। জানতেন যেদিন আপনার ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে করতো সেদিন।

    আজ দেখলাম সমকামি কমিউনিটি ঢাবি শিবিরকে ধন্যবাদ দিচ্ছে রেবিল ইস্যুতে চুপ থাকার জন্য। চুপ থাকা কোন সলুশন না ভাই।​

    ~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই। আপনার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত পোস্টগুলো উপকারী।
    আপনার ফেসবুক আইডি পেতে পারি ভাইজান? তাহলে আপনাকে ফলো করতাম...
    Sabbir Ahmed
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      স্কুল কলেজ ভার্সিটি কিংবা টেলিভিশন অথবা এনজিওদের ছড়ানো বিভিন্ন লিফলেট এবং তাদের লাখ লাখ টাকার কমার্শিয়ালের মাধ্যমে আমরা সেক্স সম্পর্কিত যা যা জেনেছি তার প্রায় সবই মডার্ন কিংবা আধুনিক সেক্স এডুকেশনের অংশ। সেটা হতে পারে কনসেন্ট ইস্যুর ব্যাপারে কিংবা মাসিক কিংবা পিরিয়ডের সময়ে নারীদের হাইজিন ইস্যু সম্পর্কিত আলাপ এর প্রায় সবই আধুনিক সেক্স এডুকেশনের অংশ। এর সাথে ধর্মের দূরতমও কোন সম্পর্ক নাই। কিছু আলাপ ধর্মের সাথে অ্যালাইন্ড হয় এটা সত্য তখন আমরা আমাদের ধর্মেও আছে এরকম এই কথা বলে মনকে শান্ত করি। কিন্ত আধুনিক সেক্স এডের কোন কিছুই ধর্মের উপর নির্ভরশীল না। এ শিক্ষা পুরোপুরি ধর্মের বাহিরে থেকেই শিক্ষা।
      .
      এখন এই সেক্স এড যখন আমাদেরকে বিভিন্নভাবে শেখানো হয় তখন এক সাথে পুরো বই শেখানো কিংবা পড়ানোর সুযোগ যেহেতু নাই তাই আমাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ চ্যাপ্টার ওয়াইজ কিংবা পরিবেশ প্রেক্ষাপটে কৌশলী হয়ে কোনটা বেশি মানানসই হতে পারে সে হিসেবে শেখানোর চেষ্টা করা হয়। কখনো টিনেজদের শরীর বৃত্তিয় পরিবর্তনের বিষয়টির ব্যাপারে জোর দেওয়া হয় , কখনো কনসেন্ট ইস্যুর উপর জোর দেওয়া হয়, আবার কখনো যৌন স্বাস্থ্যের বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয় এছাড়া যেগুলোকে মডার্ন সেক্স এড কুসংস্কার মনে করে যেমন আঠারো বছরের নিচে বিয়ে হওয়া এগুলোও সেক্স এডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আলোচনায় আনা হয়। অর্থাৎ মসজিদের।মিম্বর ছাড়া আমরা সেক্স সম্পর্কে যত যা জানছি তার প্রায় সবকিছুই সেক্স এডের অংশ।
      .
      মসজিদের মিম্বর থেকে সেক্স সম্পর্কিত যা বলা হয় তার প্রায় কোন কিছুই সেক্স এড কভার করে না। যেমনঃ বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক জেনা, পরকীয়া হারাম, একের অধিক বিয়ে পুরুষদের জন্য বৈধ, মাসিককালীন সময়ে সঙ্গম করার বৈধতা না থাকা, পিছনের রাস্তাকে ব্যবহার করার বৈধতা না থাকা, সমকামিতার অবৈধতা ইত্যাদির কোন কিছুই আধুনিক সেক্স এড কভার করে না। করে তো নাই বরং এর প্রায় সবকিছুর সাথে মডার্ন সেক্স এড দ্বিমত পোষণ করে।
      .
      অর্থাৎ মসজিদের মিম্বর ব্যতীত আমরা সেক্স এডের যা যা জানছি কিংবা শিখছি বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে তার প্রায় সবকিছুই আধুনিক সেক্স এডের কোন না কোন চ্যাপ্টার কভার করে। সরি টু সে , মাসিকের সময়কালীন হাইজিন ইস্যুর যে আলোচনা উঠছে সেটাও মডার্ন সেক্স এডকেই কভার করে। ধর্মীয় বিধানকে না। অর্থাৎ এটার কোন কিছু ধর্মের বিধানের সাথে মিলতে পারে কিন্ত এটা আপনাকে ধর্মীয় বিধানের অংশ হিসেবে শেখানো হচ্ছে না।
      .
      এখন আসল কথায় আসি, বর্তমান সময়ে এলজিবিটির যে বৈধতা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এর অধিকার নিয়ে যে আলোচনা আসে তা আধুনিক সেক্স এডেরই অংশ। এটা মূলত Gender Identity and Sexual Orientation চ্যাপ্টার কভার করে। যখন আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা আপনার সেক্স এডের প্রায় সবকিছুই কভার করছে তখন তো আপনার স্কেপটিক্যাল না হওয়া ছাড়া তো কোন উপায় নাই । একটা বইয়ের নয়টা অধ্যায় আপনাকে গেলানো হয়েছে এখন দশ নাম্বার অধ্যায়টা যে গেলানো হবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে ? অলরেডি সেক্সের এথিকস আপনাকে গেলানো হয়ে গিয়েছে যেগুলোর উপর ভিত্তি করে ঐসব যৌনাচারকে আইনত বৈধতা দেওয়া হয়েছে যেগুলোর বৈধতা আসলে ধর্মে নাই। তাহলে আপনি তো চরমভাবে স্কেপটিক্যাল হবেন কেননা যেকোন সময় এলজি নিয়ে আলোচনা আসলে সেটার বৈধতা পাবার জন্য যা যা দরকার তার প্রায় সবই কভার হয়ে গিয়েছে। এখন শুধুমাত্র প্রচার প্রসারটা বাকি। এই সময়ে আপনার স্কেপটিক্যাল না হওয়া ছাড়া আদৌ কোন পথ বাকি আছে ?
      .
      যারা সরোয়ার স্যারের এলজিবিটির ব্যাপারে প্রশ্ন তোলাকে মাত্রাতিরিক্ত মনে করেন তাদের ব্যাপারে দুঃখ করে বলতে হয় তারা ইউরোপ আমেরিকাতে এলজিবিটি সংস্কৃতির পূর্বাপর সামাজিক সম্মতি নেওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত নন। প্রথমেই এক লাফ দিয়ে কোথাও সমকামিতার বৈধতা কেউ চায় নি। সেখানেও চ্যাপ্টার বাই চ্যাপ্টার করে এগোতে হয়েছে। এক সময় পরিস্থিতি যখন এমন এক পর্যায়ে নিয়ে ঠেকানো হয়েছে যখন এলজিকর্মকে বৈধতা দেওয়ার সমস্ত নৈতিক ভিত্তি অলরেডি সমাজে প্রাক্টিস হচ্ছে, তখন আর এই কাজকে অপকর্ম ভাবার কোন সুযোগ অবশিষ্ট থাকে নাই।
      .
      এভাবেই একটি মডার্ন ডে সেক্সুয়াল ইকোলজিকে পর্যায়ক্রমে দাড় করানো হয়। তাই এটা শুধুমাত্র সরোয়ার স্যারের টেনশনের বিষয় না এটা আমাদের সকলের টেনশনের বিষয়। শরীফ শরীফা ইস্যুটা নিয়ে সন্দেহগ্রস্ত না হলে এটাকে কখনোই বাদ দেওয়া সম্ভব হত না। গল্পটার প্লটে অসংখ্য গোজামিল ছিল এটা সত্য , কিন্ত সেটা যে ট্রান্সজেন্ডারকেই কভার করে তা যদি সরোয়ার স্যারের মত মানুষেরা আলোচনাতে নিয়ে না আসতেন তাহলে ঐ গোজামিল প্লট দিয়েই ট্রান্সজেন্ডারের বৈধতা দেওয়া হত। বৈধতা দেওয়া হোক কিংবা না হোক অন্তত আমাদের সন্তানেরা এটার প্রতি সহমর্মি চিন্তা রেখেই গ্রহণ করে নিত। আমার এখনো মনে আছে, এটা নিয়ে যখন পিক আলোচনা হচ্ছে তখন ঢাবির এক ফ্যানাটিক লিবারেল শরীফ শরীফার কাহিনী নিয়ে আবারো গোজামিল ব্যাখ্যা দিয়ে বিশাল এক লেখা পোস্ট করল। আশ্চর্য হলেও সত্য ওর গোজামিল লেখাটাতে শতের উপর লাভ রিয়েক্ট পড়ে !
      .
      ট্রান্স, রেইনবো এগুলো সাজানোই হয়েছে এরকমভাবে যাতে করে এখানে একটা অস্পষ্টাতা রাখা যায়। অস্পষ্টতা রাখা হলে সরাসরি না করে দেওয়ার বিষয়টিকে দূর্বলভাবে দেখার সুযোগ তৈরি হয়। মানুষকে স্ক্যাটারড করে দেওয়া হয় যেন একেকজন জিনিসটাকে একেকরকমভাবে চিন্তা করে। যে ভুলভাবে এটাকে সঠিক মনে করবে সে এটার পক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করবে এবং যে সঠিক জেনেই এটাকে ভুল মনে করে তার মধ্যে একটা ক্লাশ তৈরি করে দেওয়া সম্ভব হবে। পৃথিবীর যাবতীয় কাজকে বৈধতা দেওয়ার এটা একটা শুরুর স্টেইজ। একজন এসে বাচ্চাদের দিয়ে রংধনু আঁকাবে। আরেকজন যখন রংধনু আঁকানো নিয়ে প্রশ্ন তুলবে তখন বলবে বাচ্চারা এটাও পারবে না ? আবার শিশুদের দ্বারা রংধনুর আঁকা ছবিকে এলজিবিটির পক্ষে প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এভাবেই বিষয়গুলো ঘটে। এজন্য রংধনু আঁকানো নিয়ে সন্দেহপ্রবন হওয়ার ঘটনা অসংখ্য আছে। খোদ আমেরিকাতেই আছে। মালোয়শিয়া, তুরস্ক সবখানেই।
      .
      জঙ্গলে যখন হাটবেন তখন সাপের ভয়ে অতি সাবধানি হয়েই আপনাকে হাটতে হবে। এটাকে OCD মনে করাটা একরকম মেন্টাল ইলনেস নিয়ে আপনার অবসেসিভ কনসার্ন। আপনার নিজের OCD আরেকজনের উপর প্রক্ষেপন করছেন কিনা তা আপনার ভাবা উচিত। [OCD = Obsessive-compulsive disorder]​

      ~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
      বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

      Comment

      Working...
      X